Ajker Patrika

বিলকিস বানু ধর্ষণ: দণ্ডিত ১১ জনের মুক্তির আদেশ বাতিল করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

আপডেট : ০৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪: ০৫
বিলকিস বানু ধর্ষণ: দণ্ডিত ১১ জনের মুক্তির আদেশ বাতিল করলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট

ভারতের গুজরাটে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানু। ঘটনার পর ধর্ষণের অভিযোগে ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হলেও গুজরাট সরকার বিশেষ আদেশে তাদের ছেড়ে দেয়। পরে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন বিলকিস বানু। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষকদের ফের কারাগারে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ সোমবার স্থানীয় সময় সকালে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট এই রায় দেন। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিলকিস বানুর জন্য এই রায় বিরাট অর্জন এবং গুজরাট সরকারের জন্য কড়া ধাক্কা। 

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, ধর্ষকদের ছেড়ে দিতে গুজরাট সরকার যে আদেশ দিয়েছে তাতে দক্ষতার অভাব রয়েছে। অর্থাৎ গুজরাট সরকারের দক্ষতার অভাব রয়েছে। আদালত আরও বলেছেন, একটি রাজ্য তখনই কোনো অপরাধীকে মুক্তি দিতে পারবে যখন তারা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হবে যে, সেই অপরাধী সত্যিকার অর্থেই স্বাভাবিক মানুষের মতো আচরণ করছে। 

উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩ মার্চের এক সহিংস ঘটনায় বিলকিস বানু গুজরাটের দাহোদ জেলার লিমখেদায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। ওই সময় তাঁর ৩ বছরের কন্যাসন্তান সালেহাসহ ১৪ জনকে হত্যা করা হয়। আদালত এক আদেশে জানায়, সালেহাকে হত্যার আগে তার মাথা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বিলকিস বানুর বয়স ছিল ২১ বছর এবং তিনি ৫ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। বিলকিস বানু পরে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার সময় জানিয়েছিলেন তাঁকে ধর্ষণ করা ১১ জনই তাঁর আশপাশের প্রতিবেশী। 

পরে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সেন্ট্রাল ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোকে (সিবিআই) ঘটনাটির তদন্ত করতে নির্দেশ দেয় এবং মামলাটি গুজরাট থেকে মহারাষ্ট্রের আদালতে স্থানান্তর করে। পরে ওই মামলায় আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া, দীর্ঘ ১৭ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে আদালত বিলকিস বানুকে ৫০ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত