ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করছেন সনাতন ধর্মেরই বেশ কয়েকজন আধ্যাত্মিক গুরু। মন্দির উদ্বোধনে তড়িঘড়ি এবং ধর্মীয় বিধি না মানায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনাতন হিন্দু ধর্মের শীর্ষ নেতা জগতগুরু শঙ্করাচার্যরা।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ্পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীকে উদ্ধৃত করে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ তথা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারজন শঙ্করাচার্য উপস্থিত থাকবেন না।
সনাতন ধর্মগুরুদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখন এ মন্দির ঘিরে নানা বিতর্ক সামনে আনছে বিরোধী দলগুলো। আগামী দশদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মন্দিরটি। এর মধ্যে যারা মন্দিরটির উদ্বোধন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা হলেন—
শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় অনুষ্ঠেয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পূর্বম্নয়া গোবর্ধনমঠ পুরি পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তিনি ওডিশার জগন্নাথ পুরির গোবর্ধন পীঠের ১৪৫ তম শঙ্করাচার্য। ১৯৯২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি এ পীঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক এক সম্মেলনে পরিণত হতে যাচ্ছে।
শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের অভ্যন্তরে থাকবেন, প্রতিমা স্পর্শ করবেন এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার সব আচার–অনুষ্ঠান করবেন। এটিকে এক ধরনের রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। এখানে যদি ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠাই করা হয়, তবে তা শাস্ত্রমতেই হতে হবে। আমি এর বিরোধিতা করছি না, তবে আমি এতে অংশও নেব না। আমি আমার অবস্থান নিয়েছি। আসুন আমরা অর্ধ–সত্য এবং অর্ধ–মিথ্যা মিশ্রিত না করি; সবকিছু শাস্ত্রীয় জ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানের সব আচার–অনুষ্ঠান শাস্ত্রীয় নির্দেশনা অনুসারে হওয়া উচিত, না হয় দেবতার দ্যুতি ব্যাহত নয় এবং অশুভ আত্মা প্রবেশ করে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।’
শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ
উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির মঠের সব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও আচার শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দের ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকে। সাধু শ্রী আদি শংকরের প্রতিষ্ঠিত প্রধান চার পীঠের মধ্যে জ্যোতির মঠ একটি। ২০০৬ সালে তিনি স্বামী স্বরূপানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তখন থেকেই তিনি সব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জ্যোতিষ পীঠ মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দও। তিনি বলেন, এ মন্দিরের গঠন সনাতন ধর্মের বিজয়কে সূচিত করে না।
স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলে, ‘অযোধ্যায় আগে থেকেই রাম মন্দির ছিল। এর নির্মাণ ধর্মের জন্য কোনো উপহার বা বিজয় নয়। রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে রাজনৈতিক নেতারা ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় না যেতে পারেন, কিন্তু আমার এই ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। দেশে যখন গোহত্যা বন্ধ হবে তখন আমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাব। যেহেতু মহামান্য আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জমিটি হিন্দুদের এবং এর ব্যবহার বা অপব্যবহার তাঁদের বিবেচনার ওপরই নির্ভর করে।’
ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, শ্রিঙ্গেরি শার্দ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী ভারতী তীর্থ জি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দাবি করা হয়, ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট বাবর রাম মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, যেটি বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত। বর্তমান বিজেপি সরকারের সময় আদালতের রায়ে সেই স্থানেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে।
১৯৯২–এর ৬ ডিসেম্বরে হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), বিজেপি এবং শিবসেনার সদস্যরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। হিন্দুত্ববাদীদের মতে, মসজিদের জায়গাটি ছিল হিন্দুধর্মের অন্যতম অবতার রামের জন্মস্থান। তাঁদের দাবি, সেখানে মসজিদ নির্মাণের আগে একটি মন্দির ছিল।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর হিন্দু–মুসলিম দাঙ্গায় ভারতে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি হিন্দু মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ করছেন সনাতন ধর্মেরই বেশ কয়েকজন আধ্যাত্মিক গুরু। মন্দির উদ্বোধনে তড়িঘড়ি এবং ধর্মীয় বিধি না মানায় অসন্তোষ প্রকাশ করে এ অনুষ্ঠানে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সনাতন হিন্দু ধর্মের শীর্ষ নেতা জগতগুরু শঙ্করাচার্যরা।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের জ্যোতিষ্পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীকে উদ্ধৃত করে দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় রাম মন্দিরের ‘প্রাণ প্রতিষ্ঠা’ তথা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে চারজন শঙ্করাচার্য উপস্থিত থাকবেন না।
সনাতন ধর্মগুরুদের অভিযোগের ভিত্তিতে এখন এ মন্দির ঘিরে নানা বিতর্ক সামনে আনছে বিরোধী দলগুলো। আগামী দশদিনের মধ্যেই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মন্দিরটি। এর মধ্যে যারা মন্দিরটির উদ্বোধন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন তাঁরা হলেন—
শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী
আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় অনুষ্ঠেয় প্রাণ প্রতিষ্ঠা অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন পূর্বম্নয়া গোবর্ধনমঠ পুরি পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী। তিনি ওডিশার জগন্নাথ পুরির গোবর্ধন পীঠের ১৪৫ তম শঙ্করাচার্য। ১৯৯২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিনি এ পীঠের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।
রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ পাওয়ার পরই তিনি বলেন, এ অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক এক সম্মেলনে পরিণত হতে যাচ্ছে।
শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী সাংবাদিকদের বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী মন্দিরের অভ্যন্তরে থাকবেন, প্রতিমা স্পর্শ করবেন এবং প্রাণ প্রতিষ্ঠার সব আচার–অনুষ্ঠান করবেন। এটিকে এক ধরনের রাজনৈতিক রূপ দেওয়া হয়েছে। এখানে যদি ভগবান রামের প্রাণ প্রতিষ্ঠাই করা হয়, তবে তা শাস্ত্রমতেই হতে হবে। আমি এর বিরোধিতা করছি না, তবে আমি এতে অংশও নেব না। আমি আমার অবস্থান নিয়েছি। আসুন আমরা অর্ধ–সত্য এবং অর্ধ–মিথ্যা মিশ্রিত না করি; সবকিছু শাস্ত্রীয় জ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানের সব আচার–অনুষ্ঠান শাস্ত্রীয় নির্দেশনা অনুসারে হওয়া উচিত, না হয় দেবতার দ্যুতি ব্যাহত নয় এবং অশুভ আত্মা প্রবেশ করে বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে।’
শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ
উত্তরাখণ্ডের জ্যোতির মঠের সব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড ও আচার শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দের ব্যবস্থাপনায় হয়ে থাকে। সাধু শ্রী আদি শংকরের প্রতিষ্ঠিত প্রধান চার পীঠের মধ্যে জ্যোতির মঠ একটি। ২০০৬ সালে তিনি স্বামী স্বরূপানন্দের কাছ থেকে দীক্ষা নেন। তখন থেকেই তিনি সব ধর্মীয় কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন।
রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জ্যোতিষ পীঠ মঠের শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দও। তিনি বলেন, এ মন্দিরের গঠন সনাতন ধর্মের বিজয়কে সূচিত করে না।
স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় বার্তা সংস্থা এএনআই বলে, ‘অযোধ্যায় আগে থেকেই রাম মন্দির ছিল। এর নির্মাণ ধর্মের জন্য কোনো উপহার বা বিজয় নয়। রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে রাজনৈতিক নেতারা ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় না যেতে পারেন, কিন্তু আমার এই ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। দেশে যখন গোহত্যা বন্ধ হবে তখন আমি অযোধ্যার রাম মন্দিরে যাব। যেহেতু মহামান্য আদালতের সিদ্ধান্ত অনুসারে, জমিটি হিন্দুদের এবং এর ব্যবহার বা অপব্যবহার তাঁদের বিবেচনার ওপরই নির্ভর করে।’
ভারতীয় কয়েকটি সংবাদমাধ্যম অনুসারে, শ্রিঙ্গেরি শার্দ পীঠের শঙ্করাচার্য স্বামী শ্রী ভারতী তীর্থ জি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দাবি করা হয়, ষোড়শ শতকে মোগল সম্রাট বাবর রাম মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন, যেটি বাবরি মসজিদ নামে পরিচিত। বর্তমান বিজেপি সরকারের সময় আদালতের রায়ে সেই স্থানেই রাম মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে।
১৯৯২–এর ৬ ডিসেম্বরে হিন্দুত্ববাদী বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি), বিজেপি এবং শিবসেনার সদস্যরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। হিন্দুত্ববাদীদের মতে, মসজিদের জায়গাটি ছিল হিন্দুধর্মের অন্যতম অবতার রামের জন্মস্থান। তাঁদের দাবি, সেখানে মসজিদ নির্মাণের আগে একটি মন্দির ছিল।
১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর হিন্দু–মুসলিম দাঙ্গায় ভারতে দুই হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায়। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি হিন্দু মন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
দীর্ঘ ২৯ বছর সরকারি বাস চালিয়েছেন তিনি। মাত্র ৭ ডলার (প্রায় ৮০০ টাকা) সমপরিমাণ ভাড়া আত্মসাতের দায়ে তাঁকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, সেই সঙ্গে তাঁর ৮৪ হাজার ডলার (প্রায় ৯২ লাখ টাকা) পেনশনও বাতিল করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লির সীলমপুরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর হত্যার ঘটনায় ফের আলোচনায় জিকরা নামের এক তরুণী। তিনি নিজেকে ‘লেডি ডন’ বলে পরিচয় দেন। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর কার্যকলাপ এবং অপরাধ জগতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য পরিচিত এই তরুণী।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ক্রিমিয়া অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে পারে। মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আলোচনার সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম..
২ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ওপর সাম্প্রতিক কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে বিশেষ করে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আমেরিকান ইমিগ্রেশন ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইএলএ) একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সংস্থাটি কর্তৃক সংগৃহীত ৩২৭টি সাম্প্রতিক ভিসা বাতিলের প্রায় অর্ধেকই ভারতীয়...
২ ঘণ্টা আগে