Ajker Patrika

বিধ্বস্ত ড্রিমলাইনার থেকে বিশ্বাস কুমারের বেঁচে ফেরার গল্প

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১২ জুন ২০২৫, ২২: ৩৮
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

লন্ডনের উদ্দেশে রওনা দেওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি আজ বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হয়। শুরুতে বিমানে থাকা ২৪২ জনের সবাই নিহত বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। তবে অলৌকিকভাবে একজন যাত্রী বেঁচে গেছেন। সেই সৌভাগ্যবান ব্যক্তি রমেশ বিশ্বাস কুমার বুচারভাডা।

৩৮ বছর বয়সী রমেশ ফ্লাইট এআই১৭১-এর ১১/এ নম্বর সিটে ছিলেন। প্রতিবেদনে জানা গেছে, দুর্ঘটনার সময় তিনি বিমানের ভেতর থেকে লাফিয়ে পড়েন। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি ধ্বংসস্তূপ থেকে হেঁটে বেরিয়ে আসছেন। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তিনি অ্যাম্বুলেন্সের দিকে যাচ্ছিলেন।

আহমেদাবাদ পুলিশের কমিশনার জি এস মালিক সংবাদ সংস্থা এএনআইকে নিশ্চিত করেছেন যে, রমেশই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার একমাত্র জীবিত ব্যক্তি।

জানা গেছে, রমেশ একজন ব্রিটিশ নাগরিক। স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে তিনি গত ২০ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। হিন্দুস্তান টাইমসকে তিনি বলেন, ‘উড্ডয়নের ৩০ সেকেন্ড পরেই একটি বিকট শব্দ হলো, তারপরই বিমানটি ভেঙে পড়ে। সবকিছু খুবই দ্রুত ঘটেছে। যখন আমি উঠে দাঁড়ালাম, চারপাশে শুধু লাশই দেখছিলাম। আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দাঁড়িয়ে উঠে দৌড় দিলাম।’

রমেশ আরও বলেন, ‘চারপাশে বিমানের ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। তখন কেউ একজন আমাকে ধরে অ্যাম্বুলেন্সের দিকে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে আসে।’

তিনি আরও জানান, তাঁর বুক, চোখ ও পায়ে ধাক্কায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাঁর ভাইও একই বিমানে ছিলেন জানিয়ে রমেশ বলেন, ‘আমার ভাই অজয় বিমানে অন্য একটি সারিতে বসেছিলেন। আমরা একসঙ্গে দিউ দ্বীপ ঘুরে এসেছি। সে আমার সঙ্গেই ভ্রমণ করছিল, কিন্তু এখন তাকে আর খুঁজে পাচ্ছি না। দয়া করে তাকে খুঁজে পেতে সাহায্য করুন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুই ঘণ্টা আগে একই বিমানে ভ্রমণের দাবি এক ব্যক্তির, জানালেন ভয়াবহ তথ্য

নতুন করে তাবরিজের পর ইরানের শিরাজ শহরেও ইসরায়েলের হামলা

১০ মিনিটের দেরি বাঁচিয়ে দিল ভূমিকে, অল্পের জন্য ধরতে পারেননি বিধ্বস্ত বিমানটি

নির্বাচন নিয়ে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে যে কথা হলো

ড. ইউনূস ‘হারমনি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া দ্বিতীয় ব্যক্তি, প্রথম কে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত