Ajker Patrika

তিন ধাপের ভোট শেষেও নেই প্রেস ব্রিফিং, ভারতের সিইসিকে সাংবাদিকদের স্মারকলিপি

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো সংবাদ সম্মেলন না করায় দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন দেশটির সাংবাদিকেরা। আজ শনিবার প্রেসক্লাব অব ইন্ডিয়ার সভাপতি গৌতম লাহিড়ী স্বাক্ষরিত এক নোটপ্যাডে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। 

ওই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, সারা দেশে তিন দফায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও নির্বাচন কমিশন কোনো সংবাদ সম্মেলন না করায় আমরা সাংবাদিকেরা হতাশ। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত প্রতিটি ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলন করা ছিল স্বাভাবিক অনুশীলন। ভারত বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে একটি। এখানে সাধারণ নির্বাচনকে ‘গণতন্ত্রের বৃহত্তম উৎসব’ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই ভোটের দিন কী ঘটেছে তা সাংবিধানিক সংস্থা ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশন (ইসিআই) থেকে জানার অধিকার নাগরিকদের রয়েছে। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, এটি স্মরণে রাখা উচিত যে, সাংবাদিকদের সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি থাকলে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা সে বিষয়ে ধারণা পরিষ্কার করে নিতে পারেন। এটি পাঠকদের জন্য প্রতিবেদন তৈরি এবং ত্রুটিমুক্ত সংবাদ প্রকাশে সহায়তা করে। সাংবাদিকেরাই চলমান নির্বাচন সম্পর্কে নাগরিকদের সঠিক তথ্য দিয়ে থাকে। নির্বাচন কমিশনারেরাও সংবাদ সম্মেলনে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারেন। 

গৌতম লাহিড়ী স্বাক্ষরিত নোটপ্যাডে আরও বলা হয়, আমরা হতবাক এবং বিস্মিত যে, নির্বাচন কমিশন গত তিন ধাপের ভোটগ্রহণের ‘নিখুঁত ভোটের সংখ্যা’ প্রকাশ করছে না। বিগত নির্বাচনগুলোতে এমনটি ছিল না। এসব ঘটনা জনগণের মনে নির্বাচনের সুষ্ঠুতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি করেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা দাবি করি ইসিআই ভোটের প্রতিটি ধাপ শেষে সংবাদ সম্মেলন করবে। 

অধিকন্তু, আমাদের দাবি, ভোটের পরদিনের মধ্যে সম্পূর্ণ ভোটের সংখ্যা এবং ভোটাহারের তথ্য প্রকাশ করা হোক। নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি ভোটারদের আস্থা বজায় রাখতে এ ধরনের স্বচ্ছতা প্রয়োজন। আমরা আশা করি আপনি এই দাবিগুলো মেনে নেবেন এবং অবিলম্বে সেগুলোর ওপর কাজ করবেন। 

এদিকে ভারতে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে ১১ কোটির বেশি ভোটার ১ হাজার ৩৫১ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণে ভোট দিয়েছেন। এবার ভারতের ৫৪৩ আসনে নির্বাচন হবে সাত ধাপে। চলবে প্রায় দুই মাস ধরে। শুরু হয়েছে ১৯ এপ্রিল। শেষ হবে ১ জুন। ৪ জুন ভোটের ফল ঘোষণা। 

ভারতের সিইসিকে দেওয়া সাংবাদিকদের স্মারকলিপি। ছবি: সংগৃহীত ভারতের বিরোধী দলগুলো তথা ‘ইন্ডিয়া জোটের’ নেতারা বলছেন, প্রথম দুই ধাপের ভোটের পর ‘হাওয়া সুবিধার নয়’, এটা বুঝতে পেরেই প্রধানমন্ত্রী মোদি অযোধ্যায় ফিরে গেছেন এবং রামমন্দির নিয়ে ধর্মীয় ভাবাবেগকে নতুন করে উসকে দিয়ে ভোটে ফায়দা লুটতে চাইছেন।

নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই নরেন্দ্র মোদি মুসলিম বিদ্বেষী কথা বলছেন। এমনকি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘মুসলিম তোষণ’ এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় গেলে হিন্দুদের সম্পত্তি ছিনিয়ে নিয়ে মুসলিমদের মধ্যে পুনর্বণ্টন করবে—এমন মিথ্যাচারও করেছেন মোদি। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন অভিযোগ পাওয়ার পরও মোদির নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে টু-শব্দ করেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত