কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনমোহন সিং একবার শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান স্ট্রাটফোর্ড-আপন-অ্যাভনে গিয়ে একটি নাটক দেখেন। নাটকের বিরতিতে একজন সুদর্শন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে হিন্দু এবং শিখদের মিস করি।’
মনমোহন সিং ওই ব্যক্তিকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কে?’ তিনি উত্তর দেন, ‘আমি অবিভক্ত পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমার নাম খিজার হায়াত তিওয়ানা।’
পরবর্তীকালে তিওয়ানা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে মনমোহন বলেছিলেন, ‘তাঁর চেয়ে সুদর্শন মানুষ আমি দেখিনি।’
খিজার হায়াত তিওয়ানা মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেছিলেন এবং ভারত বিভাজনের বিরুদ্ধে ছিলেন। এ জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁর জমি বাজেয়াপ্ত করে। পরবর্তীতে নিজের জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যান তিনি।
তবে এই গল্পটি মনমোহন সিং কেন তাঁর জন্মগ্রামে ফিরে যাননি, তা নিয়ে। দশ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের সরকার বারবার তাঁকে তাঁর জন্মগ্রাম পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু মনমোহন আর কখনোই পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের চাকওয়াল জেলায় অবস্থিত গহ্ নামের সেই গ্রামটিতে আর কখনোই ফিরে যাননি।
ক্ষমতা ছাড়ার পর ভারতীয় সাংবাদিকেরা মনমোহনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার মতো ব্যক্তিকে সবাই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করত। তবে কেন যাননি?’
উত্তরে মনমোহন বলেছিলেন, ‘ইয়াদান বদেয়ান তালখ হুন।’ অর্থাৎ—স্মৃতিগুলো খুবই তিক্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একবার পাকিস্তানে তাঁর পৈতৃক গ্রামে ফিরে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি একটি মর্মান্তিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। আসলে সেবার প্রশ্নটি করেছিলেন তাঁরই মেয়ে দমন সিং। সে সময় মনমোহন সিং মৃদুভাবে উত্তর দেন, ‘না, সত্যিই না। সেখানেই আমার দাদাকে হত্যা করা হয়েছিল।’
গ্রামের একজন সাধারণ ছেলে থেকে ভারতের ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মনমোহনের গ্রাম বিশ্ব জুড়ে মনোযোগ কেড়েছিল। পাকিস্তানে নিজ গ্রামের মানুষেরা মনমোহনকে ‘মোহনা’ নামে ডাকেন।
মনমোহনের কন্যা দমন সিং ‘স্ট্রিক্টলি পার্সোনাল: মনমোহন এবং গুরশরণ’ নামে একটি বই লিখেছেন। মূলত বাবা-মার গল্প সম্পর্কে একটি বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করেছেন তিনি।
জানা যায়, গহ্ গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন মনমোহন সিং। রেজিস্ট্রার বইয়ে খোদাই করে লেখা আছে, ১৯৩৭ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় একবার সেই স্কুলটি সংস্কার করা হয়েছিল এবং তাঁর সম্মানে এটির নামকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। যা হোক, গ্রামের মানুষেরা মনমোহনকে নিয়ে গর্ব করলেও তিনি কখনোই আর তাঁদের কাছে ফিরে যাননি।
এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মনমোহন কখনো তাঁর গ্রামে ফিরে না গেলেও তাঁর মৃত্যুতে বিশেষ এবং সর্বশেষ দোয়াটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানে অবস্থিত তাঁর নিজ গ্রামে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় মনমোহন সিং একবার শেক্সপিয়ারের জন্মস্থান স্ট্রাটফোর্ড-আপন-অ্যাভনে গিয়ে একটি নাটক দেখেন। নাটকের বিরতিতে একজন সুদর্শন ব্যক্তি তাঁর কাছে এসে বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানে হিন্দু এবং শিখদের মিস করি।’
মনমোহন সিং ওই ব্যক্তিকে চিনতে না পেরে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপনি কে?’ তিনি উত্তর দেন, ‘আমি অবিভক্ত পাঞ্জাবের প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমার নাম খিজার হায়াত তিওয়ানা।’
পরবর্তীকালে তিওয়ানা সম্পর্কে সাংবাদিকদের কাছে মনমোহন বলেছিলেন, ‘তাঁর চেয়ে সুদর্শন মানুষ আমি দেখিনি।’
খিজার হায়াত তিওয়ানা মুসলিম লীগের বিরোধিতা করেছিলেন এবং ভারত বিভাজনের বিরুদ্ধে ছিলেন। এ জন্য পাকিস্তান সরকার তাঁর জমি বাজেয়াপ্ত করে। পরবর্তীতে নিজের জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যান তিনি।
তবে এই গল্পটি মনমোহন সিং কেন তাঁর জন্মগ্রামে ফিরে যাননি, তা নিয়ে। দশ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় পাকিস্তানের সরকার বারবার তাঁকে তাঁর জন্মগ্রাম পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। কিন্তু মনমোহন আর কখনোই পাকিস্তানের পাঞ্জাব অঞ্চলের চাকওয়াল জেলায় অবস্থিত গহ্ নামের সেই গ্রামটিতে আর কখনোই ফিরে যাননি।
ক্ষমতা ছাড়ার পর ভারতীয় সাংবাদিকেরা মনমোহনকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ‘আপনার মতো ব্যক্তিকে সবাই সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করত। তবে কেন যাননি?’
উত্তরে মনমোহন বলেছিলেন, ‘ইয়াদান বদেয়ান তালখ হুন।’ অর্থাৎ—স্মৃতিগুলো খুবই তিক্ত।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একবার পাকিস্তানে তাঁর পৈতৃক গ্রামে ফিরে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি একটি মর্মান্তিক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। আসলে সেবার প্রশ্নটি করেছিলেন তাঁরই মেয়ে দমন সিং। সে সময় মনমোহন সিং মৃদুভাবে উত্তর দেন, ‘না, সত্যিই না। সেখানেই আমার দাদাকে হত্যা করা হয়েছিল।’
গ্রামের একজন সাধারণ ছেলে থেকে ভারতের ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য মনমোহনের গ্রাম বিশ্ব জুড়ে মনোযোগ কেড়েছিল। পাকিস্তানে নিজ গ্রামের মানুষেরা মনমোহনকে ‘মোহনা’ নামে ডাকেন।
মনমোহনের কন্যা দমন সিং ‘স্ট্রিক্টলি পার্সোনাল: মনমোহন এবং গুরশরণ’ নামে একটি বই লিখেছেন। মূলত বাবা-মার গল্প সম্পর্কে একটি বিশদ বিবরণ উপস্থাপন করেছেন তিনি।
জানা যায়, গহ্ গ্রামের স্কুলে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছিলেন মনমোহন সিং। রেজিস্ট্রার বইয়ে খোদাই করে লেখা আছে, ১৯৩৭ সালের ১৭ এপ্রিল তিনি ওই স্কুলে ভর্তি হয়েছিলেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় একবার সেই স্কুলটি সংস্কার করা হয়েছিল এবং তাঁর সম্মানে এটির নামকরণের বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। যা হোক, গ্রামের মানুষেরা মনমোহনকে নিয়ে গর্ব করলেও তিনি কখনোই আর তাঁদের কাছে ফিরে যাননি।
এক প্রতিবেদনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, মনমোহন কখনো তাঁর গ্রামে ফিরে না গেলেও তাঁর মৃত্যুতে বিশেষ এবং সর্বশেষ দোয়াটি অনুষ্ঠিত হয়েছে ৬০০ কিলোমিটার দূরে পাকিস্তানে অবস্থিত তাঁর নিজ গ্রামে।
মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করে তুলছে ইসরায়েল ও ইরানের পারস্পরিক হুমকি। একদিকে কূটনৈতিক আলোচনা থমকে আছে, অন্যদিকে সেনা মহড়া ও প্রক্সি লড়াই—সব মিলিয়ে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ছে।
৯ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়ের রিপাবলিকান প্রতিনিধি মেরি মিলার শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভসে এক অতিথি ধর্মীয় নেতার প্রার্থনা নিয়ে মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তিনি ভুল করে শিখ ধর্মীয় ওই নেতাকে মুসলিম ভেবে এক্স প্ল্যাটফর্মে লেখেন, ‘আজ সকালে হাউসে একজন মুসলমানকে প্রার্থনা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগেমেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমা উদ্যাপনে গিয়েছিলেন নবদম্পতি মধ্যপ্রদেশের রাজা রাজবংশী ও সোনম রাজবংশী। কিন্তু তাঁদের মধুচন্দ্রিমা পরিণত হয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনায়। স্ত্রী সোনম নিখোঁজ আর স্বামী রাজা খুন হয়েছেন। রাজ্যজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা এই ঘটনায় তদন্তে নেমেছে একাধিক নিরাপত্তা ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
১০ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্ব রাশিয়ার ক্ষমতাসীন মহলে আলোচনা, ঠাট্টা ও হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কেউ শান্তি আলোচনা আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন, আবার কেউ মাস্ককে রাশিয়ায় ব্যবসা স্থানান্তরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১০ ঘণ্টা আগে