Ajker Patrika

২২ কি.মি. দীর্ঘ ৬ লেনের সমুদ্র সেতু, ২৪ হাজার কোটিতে বানাল ভারত

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ২১: ১২
Thumbnail image

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শুক্রবার সমুদ্রের ওপর নির্মিত দেশটির দীর্ঘতম সেতুর উদ্বোধন করেছেন। ৬ লেন প্রশস্ত এই সেতুর দৈর্ঘ্য প্রায় ২২ কিলোমিটার। এর মধ্যে সাড়ে ১৬ কিলোমিটার সমুদ্রের ওপর আর বাকি সাড়ে ৫ কিলোমিটার স্থলভাগের ওপর দিয়ে গেছে। সুদীর্ঘ এই সেতু মুম্বাইয়ের দক্ষিণ অংশকে মূল ভূমির সঙ্গে যোগাযোগের পথ সহজ করে দিয়েছে। 

দ্য প্রিন্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ির নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘অটল সেতু’। এই সেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৮৪৩ কোটি রুপি; বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা। 

সেতুটির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আমি এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম। এই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধন শুধু এক দিনের বিষয় বা শুধু জনগণ ও গণমাধ্যমের সামনে আসা নয়; এটি একটি নতুন ভারত গঠনের বিষয়।’ 

এ সময় মহারাষ্ট্রের উন্নয়নের জন্য রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং আরেক উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারকে কৃতিত্ব দেন মোদি। 

ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের বরাতে জানা গেছে, সেতুটি নির্মাণের পরিকল্পনা আজকের নয়, ১৯৬৩ সালে এটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। নতুন নামকরণের আগে নির্মাণাধীন অবস্থায় সেতুটিকে মুম্বাই ট্রান্স হারবার লিংক (MTHL) ডাকা হতো। 

এই সেতু নির্মাণের ফলে মুম্বাইয়ের মূল ভূমি থেকে দক্ষিণ অংশে যেতে আগে যেখানে দুই ঘণ্টার বেশি সময় লাগত, এখন সেখানে যাওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। বিশেষজ্ঞেরা এই সেতুকে ‘ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিস্ময়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। 

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১২ জানুয়ারি ভারতের ‘যুব দিবস’ তথা স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনকেই সেতুটির উদ্বোধনের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। 

সেতুটি নির্মাণে এমন কিছু প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ভারতে প্রথম। সেতুতে ব্যবহৃত আলো যেন সমুদ্রের জলজ পরিবেশকে কোনো রকম বিঘ্ন না করে, সেদিকেও নজর রাখা হয়েছে। সেতু ব্যবহারের ক্ষেত্রেও একাধিক নিয়মকানুন বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সেতুর ওপর চার চাকার গাড়ির সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। আর সেতুতে ওঠা ও নামার সময় গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে। প্রতিটি গাড়ির জন্য আড়াই শ রুপি টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। সেতুতে মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ও ট্রাক্টর চলাচলে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে ৭০ হাজার গাড়ি চলাচল করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত