স্কুল বাসে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ১০ বছরের সন্তান। সন্তান হারিয়ে রাস্তায় বসে বিলাপ করছিলেন মা। আর ওই সময় এক কর্মকর্তা মায়ের সামনে এসে আঙুল উঁচিয়ে শাসিলে বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, চুপ!’
ভারতের দিল্লির কাছে মোদিনগরের একটি পুলিশ স্টেশন থেকে বের হওয়া এক সরকারি কর্মকর্তার এমন অসংবেদনশীল আচরণের ভিডিও দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মোদিনগর উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদ জেলার একটি শহর।
গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অনুরাগ ভরদ্বাজের শোকাহত পিতামাতা অবহেলার অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভে বসেছিলেন।
এর আগের দিন বুধবার সকালে অনুরাগ বাসে করে স্কুলে যাওয়ার পথে বমি বমি ভাব অনুভব করে। এ সময় নিজের অজান্তেই জানালার বাইরে ঝুঁকে পড়ে সে। সেই মুহূর্তে চালক মোচড় নেন এবং ছেলেটির মাথা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে বাড়ি খায়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। চালক ও বাসের অন্য স্টাফদের গ্রেপ্তার করা হলেও স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোদিনগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শুভাঙ্গী শুক্লা বিক্ষোভস্থলে অনুরাগের মা নেহা ভরদ্বাজের সামনে দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে শাসাচ্ছেন। সেখানে অনুরাগের মা, বাবা, বোন এবং আরও কয়েকজন অভিভাবককে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
শুভাঙ্গী শুক্লা চিৎকার করে মাকে বলছেন, ‘কেন বুঝতে পারছ না, আমি তোমাকে চুপ থাকতে বলছি?’
‘এটা তোমার ছেলে হলে বুঝতে!’ কাঁদতে কাঁদতে জবাব দেন নেহা ভরদ্বাজ।
ওই কর্মকর্তা আবার চিৎকার করে বলেন, ‘কতবার বললে তুমি বুঝবে?’
নেহা ভরদ্বাজ তাঁর মৃত সন্তানের কথা উল্লেখ করে জবাবে বলেন, ‘আমি যথেষ্ট বুঝতে পেরেছি। সে তো এখন কিচ্ছু বলতে পারবে না!’
এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট চেয়েছেন। স্কুল, বাসের স্টাফ ও পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তিনি স্কুল বাসের ফিটনেস পরীক্ষা করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী সন্তানহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, ‘দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুরাগের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল বাসে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। সেখানে অনেক ছাত্র ছিল। তারা দাবি করেছে, তদারকি করার মতো কেউ ছিল না। অনুরাগের মা চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিভাবকেরা বলছেন, এসব নিয়েই গত ১ এপ্রিল স্কুলের অধ্যক্ষ, ম্যানেজমেন্ট ও চালকের সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়েছিল।
তবে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শুভাঙ্গী শুক্লা দাবি করছেন, ছেলেটি বাসে উপস্থিত শিক্ষকের কাছে যায়নি। সেখানে আসনসংখ্যার চেয়ে ছাত্র বেশ কমই ছিল। অবশ্য বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না।
স্কুল বাসে দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন ১০ বছরের সন্তান। সন্তান হারিয়ে রাস্তায় বসে বিলাপ করছিলেন মা। আর ওই সময় এক কর্মকর্তা মায়ের সামনে এসে আঙুল উঁচিয়ে শাসিলে বললেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে, চুপ!’
ভারতের দিল্লির কাছে মোদিনগরের একটি পুলিশ স্টেশন থেকে বের হওয়া এক সরকারি কর্মকর্তার এমন অসংবেদনশীল আচরণের ভিডিও দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। মোদিনগর উত্তর প্রদেশ রাজ্যের গাজিয়াবাদ জেলার একটি শহর।
গতকাল বৃহস্পতিবার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অনুরাগ ভরদ্বাজের শোকাহত পিতামাতা অবহেলার অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে রাস্তায় বিক্ষোভে বসেছিলেন।
এর আগের দিন বুধবার সকালে অনুরাগ বাসে করে স্কুলে যাওয়ার পথে বমি বমি ভাব অনুভব করে। এ সময় নিজের অজান্তেই জানালার বাইরে ঝুঁকে পড়ে সে। সেই মুহূর্তে চালক মোচড় নেন এবং ছেলেটির মাথা একটি বিদ্যুতের খুঁটিতে সজোরে বাড়ি খায়। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। চালক ও বাসের অন্য স্টাফদের গ্রেপ্তার করা হলেও স্কুলের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মোদিনগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শুভাঙ্গী শুক্লা বিক্ষোভস্থলে অনুরাগের মা নেহা ভরদ্বাজের সামনে দাঁড়িয়ে আঙুল তুলে শাসাচ্ছেন। সেখানে অনুরাগের মা, বাবা, বোন এবং আরও কয়েকজন অভিভাবককে মাটিতে বসে থাকতে দেখা যাচ্ছে।
শুভাঙ্গী শুক্লা চিৎকার করে মাকে বলছেন, ‘কেন বুঝতে পারছ না, আমি তোমাকে চুপ থাকতে বলছি?’
‘এটা তোমার ছেলে হলে বুঝতে!’ কাঁদতে কাঁদতে জবাব দেন নেহা ভরদ্বাজ।
ওই কর্মকর্তা আবার চিৎকার করে বলেন, ‘কতবার বললে তুমি বুঝবে?’
নেহা ভরদ্বাজ তাঁর মৃত সন্তানের কথা উল্লেখ করে জবাবে বলেন, ‘আমি যথেষ্ট বুঝতে পেরেছি। সে তো এখন কিচ্ছু বলতে পারবে না!’
এ ঘটনায় হতবাক হয়েছেন খোদ উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের রিপোর্ট চেয়েছেন। স্কুল, বাসের স্টাফ ও পরিবহন দপ্তরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি তিনি স্কুল বাসের ফিটনেস পরীক্ষা করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী সন্তানহারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, ‘দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অনুরাগের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুল বাসে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা হয়নি। সেখানে অনেক ছাত্র ছিল। তারা দাবি করেছে, তদারকি করার মতো কেউ ছিল না। অনুরাগের মা চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।
অভিভাবকেরা বলছেন, এসব নিয়েই গত ১ এপ্রিল স্কুলের অধ্যক্ষ, ম্যানেজমেন্ট ও চালকের সঙ্গে তাঁদের ঝগড়া হয়েছিল।
তবে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট শুভাঙ্গী শুক্লা দাবি করছেন, ছেলেটি বাসে উপস্থিত শিক্ষকের কাছে যায়নি। সেখানে আসনসংখ্যার চেয়ে ছাত্র বেশ কমই ছিল। অবশ্য বাসটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না।
আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ওয়ালা ফাথি তাঁর তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছেন। দেইর আল-বালাহ থেকে তিনি বিবিসিকে বলেন, গাজার মানুষেরা ‘এমন এক বিপর্যয় এবং দুর্ভিক্ষের অভিজ্ঞতা লাভ করছে, যা কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।’ তিনি বলেন, ‘আমার শিশুটি আমার গর্ভেই থাকুক। এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমাকে যেন তাকে জন্ম দিতে...
৬ ঘণ্টা আগেএই বিরোধ তীব্র হয় ২০০৮ সালে। কম্বোডিয়া বিতর্কিত এলাকার ১১ শতকের একটি মন্দিরকে ইউনেসকো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে নিবন্ধন করার চেষ্টা করলে থাইল্যান্ডের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়ে। এর পর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকবার সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে উভয় পক্ষের সৈনিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রক্তক্ষয়ী সীমান্ত সংঘর্ষ আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে নতুন এক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। আসিয়ান সংগঠনটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্রুত বিকাশমান অঞ্চলে অর্থনৈতিক সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে। এই অঞ্চলটিতে দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন প্রভাব...
৮ ঘণ্টা আগেথাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার বিতর্কিত সীমান্ত এলাকায় সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। থাই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জনই বেসামরিক নাগরিক এবং একজন সেনাসদস্য।
৯ ঘণ্টা আগে