কলকাতা প্রতিনিধি
টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাব। আজ সোমবার থেকে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী হারজোত সিং বেইন্স এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির কারণে সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব।’
এর আগে পাঞ্জাবের বিদ্যালয়গুলো গত ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। হোস্টেল ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করবে যে, হোস্টেল শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।’
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে পাঞ্জাবের একাধিক জেলা তলিয়ে গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হলো—গুরদাসপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, কাপুরথলা, তার্নতারণ, ফেরোজপুর, হোশিয়ারপুর ও অমৃতসর। নদী ও খালগুলো ফুলে যাওয়ায় গ্রামের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শতদ্রু, বিয়াস ও রবি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যার কারণে তাদের জীবন বিপন্ন। অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। রাস্তা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় খাদ্য ও জরুরি চিকিৎসা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘আমাদের ঘর পুরোপুরি প্লাবিত, আমরা কীভাবে বাঁচব কেউ জানে না। প্রশাসন যদি সাহায্য না দেয়, আমরা বিপদে পড়ব।’
টানা বৃষ্টিতে গম ও ধান চাষের সব খেত প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। একজন কৃষক বলেছেন, ‘আমাদের পুরো ফসল নষ্ট হয়েছে। সরকারি সাহায্য না দিলে আমরা বাঁচতে পারব না।’
এদিকে পাঞ্জাবের বন ও পরিবেশ বিভাগ সতর্কবার্তা দিয়েছে, ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে রাস্তা ও সেতুতে হঠাৎ ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং এনডিআরএফ টিম সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন জনগণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রেডক্রস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে প্রশাসন। ভাসমান এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমও চলছে। রাজ্য প্রশাসনের হেল্পলাইন ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
টানা ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য পাঞ্জাব। আজ সোমবার থেকে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির প্রভাবে সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
শিক্ষামন্ত্রী হারজোত সিং বেইন্স এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, ‘গতকাল রাত থেকে অব্যাহত ভারী বৃষ্টির কারণে সব কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও পলিটেকনিক প্রতিষ্ঠান ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। হোস্টেলে থাকা শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্ব।’
এর আগে পাঞ্জাবের বিদ্যালয়গুলো গত ২৭ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল। ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটি বাড়িয়ে দেয় রাজ্য সরকার।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। হোস্টেল ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করবে যে, হোস্টেল শিক্ষার্থীরা নিরাপদে থাকবেন এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।’
এদিকে ভারী বৃষ্টিতে পাঞ্জাবের একাধিক জেলা তলিয়ে গেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হলো—গুরদাসপুর, পাঠানকোট, ফাজিলকা, কাপুরথলা, তার্নতারণ, ফেরোজপুর, হোশিয়ারপুর ও অমৃতসর। নদী ও খালগুলো ফুলে যাওয়ায় গ্রামের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শতদ্রু, বিয়াস ও রবি নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। হিমাচল প্রদেশ এবং জম্মু-কাশ্মীরেও বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বন্যার কারণে তাদের জীবন বিপন্ন। অনেক পরিবার বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে গেছে। রাস্তা ভেঙে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় খাদ্য ও জরুরি চিকিৎসা পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে।
স্থানীয় এক নারী বলেন, ‘আমাদের ঘর পুরোপুরি প্লাবিত, আমরা কীভাবে বাঁচব কেউ জানে না। প্রশাসন যদি সাহায্য না দেয়, আমরা বিপদে পড়ব।’
টানা বৃষ্টিতে গম ও ধান চাষের সব খেত প্লাবিত হয়ে বিপুল পরিমাণ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। একজন কৃষক বলেছেন, ‘আমাদের পুরো ফসল নষ্ট হয়েছে। সরকারি সাহায্য না দিলে আমরা বাঁচতে পারব না।’
এদিকে পাঞ্জাবের বন ও পরিবেশ বিভাগ সতর্কবার্তা দিয়েছে, ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে রাস্তা ও সেতুতে হঠাৎ ধস নামার আশঙ্কা রয়েছে। পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং এনডিআরএফ টিম সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রশাসন জনগণকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্য প্রশাসন সতর্কবার্তা জারি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের জন্য রেডক্রস ও স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে প্রশাসন। ভাসমান এলাকায় উদ্ধার কার্যক্রমও চলছে। রাজ্য প্রশাসনের হেল্পলাইন ২৪ ঘণ্টা খোলা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় খাদ্য, পানি ও চিকিৎসা সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন কাজ করছে।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা আপাতত স্থগিত রাখার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় সাময়িকভাবে আটকে গেল।
৩ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী পৌডেল দৌড়ে পালাচ্ছেন, আর পেছনে শত শত মানুষ তাঁকে ধাওয়া করছে। একপর্যায়ে এক তরুণ বিক্ষোভকারী সামনে থেকে এসে লাফিয়ে তাঁকে লাথি মারেন। এতে তিনি একটি লাল দেয়ালে ধাক্কা খান। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার উঠে দৌড়াতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগেনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও আন্দোলনকারীরা তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেদোহায় ইসরায়েলি হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে