Ajker Patrika

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে এগিয়ে বিজেপির জোট 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ০৪ জুন ২০২৪, ১৫: ১৯
Thumbnail image

ভারতের লোকসভা নির্বাচনের সাত ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে আজ রোববার শুরু হয়েছে ভোট গণনা। এরই মধ্যে অর্ধেকের বেশি আসনের ভোট গণনা করা হয়েছে, যাতে স্পষ্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপির জোট এনডিএ বা ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স। বিপরীতে প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোট বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছে। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির দেওয়া তথ্য অনুসারে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিজেপির এনডিএ জোট পেয়েছে ২৭৭টি আসন এবং ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে ২০৩টি আসন। অন্যান্য দল পেয়েছে ১৬টি আসন। এই ফলাফল থেকে অনুমান করা যাচ্ছে যে শেষ পর্যন্ত টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসতে যাচ্ছে মোদির বিজেপি। 

 টানা ৪৪ দিন ধরে চলা সাত ধাপের ভোট শেষে ফলাফল ঘোষণা হতে যাচ্ছে আজ। এই নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ভারতের প্রায় ৬৪ কোটি মানুষ। তবে যে বা যারাই জিতুক না কেন, সেখানে ব্যবধান গড়ে দেবে ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্য। আর সেগুলো হলো—বাংলাদেশসংলগ্ন ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, বিহার, তেলেঙ্গানা, ওডিশা, অন্ধ্র প্রদেশ, কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশ। এ ছাড়া, বিজেপি ভারতের দক্ষিণের অন্যান্য রাজ্যগুলোতে কতটা ভালো করে, তারা ওপরও অনেক কিছুই নির্ভর করছে। 

এদিকে, এর আগে এই গণনায় ক্ষমতাসীন বিজেপি ব্যাপক কারচুপির চেষ্টা চালাবে বলে অভিযোগ করেছে কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধী দল। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ভোট গণনার প্রক্রিয়াটির ওপর এবার বিশেষ মনোযোগ দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। গণনায় যেন কোনো কারচুপি না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে শেষ ভোটটি গণনার আগ পর্যন্ত নেতা-কর্মীদের মাটি কামড়ে পড়ে থাকার নির্দেশ দিয়েছে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটি (এআইসিসি)। নেতা-কর্মীদের আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সকাল থেকে টেলিভিশনের পর্দায় গণনার খবর না দেখে তাঁরা যেন পার্টি অফিসে গিয়ে সময় কাটায় এবং গোলযোগের খবর পেলেই যেন সদর দপ্তরকে জানায়। 

ভোট গণনার এক দিন আগে সোমবার বিকেলে কংগ্রেসের সদর দপ্তর থেকে সবগুলো রাজ্য কংগ্রেসকে ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই দলের নেতা-কর্মীরা যেন রাজ্য ও জেলার পার্টি অফিসে উপস্থিত থাকেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় নেতৃত্বকে বলা হয়েছে। 

নির্দেশনায় দুটি ফোন নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সাধারণ মানুষ কোনো গণনাকেন্দ্রে গোলযোগের খবর পেলেই যেন ওই নম্বরে যোগাযোগ করে জানায়। শুধু কংগ্রেস নয়, সব বিরোধী দলই মঙ্গলবারের গণনাকে বিগত ভোটের থেকে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে। গত শনিবার দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়িতে ইন্ডি জোটের বৈঠকে সব নেতাই আশঙ্কা করেছিলেন—বুথফেরত জরিপে বিজেপির বিপুল জয়ের সমীক্ষা প্রকাশ করে বিরোধী নেতা-কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। পরে গণনাকেন্দ্রে কারচুপি করবে বিজেপি। 

গণনার এক দিন আগে সোমবার বিকেলে এআইসিসির জারি করা নির্দেশনাকে দাঙ্গা বাঁধানোর চিঠি বলে আখ্যায়িত করেছেন বিজেপির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেলের প্রধান অমিত মালব্য। এ বিষয়ে এক পোস্টে তিনি বলেছেন—কংগ্রেসের এত কিছু করার কোনো প্রয়োজন ছিল না। ভোট গোনা হবে গণনাকেন্দ্রে। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা পার্টি অফিসে কী করবেন? 

কংগ্রেস গোলমাল করে ভোট গণনা বানচাল করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা মালব্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত