১৯৫০ সালের দিকে স্কলারশিপসহ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে অর্থনীতি (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁরপর তিনি আর্থিক সংকটে পড়েন, তখন কোনো কোনো দিন মাত্র ছয় পেন্সের ক্যাডবেরি চকলেট খেয়েই পুরো একটা দিন কাটাতেন। বাবার ছাত্র-জীবনে সংগ্রামের এই চিত্র এক বইতে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কন্যা দমন সিং।
‘স্ট্রিক্টলি পার্সোনাল: মনমোহন অ্যান্ড গুরশরন’ শিরোনামে বাবা-মার যৌথজীবনীতে তাঁদের কন্যা লিখেছেন, পড়াশোনার জন্য বছরে প্রায় ৬০০ পাউন্ডের প্রয়োজন ছিল মনমোহনের। কিন্তু পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেতেন মাত্র ১৬০ পাউন্ড। বাকি খরচের জন্য বাবার কাছে হাত পাততেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুই মিলত না।
দমন সিং লেখেন, ‘যখন বাড়ি থেকে টাকা পাঠাতে দেরি হতো, তখন তিনি খাবার খেতেন না। কখনো কখনো ছয় পেন্সের একটি ক্যাডবেরি চকলেট খেয়েই দিন কাটাতেন। কিন্তু বাবা কখনো ঋণ করেননি।’
একসময় তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু মদন লাল সুদানের কাছ থেকে সাহায্য নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনের পর তিনি মদন লালকে লিখেছিলেন, ‘আমার আর টাকার প্রয়োজন হবে না। আশা করি, আমি একটা বৃত্তি পাব।’
কেমব্রিজে থাকার সময় মনমোহন সিং খুব মিতব্যয়ী জীবনযাপন করতেন। তিনি ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ে মাত্র আড়াই শিলিং ভর্তুকি মূল্যে খাবার খেতেন। এর বাইরে কোনো খাবার খেতেন না; এমনকি ওয়াইনও পান করতেন না।
দমন সিং তাঁর বইয়ে লিখেছেন, তাঁর বাবা মাঝে মাঝে পারিবারিক পিকনিকে গান গাইতেন। তিনি ‘লাগতা নাহি হ্যায় জি মেরা’ এবং অমৃতা প্রিতমের কবিতা ‘আখান ওয়ারিশ শাহ নু...’ গাইতেন। ‘লাগতা নাহি হ্যায় জি মেরা’ গানটি দেশভাগ ও অমৃতা প্রিতমের কবিতাটি পাঞ্জাবের মর্মান্তিক পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের চাকওয়াল জেলায় অবস্থিত গ্রামের জীবনের দিনগুলো স্মরণ করতেন মনমোহন সিং। কন্যাদের সঙ্গে সেই সময়ের সরল জীবনের কথা তিনি প্রায়ই বলতেন। তবে কখনও সেখানে ফিরতে চাইতেন না। কিন্তু কেন তিনি জন্মস্থানে যেতে চান না, সেই প্রশ্নের দেশভাগে সময়কার বেদনাদায়ক স্মৃতির কথা তুলে ধরে মনমোহন বলেছিলেন, ‘না, আমি সেখানে ফিরে যেতে চাই না। সেখানে আমার দাদাকে হত্যা করা হয়েছিল।’
প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না মনমোহন সিং। তাই বিরোধীরা তাঁর নাম দিয়েছিল ‘মৌনমোহন’। তাঁর বিরুদ্ধে নীতিপঙ্গুত্ব বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নির্বিকার থাকার অভিযোগ উঠেছিল, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাকে। তবে রাজনীতির ভাষায় কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, তা জানতেন না সজ্জন মনমোহন। তাই অপবাদের প্রত্যুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছিলেন, ‘আশা করি ইতিহাস আমাকে অন্যভাবে মনে রাখবে। আমার প্রতি সদয় হবে।’
মনমোহন সিংয়ের জীবনের এই গল্প কেবল একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিকের গল্প নয়। তিনি সংগ্রামী, সাদামাটা ও মানবিক ব্যক্তিত্বের উদাহরণ। ব্যতিক্রমী রাজনীতিক হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মনমোহন সিং।
১৯৫০ সালের দিকে স্কলারশিপসহ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিলেন ভারতের সদ্যপ্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। ১৯৫৭ সালে তিনি প্রথম শ্রেণিতে অর্থনীতি (সম্মান) ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁরপর তিনি আর্থিক সংকটে পড়েন, তখন কোনো কোনো দিন মাত্র ছয় পেন্সের ক্যাডবেরি চকলেট খেয়েই পুরো একটা দিন কাটাতেন। বাবার ছাত্র-জীবনে সংগ্রামের এই চিত্র এক বইতে ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর কন্যা দমন সিং।
‘স্ট্রিক্টলি পার্সোনাল: মনমোহন অ্যান্ড গুরশরন’ শিরোনামে বাবা-মার যৌথজীবনীতে তাঁদের কন্যা লিখেছেন, পড়াশোনার জন্য বছরে প্রায় ৬০০ পাউন্ডের প্রয়োজন ছিল মনমোহনের। কিন্তু পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেতেন মাত্র ১৬০ পাউন্ড। বাকি খরচের জন্য বাবার কাছে হাত পাততেন। কিন্তু প্রায়ই কিছুই মিলত না।
দমন সিং লেখেন, ‘যখন বাড়ি থেকে টাকা পাঠাতে দেরি হতো, তখন তিনি খাবার খেতেন না। কখনো কখনো ছয় পেন্সের একটি ক্যাডবেরি চকলেট খেয়েই দিন কাটাতেন। কিন্তু বাবা কখনো ঋণ করেননি।’
একসময় তাঁর সবচেয়ে কাছের বন্ধু মদন লাল সুদানের কাছ থেকে সাহায্য নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনের পর তিনি মদন লালকে লিখেছিলেন, ‘আমার আর টাকার প্রয়োজন হবে না। আশা করি, আমি একটা বৃত্তি পাব।’
কেমব্রিজে থাকার সময় মনমোহন সিং খুব মিতব্যয়ী জীবনযাপন করতেন। তিনি ক্যাম্পাসের ডাইনিংয়ে মাত্র আড়াই শিলিং ভর্তুকি মূল্যে খাবার খেতেন। এর বাইরে কোনো খাবার খেতেন না; এমনকি ওয়াইনও পান করতেন না।
দমন সিং তাঁর বইয়ে লিখেছেন, তাঁর বাবা মাঝে মাঝে পারিবারিক পিকনিকে গান গাইতেন। তিনি ‘লাগতা নাহি হ্যায় জি মেরা’ এবং অমৃতা প্রিতমের কবিতা ‘আখান ওয়ারিশ শাহ নু...’ গাইতেন। ‘লাগতা নাহি হ্যায় জি মেরা’ গানটি দেশভাগ ও অমৃতা প্রিতমের কবিতাটি পাঞ্জাবের মর্মান্তিক পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দেয়।
পাকিস্তানের পাঞ্জাবের চাকওয়াল জেলায় অবস্থিত গ্রামের জীবনের দিনগুলো স্মরণ করতেন মনমোহন সিং। কন্যাদের সঙ্গে সেই সময়ের সরল জীবনের কথা তিনি প্রায়ই বলতেন। তবে কখনও সেখানে ফিরতে চাইতেন না। কিন্তু কেন তিনি জন্মস্থানে যেতে চান না, সেই প্রশ্নের দেশভাগে সময়কার বেদনাদায়ক স্মৃতির কথা তুলে ধরে মনমোহন বলেছিলেন, ‘না, আমি সেখানে ফিরে যেতে চাই না। সেখানে আমার দাদাকে হত্যা করা হয়েছিল।’
প্রয়োজন ছাড়া কথা বলতেন না মনমোহন সিং। তাই বিরোধীরা তাঁর নাম দিয়েছিল ‘মৌনমোহন’। তাঁর বিরুদ্ধে নীতিপঙ্গুত্ব বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে নির্বিকার থাকার অভিযোগ উঠেছিল, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় তাকে। তবে রাজনীতির ভাষায় কীভাবে প্রতিবাদ করতে হয়, তা জানতেন না সজ্জন মনমোহন। তাই অপবাদের প্রত্যুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছিলেন, ‘আশা করি ইতিহাস আমাকে অন্যভাবে মনে রাখবে। আমার প্রতি সদয় হবে।’
মনমোহন সিংয়ের জীবনের এই গল্প কেবল একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ ও রাজনীতিকের গল্প নয়। তিনি সংগ্রামী, সাদামাটা ও মানবিক ব্যক্তিত্বের উদাহরণ। ব্যতিক্রমী রাজনীতিক হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মানের আসনে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন মনমোহন সিং।
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশের পর তাদের ২৫টি ত্রাণের গাড়ি ঘিরে ফেলে ‘ক্ষুধার্ত গাজাবাসী’। এরপরেই সেখানে গুলি ছোড়া হয়। ডব্লিউএফপির বিবৃতিতে বলা হয়, সহায়তা চাওয়া বেসামরিকদের ওপর হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
২৭ মিনিট আগেনেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী গত রাতে অসুস্থ বোধ করেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি অন্ত্রের প্রদাহ এবং পানিশূন্যতায় ভুগছেন। এর জন্য তাঁকে শিরায় ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে।
৩৪ মিনিট আগেপানির গাড়ি আসার শব্দ শুনলেই প্রতিদিন ৪২ বছর বয়সী রাহিলা বালতি আর কনটেইনার নিয়ে ছুটে যান রাস্তায়। কারণ দেরি করলে কিছুই জুটবে না। তিনি বলেন, ‘পানি পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটা এখন আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন।’
১ ঘণ্টা আগেভারতের শীর্ষস্থানীয় ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন-ডিসিএক্স একটি বড়সড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৫৩৩ কোটি টাকার বেশি।
২ ঘণ্টা আগে