ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ নদী রাভির পানিপ্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে নির্মিত একটি বাঁধের সাহায্যে এই প্রবাহ বন্ধ করেছে নয়াদিল্লি। নির্মাণকাজ আরও ৪৫ বছর আগে শুরু করা হলেও এত দিন ভারতের দুটি রাজ্যের মধ্যে বিবাদ থাকায় বাঁধটি চালু করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সিন্ধু পানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের দাবি, এই চুক্তি অনুসারে নদীটির পানির বড় একটি অংশ নিজেদের কাজে ব্যবহারের অধিকার আছে তাদের।
পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট জেলায় অবস্থিত রাভি নদীর ওপর নির্মিত বাঁধটির নাম শাহপুর-কান্দি ব্যারেজ। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এই বাঁধটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু এত দিন ধরে ভারতের দুই রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের মধ্যে পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাঁধটি কার্যকর ছিল না। ফলে পুরো পানিই যাচ্ছিল পাকিস্তানে।
সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বহমান রাভি, সুতলেজ ও বিয়াস নদীর পানি প্রত্যাহারের অধিকার ভারতের আছে। একইভাবে সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব নদীর পানি প্রত্যাহারের অধিকার আছে পাকিস্তানের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় এই প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে, ১৯৭৯ সালে তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীর সরকার ও পাঞ্জাব সরকার যৌথভাবে কাশ্মীর-পাঞ্জাব সীমান্তে রাভি নদীর ওপর রঞ্জিত সাগর ড্যাম ও ভাটিতে শাহপুর-কান্দি ব্যারেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারকাশ সিং বাদল। পরে ১৯৮২ সালে ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রাক্কলন অনুসারে, ১৯৯৮ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রঞ্জিত সাগর ড্যামের কাজ শেষ হয় ২০০১ সালে। কিন্তু শাহপুর কান্দি ব্যারেজের কাজ তখনো শুরুই হয়নি। ফলে, রাভি নদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হতেই থাকে।
এরপর, ২০০৮ সালে শাহপুর কান্দি ব্যারেজকে জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করা হয় এবং এর কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। পরে ২০১৪ সালে দুই রাজ্যের বিবাদের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় দুই রাজ্যের বিবাদ মিটিয়ে ফের কাজ শুরু হয়। সে বছরই আবারও কাজ শুরু হয় এবং কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
রাভি নদীর পানি এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলা কাঠুয়া ও সাম্বায় কৃষি সেচের জন্য ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ১ হাজার ৫০ কিউসেক পানি যাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি সেচের জন্য। এ ছাড়া এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের ২০ শতাংশ পাবে জম্মু-কাশ্মীর।
উল্লেখ্য, শাহপুর কান্দি ড্যামটি ৫৫ দশমিক ৫ মিটার উঁচু এবং এতে ২০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। এই বাঁধটি রঞ্জিত সাগর বাঁধের ১১ কিলোমিটার ভাটিতে রাভি নদীর ওপর নির্মিত। এ ছাড়া এই প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও পাঞ্জাব ও রাজস্থানকেও সাহায্য করবে।
ভারত ও পাকিস্তানের যৌথ নদী রাভির পানিপ্রবাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে নির্মিত একটি বাঁধের সাহায্যে এই প্রবাহ বন্ধ করেছে নয়াদিল্লি। নির্মাণকাজ আরও ৪৫ বছর আগে শুরু করা হলেও এত দিন ভারতের দুটি রাজ্যের মধ্যে বিবাদ থাকায় বাঁধটি চালু করা হয়নি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে সিন্ধু পানি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের দাবি, এই চুক্তি অনুসারে নদীটির পানির বড় একটি অংশ নিজেদের কাজে ব্যবহারের অধিকার আছে তাদের।
পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোট জেলায় অবস্থিত রাভি নদীর ওপর নির্মিত বাঁধটির নাম শাহপুর-কান্দি ব্যারেজ। আজ থেকে ৪৫ বছর আগে এই বাঁধটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। কিন্তু এত দিন ধরে ভারতের দুই রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর ও পাঞ্জাবের মধ্যে পানি বণ্টনের বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা থাকায় বাঁধটি কার্যকর ছিল না। ফলে পুরো পানিই যাচ্ছিল পাকিস্তানে।
সিন্ধু পানি চুক্তি অনুসারে, ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বহমান রাভি, সুতলেজ ও বিয়াস নদীর পানি প্রত্যাহারের অধিকার ভারতের আছে। একইভাবে সিন্ধু, ঝিলম ও চেনাব নদীর পানি প্রত্যাহারের অধিকার আছে পাকিস্তানের। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর দাবি, নয়াদিল্লি সিন্ধু পানি চুক্তির আওতায় এই প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।
এর আগে, ১৯৭৯ সালে তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীর সরকার ও পাঞ্জাব সরকার যৌথভাবে কাশ্মীর-পাঞ্জাব সীমান্তে রাভি নদীর ওপর রঞ্জিত সাগর ড্যাম ও ভাটিতে শাহপুর-কান্দি ব্যারেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জম্মু-কাশ্মীরের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পারকাশ সিং বাদল। পরে ১৯৮২ সালে ইন্দিরা গান্ধী এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
প্রাক্কলন অনুসারে, ১৯৯৮ সালে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও রঞ্জিত সাগর ড্যামের কাজ শেষ হয় ২০০১ সালে। কিন্তু শাহপুর কান্দি ব্যারেজের কাজ তখনো শুরুই হয়নি। ফলে, রাভি নদীর পানি পাকিস্তানে প্রবাহিত হতেই থাকে।
এরপর, ২০০৮ সালে শাহপুর কান্দি ব্যারেজকে জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করা হয় এবং এর কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। পরে ২০১৪ সালে দুই রাজ্যের বিবাদের কারণে প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরে ২০১৮ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের মধ্যস্থতায় দুই রাজ্যের বিবাদ মিটিয়ে ফের কাজ শুরু হয়। সে বছরই আবারও কাজ শুরু হয় এবং কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।
রাভি নদীর পানি এখন থেকে জম্মু-কাশ্মীরের দুই জেলা কাঠুয়া ও সাম্বায় কৃষি সেচের জন্য ব্যবহার করা হবে। এ ছাড়া ১ হাজার ৫০ কিউসেক পানি যাবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৩২ হাজার হেক্টর জমিতে কৃষি সেচের জন্য। এ ছাড়া এই প্রকল্প থেকে উৎপাদিত জলবিদ্যুতের ২০ শতাংশ পাবে জম্মু-কাশ্মীর।
উল্লেখ্য, শাহপুর কান্দি ড্যামটি ৫৫ দশমিক ৫ মিটার উঁচু এবং এতে ২০৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। এই বাঁধটি রঞ্জিত সাগর বাঁধের ১১ কিলোমিটার ভাটিতে রাভি নদীর ওপর নির্মিত। এ ছাড়া এই প্রকল্প জম্মু-কাশ্মীর ছাড়াও পাঞ্জাব ও রাজস্থানকেও সাহায্য করবে।
গাজায় দীর্ঘ কয়েক মাসের ইসরায়েলি অবরোধের পর যখন দুর্ভিক্ষে মানুষ প্রাণ হারানো শুরু করেছে ঠিক তখনই আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অঞ্চলটিতে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। পাশাপাশি, আবারও আকাশপথে উড়োজাহাজ থেকেও ত্রাণ ফেলা শুরু হয়েছে। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগেভারতের উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারের মনসা দেবীর মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৭ জন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ জন। মন্দিরে ওঠার সিঁড়িতেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেসব কাগজপত্র ছিল তাঁর কাছে—আধার, ভোটার কার্ড, এমনকি আত্মীয়দের পরিচয়পত্রও। তবু রাজস্থান পুলিশ বিশ্বাস করল না যে সে ভারতীয়। এরপর, এক সকালে চোখ খুলে দেখল, সে আছে অন্য এক দেশে, বাংলাদেশে। আর এখন পশ্চিমবঙ্গ সরকার আমির শেখ নামক ওই তরুণকে দেশে ফিরিয়ে নিতে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
৩ ঘণ্টা আগে