Ajker Patrika

বয়স ২৩, মাসে খরচ ১ লাখ আর সঞ্চয় দেড় লাখ, আলোচনায় বেঙ্গালুরুর তরুণী

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৪: ২৬
বাসায় বসে আয়ের মাধ্যমে অনেক নারীই সঞ্চয় করছেন। ছবি: পেক্সেলস
বাসায় বসে আয়ের মাধ্যমে অনেক নারীই সঞ্চয় করছেন। ছবি: পেক্সেলস

বেঙ্গালুরুর ২৩ বছর বয়সী এক তরুণী। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মরত আছেন। বাসা থেকে কাজ অর্থাৎ, রিমোটলি কাজ করেন তিনি। তাঁর মাসিক খরচ ৭০ হাজার রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ টাকা) আর প্রতি মাসে সঞ্চয় করছেন ১ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা) করে। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে দেওয়া তাঁর এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি। তাঁর এই পোস্ট রেডিটে ভাইরাল হয়ে উঠেছে।

ওই তরুণী একটি পোস্ট দিয়ে নিজের মাসিক খরচ ও জীবনযাত্রার বিবরণ তুলে ধরে লিখেছেন, তাঁর আর্থিক সিদ্ধান্ত নিয়ে মজা বা ব্যঙ্গ (রোস্ট) বা ‘বিচার’ করার জন্য। ২৩ বছর বয়সে তিনি তুলনামূলকভাবে বেশি খরচ করেও প্রতি মাসে দেড় লাখ টাকার মতো সঞ্চয় করছেন বিষয়টি রেডিট ব্যবহারকারীরা কীভাবে দেখছে তা জানার আগ্রহ থেকে এই পোস্ট করেন তিনি।

তরুণীটি পোস্টে জানান, তিনি বেঙ্গালুরুতে একা থাকেন এবং প্রতি মাসে তাঁর প্রায় ৭০ হাজার রুপি খরচ হয়।

‘আমি রিমোটলি কাজ করি’—এ কথা উল্লেখ করে তিনি লেখেন, আমার খরচের মধ্যে রয়েছে—ফ্ল্যাট ভাড়া ২৭ হাজার রুপি, খাবারের জন্য ১৫ হাজার রুপি, বাইরে খাওয়ার পেছনে ১০ হাজার রুপি, পানির বিল ৪৯৯ রুপি, বিদ্যুৎ বিল ৭০০ রুপি, নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন ১৯৯ রুপি, ক্লাউডি প্রো ২ হাজার রুপি আর মা-বাবার জন্য উপহার বা কেনাকাটায় প্রতি মাসে প্রায় ১০ হাজার রুপি।

তাঁর ভাষায়, ‘সঠিক পরিমাণ বলা মুশকিল, তবে সাধারণত ৭০ হাজার রুপির মতো খরচ হয় প্রতি মাসে। আর আমি প্রতি মাসে প্রায় ১ লাখ রুপি সঞ্চয় করি।’

২৩ বছর বয়সী তরুণী আরও বলেন, ‘আমি জানি, আমি চাইলে আরও ভালোভাবে সঞ্চয় করতে পারি, কিন্তু আমি আমার তরুণ বয়সে কষ্ট করে মনমতো খরচ না করে বাঁচতে চাই না।’

মদ্যপান, ধূমপান করা বা পার্টিতে যাওয়া হয় না উল্লেখ করে ওই তরুণী জানান, তিনি মা-বাবার জন্য খরচ করতে ভালোবাসেন। ভালো খাবার খুঁজে বের করাও তাঁর ভীষণ পছন্দ।

তাঁর এই পোস্টে আসা কমেন্টের পর অন্যদের আগ্রহ দেখে তিনি তাঁর চাকরি ও বেতন নিয়ে পোস্টে আরও তথ্য যুক্ত করেন। তিনি লেখেন, ‘যারা জিজ্ঞেস করছেন, কীভাবে আমি এই পর্যায়ে এলাম—প্রথমত, আমি বছরে একাধিকবার চাকরি বদলেছি, হাহা।’

অনেক রেডিট ব্যবহারকারী ভেবেছিলেন এই তরুণী ভারতের প্রথম সারির কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, তাদের উদ্দেশ্যে তরুণী লেখেন, ‘আমি আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) থেকে পড়িনি। আমি আসলে ভিআইটি (ভেলোর ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) থেকে পড়েছি। এটা বুঝতে হবে, আপনার কলেজের সঙ্গে আপনার আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।’

তাঁর পোস্টে কমেন্টে একজন মজা করে লেখেন, ‘তুমি যদি ২৩ বছর বয়সে দেড়-দুই লাখ কামাচ্ছো, তাহলে তুমিই বরং আমাদের রোস্ট করো।’

আরেকজন প্রশ্ন তোলেন, ‘২৭ হাজার টাকায় ১ বিএইচকে ভাড়া, তাও আবার রিমোট কাজ করার সময়? কেন?’

আরেক রেডিট ব্যবহারকারী তরুণীর প্রশংসা করে বলেন, ‘যতক্ষণ তুমি নিজের মানসিক শান্তির জন্য খরচ করছো, মা–বাবাকে খুশি রাখছো এবং খরচের চেয়ে বেশি সঞ্চয় করছো—ততক্ষণ তুমি একদম ঠিক পথেই আছো।’

আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘সত্যিই দারুণ ব্যাপার—ভালো খাবারে খরচ করছো, মা–বাবার যত্ন নিচ্ছো, নিরাপদ পরিবেশে ভালো বাড়িতে থাকছো এবং তার পরেও মাসে ১ লাখ রুপি সেভ করছো...এটা এক কথায় অসাধারণ!’

এক ব্যবহারকারী বলেন, ‘তুমি আয়ের ৫০ শতাংশের বেশি সঞ্চয় করছো। কেউ যদি তোমাকে বিচার করে বা ভুল বলে, সে নিঃসন্দেহে বোকা। আমি এখানে কোনো ভুল দেখতে পাচ্ছি না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামদানিকে ফোন করে কী বললেন ওবামা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২২: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিকে ফোন করে তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। স্থানীয় সময় শনিবার (১ নভেম্বর) প্রায় ৩০ মিনিটের ওই ফোনালাপে মামদানির প্রচারকৌশলকে ‘চমৎকার’ বলে আখ্যা দেন ওবামা। পাশাপাশি নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে মামদানির ‘পরামর্শদাতা’ বা ‘সাউন্ডিং বোর্ড’ হিসেবে পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি।

নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, দুজন ঘনিষ্ঠ সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সূত্র দুটির ভাষ্যমতে, মামদানিকে ফোন করে ওবামা বলেছেন, ‘তোমার প্রচারণা দেখাটা ছিল দারুণ এক অভিজ্ঞতা।’ ওবামা এ সময় নির্বাচনী সাফল্যের বাইরেও মামদানিকে ভবিষ্যৎ পথচলায় সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করেন। নতুন প্রশাসন গঠনের চ্যালেঞ্জ, কর্মী নিয়োগ ও শহরে বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করার নীতিগত পরিকল্পনা নিয়ে তাঁদের কথা হয়।

ফোনালাপে ওবামা সরাসরি সমর্থন না জানালেও তাঁর এই ফোনকলকে বিশ্লেষকেরা মামদানির প্রতি ‘প্রতীকী সমর্থন’ হিসেবে দেখছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টির অভ্যন্তরে মামদানিকে নিয়ে যখন বিভাজন দেখা দিয়েছে, তখন সাবেক প্রেসিডেন্টের এমন আগ্রহ তাৎপর্যপূর্ণ।

এর আগে গত জুনেও প্রাথমিক বাছাইয়ে মামদানির জয়ের পর তাঁকে ফোন করেছিলেন ওবামা। সেই সময়ের ফোনটি ছিল একেবারে ‘অপ্রত্যাশিত’। মামদানির উপদেষ্টা ও ওবামার সাবেক প্রচার পরিচালক প্যাট্রিক গ্যাসপার্ড বলেন, ‘ওবামার ফোন করা ছিল একধরনের আস্থার বার্তা—রাজনৈতিক ও সাধারণ ভোটারদের কাছে এটি মামদানিকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে।’

শনিবারের ফোনালাপে ওবামাকে ধন্যবাদ জানিয়ে মামদানি বলেছেন, তাঁর ইসলামভীতি বিরোধী সাম্প্রতিক ভাষণের অনুপ্রেরণা এসেছিল ওবামার ২০০৮ সালের নির্বাচনী প্রচারে দেওয়া বর্ণবৈষম্যবিরোধী ভাষণ থেকে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ওবামা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেননি। ২০২২ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র নির্বাচনে কারেন ব্যাসকে সমর্থন দেওয়ার পর এটিই তাঁর দ্বিতীয়বার কোনো স্থানীয় প্রার্থীর প্রতি সরাসরি আগ্রহ দেখানো।

এদিকে, নিউইয়র্কের সিনেটর চাক শুমার এবং প্রতিনিধি হাকিম জেফরিসসহ জাতীয় পর্যায়ের ডেমোক্র্যাট নেতারা এখনো মামদানির পাশে পুরোপুরি দাঁড়াননি।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের কুইন্সের তরুণ অ্যাসেম্বলি সদস্য মামদানি গত জুনে অনুষ্ঠিত ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ে সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুমোকে হারিয়ে রাজনৈতিক মহলে সাড়া ফেলেছিলেন। মেয়র নির্বাচনে তিনি এবার রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমোর মুখোমুখি হবেন।

ওবামা সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, রাজনীতি থেকে সরে আসার পর তিনি এখন নিজেকে ‘খেলোয়াড় নয়, বরং কোচ’ হিসেবে দেখতে চান। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে উজ্জ্বল করে তোলাই তাঁর লক্ষ্য। মামদানি ও তাঁর ৯০ হাজার স্বেচ্ছাসেবীর প্রচারণাকে তিনি সেই নতুন নেতৃত্বের উদাহরণ হিসেবেই দেখছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভিন দেশে সরকার উৎখাতের মার্কিন নীতির দিন শেষ: তুলসী গ্যাবার্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ৪৯
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া
মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

দেশে দেশে সরকার উৎখাত ও শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়ার পুরোনো নীতির দিন শেষ বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড। কারণ, ওয়াশিংটনের এই পররাষ্ট্রনীতি যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু নয়, বরং শত্রুর সংখ্যা বাড়িয়েছে; লক্ষ-কোটি ডলার গচ্চা গেছে, অসংখ্য প্রাণহানি হয়েছে এবং ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থানের মতো বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে নতুন আমেরিকা সেই পররাষ্ট্রনীতি পরিত্যাগ করে শান্তির নীতি নিতে চায়।

গত শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) বাহরাইনে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটি স্টাডিজ (আইআইএসএস) আয়োজিত বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন ‘মানামা সংলাপে’ তুলসী গ্যাবার্ড বিস্ফোরক এসব মন্তব্য করেন।

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘পুরোনো ওয়াশিংটনের চিন্তাধারা এমন কিছু, যা আমরা পেছনে ফেলে আসতে চাই। কারণ, এই দৃষ্টিভঙ্গিই আমাদের বহুদিন ধরে পিছিয়ে রেখেছে। দশকের পর দশক ধরে আমাদের পররাষ্ট্রনীতি একধরনের অকার্যকর ও অন্তহীন চক্রে আটকে ছিল, যেখানে লক্ষ্য ছিল শাসন পরিবর্তন বা অন্য দেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন। এটি ছিল একধরনের “ওয়ান সাইজ ফিটস অল” নীতি, যেখানে অন্য দেশের সরকারকে উৎখাত করা এবং আমাদের শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া; এমন সব সংঘাতে হস্তক্ষেপ করা, যা আমরা আসলে ভালোভাবে বুঝতাম না এবং শেষে ফিরে আসতাম বন্ধু নয়, আরও শত্রু নিয়ে। ফলাফল কী হয়েছিল? লক্ষ-কোটি ডলার খরচ, অসংখ্য প্রাণহানি এবং অনেক ক্ষেত্রে আরও বড় নিরাপত্তা হুমকির সৃষ্টি—যেমন ইসলামি জঙ্গিসংগঠন আইএসআইএসের উত্থান।’

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্স সম্প্রতি বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তাঁরা আব্রাহাম চুক্তির পরিধি বাড়াতে চান। এটি আমেরিকা ফার্স্ট নীতির বাস্তব রূপ, যেখানে সামরিক হস্তক্ষেপ নয়, বরং কূটনীতির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ পুনঃস্থাপন করেছেন তিনি, যা প্রজন্মের পর প্রজন্ম স্থবির ছিল। তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান আরও বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বমঞ্চে নেতৃত্বের অবস্থান পুনরুদ্ধার করেছে। সার্বিয়া ও কসোভোর মধ্যে অর্থনৈতিক স্বাভাবিকীকরণ ঘটিয়ে বলকান অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে এনেছেন তিনি। দ্বিতীয় মেয়াদের মাত্র নয় মাসের মধ্যে ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান, ইসরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-ডিআরসি, আর্মেনিয়া-আজারবাইজান, কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ডের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করেছেন। এমনকি মিসর ও ইথিওপিয়ার মধ্যে গ্র্যান্ড ইথিওপিয়ান রেনেসাঁ ড্যাম নিয়ে সম্ভাব্য সংঘাতও ঠেকিয়েছেন।

হামাসের হাতে আটক সব জীবিত জিম্মির মুক্তির মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের ‘কূটনৈতিক উদ্যোগ ঐতিহাসিক অগ্রগতি’ অর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তুলসী গ্যাবার্ড। তিনি বলেন, যদিও পরিস্থিতি নাজুক, তবুও এই যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনা ধীরে ধীরে বাস্তবায়িত হচ্ছে, যেখানে এই কক্ষে উপস্থিত অনেক অংশীদারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

গ্যাবার্ড বলেন, এসব প্রচেষ্টার পেছনে রয়েছে এক সরল কিন্তু বিপ্লবী ধারণা, তা হলো, যৌথ স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া, যেখানে স্বার্থ মিলবে, সেখানে পারস্পরিক লাভজনক সমাধান খুঁজে বের করা এবং মতপার্থক্যগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমাধান করা।

তুলসী গ্যাবার্ড বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুঝতে পারেন, সবাই আমাদের মতো একই মূল্যবোধ বা শাসনব্যবস্থা অনুসরণ করে না এবং এটা স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ হলো— কোথায় আমাদের অভিন্ন স্বার্থ আছে, তা চিহ্নিত করা এবং সেই ভিত্তিতে অংশীদারত্ব গড়ে তোলা। জ্বালানি নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদ দমন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবন—এ বিষয়গুলোই স্থায়ী বন্ধুত্ব ও অংশীদারত্বের মূল ভিত্তি।’

গ্যাবার্ড বলেন, আমেরিকা ফার্স্ট মানে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করা নয়, বরং ট্রাম্প যেভাবে প্রমাণ করেছেন, এর অর্থ হলো, সরাসরি কূটনীতিতে অংশ নেওয়া, যেসব আলোচনায় অন্যরা যেতে ভয় পায়, সেখানে সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া এবং পারস্পরিক সার্বভৌম স্বার্থের মিল খুঁজে বের করা।

বাহরাইনে উপস্থিত প্রতিনিধিদের উদ্দেশে গ্যাবার্ড বলেন, ‘আমরা এখানে জড়ো হয়েছি এই পথেই অঙ্গীকারবদ্ধ হতে, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে। বাহরাইন বারবার এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ দেখিয়েছে। বিশ্বজুড়ে দেশগুলোকে একত্র করে এ সংলাপ আমাদের শেখায়—কীভাবে যৌথ স্বার্থকে প্রসারিত করে টেকসই শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা যায়।’

মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র শান্তি প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এক সহযোগী। আমরা এমন এক ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছি, যেখানে যুদ্ধ নয়, সহযোগিতাই নিরাপত্তার ভিত্তি হবে। যেখানে শান্তিই হবে সমৃদ্ধির চাবিকাঠি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাজ্যে ট্রেনে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২, সন্ত্রাসবাদের সংশ্লিষ্টতা পায়নি পুলিশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, ট্রেনে ছুরিকাঘাতে ১১ জন আহত হওয়ার ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা নয়। এ ঘটনায় দুজন ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ব্রিটিশ ট্রান্সপোর্ট পুলিশের সুপারিনটেনডেন্ট জন লাভলেস আজ রোববার সাংবাদিকদের বলেন, এ মুহূর্তে এমন কোনো তথ্য নেই, যা ইঙ্গিত দেয় যে ঘটনাটি সন্ত্রাসী হামলা। তিনি জানান, হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাঁরা দুজনই ব্রিটিশ নাগরিক। তাঁদের একজনের বয়স ৩২ বছর, তিনি কৃষ্ণাঙ্গ ব্রিটিশ। আরেকজনের বয়স ৩৫, তিনি ক্যারিবীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ। দুজনেই যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণ করেছেন।

লাভলেস বলেন, ‘ঘটনার পূর্ণ প্রেক্ষাপট ও উদ্দেশ্য জানার জন্য আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। ঘটনার কারণ নিয়ে এখনই অনুমান করা ঠিক হবে না।’

ইংল্যান্ডের পূর্বাঞ্চলীয় শহর কেমব্রিজের কাছে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একটি চলন্ত ট্রেনে ১১ জন যাত্রীকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কেমব্রিজশায়ার পুলিশ জানায়, গতকাল সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটে তারা খবর পায়, ইংল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের ডনকাস্টার থেকে লন্ডনের কিংস ক্রসগামী সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটের ট্রেনে একাধিক যাত্রীকে ছুরিকাঘাত করা হয়।

এ অবস্থায় ট্রেনটি হান্টিংডন স্টেশনে থামানো হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সশস্ত্র পুলিশ সদস্যরা ট্রেনে প্রবেশ করছেন।

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সশস্ত্র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং হান্টিংডনে ট্রেনটি থামানো হয়, যেখানে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্কাই নিউজকে বলেন, সন্দেহভাজনদের একজন বড় ছুরি হাতে নাড়াচ্ছিলেন। পুলিশ পরে তাঁকে টেজার গান (বৈদ্যুতিক অস্ত্র) দিয়ে কাবু করে।

এ ঘটনাকে ‘গভীরভাবে উদ্বেগজনক’ অভিহিত করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি আমার সমবেদনা এবং দ্রুত সাড়া দেওয়ার জন্য জরুরি সেবা সংস্থাগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি মামদানি—নিউইয়র্কে বাংলায় মিছিল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্কের হিলসাইড অ্যাভিনিউ হঠাৎ মুখরিত হলো বাঙালি কণ্ঠের উচ্ছ্বাসে। সেখানে আয়োজিত একটি নির্বাচনী মিছিলের স্লোগান ছিল বাংলায়—‘আমার মেয়র, তোমার মেয়র, মামদানি মামদানি!’

আগামী মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই এই মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানির সমর্থনে আয়োজিত এই মিছিলে বাংলাদেশি ও দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত নিউ ইয়র্কবাসীরা অংশ নেন।

রোববার (২ নভেম্বর) মামদানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ওই মিছিল ও সমাবেশের একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, বয়স্ক নারী থেকে শুরু করে তরুণ-তরুণী, সবাই একসঙ্গে ছন্দে ছন্দে উচ্চারণ করছেন, ‘মামদানি, মামদানি, জোহরান মামদানি!’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘Bengalis4 Zohran’ নামে একটি পেজও একই ধরনের ভিডিও শেয়ার করেছে, যেখানে নিউইয়র্কের প্রবাসী বাঙালিরা বাংলা স্লোগানে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন।

ওই মিছিল ও সমাবেশে মামদানি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘এই শহরে যাদেরকে কখনো সন্ত্রাসী বলা হয়েছে, কিংবা কর্মস্থলে নিজের নামকে বিকৃত হতে শুনেছেন—তাদের হাত তুলতে বলছি। আমরা যারা নিজেদের পরিচয়ের কারণে হেয়বোধ করেছি, এই নির্বাচনের লড়াই আমাদের সবার জন্য।’

তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা শুধু এক কলঙ্কিত সাবেক গভর্নরকে বিদায় দিচ্ছি না; আমরা বিদায় দিচ্ছি সেই রাজনীতিকে, যা লজ্জা ও বৈষম্য তৈরি করে।’

বাংলাদেশি সংস্কৃতির প্রাণচাঞ্চল্যে ভরা এই সমাবেশে ফুটে উঠেছে প্রবাসী সম্প্রদায়ের ঐক্যবোধ ও নিউইয়র্কের বহু সাংস্কৃতিক আবহ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শিক্ষিকা থাকেন ঢাকায়, খালিয়াজুরীতে তাঁর নামে স্বাক্ষর করেন স্নাতকপড়ুয়া

জাকির নায়েক বিতর্কে ভারতের প্রতিক্রিয়ার যে জবাব দিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

সকাল থেকে রাজধানীতে তীব্র যানজট, কারণ জানাল ডিএমপি

বিকাশ ও নগদ ছাড়াই দেশে আন্তএমএফএস লেনদেন চালু

সৌদি সরকারের দেওয়া দুম্বার মাংস: মনিরামপুরে বিতরণে ১২০ প্যাকেট হাওয়া

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত