আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রcতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, ২০১০ সালে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ১৬০ কোটি ; যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ। সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী পূর্বাভাস মিলেছে, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে। আগামী কয়েক বছরে ৭৩ শতাংশ বেড়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২৮০ কোটিতে।
পিউ রিসার্চ বলছে, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল ছাড়া সব অঞ্চলেই বাড়বে মুসলমানদের সংখ্যা। ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হয়ে যাবে মুসলিম।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। বিশ্বের ৬২ শতাংশ মুসলিম এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান ও তুরস্কে।
বর্তমানে ভারতে প্রায় ৪০ কোটি মুসলিমের বাস। মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে গত বছর থেকেই ভারতে চলছে নানা বিতর্ক। সেটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে গড়িয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ‘শেয়ার অব রিলিজিয়াস মাইনরিটিজ: অ্যা ক্রস-কান্ট্রি অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুরু হয় এই বিতর্ক।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। ১৯৫০ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল ৮৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। এ ছাড়া ১৯৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল মুসলমান আর ২০১৫ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫০ সালের তুলনায় ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রধান দুই ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর অনুপাতের এই পরিবর্তনের খবরে ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। সংখ্যায় হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলিমরা— এমন শঙ্কা থেকে বেড়ে যায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত।
অবশ্য সরকারি প্রতিবেদনে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, সেটি প্রকৃতপক্ষে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নয় বরং জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু আর মুসলমানের অনুপাতে কী পরিবর্তন এসেছে, সেটিই তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, বাস্তবতা হলো, দেশটিতে মুসলমানদের উচ্চ জন্মহার সত্ত্বেও হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার বিদ্যমান ব্যবধান ক্রমে বাড়ছে। মুসলমান জনসংখ্যা শিগগিরই হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে, এমন ধারণা যুক্তিসংগত নয়।
আরও খবর পড়ুন:
আগামী ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টারের সাম্প্রcতিক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্যমতে, ২০১০ সালে বিশ্বে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ ছিল ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন বা ১৬০ কোটি ; যা বৈশ্বিক জনসংখ্যার প্রায় ২৩ শতাংশ। সংস্থাটির বিশ্লেষণ অনুযায়ী পূর্বাভাস মিলেছে, মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছাড়িয়ে যাবে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারকে। আগামী কয়েক বছরে ৭৩ শতাংশ বেড়ে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ২ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ২৮০ কোটিতে।
পিউ রিসার্চ বলছে, লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল ছাড়া সব অঞ্চলেই বাড়বে মুসলমানদের সংখ্যা। ২০৫০ সালের মধ্যে ইউরোপের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ হয়ে যাবে মুসলিম।
বর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। বিশ্বের ৬২ শতাংশ মুসলিম এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান ও তুরস্কে।
বর্তমানে ভারতে প্রায় ৪০ কোটি মুসলিমের বাস। মুসলিম জনসংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে গত বছর থেকেই ভারতে চলছে নানা বিতর্ক। সেটি সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে গড়িয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ‘শেয়ার অব রিলিজিয়াস মাইনরিটিজ: অ্যা ক্রস-কান্ট্রি অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর শুরু হয় এই বিতর্ক।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়, ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হিন্দুদের জনসংখ্যা ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ কমেছে। ১৯৫০ সালে দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু জনগোষ্ঠী ছিল ৮৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ আর ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৭৮ দশমিক ০৬ শতাংশ। এ ছাড়া ১৯৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৮৪ শতাংশ ছিল মুসলমান আর ২০১৫ সালে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ দশমিক ০৯ শতাংশে।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৯৫০ সালের তুলনায় ভারতে মুসলমানদের জনসংখ্যা ৪৩ দশমিক ১৫ শতাংশ বেড়েছে।
প্রধান দুই ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর অনুপাতের এই পরিবর্তনের খবরে ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। সংখ্যায় হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে মুসলিমরা— এমন শঙ্কা থেকে বেড়ে যায় সাম্প্রদায়িক সংঘাত।
অবশ্য সরকারি প্রতিবেদনে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, সেটি প্রকৃতপক্ষে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার নয় বরং জনসংখ্যার মধ্যে হিন্দু আর মুসলমানের অনুপাতে কী পরিবর্তন এসেছে, সেটিই তুলে ধরা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।
অনেক বিশ্লেষকের মতে, বাস্তবতা হলো, দেশটিতে মুসলমানদের উচ্চ জন্মহার সত্ত্বেও হিন্দু ও মুসলিম জনসংখ্যার বিদ্যমান ব্যবধান ক্রমে বাড়ছে। মুসলমান জনসংখ্যা শিগগিরই হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে, এমন ধারণা যুক্তিসংগত নয়।
আরও খবর পড়ুন:
ভারত ও বাংলাদেশের আপত্তি উপেক্ষা করে আঞ্চলিক অভিন্ন নদ ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। আজ শনিবার তিব্বতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এই নদে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
৬ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্যস্ত একটি নাইট ক্লাবের বাইরে অপেক্ষারত মানুষের ভিড়ের ওপর গাড়ি উঠে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। শহরের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (১৯ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত দুইটার দিকে সান্তা মনিকা শহরের প্রশস্ত সড়কের পাশে
১ ঘণ্টা আগেপুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল কালাম ওরফে নেহা ১০ বছর বয়সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই দশক মুম্বাইয়ে কাটানোর পর তিনি ভোপালে থিতু হন। পুলিশের অভিযোগ, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় ধারণ করে স্থানীয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার...
৩ ঘণ্টা আগেদুর্গাপুরের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরাসরি অভিযোগ করেছেন, ‘তৃণমূল সরকার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিয়ে বাংলার সাংস্কৃতিক ও সামাজিক পরিচয় বিপন্ন করেছে।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, ‘দেশের সংবিধান অনুযায়ী যারা বেআইনি অনুপ্রবেশকারী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
৪ ঘণ্টা আগে