Ajker Patrika

ভারত জোড়ো যাত্রায়ও দেখা গেল কংগ্রেসের বিভেদের ছবি

কলকাতা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২২, ১০: ২৯
ভারত জোড়ো যাত্রায়ও দেখা গেল কংগ্রেসের বিভেদের ছবি

দলকে চাঙা করতে বিজেপির বিরুদ্ধে বিভেদের রাজনীতির অভিযোগ তুলে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’য় নেমেছেন কংগ্রেসের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী। গতকাল বৃহস্পতিবার সেই পদযাত্রায় শামিল হন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট সোনিয়া গান্ধী। প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও অংশ নেবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। তবে এরই মধ্যে দলীয় রাজনীতিতে এই কর্মসূচি নিয়ে দেখা দিয়েছে বিভেদ। 

বাম শাসিত কেরালার পর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এখন বিজেপি শাসিত কর্ণাটকে। সামনের বছর দক্ষিণ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। গত নির্বাচনে কংগ্রেস হারলেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছিল। এবার বিজেপির পক্ষ থেকেও কঠিন লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে কর্ণাটকে। তাই প্রচারে বাড়তি শক্তি প্রয়োগ করতে চায় কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়ার সঙ্গে রাজ্য প্রদেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডিকে শিবশঙ্করের বিরোধ মেটাতে না পারলে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। কিন্তু বিরোধ মেটানোর কোনো চেষ্টাই চোখে পড়ছে না। ঘরের বিবাদের পাশাপাশি রয়েছে বিরোধী ঐক্যের প্রশ্ন। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়ার দল জেডিএস কর্ণাটকে বেশ শক্তিশালী। কংগ্রেসের সঙ্গে জেডিএসের জোট হবে কি না, তাও এখনো স্পষ্ট নয়। 

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের দাবি, ভারত জোড়ো আন্দোলন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তাই বিজেপি অপপ্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে কর্ণাটকের বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই কংগ্রেসের পদযাত্রাকে আমল দিতেই নারাজ। তাঁর দাবি, রাহুল-সোনিয়ার প্রচার বিন্দুমাত্র দাগ কাটতে পারেনি। 

 ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। আগামী বছরের মে মাসে এই রাজ্যের নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে পারে বলে বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে। ২২৪ সদস্যের কর্ণাটক বিধানসভায় বর্তমানে বিজেপির সদস্য রয়েছেন ১২০ জন। কংগ্রেসের ৬৯ এবং জেডিএসের ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন। তবে ভোটে বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৮০ এবং জেডিএস ৩৭ আসনে জয়ী হয়েছিল। দলবদলে দুই বিরোধী দলেরই শক্তি ক্ষয় হয়। 

বিরোধীদের অনৈক্য বিজেপিকে সুবিধা করে দিয়েছে। এবারও বিরোধী ঐক্য তো দূরের কথা, এখনো কংগ্রেসের নিজেদের দলীয় সংহতি অথৈ জলে। ভারত জুড়তে নামলেও রাহুল যে নিজের দলকে জুড়তে পারেননি, সেটা রাজ্যে রাজ্যে দলের বিরোধ থেকেই স্পষ্ট। দলের সভাপতি নির্বাচনের আগে ভারত জোড়ো যাত্রায়ও দলীয় কোন্দল আড়াল করতে ব্যর্থ রাহুল। 

এই অবস্থায় তরুণ প্রজন্মকে নিয়ে দলকে নতুন করে গড়ে তোলার স্বপ্ন ফেরি করছেন কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী শশী থারুর। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী মল্লিকার্জুন খাড়গে অবশ্য গান্ধী পরিবারের ভজনা করে ভোটে জেতার বিষয়ে আশাবাদী। এখন দেখার বিষয় আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচন ঘিরে নতুন কোনো চমক মঞ্চস্থ হয় কি না। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল, ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

পারভেজ হত্যায় অংশ নেয় ছাত্র, অছাত্র ও কিশোর গ্যাং সদস্য

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত