বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পর, কখনো সম্পর্ক ছিন্ন হলে সাধারণত ধর্ষণ মামলা করে থাকেন ভুক্তভোগী। মামলার অভিযোগে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ কথাটি লেখা থাকে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই এমন আইন রয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট মত দিয়েছেন, এমন ক্ষেত্রে প্রমাণ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পুরুষকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়ে বলেছেন, গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়া সেই নারী এমন দাবি করতে পারেন না যে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই পুরুষ তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন।
বিচারপতি অনন্যা মামলার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বলেন, ‘মামলাকারী নারীর একটি নির্দিষ্ট বক্তব্যের ওপর নিম্ন আদালত গুরুত্ব আরোপ করেছে। অভিযোগকারী নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় এবং কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ ছাড়াই ওই পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। পরে আবার তিনিই সেই পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।;
বিচারপতি অনন্যা আরও বলেন, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা হলো একটা ‘ধারণা’। এভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এই অজুহাত বা ধারণাকে কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন না।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে সাজা পেয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁর আইনজীবীরা জানান, বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগের একটি মামলায় ধর্ষণের অপরাধের ধারা রুজু করেছিল পুলিশ।
আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মামলায় ২০১১ সালের ১২ জুলাই বাঁকুড়া অতিরিক্ত দায়রা আদালত রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি)–এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। অবশ্য তিনি এতদিন জামিনে ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার মামলার নিষ্পত্তি করে বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ দেন যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি কারও সঙ্গে, সম্পূর্ণ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন, তাহলে পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ ছাড়া সেই নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন— এমন কথা বলা যায় না। যিনি স্বেচ্ছায় এবং কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন, পরবর্তীতে তিনি এভাবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনতে পারেন না, যদি না তাঁর কাছে এ বিষয়ে জোরালো প্রমাণ থাকে।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার পর, কখনো সম্পর্ক ছিন্ন হলে সাধারণত ধর্ষণ মামলা করে থাকেন ভুক্তভোগী। মামলার অভিযোগে ‘বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ’ কথাটি লেখা থাকে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দেশেই এমন আইন রয়েছে। তবে কলকাতা হাইকোর্ট মত দিয়েছেন, এমন ক্ষেত্রে প্রমাণ ছাড়া প্রাপ্তবয়স্ক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোনো পুরুষকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা যায় না।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বাঁকুড়ায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি মামলায় নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় রায়ে বলেছেন, গ্রহণযোগ্য প্রমাণ ছাড়া সেই নারী এমন দাবি করতে পারেন না যে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ওই পুরুষ তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেছেন।
বিচারপতি অনন্যা মামলার নিষ্পত্তি করতে গিয়ে বলেন, ‘মামলাকারী নারীর একটি নির্দিষ্ট বক্তব্যের ওপর নিম্ন আদালত গুরুত্ব আরোপ করেছে। অভিযোগকারী নিজেই স্বীকার করেছেন, তিনি স্বেচ্ছায় এবং কোনো প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ ছাড়াই ওই পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। পরে আবার তিনিই সেই পুরুষ সঙ্গীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন।;
বিচারপতি অনন্যা আরও বলেন, বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা হলো একটা ‘ধারণা’। এভাবে একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী এই অজুহাত বা ধারণাকে কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারেন না।
ওই মামলায় নিম্ন আদালতে সাজা পেয়েছেন অভিযুক্ত। তাঁর আইনজীবীরা জানান, বাঁকুড়ার ছাতনা থানায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগের একটি মামলায় ধর্ষণের অপরাধের ধারা রুজু করেছিল পুলিশ।
আইনজীবীদের দাবি, তাঁদের দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মামলায় ২০১১ সালের ১২ জুলাই বাঁকুড়া অতিরিক্ত দায়রা আদালত রায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ভারতীয় দণ্ডবিধি (আইপিসি)–এর ৩৭৬ (ধর্ষণ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। তাঁকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে রায় চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন অভিযুক্ত। অবশ্য তিনি এতদিন জামিনে ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার মামলার নিষ্পত্তি করে বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যবেক্ষণ দেন যে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারী যদি কারও সঙ্গে, সম্পূর্ণ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকেন, তাহলে পরবর্তীতে যথাযথ প্রমাণ ছাড়া সেই নারী তাঁর সঙ্গীর দ্বারা প্রতারিত হয়েছেন— এমন কথা বলা যায় না। যিনি স্বেচ্ছায় এবং কোনো রকম প্রতিরোধ ছাড়াই তাঁর সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন, পরবর্তীতে তিনি এভাবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনতে পারেন না, যদি না তাঁর কাছে এ বিষয়ে জোরালো প্রমাণ থাকে।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৬ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১০ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৩ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৪ ঘণ্টা আগে