আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মণিপুরে ভারতমাতাকে হত্যা করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এখন তারা চেষ্টা করছে হরিয়ানায় আগুন জ্বালিয়ে দিতে। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই অভিযোগ তোলেন।
রাহুল বলেছেন, ‘আমি মণিপুর গিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাননি। কারণ, ওর কাছে মণিপুর ভারত নয়। সত্যি কথা হলো, মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুর আপনারা দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছেন।’ খবর এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলের।
গত মঙ্গলবার মণিপুর নিয়ে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক শুরু করার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হয়। রাহুল সেদিন কথা বলেননি। গতকাল বুধবার বিতর্ক শুরু হয় তাঁর ভাষণ দিয়েই।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গতকাল লোকসভায় বলেন, ‘আমি ত্রাণশিবিরে গিয়েছিলাম। নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, একজন নারী বললেন, তাঁর একটাই বাচ্চা ছিল। তাঁর সামনে বাচ্চাকে গুলি করে মারা হয়।’
বিজেপি সংসদ সদস্যদের কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘মিথ্যা কথা।’ রাহুলের সঙ্গে সঙ্গে জবাব, ‘তোমরা মিথ্যা বলো। আমি বলি না।’ রাহুল যোগ করেন, ওই নারী তাঁকে বলেছেন যে ভয়ে সব ছেড়ে একবস্ত্রে বাড়ি ছেড়েছেন।
এরপর রাহুলের সরাসরি অভিযোগ, ‘ভারতমাতার হত্যা আপনারা (বিজেপি সরকার) মণিপুরে করেছেন। মণিপুরের মানুষকে মেরেছেন। আপনারা দেশদ্রোহী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যেতে চান না।’
রাহুলের দাবি, ‘মণিপুরে সেনা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। মোদিজি ভারতের হৃদয়ের আওয়াজ শোনেন না। কার আওয়াজ শোনেন?’ এরপর রাহুল নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘মোদি দুজনের আওয়াজ শোনেন। রাবণ দুজনের কথা শুনত—মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের। মোদিজি দুজনের কথা শোনেন—অমিত শাহ ও আদানির।’
রাহুলের অভিযোগ, রাবণের অহংকার লঙ্কা জ্বালিয়েছিল। বিজেপি এখন পুরো দেশে কেরোসিন ফেলছে। হরিয়ানায় ফেলেছে। মণিপুরে ফেলেছে।
রাহুল তাঁর ভাষণ শুরু করেন ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা দিয়ে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমি গরিব-ধনীনির্বিশেষে সবার কথা শুনতাম। একজন কৃষক এলেন। হাতে তুলা নিয়ে। তিনি আমাকে তুলা দিয়ে বললেন, এটাই তাঁর খেতে বেঁচে আছে। প্রশ্ন করি, “বিমার পয়সা পেয়েছেন।” বলেন, “পাননি। বড় শিল্পপতিরা ছিনিয়ে নিয়েছেন।” যখন কৃষককে দেখলাম, ওর মনের ভয় আমার মনে এল। ওর ক্ষুধা বুঝতে পারলাম। যাত্রা বদলে গেল। সাধারণ মানুষের দুঃখ, আঘাত পরিণত হলো আমার দুঃখ ও আঘাতে।’
মণিপুরে ভারতমাতাকে হত্যা করেছে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এখন তারা চেষ্টা করছে হরিয়ানায় আগুন জ্বালিয়ে দিতে। গতকাল বুধবার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভায় নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এই অভিযোগ তোলেন।
রাহুল বলেছেন, ‘আমি মণিপুর গিয়েছিলাম। আজ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী সেখানে যাননি। কারণ, ওর কাছে মণিপুর ভারত নয়। সত্যি কথা হলো, মণিপুর আর বেঁচে নেই। মণিপুর আপনারা দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছেন।’ খবর এনডিটিভি ও ডয়চে ভেলের।
গত মঙ্গলবার মণিপুর নিয়ে আনা অনাস্থা প্রস্তাব বিতর্ক শুরু করার কথা ছিল রাহুলের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল হয়। রাহুল সেদিন কথা বলেননি। গতকাল বুধবার বিতর্ক শুরু হয় তাঁর ভাষণ দিয়েই।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গতকাল লোকসভায় বলেন, ‘আমি ত্রাণশিবিরে গিয়েছিলাম। নারীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছি, একজন নারী বললেন, তাঁর একটাই বাচ্চা ছিল। তাঁর সামনে বাচ্চাকে গুলি করে মারা হয়।’
বিজেপি সংসদ সদস্যদের কয়েকজন বলে ওঠেন, ‘মিথ্যা কথা।’ রাহুলের সঙ্গে সঙ্গে জবাব, ‘তোমরা মিথ্যা বলো। আমি বলি না।’ রাহুল যোগ করেন, ওই নারী তাঁকে বলেছেন যে ভয়ে সব ছেড়ে একবস্ত্রে বাড়ি ছেড়েছেন।
এরপর রাহুলের সরাসরি অভিযোগ, ‘ভারতমাতার হত্যা আপনারা (বিজেপি সরকার) মণিপুরে করেছেন। মণিপুরের মানুষকে মেরেছেন। আপনারা দেশদ্রোহী। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী মণিপুর যেতে চান না।’
রাহুলের দাবি, ‘মণিপুরে সেনা প্রয়োগ করা হচ্ছে না। মোদিজি ভারতের হৃদয়ের আওয়াজ শোনেন না। কার আওয়াজ শোনেন?’ এরপর রাহুল নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘মোদি দুজনের আওয়াজ শোনেন। রাবণ দুজনের কথা শুনত—মেঘনাদ ও কুম্ভকর্ণের। মোদিজি দুজনের কথা শোনেন—অমিত শাহ ও আদানির।’
রাহুলের অভিযোগ, রাবণের অহংকার লঙ্কা জ্বালিয়েছিল। বিজেপি এখন পুরো দেশে কেরোসিন ফেলছে। হরিয়ানায় ফেলেছে। মণিপুরে ফেলেছে।
রাহুল তাঁর ভাষণ শুরু করেন ভারত জোড়ো যাত্রার অভিজ্ঞতা দিয়ে। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত আমি গরিব-ধনীনির্বিশেষে সবার কথা শুনতাম। একজন কৃষক এলেন। হাতে তুলা নিয়ে। তিনি আমাকে তুলা দিয়ে বললেন, এটাই তাঁর খেতে বেঁচে আছে। প্রশ্ন করি, “বিমার পয়সা পেয়েছেন।” বলেন, “পাননি। বড় শিল্পপতিরা ছিনিয়ে নিয়েছেন।” যখন কৃষককে দেখলাম, ওর মনের ভয় আমার মনে এল। ওর ক্ষুধা বুঝতে পারলাম। যাত্রা বদলে গেল। সাধারণ মানুষের দুঃখ, আঘাত পরিণত হলো আমার দুঃখ ও আঘাতে।’
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
৫ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে