Ajker Patrika

স্বল্পতম খরচে ভারতের চন্দ্রাভিযান: মেধা পাচারের যুগে এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮: ০৩
স্বল্পতম খরচে ভারতের চন্দ্রাভিযান: মেধা পাচারের যুগে এক ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত

মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার মতো উদ্যোক্তা নন, ভারতের সবচেয়ে বেশি দরকার শ্রীধারা সোমনাথের মতো মানুষদের। নাদেলা সামান্য কেউ নন, হায়দরাবাদে জন্ম নেওয়া এই ব্যক্তি নিঃসন্দেহে মেধাবী। কিন্তু নাদেলা নন, ভারতের চন্দ্র জয়ের মতো ঐতিহাসিক অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন সোমনাথের মতো লো-প্রোফাইল ব্যক্তিরা। তাই তাঁদের মতো মানুষকেই বেশি দরকার ভারতের। তাঁরা এমন একটি প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেন যারা কি না সুযোগ থাকার পরও দেশ না ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এরপর কী হয়েছে সেটি এখন সবার জানা। 

সোমনাথরা হয়তো কখনোই ভারতের হয়ে কোনো ক্রিকেট বিশ্বকাপ জিতবেন না, ফরচুন বা ফোর্বসের শীর্ষ ব্যক্তিত্বের তালিকায় উঠবেন না। তাঁদের হয়তো কখনোই হোয়াইট হাউসের বিশেষ নৈশভোজে ডাকা হবে না। এমনকি তাঁরা মার্কিন ভারতীয়দের আয়ের তুলনায় খুব সামান্যই আয় করেন। কিন্তু এরপরও তাঁরা যা করেছেন তা ইতিহাস। যেকোনো বিবেচনায়। তাঁরা সত্য নাদেলার বাৎসরিক আয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ বেশি অর্থ ব্যয় করে ভারতকে চাঁদে পৌঁছে দিয়েছেন। 

ভারতের চন্দ্রযান–৩ মিশনের ব্যয় হয়েছে মাত্র ৭ কোটি ৪০ লাখ ডলার। চন্দ্র মিশনের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে কম খরচের মিশন। এই মিশনের খরচ এতটাই কম যে, এটি বার্বি, ওপেনহাইমার, অ্যাভেঞ্জার: এন্ডগেম কিংবা অ্যাভাটারের মতো সিনেমার নির্মাণ ব্যয়ের চেয়েও কম। বিখ্যাত চলচ্চিত্র ইন্টারস্টেলার–এর মাত্র অর্ধেক খরচ হয়েছে ভারতের চন্দ্র মিশনে। এই মিশনের খরচ রাশিয়ার মিশনের খরচের অর্ধেকেরও কম, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইপার রোভার মিশনের বাজেটের এক চতুর্থাংশ।

ভারত মহাকাশ গবেষণায় দেশটির জিডিপির মাত্র দশমিক ০৪ শতাংশ ব্যয় করে থাকে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ব্যয় করে দশমিক ২৮ শতাংশ এবং রাশিয়া ব্যয় করে দশমিক ১৫ শতাংশ। 

গণমাধ্যমের এই রমরমার যুগেও ভারতের চন্দ্রজয়ী বীরেরা অকপট এবং বিনয়ী। কেবল তাই নয়, তাঁরা প্রচণ্ড আবেগীও বটে। এর উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের প্রথম চন্দ্র মিশন অল্পের জন্য যখন ব্যর্থ হয় তখন। সে সময় দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর তৎকালীন প্রধান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলেছিলেন।

চন্দ্রযান–৩ মিশনের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের একাংশ। ছবি: এএফপি বাজেট স্বল্পতা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) কাজকে বাধাগ্রস্ত করেছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা লোকদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। বিষয়টি স্মরণ করতে গিয়ে ইসরোর সাবেক প্রধান সুরেন্দ্র পাল বলেন, ‘এমন একটি সময় ছিল যখন গরুর গাড়িতে করে আমাদের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটের মতো স্পর্শকাতর যন্ত্রপাতি আনা নেওয়া করতে হয়েছে। সে সময় এই কাজ করতে আমাদের খরচ করতে হতো মাত্র ১৫০ রুপি।’ 

বাজেট স্বল্পতার পরও ইসরো কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়েছে এ বিষয়ে সংস্থাটির সাবেক প্রধান মাধবন নায়ার বলেন, ‘আমরা কেবল প্রয়োজন অনুসারেই ব্যয় করতে পারতাম। তবে আমাদের বিজ্ঞানীর বিশ্বের অন্য যেকোনো দেশ বা প্রতিষ্ঠানের অনেক বেশি প্রচেষ্টা–শ্রম দিয়েছেন। যা আমাদের অন্যদের তুলনায় এগিয়ে রেখেছে।’ 

বাজেট স্বল্পতা যে কেবল গবেষণাকেই প্রভাবিত করেছে তা নয়, গবেষকদের ব্যক্তি জীবনকেও প্রভাবিত করেছে। চন্দ্র মিশন সফল করার খাতিরে এর সঙ্গে যুক্ত সব বিজ্ঞানীই অতিরিক্ত সময় ব্যয় করেছেন কিন্তু কেউই এর জন্য বাড়তি আর্থিক প্রণোদনা পাননি। এ বিষয়ে মিশনের সঙ্গে যুক্ত গবেষক ভেঙ্কটেশ্বরা শর্মা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে যে জড়তা আমাদের মধ্যে ছিল তা আমরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় (অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার সময়ে) নিজেদের তরফ থেকে দোসা, কফি ইত্যাদি জোগাড় করার মাধ্যমে ভেঙে ফেলেছিলাম।’ আবার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়ে অনেকের প্রেম ও জীবন পূর্ণতা পেয়েছে। যেমন ভেঙ্কটেশ্বরা নিজেই এই প্রকল্পের এক শীর্ষ গবেষককে বিয়ে করেছেন। 

চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ ভারতীয়দের জন্য কতটা গর্বের তা অ–ভারতীয়দের পক্ষে অনুভব করা সম্ভব নয়। অতীতে পশ্চিমা গণমাধ্যম ভারতের মহাকাশ গবেষণা নিয়ে তামাশা করেছে। যেমন, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস একবার একটি স্পষ্ট বর্ণবাদী কার্টুন প্রকাশ করেছিল। যেখানে দেখানো হয়েছে—একজন কৃষক গরু নিয়ে ‘এলিট স্পেস ক্লাব’ নামাঙ্কিত একটি ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক উপস্থাপক প্রশ্ন করেছিলেন, যে দেশটি দারিদ্র্য, বৈষম্য এবং অপ্রতুল টয়লেট নিয়ে নাকানিচুবানি খাচ্ছে তাদের কী আদৌ মহাকাশ অনুসন্ধান করা উচিত? তবে ভারতকে এখন আর এসব বলে অপমান করা যাবে না। 

ইসরোর বিজ্ঞানীরা আরও একটি দারুণ কাজ করেছেন। তাঁরা ভারতে বিদ্যমান আধিপত্যের ক্রমবিন্যাস এবং বর্ণপ্রথাকে দারুণভাবে নাড়িয়ে দিয়েছেন। এত দিন ভারতের গর্বের ধন ছিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বা আইআইটি। রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে পরিচালিত এসব ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ কঠোর ভর্তি পরীক্ষার জন্য খ্যাত। কিন্তু ইসরোর চন্দ্র মিশনের অধিকাংশ বিজ্ঞানীই ভারতের তুলনামূলক অল্প পরিচিত শহর থেকে উঠে আসা এবং অল্প পরিচিত প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ে আসা। এমনকি তাঁদের অনেকে আবার এমন হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন যে তা কল্পনাতীত। যেমন, এই প্রকল্পের বিজ্ঞানীদের একজন ভাসমান নারী চা বিক্রেতার সন্তান, অপর একজনের বাবা কাজ করেন কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে। 
 
ইসরোর সাফল্য ভারতে ‘মেধা পাচার’ বিতর্ককে ভালোমতোই উসকে দিয়েছে। বিশেষ করে আইআইটির এক-তৃতীয়াংশ গ্র্যাজুয়েটই দেশ ত্যাগ করেছেন। তাঁদের অধিকাংশই আবার যুক্তরাষ্ট্রে। কিন্তু ভারতীয়রা সেই আইআইটির গ্র্যাজুয়েটদের জন্য নয়, উদ্‌যাপন করার, উল্লসিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন দেশে থেকে যাওয়া গ্র্যাজুয়েটদের জন্য। যারা রীতিমতো অসাধ্যসাধন করেছেন! 

তবে এই উদ্‌যাপন কিংবা কোনো যুক্তি কোনোভাবেই ভারতে কর্মরতদের কম পারিশ্রমিক দেওয়ার বিষয়টিকে যৌক্তিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে না। মাধবন নায়ার কষ্ট নিয়ে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহাকাশ গবেষণায় জড়িত দেশগুলোতে বিজ্ঞানীদের যে পরিমাণ পারিশ্রমিক দেওয়া হয়, ভারতীয়রা পায় তার মাত্র এক পঞ্চমাংশ। ফলে যতক্ষণ পর্যন্ত এ ধরনের বৈষম্য বন্ধ না হবে ততক্ষণ মেধা পাচার চলতেই থাকবে। 

তবে কথা হলো, যে দেশটি একসময় বাইসাইকেলে করে রকেট বয়ে নিয়ে গেছে সেই দেশটি এখন চাঁদে পৌঁছে গেছে। বিষয়টি নিঃসন্দেহে দারুণ এবং এটি দেশটিকে এমন একটি অবস্থানে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে যেখান থেকে আর পেছন ফিরে তাকানোর সুযোগ নেই। ফলে এই মিশনের সঙ্গে জড়িত তারকারা তাঁদের সাফল্যের জন্য অবশ্যই বিশেষ স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে এখন আইসিসিকে দুষছে পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ভর্তির আদ্যোপান্ত

সাদিকুর রহমান সাদি
মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ভর্তির আদ্যোপান্ত

মেরিটাইমবিষয়ক উচ্চতর পড়াশোনার জন্য দেশের প্রথম ‘বিশেষায়িত’ বিশ্ববিদ্যালয় হলো ‘বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়’। ব্লু ইকোনমি অর্জনের লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশের ৩৭তম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এখান থেকে মেরিন ক্যাডেটদের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ‘ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সায়েন্স’ ডিগ্রিও দেওয়া হচ্ছে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তির পূর্ণাঙ্গ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ‍বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি পরীক্ষা আগামী ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি আবেদন শুরু হবে ২৮ অক্টোবর। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত।

প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে ২২ জানুয়ারি। চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সেকেন্ড টাইম ও নেগেটিভ মার্কিং রাখা হয়েছে। পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে শুধু নৈর্ব্যত্তিক পদ্ধতিতে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তিপ্রক্রিয়া শেষে ক্লাস শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ২০২৬ সালের মে মাসে। আগ্রহীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮০০ টাকা।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ২০২২ বা ২০২৩ সালে মাধ্যমিক (বা সমমান) এবং ২০২৪ বা ২০২৫ সালে উচ্চমাধ্যমিক (বা সমমান) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই নির্ধারিত ফরমে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ, চলতি শিক্ষাবর্ষে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

যোগ্যতা ও পরীক্ষার বিষয়

১. আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স

  • বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি
  • বিএসসি (অনার্স) ইন ফিশারিজ

(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।

(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার গণিত, ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং জীববিজ্ঞানের ৫টি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো দুটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড এবং অন্য সব বিষয়ে ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

২. ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি

  • বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং।

(ক) বিজ্ঞান শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৪সহ উত্তীর্ণ হতে হবে।

(খ) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষার ইংরেজি, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এবং গণিত এ চারটি বিষয়ের মধ্যে যেকোনো ২টিতে ‘এ’ গ্রেড থাকতে হবে। অন্য সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

৩. মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি

  • এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল

(ক) যেকোনো শাখা থেকে উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

৪. শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন

  • বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিসটিকস

ক) উচ্চমাধ্যমিক বা সমমানের এবং পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫০সহ উত্তীর্ণ হতে হবে এবং সব বিষয়ে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হবে।

আসন সংখ্যা

গত বছরের ভর্তি তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৪টি অনুষদের ৫টি বিভাগে মোট ২০০টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে ফ্যাকাল্টি অব আর্থ অ্যান্ড ওশান সায়েন্স অনুষদের দুই বিভাগের মধ্যে বিএসসি (অনার্স) ইন ওশানোগ্রাফি বিভাগে ৪০টি এবং বিএসসি (অনার্স) ইন ফিশারিজ বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।

ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিএসসি ইন নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি, ফ্যাকাল্টি অব মেরিটাইম গভর্ন্যান্স অ্যান্ড পলিসি অনুষদের এলএলবি (অনার্স) ইন মেরিটাইম ল বিভাগে ৪০টি এবং ফ্যাকাল্টি অব শিপিং অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগে ৪০টি আসন রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে এখন আইসিসিকে দুষছে পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফিলিস্তিন সংকট: অবশেষে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে সম্মত হামাস

এএফপি, কায়রো
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি
টানা দুই বছরের ইসরায়েলি আগ্রাসনে ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার সরবরাহ ব্যবস্থা। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকাটিতে অন্তত ১৫ লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। পাত্র নিয়ে পানির খোঁঁজে বেরিয়েছে শিশুরা। গতকাল গাজার খান ইউনিস এলাকায়। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।

হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।

গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।

এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।

এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।

ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে এখন আইসিসিকে দুষছে পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তির সমর্থক, অভিযোগ অ্যান্ড্রু কুমোর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’

কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।

তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’

কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’

তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’

কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে এখন আইসিসিকে দুষছে পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফ্রান্সে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে এই প্রথম কোনো নারীর যাবজ্জীবন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি
অভিযুক্ত বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। ছবি: এএফপি

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।

প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।

তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।

ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।

প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জোটের ভোটেও দলীয় প্রতীক: বিএনপির আপত্তি যে কারণে, এনসিপির উদ্বেগ

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে মিছিলে রাইফেল দেখিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি, গ্রেপ্তার ১

বড়াইগ্রামের একটি গুদামে ১৩ টন গুলির খোসা নিয়ে চাঞ্চল্য

চীনা কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি ‘সুস্পষ্টভাবে’ বাংলাদেশ সরকার ও সামরিক বাহিনীর কাছে তুলে ধরব: ব্রেন্ট ক্রিস্টেনসেন

বিশ্বকাপ থেকে বাদ পড়ে এখন আইসিসিকে দুষছে পাকিস্তান

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত