আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতে ইথানল উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা তেলবীজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে ভোজ্যতেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এ দেশটি নিজেদের ব্যয়বহুল আমদানি কমানোর যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা ব্যাহত হচ্ছে।
রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা ও ধান উৎপাদনে উৎসাহিত হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এখন এই শস্যগুলো ব্যবহার করে আরও বেশি ইথানল তৈরি করছে। লক্ষ্য, পেট্রলের সঙ্গে এই জৈব জ্বালানি ২০ শতাংশ মেশানো। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার একটি উপজাত হিসেবে তৈরি হয় ডিস্টিলারস ড্রাইড গ্রেইনস উইথ সলিউবলস (ডিডিজিএস), যা প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি উপাদান এবং এটি এখন পশুখাদ্যের বাজার সয়লাব করে দিয়েছে।
ডিডিজিএসের অতিরিক্ত উৎপাদন পশুখাদ্যে ব্যবহৃত তেলবীজের চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে, যার ফলে তেলবীজের দাম কমছে। এতে ভারতের কৃষকেরা সয়াবিন ও চীনাবাদামের বদলে ভুট্টা ও ধানের মতো শস্য বেশি করে চাষ করছেন। অথচ সরকার চাইছে তেলবীজ উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমাতে।
শিল্প খাতের কর্মকর্তাদের মতে, ভারতে ডিডিজিএস উৎপাদন গত দুই বছরে প্রায় ১৩ গুণ বেড়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টনে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আশীষ আচার্য বলেন, ‘ডিডিজিএস আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় পশুখাদ্য উৎপাদনকারীরা তেলবীজের বদলে ডিডিজিএস ব্যবহার করছে।’
সরকারি তথ্যও এই পরিবর্তনকে সমর্থন করে। ৮ আগস্ট পর্যন্ত তেলবীজ (সয়াবিন, চীনাবাদামসহ) চাষের জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমেছে, যেখানে ভুট্টার চাষ ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরের কৃষক মধুকর লন্ড জানান, সয়াবিন চাষের জমি ছয় একর থেকে কমিয়ে এক একর করেছেন তিনি। বাকি জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন। বাড়তি সুবিধা হিসেবে ভুট্টার ডাঁটা তাঁর পাঁচটি দুগ্ধবতী গরুর জন্য পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরাও একই রকম পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন।
তাঁদেরই একজন লনধে। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর সয়াবিনের দাম এতটাই কম ছিল, আমার উৎপাদন খরচও ওঠেনি। গত বছর ভুট্টা চাষে লাভ হয়েছিল। তাই আমি এবার আরও বেশি ভুট্টা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত বছর ভারত ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে। এই আমদানি-নির্ভরতা কমাতে দেশটি জোর প্রচেষ্টা চালালেও তেলবীজ চাষ কমে যাওয়ায় তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্য সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাজা খাবার ও মিষ্টির চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে দেশটিতে ভোজ্যতেলের ব্যবহার প্রতিবছর ৩-৪ শতাংশ হারে বাড়ছে।
গত দুই দশকে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ১৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল এবং আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।
ভারত সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোজ্যতেল উৎপাদন বর্তমানের ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা। এর ফলে চাহিদার প্রায় ৭২ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে।
বি ভি মেহতা বলেন, ডিডিজিএসের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে এই লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক ব্যবসায়ী জানান, ডিডিজিএসের কারণে সৃষ্ট সমস্যার ফলে আগামী ছয়-সাত বছরের মধ্যে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ২০ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
কুয়ালালামপুরের এক শীর্ষস্থানীয় পাম তেল উৎপাদনকারী কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের সরবরাহ সীমিত হচ্ছে, তাই ভারতের অতিরিক্ত আমদানি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে।
ভারতে ইথানল উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে কৃষকেরা তেলবীজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এর ফলে ভোজ্যতেলের সবচেয়ে বড় আমদানিকারক এ দেশটি নিজেদের ব্যয়বহুল আমদানি কমানোর যে চেষ্টা চালাচ্ছে, তা ব্যাহত হচ্ছে।
রেকর্ড পরিমাণ ভুট্টা ও ধান উৎপাদনে উৎসাহিত হয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার এখন এই শস্যগুলো ব্যবহার করে আরও বেশি ইথানল তৈরি করছে। লক্ষ্য, পেট্রলের সঙ্গে এই জৈব জ্বালানি ২০ শতাংশ মেশানো। কিন্তু এই প্রক্রিয়ার একটি উপজাত হিসেবে তৈরি হয় ডিস্টিলারস ড্রাইড গ্রেইনস উইথ সলিউবলস (ডিডিজিএস), যা প্রোটিনসমৃদ্ধ একটি উপাদান এবং এটি এখন পশুখাদ্যের বাজার সয়লাব করে দিয়েছে।
ডিডিজিএসের অতিরিক্ত উৎপাদন পশুখাদ্যে ব্যবহৃত তেলবীজের চাহিদা কমিয়ে দিচ্ছে, যার ফলে তেলবীজের দাম কমছে। এতে ভারতের কৃষকেরা সয়াবিন ও চীনাবাদামের বদলে ভুট্টা ও ধানের মতো শস্য বেশি করে চাষ করছেন। অথচ সরকার চাইছে তেলবীজ উৎপাদন বাড়িয়ে আমদানি কমাতে।
শিল্প খাতের কর্মকর্তাদের মতে, ভারতে ডিডিজিএস উৎপাদন গত দুই বছরে প্রায় ১৩ গুণ বেড়েছে এবং ২০২৫ সাল নাগাদ এর পরিমাণ প্রায় ৫৫ লাখ টনে পৌঁছাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ভারতের শীর্ষস্থানীয় সয়াবিন প্রক্রিয়াকরণ প্রতিষ্ঠান পতঞ্জলি ফুডস লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট আশীষ আচার্য বলেন, ‘ডিডিজিএস আমাদের জন্য মাথাব্যথার কারণ। এটি তুলনামূলকভাবে সস্তা হওয়ায় পশুখাদ্য উৎপাদনকারীরা তেলবীজের বদলে ডিডিজিএস ব্যবহার করছে।’
সরকারি তথ্যও এই পরিবর্তনকে সমর্থন করে। ৮ আগস্ট পর্যন্ত তেলবীজ (সয়াবিন, চীনাবাদামসহ) চাষের জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় ৪ শতাংশ কমেছে, যেখানে ভুট্টার চাষ ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।
পশ্চিম মহারাষ্ট্রের নাসিক শহরের কৃষক মধুকর লন্ড জানান, সয়াবিন চাষের জমি ছয় একর থেকে কমিয়ে এক একর করেছেন তিনি। বাকি জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছেন। বাড়তি সুবিধা হিসেবে ভুট্টার ডাঁটা তাঁর পাঁচটি দুগ্ধবতী গরুর জন্য পশুখাদ্য হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ওই এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলেছে। তাঁরাও একই রকম পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন।
তাঁদেরই একজন লনধে। তিনি বলেন, ‘গত দুই বছর সয়াবিনের দাম এতটাই কম ছিল, আমার উৎপাদন খরচও ওঠেনি। গত বছর ভুট্টা চাষে লাভ হয়েছিল। তাই আমি এবার আরও বেশি ভুট্টা লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
গত বছর ভারত ভোজ্যতেল আমদানিতে ১৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছে। এই আমদানি-নির্ভরতা কমাতে দেশটি জোর প্রচেষ্টা চালালেও তেলবীজ চাষ কমে যাওয়ায় তা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্য সলভেন্ট এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক বি ভি মেহতা জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং মানুষের আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাজা খাবার ও মিষ্টির চাহিদা বাড়ছে। এর ফলে দেশটিতে ভোজ্যতেলের ব্যবহার প্রতিবছর ৩-৪ শতাংশ হারে বাড়ছে।
গত দুই দশকে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন টন থেকে বেড়ে ২০২৩-২৪ সালে ১৬ মিলিয়ন টনে পৌঁছেছে। এর মধ্য দিয়ে ভারত বিশ্বের বৃহত্তম উদ্ভিজ্জ তেল আমদানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে। দেশটি ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল এবং আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে সয়াবিন ও সূর্যমুখী তেল আমদানি করে।
ভারত সরকারের লক্ষ্য, ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ ভোজ্যতেল উৎপাদন বর্তমানের ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন থেকে বাড়িয়ে ২৫ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন টনে উন্নীত করা। এর ফলে চাহিদার প্রায় ৭২ শতাংশ পূরণ করা সম্ভব হবে।
বি ভি মেহতা বলেন, ডিডিজিএসের উৎপাদন বৃদ্ধির কারণে এই লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লির এক ব্যবসায়ী জানান, ডিডিজিএসের কারণে সৃষ্ট সমস্যার ফলে আগামী ছয়-সাত বছরের মধ্যে ভারতের ভোজ্যতেল আমদানি ২০ মিলিয়ন টন ছাড়িয়ে যাবে বলে তিনি ধারণা করছেন।
কুয়ালালামপুরের এক শীর্ষস্থানীয় পাম তেল উৎপাদনকারী কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু বিশ্বব্যাপী ভোজ্যতেলের সরবরাহ সীমিত হচ্ছে, তাই ভারতের অতিরিক্ত আমদানি আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে।
দেশভাগ কোনো একক নেতার কাজ ছিল না। তিনটি প্রধান শক্তি একত্রে কাজ করেছে—জিন্নাহ যিনি পাকিস্তানের দাবি তুলেছিলেন, কংগ্রেস যারা অবশেষে বিভাজন মেনে নিয়েছিল এবং লর্ড মাউন্টব্যাটেন যিনি তা বাস্তবায়ন করেছিলেন।
৩৮ মিনিট আগেইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পে সহায়তা করছে চীন। এমনটাই দাবি করা হয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ইয়েদিয়োথ আরোনাথের এক প্রতিবেদনে। আর, ইরান-চীনের এই যৌথ উদ্যোগের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইসরায়েল। যদিও ইরান বা চীনের তরফ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য প্রকাশ করা হয়নি।
৪৪ মিনিট আগেবেতন নিয়ে কেবিন ক্রুদের ধর্মঘটে অচলাবস্থায় কানাডার সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন এয়ার কানাডা। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর আজ শনিবার ভোরে কর্মবিরতি শুরু করে কেবিন ক্রুরা। এতে করে ১ লাখেরও বেশি যাত্রীর ভ্রমণ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্য স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন ঘটার সাক্ষী হলো। আলাস্কার আর্দ্র বিকেলে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের প্রেসিডেন্ট একই স্থানে পা রাখলেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ১০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখলেন, আর তাঁকে স্বাগত জানালেন
১ ঘণ্টা আগে