অনলাইন ডেস্ক
নিজভূমেই পরবাসী হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের আসামের কাছাড় জেলার শেফালি রানী দাস। সাত বছর আগে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল হিসেবে পরিচিত বিশেষ আদালতে শেফালিকে বিদেশি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। এরপর শুরু হয় নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করার কঠিন লড়াই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ে বলতে গেলে নিঃস্ব শেফালি। বছরের পর বছর মামলা চালাতে জীবনের সব সঞ্চয় শেষ। দিন আনে দিন খায় অবস্থা শেফালি ও তাঁর পরিবারের।
অবশেষে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামের গুয়াহাটি আদালত শেফালিকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করেন। তবু আতঙ্ক কাটছে না তাঁর। একটাই প্রশ্ন, যন্ত্রণা কি শেষ হয়েছে, নাকি শুরু হবে নতুন কোনো যন্ত্রণা?
শেফালি বলেন, ‘কয়েক বছর প্রায়ই বাড়িতে পুলিশ আসত। প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতাম। আজও যখন বাড়ির সামনে দিয়ে পুলিশ যায়, ভয় লাগে।’
বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করার পর ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্য়ে প্রতিটি দিন কাটিয়েছেন শেফালি। তিনি বলেন, ‘সবাই কেমন সন্দেহের চোখে দেখত। মামলার অর্থ জোগাড়, সন্তানের পড়াশোনা চালাতে অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতাম। স্বামী ইটভাটায় কাজ করত।’
নিজেকে ভারতীয় প্রমাণের নানা নথি জোগাড় করতে হয়েছে শেফালিকে। সমস্ত সঞ্চয় খরচ করার পর আজ তিনি ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবু সেই আতঙ্ক কাটছে না।
শেফালি বলেন, ‘আমি আসামে জন্মেছি এবং এখানেই পড়াশোনা করেছি। তবু হঠাৎ করে আমি কীভাবে বাংলাদেশি হলাম? এই প্রশ্নটি আমাকে তাড়া করছে। গত কয়েক বছরের কষ্ট আমি সারা জীবনে ভুলব না।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও আসামের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা নেতাদের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে তাঁরা ১ জানুয়ারি ১৯৬৬-এর আগে রাজ্যে প্রবেশ করেছে, তবে তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা ১ জানুয়ারি ১৯৬৬ থেকে ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর মধ্যে প্রবেশ করেছিল (বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগের দিন)-তাদের সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে হবে। আর যাঁরা ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের পর আসামে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি ঘোষণা করে প্রত্যাবাসন করা যেতে পারে।
নিজভূমেই পরবাসী হয়ে গিয়েছিলেন ভারতের আসামের কাছাড় জেলার শেফালি রানী দাস। সাত বছর আগে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল হিসেবে পরিচিত বিশেষ আদালতে শেফালিকে বিদেশি আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। এরপর শুরু হয় নিজেকে ভারতীয় প্রমাণ করার কঠিন লড়াই।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাত বছরের দীর্ঘ লড়াইয়ে বলতে গেলে নিঃস্ব শেফালি। বছরের পর বছর মামলা চালাতে জীবনের সব সঞ্চয় শেষ। দিন আনে দিন খায় অবস্থা শেফালি ও তাঁর পরিবারের।
অবশেষে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি আসামের গুয়াহাটি আদালত শেফালিকে ভারতীয় হিসেবে ঘোষণা করেন। তবু আতঙ্ক কাটছে না তাঁর। একটাই প্রশ্ন, যন্ত্রণা কি শেষ হয়েছে, নাকি শুরু হবে নতুন কোনো যন্ত্রণা?
শেফালি বলেন, ‘কয়েক বছর প্রায়ই বাড়িতে পুলিশ আসত। প্রতিবেশীদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকতাম। আজও যখন বাড়ির সামনে দিয়ে পুলিশ যায়, ভয় লাগে।’
বিদেশি হিসেবে ঘোষণা করার পর ভয়াবহ যন্ত্রণার মধ্য়ে প্রতিটি দিন কাটিয়েছেন শেফালি। তিনি বলেন, ‘সবাই কেমন সন্দেহের চোখে দেখত। মামলার অর্থ জোগাড়, সন্তানের পড়াশোনা চালাতে অন্যের বাড়িতে বাসন মাজতাম। স্বামী ইটভাটায় কাজ করত।’
নিজেকে ভারতীয় প্রমাণের নানা নথি জোগাড় করতে হয়েছে শেফালিকে। সমস্ত সঞ্চয় খরচ করার পর আজ তিনি ভারতীয় হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। তবু সেই আতঙ্ক কাটছে না।
শেফালি বলেন, ‘আমি আসামে জন্মেছি এবং এখানেই পড়াশোনা করেছি। তবু হঠাৎ করে আমি কীভাবে বাংলাদেশি হলাম? এই প্রশ্নটি আমাকে তাড়া করছে। গত কয়েক বছরের কষ্ট আমি সারা জীবনে ভুলব না।’
উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও আসামের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা নেতাদের মধ্যে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে যে তাঁরা ১ জানুয়ারি ১৯৬৬-এর আগে রাজ্যে প্রবেশ করেছে, তবে তাঁকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। যাঁরা ১ জানুয়ারি ১৯৬৬ থেকে ২৪ মার্চ ১৯৭১-এর মধ্যে প্রবেশ করেছিল (বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার আগের দিন)-তাদের সরকারিভাবে নিবন্ধন করতে হবে। আর যাঁরা ২৪ মার্চ ১৯৭১ সালের পর আসামে প্রবেশ করেছেন, তাঁদের বিদেশি ঘোষণা করে প্রত্যাবাসন করা যেতে পারে।
পরেশ বড়ুয়া দীর্ঘদিন ধরে রুইলিতে অবস্থান করছেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশে বেশ কিছু দিন ছিলেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বাংলাদেশ ছাড়েন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরলে ভারতে প্রত্যর্পণ করতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই তিনি বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান।
২৩ মিনিট আগেকিছুদিন পরপরই পুলিশের তল্লাশিতে আতঙ্কিত অবস্থা পার করছে দিল্লির নিম্নবিত্তদের এলাকাগুলোর মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, ‘কয়েক দিন পরপর পুলিশ আসে, একই নথি পরীক্ষা করে।’ বস্তিতে বসবাসকারী অধিকাংশ নারী গৃহপরিচারিকা হিসেবে বিভিন্ন বাসাবাড়িতে কাজ করেন আর পুরুষেরা আবর্জনা সংগ্রহের কাজ করেন।
১ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশিদের ভিসা প্রদান প্রায় ৮ গুণ কমিয়ে দিয়েছে ভারত। বর্তমানে শুধু মেডিকেল ট্যুরিস্টদের ভিসা দিচ্ছে দেশটি। এতে দুই দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কেও প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন ভারতীয় কূটনীতিকেরা।
১ ঘণ্টা আগেব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশ, ইউক্রেন এবং কমনওয়েলথ প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে এসেছে।
৩ ঘণ্টা আগে