প্রতিনিধি

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।
প্রতিনিধি

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

কলকাতা: ভারতে মোদি হাওয়া শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে। সাত বছর ধরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর বিশ্বস্ত সঙ্গী, বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কথাই ছিল ভারতে শেষ কথা। দল ও সরকার পরিচালনায় এই দুজনের উত্থানের পর বাকিরা তাঁদের ছায়ায় ঢাকা পড়ে যান বলে বিজেপির অন্দরেও গুঞ্জন বহুদিনের। দুই গুজরাটি নেতার করপোরেট ঢঙে দল ও সরকার পরিচালনায় বিজেপির অন্য নেতারা অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছিলেন। দলের বাইরে দেশের নির্বাচন কমিশন থেকে অন্যান্য স্বশাসিত সংস্থা, এমনকি বিচার ব্যবস্থাতেও তাঁদের প্রভাব নিয়ে কথা উঠতে শুরু করে। দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা লালকৃষ্ণ আদভানি বা মুরুলি মনোহর যোশিরা অনেক আগেই রাজনৈতিক বাণপ্রস্থে চলে গেছেন। তাঁদের ইমেজ ভাঙিয়ে বিজেপির সাফল্যের ওপর ভিত্তি করে সাত বছর ধরে মোদি-শাহ জুটি ভারতের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ভোগের পর এখন দল ও সরকার পরিচালনায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন বলে অনেকে মনে করেন।
২০১৪ সালে মনমোহন সিং সরকারের পতনের পর ভারতে শুরু হয় মোদি-রাজ। বিরোধীরা তো বটেই, বিজেপিরও প্রথমসারির নেতারা কিছুদিন আগেও একান্তে বলতেন, মোদি-শাহের কথাই দলে শেষ কথা। বিজেপির মেন্টর বলে পরিচিত আরএসএস-এও ছিল একই গুঞ্জন। কিন্তু বিরোধীদের মতোই দলের অন্য নেতাদের বিরুদ্ধমতকে মোটেই আমল দেয়নি এই জুটি। নিজেদের ইচ্ছাই ছিল তাদের কাছে শেষ কথা। বিজেপির দুই সাবেক সভাপতি রাজনাথ সিং এবং নীতীন গড়কড়ি মোদি–মন্ত্রিসভায় থাকলেও দলে বা সরকারে তাঁদের ভূমিকা ও গুরুত্ব অনেকটাই কম। আরেক সাবেক সভাপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এখন ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি। ২০১৪ ও ২০১৯ সালে বিজেপিকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য এনে দেওয়ায় এতকাল কোনো সমালোচনাই হজম করতে হয়নি এই দুই নেতাকে। তাঁরাও পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যে প্রভাব বাড়িয়েছেন। অভিযোগ, পাঁচতারা হোটেলের রাজনীতি করতে গিয়ে আরও বেশি করে করপোরেটদের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে মোদি সরকার। ভারতে ভোট মানে হয়ে উঠেছে এখন বেসরকারি বিমান আর হেলিকপ্টারের ছড়াছড়ি। ভোটে খরচের কোনো সীমা নেই। দলের সাফল্যে চাপা পড়ে ছিল সমস্ত দলীয় ক্ষোভ।
কিন্তু করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত। আসলে পশ্চিমবঙ্গের ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিজেপির হার মোদি-বিরোধীদের শক্তি জোগাতে শুরু করেছে। কংগ্রেসসহ বিজেপি–বিরোধীরা বহুদিন ধরেই বলছেন, দেশে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ জারি হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি সংস্থাকে ‘বিজেপির শাখা সংগঠন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
সমস্ত বিরোধী দল, এমনকি সরকারের শরিক দলেরও বিরোধিতাকে আমল না দিয়ে অ-মুসলিমদের জন্য নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে মোদি সরকার। অবসরের পরই প্রথা ভেঙে দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে জাতীয় সংসদের সদস্য মনোনীত করতেও কুণ্ঠিত হয়নি। অভিযোগ, সংসদীয় কোনো শিষ্টাচারকেই তিনি পরোয়া করেননি। দীর্ঘদিন ধরে দিল্লিতে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। সেই আন্দোলন বা বিরোধীদের বিভিন্ন বিষয়ে নীতিগত বিরোধিতাকে আমল দিতেই নারাজ তাঁরা। দলের নীতি ভেঙে অন্য দল থেকে ‘দাগি’ নেতাদের ভাঙিয়ে এনে হলেও এই জুটির কাছে সাফল্যই ছিল শেষ কথা। সরকার পরিচালনায় দেখা গেছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার বেপরোয়া মনোভাব। ভারতীয় বিমান সেনার জন্য বেশি দাম দিয়ে রাফাল যুদ্ধবিমান কেনা নিয়ে বিতর্ক হলেও মোদি সরকার সেই বিতর্ককেও ধামাচাপা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে রাষ্ট্রযন্ত্র। বিরোধীদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ও তদন্তকারী সংস্থাকে ব্যবহারের এত অভিযোগ আগে ওঠেনি। এমন মত জাতীয় সংসদের বর্ষীয়ান সদস্য সৌগত রায়ের।
পশ্চিমবঙ্গে হারের পর মোদি-শাহ জুটির আগের মতো একচ্ছত্র আধিপত্য আর নেই, এমনই জল্পনা শুরু হয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক মহলে। বিজেপিরই একটা বড় অংশ এই গুজরাটি জুটির বিরুদ্ধে গুঞ্জন শুরু করে দিয়েছেন। মাস আটেক পরেই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা ভোট। সেখানে মোদি-ঘনিষ্ঠ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের বিরুদ্ধে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল এখন প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে। ঠাকুর সম্প্রদায়ের যোগীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণ এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষিপ্ত। তবু যোগীতেই ভরসা রাখতে গিয়ে ২০১৪-এ প্রথমবারের মতো দলের ভেতরও প্রশ্ন চিহ্নের সামনে পড়তে হচ্ছে মোদি শিবিরকে। অনেকে এটিকে দলে মোদি-শাহ জুটির লাগাম আলগা হওয়ার লক্ষণ বলে মনে করছেন।
দলের পাশাপাশি সরকার পরিচালনা নিয়েও সমাজের বিভিন্ন স্তরে মোদি বিরোধিতা বাড়ছে। সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সংঘাতে ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আমলাকুলকেও কিন্তু মমতার হয়েই কথা বলতে দেখা যায়। বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের কটাক্ষও হজম করতে হচ্ছে মোদি সরকারকে। কিছুদিন আগেও মোদির সমালোচনা করলেই দেশদ্রোহীর তকমা দেওয়া হতো। জেলসহ নানা হয়রানি ছিল প্রাপ্য। কিন্তু সম্প্রতি আদালত জানিয়ে দিয়েছেন, সমালোচনা করলেই রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা করা যাবে না। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষার কথাও বলেছেন আদালত।
আসলে ভারতের ৭৪ বছর ধরে লালিত গণতান্ত্রিক পরিবেশ কিছুতেই টোল খেতে পারে না। এমনটাই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী। তাঁর মতে, দেশজুড়ে মোদি বিরোধিতা শুরু হয়েছে আসলে গণতান্ত্রিক ভিত্তিকে আরও শক্তিশালী করে তোলার জন্য। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, জরুরি অবস্থা জারির পরে ইন্দিরা গান্ধীর মতো ব্যক্তিত্বকেও ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়েছিল। অনেকেই মনে করেন, প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকার সময় কিছুতেই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধীদের প্রাপ্য মর্যাদাকে বিন্দুমাত্র টোল খেতে দেননি। কিন্তু মোদির আমলে তাঁরা ‘স্বৈরতান্ত্রিক শাসনকাল’ বলেই মনে করেন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মতে, মোদির নেতৃত্বে দেশ পিছিয়ে পড়ছে সবদিক থেকে। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ বা স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের কোনো মর্যাদা নেই। মোদিজির কথাই শেষ কথা, এটাই হচ্ছে এই আমলের সারমর্ম।
আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, মোদি নির্মম। নিষ্ঠুর। স্বৈরাচারী। বামেরা মোদিকে ‘ফ্যাসিস্ট শক্তি’ বলে বর্ণনা করছে। তবে স্মৃতি ইরানি বা অন্য মোদি ঘনিষ্ঠদের কাছে তিনি এখনও ‘বিকাশ পুরুষ’। মোদিভক্ত বা মোদি বিরোধী সব নেতারই নজর এখন উত্তর প্রদেশ বিধানসভা ভোটের দিকে। পর্যবেক্ষকদের মতে, মোদি-শাহের ‘পাঁচতারা পলিটিকস’ সেখানেও ব্যর্থ হলে বিজেপি থেকেই বাজতে শুরু করবে ‘বিসর্জনের সুর’। বিরোধীরাও সংঘবদ্ধভাবে সেই পরিস্থিতির সুযোগ নিতে মরিয়া।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৩ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্র সরকারের ব্যর্থতা মোদি-ম্যাজিকে চিড় ধরিয়েছে বলে বিজেপিরই একটি মহলের আশঙ্কা। তাই বিজেপির আদি নেতাদের সঙ্গে একান্তে কথা বললেই শোনা যায়, দল ও সরকার পরিচালনায় গণতান্ত্রিক পরিবেশই আজ আক্রান্ত।
০৪ জুন ২০২১
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
২ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
৩ ঘণ্টা আগে