তবে কী নতুন দল গড়তে যাচ্ছেন ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার বলে খ্যাত প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। সোমবার তাঁর সর্বশেষ এক টুইট থেকে এমনটিই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। দেশটির সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার বিষয়টি ভেস্তে যাওয়ার পর পিকের এই টুইট তাঁকে ফের আলোচনায় এনেছে। অনেকেই বলছেন, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে এই টুইট তার ইঙ্গিত মাত্র।
সোমবার করা ওই টুইটে পিকে লিখেছেন, ‘গণতন্ত্র চর্চায় একজন অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকারী হতে ও জনগণের পক্ষে নীতি গঠনে সহায়তা করতে ১০ বছরের এক উত্থান-পতনপূর্ণ যাত্রা ছিল আমার। তবে সেই পালার বদল ঘটেছে। এখন সময় প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে যাওয়ার। এখনই সময় জনগণের মাঝে ফিরে যাওয়ার, তাদের সমস্যাগুলো ও—‘জনগণের শাসন’—জনগণের সুশাসনের বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝার। শুরুটা হবে বিহার থেকে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘোষণাটি ইঙ্গিত দেয় যে—প্রশান্ত কিশোর তাঁর নিজ রাজ্য বিহারে ফিরে যাবেন। এই বিহারেই তাঁর স্বল্প পরিসরের রাজনৈতিক জীবন বলা ভালো মাত্র চার বছরের রাজনৈতিক জীবনের শুরু করেছিলেন। সংক্ষিপ্ত এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের দলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মাত্র ১৬ মাস পরে নিতীশ কুমারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন।
তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, পিকে তাঁর টুইটে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রেখেছেন। টুইটে পিকে নিশ্চিত করেননি তিনি ঠিক কি করতে যাচ্ছেন। তিনি বিহার ফিরে গেলেও সেখানে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন নাকি বিরোধী শিবিরে যোগ দেবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রেখেছেন সবাইকে।
এনডিটিভির জানিয়েছে, প্রশান্ত কিশোর বিহার রাজ্য সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এবং এখন পর্যন্ত তিনি আপাতত একটি স্বাধীন অবস্থান বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, পিকে বিহার ভ্রমণের সময় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জনসংযোগ করবেন এবং তাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন।
বিশ্লেষকদের দাবি ‘অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র’ পিকের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ম্যানিফেস্টো হতে পারে এবং ২০১৫ সালের বিহার নির্বাচনের সময় তিনি নিতীশ কুমারের জন্য নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো হিসেবে যে ‘সাত নিশ্চয়’ বা সাত দফা উপস্থাপন করেছিলেন যার মধ্যে ছিল—রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ এবং সবার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণ—সেই মৌলিক দাবিগুলো নিয়েই তাঁর কাজ শুরু করবেন। উল্লেখ্য, পিকের তৈরি করা এসব দাবি পরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিও নিজেদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
এনডিটিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সোমবারের টুইটের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেও এই বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, পিকে মনে করেন—ভারতের জাতীয় নির্বাচন এবং বিহারে রাজ্য নির্বাচনের এখনো দু-তিন বছর বাকি রয়েছে।
তবে, পিকের এই টুইট কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর গাঁটছড়া বাঁধার যতটুকু সম্ভাবনাও ছিল তাতেও ছেদ পড়তে পারে। কারণ, কংগ্রেসের তরফ বলা হয়েছিল—কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার আগে পিকে অন্তত ছয় মাস বা এক বছর সময় নেবেন।
এর আগে, প্রশান্ত কিশোর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারণার সঙ্গে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এর ঠিক এক বছর পর আবার ২০১৫ সালে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লালু প্রাসাদ যাদব ও নিতীশ কুমারের মধ্যে জোট গঠন করে বিহারে বিজেপিকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছিলেন। আবার, ২০১৭ সালে কংগ্রেসের পক্ষে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ে হয়ে এর পাঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
তবে কী নতুন দল গড়তে যাচ্ছেন ভারতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার বলে খ্যাত প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। সোমবার তাঁর সর্বশেষ এক টুইট থেকে এমনটিই ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। দেশটির সবচেয়ে পুরোনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার বিষয়টি ভেস্তে যাওয়ার পর পিকের এই টুইট তাঁকে ফের আলোচনায় এনেছে। অনেকেই বলছেন, তাঁর পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে এই টুইট তার ইঙ্গিত মাত্র।
সোমবার করা ওই টুইটে পিকে লিখেছেন, ‘গণতন্ত্র চর্চায় একজন অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণকারী হতে ও জনগণের পক্ষে নীতি গঠনে সহায়তা করতে ১০ বছরের এক উত্থান-পতনপূর্ণ যাত্রা ছিল আমার। তবে সেই পালার বদল ঘটেছে। এখন সময় প্রকৃত মালিকের কাছে ফিরে যাওয়ার। এখনই সময় জনগণের মাঝে ফিরে যাওয়ার, তাদের সমস্যাগুলো ও—‘জনগণের শাসন’—জনগণের সুশাসনের বিষয়টি আরও ভালোভাবে বোঝার। শুরুটা হবে বিহার থেকে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘোষণাটি ইঙ্গিত দেয় যে—প্রশান্ত কিশোর তাঁর নিজ রাজ্য বিহারে ফিরে যাবেন। এই বিহারেই তাঁর স্বল্প পরিসরের রাজনৈতিক জীবন বলা ভালো মাত্র চার বছরের রাজনৈতিক জীবনের শুরু করেছিলেন। সংক্ষিপ্ত এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পিকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমারের দলে যোগ দিয়েছিলেন। তবে মাত্র ১৬ মাস পরে নিতীশ কুমারের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন।
তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, পিকে তাঁর টুইটে যথেষ্ট অস্পষ্টতা রেখেছেন। টুইটে পিকে নিশ্চিত করেননি তিনি ঠিক কি করতে যাচ্ছেন। তিনি বিহার ফিরে গেলেও সেখানে তিনি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন নাকি বিরোধী শিবিরে যোগ দেবেন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রেখেছেন সবাইকে।
এনডিটিভির জানিয়েছে, প্রশান্ত কিশোর বিহার রাজ্য সফরের পরিকল্পনা করেছেন। এবং এখন পর্যন্ত তিনি আপাতত একটি স্বাধীন অবস্থান বজায় রাখতে চেয়েছিলেন। একটি সূত্র জানিয়েছে, পিকে বিহার ভ্রমণের সময় স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ব্যাপকভাবে জনসংযোগ করবেন এবং তাদের সমস্যাগুলো সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন।
বিশ্লেষকদের দাবি ‘অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্র’ পিকের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ম্যানিফেস্টো হতে পারে এবং ২০১৫ সালের বিহার নির্বাচনের সময় তিনি নিতীশ কুমারের জন্য নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো হিসেবে যে ‘সাত নিশ্চয়’ বা সাত দফা উপস্থাপন করেছিলেন যার মধ্যে ছিল—রাজ্যের প্রতিটি পরিবারে পাইপলাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ এবং সবার জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিতকরণ—সেই মৌলিক দাবিগুলো নিয়েই তাঁর কাজ শুরু করবেন। উল্লেখ্য, পিকের তৈরি করা এসব দাবি পরে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপিও নিজেদের নির্বাচনী ম্যানিফেস্টো হিসেবে গ্রহণ করেছিল।
এনডিটিভি একটি সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, সোমবারের টুইটের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেও এই বিষয়ে বড় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ, পিকে মনে করেন—ভারতের জাতীয় নির্বাচন এবং বিহারে রাজ্য নির্বাচনের এখনো দু-তিন বছর বাকি রয়েছে।
তবে, পিকের এই টুইট কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর গাঁটছড়া বাঁধার যতটুকু সম্ভাবনাও ছিল তাতেও ছেদ পড়তে পারে। কারণ, কংগ্রেসের তরফ বলা হয়েছিল—কংগ্রেসে যোগদানের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার আগে পিকে অন্তত ছয় মাস বা এক বছর সময় নেবেন।
এর আগে, প্রশান্ত কিশোর ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারণার সঙ্গে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। এর ঠিক এক বছর পর আবার ২০১৫ সালে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী লালু প্রাসাদ যাদব ও নিতীশ কুমারের মধ্যে জোট গঠন করে বিহারে বিজেপিকে পরাজিত করতে সহায়তা করেছিলেন। আবার, ২০১৭ সালে কংগ্রেসের পক্ষে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ে হয়ে এর পাঞ্জাবে নির্বাচনী প্রচারাভিযান পরিচালনা করেছিলেন।
সূত্র: এনডিটিভি
ভারত আগামী ২৪-৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাবে বলে দাবি করেছেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে এই দাবি করেন তারার। তবে তিনি তাঁর দাবির পক্ষে কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। কেবল গোয়েন্দা তথ্যের কথা বলেছেন।
১৬ মিনিট আগেভারত অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সেনারা আন্তর্জাতিক সীমানা পেরিয়ে ভেতরে ঢুকে গুলি চালিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে টানা ষষ্ঠ দিনের মতো সীমান্তে গুলি চালাল পাকিস্তানি সেনারা। পাল্টা জবাব দেওয়ারও দাবি করেছে ভারত। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৪২ মিনিট আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
১০ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
১১ ঘণ্টা আগে