অনলাইন ডেস্ক
মহারাষ্ট্রের এক শীর্ষ রাজনীতিকের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করেছে জনপ্রিয় ভারতীয় কৌতুকশিল্পী কুনাল কামরার একটি কৌতুক। তবে এর জন্য তিনি ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি কুনালের স্ট্যান্ড-আপ শোর কয়েকটি অংশ ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু রসিকতা করছেন।
কুনালের এমন রসিকতায় শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা দলের কর্মীরা মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ভাঙচুর চালায়। কারণ ওই হোটেলেই কুনালের শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, কুনালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয় এবং রাজ্যের শাসক জোটের রাজনীতিবিদেরা তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
এদিকে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে কুনাল জানান, তিনি যে কোনো আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশ এবং আদালতকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইন কি সমানভাবে প্রয়োগ হবে, নাকি যারা একটি কৌতুকে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে?’
ওই হোটেলটিতে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর যাকে উদ্দেশ্য করে কুনাল তাঁর কৌতুকটি পরিবেশন করেছিলেন সেই শিন্ডে বলেছেন—তিনি হিংসাকে সমর্থন করেন না, তবে অন্যদেরও একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা উচিত।
শিন্ডে বলেন, ‘অভিব্যক্তির স্বাধীনতা আছে। আমরা ব্যঙ্গ বুঝি, কিন্তু এরও একটি সীমা থাকা উচিত।’
কুনাল কামরা ভারতীয় কমেডি জগতের পরিচিত মুখ। তাঁর রাজনৈতিক বিদ্রূপ এবং স্ট্যান্ড-আপ শো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ ভিউ পায়। ‘নয়া ভারত’ নামে শোতে তিনি ২০২২ সালে শিবসেনা দল থেকে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ এবং রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার প্রসঙ্গ টানেন।
শিন্ডের ওই বিদ্রোহ শিবসেনা দলকে বিভক্ত করেছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশন অবশ্য পরবর্তীতে শিন্ডের দলকেই প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দলটি বিজেপি এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটের অংশ।
কুনাল কামরার ওই শোতে একটি বলিউড গানের প্যারোডি গাওয়া হয়। এই গানটিতে শিন্ডেকে পরোক্ষভাবে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হয়। এই বিষয়টি শিন্ডের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে।
এ ঘটনার পরপরই শিবসেনা কর্মীরা কমেডি ক্লাবের অনুষ্ঠানস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত করে। ফলে স্টুডিও হ্যাবিট্যাট নামক ভেন্যুটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের নাগরিক কর্তৃপক্ষ (বিএমসি) ওই হোটেলের কিছু কাঠামো ভেঙে দেয় এবং অভিযোগ করে, সেখানে নির্মাণ সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফোড়নবিশ কুনালের সমালোচনা করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নই। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকেও আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারও কিছু সীমা থাকা উচিত।’
শিন্ডে এবং ফোড়নবিশ উভয়ই অভিযোগ তোলেন, কুনাল বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। শিন্ডের দলের এক বিধায়ক একটি ভিডিওতে কুনালকে হুমকিও দেন। তিনি বলেন, ‘শিবসেনা কর্মীরা কামরাকে সারা দেশে খুঁজে বের করবে এবং তিনি ভারত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবেন।’
এই হুমকির পর কুনাল তাঁর বিবৃতিতে জানান, তিনি তাঁর বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকবেন না এবং তিনি মনে করেন না যে, রাজনীতিবিদদের বা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করা অবৈধ।
বিরোধী নেতারাও কুনালের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। কুনাল কোনো অন্যায় করেনি বলে মন্তব্য করেছেন শিন্ডের সাবেক দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছেন, ‘তিনি (কুনাল) শুধু সত্য বলেছেন এবং জনগণের মতামত প্রকাশ করেছেন।’
ভারতে কৌতুকশিল্পীদের বিরুদ্ধে অতীতেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, যে কৌতুকের জন্য মুনাওয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই কৌতুক তিনি কখনোই পরিবেশন করেননি।
এ ছাড়া একটি মার্কিন শোতে ভারতকে দ্বৈত চরিত্রের দেশ হিসেবে বর্ণনা করে অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী বীর দাসও বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। ভারতের প্রসঙ্গে সেবার তিনি বলেছিলেন—সেখানে দিনে নারীদের পূজা করা হয়, আর রাতে তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়।
মহারাষ্ট্রের এক শীর্ষ রাজনীতিকের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করেছে জনপ্রিয় ভারতীয় কৌতুকশিল্পী কুনাল কামরার একটি কৌতুক। তবে এর জন্য তিনি ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, সম্প্রতি কুনালের স্ট্যান্ড-আপ শোর কয়েকটি অংশ ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু রসিকতা করছেন।
কুনালের এমন রসিকতায় শিন্ডের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা দলের কর্মীরা মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ভাঙচুর চালায়। কারণ ওই হোটেলেই কুনালের শো অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
শুধু তা-ই নয়, কুনালের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগও দায়ের করা হয় এবং রাজ্যের শাসক জোটের রাজনীতিবিদেরা তাঁকে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।
এদিকে সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে কুনাল জানান, তিনি যে কোনো আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশ এবং আদালতকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইন কি সমানভাবে প্রয়োগ হবে, নাকি যারা একটি কৌতুকে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে?’
ওই হোটেলটিতে ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করলেও পরে তাঁদের জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর যাকে উদ্দেশ্য করে কুনাল তাঁর কৌতুকটি পরিবেশন করেছিলেন সেই শিন্ডে বলেছেন—তিনি হিংসাকে সমর্থন করেন না, তবে অন্যদেরও একটি নির্দিষ্ট মান বজায় রাখা উচিত।
শিন্ডে বলেন, ‘অভিব্যক্তির স্বাধীনতা আছে। আমরা ব্যঙ্গ বুঝি, কিন্তু এরও একটি সীমা থাকা উচিত।’
কুনাল কামরা ভারতীয় কমেডি জগতের পরিচিত মুখ। তাঁর রাজনৈতিক বিদ্রূপ এবং স্ট্যান্ড-আপ শো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাখ লাখ ভিউ পায়। ‘নয়া ভারত’ নামে শোতে তিনি ২০২২ সালে শিবসেনা দল থেকে একনাথ শিন্ডের বিদ্রোহ এবং রাজ্যে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি করার প্রসঙ্গ টানেন।
শিন্ডের ওই বিদ্রোহ শিবসেনা দলকে বিভক্ত করেছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশন অবশ্য পরবর্তীতে শিন্ডের দলকেই প্রকৃত শিবসেনা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। বর্তমানে দলটি বিজেপি এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটের অংশ।
কুনাল কামরার ওই শোতে একটি বলিউড গানের প্যারোডি গাওয়া হয়। এই গানটিতে শিন্ডেকে পরোক্ষভাবে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলা হয়। এই বিষয়টি শিন্ডের সমর্থকদের ক্ষুব্ধ করে।
এ ঘটনার পরপরই শিবসেনা কর্মীরা কমেডি ক্লাবের অনুষ্ঠানস্থল রণক্ষেত্রে পরিণত করে। ফলে স্টুডিও হ্যাবিট্যাট নামক ভেন্যুটি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি মুম্বাইয়ের নাগরিক কর্তৃপক্ষ (বিএমসি) ওই হোটেলের কিছু কাঠামো ভেঙে দেয় এবং অভিযোগ করে, সেখানে নির্মাণ সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফোড়নবিশ কুনালের সমালোচনা করে তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে নই। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপকেও আমরা সম্মান করি। কিন্তু তারও কিছু সীমা থাকা উচিত।’
শিন্ডে এবং ফোড়নবিশ উভয়ই অভিযোগ তোলেন, কুনাল বিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। শিন্ডের দলের এক বিধায়ক একটি ভিডিওতে কুনালকে হুমকিও দেন। তিনি বলেন, ‘শিবসেনা কর্মীরা কামরাকে সারা দেশে খুঁজে বের করবে এবং তিনি ভারত ছেড়ে পালাতে বাধ্য হবেন।’
এই হুমকির পর কুনাল তাঁর বিবৃতিতে জানান, তিনি তাঁর বিছানার নিচে লুকিয়ে থাকবেন না এবং তিনি মনে করেন না যে, রাজনীতিবিদদের বা দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ব্যঙ্গ করা অবৈধ।
বিরোধী নেতারাও কুনালের সমর্থনে এগিয়ে এসেছেন। কুনাল কোনো অন্যায় করেনি বলে মন্তব্য করেছেন শিন্ডের সাবেক দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তিনি বলেছেন, ‘তিনি (কুনাল) শুধু সত্য বলেছেন এবং জনগণের মতামত প্রকাশ করেছেন।’
ভারতে কৌতুকশিল্পীদের বিরুদ্ধে অতীতেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০২১ সালে কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকিকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তীতে জানা যায়, যে কৌতুকের জন্য মুনাওয়ারকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, সেই কৌতুক তিনি কখনোই পরিবেশন করেননি।
এ ছাড়া একটি মার্কিন শোতে ভারতকে দ্বৈত চরিত্রের দেশ হিসেবে বর্ণনা করে অভিনেতা ও কৌতুকশিল্পী বীর দাসও বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন। ভারতের প্রসঙ্গে সেবার তিনি বলেছিলেন—সেখানে দিনে নারীদের পূজা করা হয়, আর রাতে তাঁদের গণধর্ষণ করা হয়।
ইসলামি পোশাকের একটি ব্র্যান্ড মেরাচি। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে প্রতিষ্ঠানটির একটি বিজ্ঞাপন ফ্রান্সে ব্যাপক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিজ্ঞাপনটিতে দেখা যায়, আইফেল টাওয়ার একটি হিজাবে মোড়ানো। আর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে—‘ফরাসি সরকার মেরাচিকে আসতে দেখলে ঘৃণা করে।’
৫ ঘণ্টা আগেমার্কিন হোয়াইট হাউস মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাশিয়া ও ইউক্রেন পৃথক বৈঠকে কৃষ্ণসাগরে বলপ্রয়োগ বন্ধের বিষয়ে সম্মত হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে আলাদাভাবে এই আলোচনা সৌদি আরবে মার্কিন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়।
৬ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ইউনিফিকেশন চার্চ ১৯৬০-এর দশক থেকে জাপানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সান মিয়ং মুনের নাম থেকেই ‘মুনিজ’ নামটি এসেছে। চার্চটি হাজার হাজার যুগলের একযোগে বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অতীতে আলোচিত হয়েছে এবং আত্মার মুক্তির জন্য বিবাহকে কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে প্রচার করে
৭ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বর্তমানে ৬ বুলগেরিয়ানের বিচার চলছে। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও দুই নারী—সভেতেলিনা জেনচেভা এবং সভেতানকা দনচেভা। তাঁদের পরিচয় এবারই প্রথম প্রকাশ্যে এল।
৮ ঘণ্টা আগে