অনলাইন ডেস্ক
আসামের পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ সেখানকার মানুষকে আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের মধ্যেই আসামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবক তাঁর মাকে বেআইনিভাবে আটক করার অভিযোগ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছেন। আগামীকাল সোমবার (২ জুন) এই অভিযোগের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনুস আলী নামের ওই যুবক তাঁর মা মনোয়ারা বেওয়াকে আদালতে উপস্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁর মাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামের কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারীদের সীমান্ত এলাকায় আটক করে কোনো রকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ইউনুস আলীর আবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মনোয়ারা বেওয়াকে প্রথমে ধুবড়ি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ ২৪ মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল, যা থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, মনোয়ারা বেওয়াকে এর আগেও আসামের একটি ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ বা বিদেশি চিহ্নিতকরণ আদালত ‘অবৈধ অভিবাসী বা বিদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সে সময় তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন মনোয়ারা বেওয়া। তবে গুয়াহাটি হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল। এরপর ২০১৭ সালে মনোয়ারা বেওয়া সুপ্রিম কোর্টে একটি ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ (এএলপি) দায়ের করে এই রায় চ্যালেঞ্জ করেন, যা এখনো বিচারাধীন।
আবেদনকারী ইউনুস আলীর যুক্তি, যেহেতু তাঁর মায়ের ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তাই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে না।
মনোয়ারা বেওয়া ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে জামিনে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, আসামের অভিবাসী আটককেন্দ্রে যাঁরা তিন বছরের বেশি সময় ধরে আটক আছেন, তাঁদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যাবে।
ইউনুস আলী তাঁর আবেদনে অভিযোগ করেন, তিনি যখন থানায় গিয়ে কর্মকর্তাদের জানান, তাঁর মায়ের মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তিনি তখন তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ মনোয়ারা বেওয়াকে মুক্তি দিতেও অস্বীকৃতি জানায়।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসাম রাজ্যের কর্তৃপক্ষ ‘বিদেশি’ সন্দেহে ব্যক্তিবিশেষকে আটক ও দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের ঘোষণা, জাতীয়তা যাচাই বা আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করেই এটা করছে। আসাম রাজ্যের এই ‘পুশ ব্যাক নীতি’ সংবিধানের ১৪, ২১ ও ২২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
এ ছাড়া এটি ‘ইন রে—সেকশন ৬এ অব দ্য সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ১৯৫৫’-এর সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন বলেও যুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই অ্যাক্টে আদালত ৪/১ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নাগরিকত্ব আইনের সেকশন ৬এ-এর সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখেছিল, যা আসাম চুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়।
সম্প্রতি আসাম সরকার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে ‘পুশ ব্যাক’ নীতি গ্রহণ করেছে। আবেদনকারী ব্যক্তি ইউনুস আলী যে অভিযোগ করেছেন, এমন আরও অনেক খবর পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। বর্তমানে এই নীতি আসামের সীমান্ত জেলাগুলোতে, যেমন—ধুবড়ি, দক্ষিণ সালমারা ও গোয়ালপাড়ায় কার্যকর করা হচ্ছে।
আসামের পুলিশ ‘অবৈধভাবে’ সেখানকার মানুষকে আটক করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগের মধ্যেই আসামের ২৬ বছর বয়সী এক যুবক তাঁর মাকে বেআইনিভাবে আটক করার অভিযোগ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করেছেন। আগামীকাল সোমবার (২ জুন) এই অভিযোগের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউনুস আলী নামের ওই যুবক তাঁর মা মনোয়ারা বেওয়াকে আদালতে উপস্থাপনের জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁর মাকে বেআইনিভাবে আটক করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, আসামের কর্তৃপক্ষ অভিযোগকারীদের সীমান্ত এলাকায় আটক করে কোনো রকম আইনি প্রক্রিয়া ছাড়াই জোর করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
ইউনুস আলীর আবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মনোয়ারা বেওয়াকে প্রথমে ধুবড়ি থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছিল। এর পর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ ২৪ মে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল, যা থেকে আশঙ্কা করা হচ্ছে তাঁকে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে ‘পুশ ইন’ করা হতে পারে।
প্রসঙ্গত, মনোয়ারা বেওয়াকে এর আগেও আসামের একটি ‘ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল’ বা বিদেশি চিহ্নিতকরণ আদালত ‘অবৈধ অভিবাসী বা বিদেশি’ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। সে সময় তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন মনোয়ারা বেওয়া। তবে গুয়াহাটি হাইকোর্টও এই সিদ্ধান্ত বহাল রেখেছিল। এরপর ২০১৭ সালে মনোয়ারা বেওয়া সুপ্রিম কোর্টে একটি ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ (এএলপি) দায়ের করে এই রায় চ্যালেঞ্জ করেন, যা এখনো বিচারাধীন।
আবেদনকারী ইউনুস আলীর যুক্তি, যেহেতু তাঁর মায়ের ‘স্পেশাল লিভ পিটিশন’ সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন, তাই তাঁকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া যাবে না।
মনোয়ারা বেওয়া ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর থেকে জামিনে ছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের এক আদেশে তাঁকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। ওই আদেশে বলা হয়েছিল, আসামের অভিবাসী আটককেন্দ্রে যাঁরা তিন বছরের বেশি সময় ধরে আটক আছেন, তাঁদের শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া যাবে।
ইউনুস আলী তাঁর আবেদনে অভিযোগ করেন, তিনি যখন থানায় গিয়ে কর্মকর্তাদের জানান, তাঁর মায়ের মামলা এখনো সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন, তিনি তখন তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। কর্তৃপক্ষ মনোয়ারা বেওয়াকে মুক্তি দিতেও অস্বীকৃতি জানায়।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, আসাম রাজ্যের কর্তৃপক্ষ ‘বিদেশি’ সন্দেহে ব্যক্তিবিশেষকে আটক ও দেশ থেকে বের করে দেওয়ার অভিযান শুরু করেছে। তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের ঘোষণা, জাতীয়তা যাচাই বা আইনি প্রক্রিয়া শেষ না করেই এটা করছে। আসাম রাজ্যের এই ‘পুশ ব্যাক নীতি’ সংবিধানের ১৪, ২১ ও ২২ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।
এ ছাড়া এটি ‘ইন রে—সেকশন ৬এ অব দ্য সিটিজেনশিপ অ্যাক্ট ১৯৫৫’-এর সিদ্ধান্তের লঙ্ঘন বলেও যুক্তি দেওয়া হয়েছে। এই অ্যাক্টে আদালত ৪/১ সংখ্যাগরিষ্ঠতার নাগরিকত্ব আইনের সেকশন ৬এ-এর সাংবিধানিক বৈধতা বহাল রেখেছিল, যা আসাম চুক্তিকে স্বীকৃতি দেয়।
সম্প্রতি আসাম সরকার বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে ‘পুশ ব্যাক’ নীতি গ্রহণ করেছে। আবেদনকারী ব্যক্তি ইউনুস আলী যে অভিযোগ করেছেন, এমন আরও অনেক খবর পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে। বর্তমানে এই নীতি আসামের সীমান্ত জেলাগুলোতে, যেমন—ধুবড়ি, দক্ষিণ সালমারা ও গোয়ালপাড়ায় কার্যকর করা হচ্ছে।
গত বছর দিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পর একটু বেশিই মর্যাদা দাবি করছিলেন নরেন্দ্র মোদি। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সুবিধা পেতেও এই অর্জন ফলাও করে প্রচার করেছেন। এ ছাড়া গত পাঁচ বছর জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে বিশেষ আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিতি থেকেছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করা ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, গাজায় ইসরায়েল ‘নিঃসন্দেহে’ যুদ্ধাপরাধ করেছে। বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েল বিষয়ে যে দৃষ্টিভঙ্গি লালন করত মিলারের এই বক্তব্য তা থেকে অনেক দূরে। এটি বাইডেন প্রশাসনের সরকারি অবস
১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে প্রায় দুই বছর হলো। এই সময়ের মধ্য গাজায় ৫৪ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং সোয়া লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। ইসরায়েল কেবল গাজায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই ক্ষান্ত দেয়নি, দখলদার রাষ্ট্রটি গাজায় সব ধরনের প্রাণ প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করেছে। ফলে প্রয়োজনীয় খাদ্য-ওষুধ ও অন্যান্য
২ ঘণ্টা আগেমাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২০ বছরের মধ্যে তিনি তাঁর প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলারের সম্পদের বেশির ভাগ ব্যয় করবেন আফ্রিকায় স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে।
১২ ঘণ্টা আগে