Ajker Patrika

মস্কো-পিয়ংইয়ং সরাসরি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু হলো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে ঘনিষ্ঠতা আরও এক ধাপ এগোল। আজ রোববার মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে নিয়মিত উড়োজাহাজ চলাচল চালু করল রাশিয়া। রুশ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নর্ডউইন্ড এয়ারলাইনস পরিচালিত এই রুটে প্রতি মাসে একটি করে ফ্লাইট চলবে।

মস্কোর শেরেমেতেভো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করা প্রথম ফ্লাইটটিতে ছিলেন ৪০০ জনেরও বেশি যাত্রী। যদিও এটি নিয়মিত রুট হিসেবে চালু করা হয়েছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এর নেপথ্যে রয়েছে কূটনৈতিক সম্পর্কের নতুন মাত্রা।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার নতুন সমুদ্রসৈকত পর্যটনকেন্দ্র ‘ওয়নসান-কালমা’ সফর করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। সেখানে কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠকের সময় তিনি রুশ পর্যটকদের ওই রিসোর্টে ভ্রমণে উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই অবকাঠামো ঘিরেই পর্যটনের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের চেষ্টা করছেন কিম।

প্রায় ২০ হাজার পর্যটকের ধারণক্ষম রিসোর্টটি কিম জং উনের ‘অর্থনৈতিক মুক্তির প্রকল্প’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চাপে থাকা উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি মহামারিজনিত বিধিনিষেধ ধীরে ধীরে শিথিল করছে এবং সীমান্ত পুনরায় খুলতে শুরু করেছে। তবে আন্তর্জাতিক পর্যটন পুরোপুরি চালুর বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

এর আগেও ২০২৩ সালে রাশিয়ার ভ্লাদিভোস্টক ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে আকাশপথে যোগাযোগ পুনরায় শুরু হয়েছিল। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল ওই পথ।

তবে আকাশপথে এই যোগাযোগকে কেবল পর্যটনের প্রসার হিসেবে দেখছেন না বিশ্লেষেকরা। তাঁদের মতে, সাম্প্রতিক সময়ে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নিজেদের বন্ধুত্বকে আরও শক্তিশালী করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মত তাদের। ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পিয়ংইয়ং রাশিয়াকে অস্ত্র ও লোকবল সহায়তা দিচ্ছে—যা আন্তর্জাতিক পরিসরে নতুন উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউরোপ ‘ক্ষয়িষ্ণু’ ন্যাটো আমাকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে: ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে অভিবাসন এবং ইউক্রেন ইস্যুতে ‘ক্ষয়িষ্ণু’ এবং ‘দুর্বল’ বলে তীব্র নিন্দা করেছেন। পাশাপাশি তিনি গর্বভরে বলেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটো তাঁকে ‘ড্যাডি’ বলে ডাকে। তাঁর অবস্থান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পুরোনো মিত্রদের মধ্যকার ফাটলকে আরও গভীর করেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে রাশিয়ার আক্রমণ সত্ত্বেও নির্বাচন করার আহ্বান জানান এবং বলেন যে মস্কোই ‘সুবিধা পাচ্ছে।’

গত সপ্তাহে ট্রাম্পের প্রশাসনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে শীর্ষ মার্কিন অংশীদারদের ওপর অস্বাভাবিক সমালোচনার পর, এই মন্তব্যগুলো আরও জোরালো হয়েছে, যেখানে ইউরোপে সভ্যতার ‘বিলুপ্তি’ সম্পর্কে কট্টর-ডানপন্থি শব্দ পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে।

সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প পলিটিকোকে বলেন, ‘বেশিরভাগ ইউরোপীয় জাতি এখন ক্ষয়িষ্ণু।’

৭৯ বছর বয়সী এই বিলিয়নিয়ারের রাজনৈতিক উত্থান অভিবাসীদের নিয়ে উস্কানিমূলক ভাষার উপর ভিত্তি করে হয়েছিল। ইউরোপের অভিবাসন ইস্যুতে তিনি বলেন, ইউরোপের অভিবাসী নীতি একটি ‘বিপর্যয়।’

ট্রাম্প বলেন, ‘তারা রাজনৈতিকভাবে শুদ্ধ হতে চায়, এবং এটিই তাদের দুর্বল করে তোলে। এটাই তাদের দুর্বল করে তোলে’ এবং যোগ করেন, ইউরোপের নেতাদের মধ্যে ‘কিছু সত্যিকারের বোকাও’ আছেন।

ইউক্রেন ইস্যুতে ইউরোপীয় দেশগুলোরও সমালোচনা করেন ট্রাম্প। একটি মার্কিন পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমবর্ধমান মতপার্থক্যের মধ্যে এই সমালোচনা আসে, যে পরিকল্পনাটি নিয়ে ইউরোপের অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে এর ফলে কিয়েভকে রাশিয়ার কাছে অঞ্চল হস্তান্তর করতে বাধ্য করা হবে। রাশিয়া ২০২২ সালে দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণ শুরু করেছিল।

সামরিক জোট ন্যাটোর নেতা মার্ক রুট একটি শীর্ষ সম্মেলনে ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বানে সমর্থন জানালে তিনি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘ন্যাটো আমাকে ড্যাডি বলে ডাকে’ ট্রাম্প এই কথাটি উল্লেখ করেন কিন্তু তিনি আরও যোগ করেন, ‘তারা কথা বলে কিন্তু কাজ করে না। এবং যুদ্ধ চলতেই থাকে।’

জানুয়ারিতে ট্রাম্পের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর থেকে ইউরোপীয় নেতারা তাঁকে তোয়াজ করার চেষ্টা করছেন, বিশেষ করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন বজায় রাখার জন্য।

ট্রাম্পের এই সাক্ষাৎকারটি গত সপ্তাহে মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলের কারণে ইউরোপীয় রাজধানীগুলিতে যে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছিল তা আরও বাড়িয়ে দেবে। ঐ কৌশলে অভিবাসন নিয়ে ইউরোপে ‘প্রতিরোধ গড়ে তোলার’ আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং তথাকথিত ‘সভ্যতার বিলুপ্তি’ নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এর কিছু অংশ ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট থিওরির’ উপাদানগুলোকে প্রতিফলিত করে, যা কট্টর-ডানপন্থিদের এবং ট্রাম্পের সাবেক মিত্র ইলন মাস্ক ব্যাপকভাবে প্রচারিত করে থাকেন। এই তত্ত্বে বলা হয় অভিযোগ, শ্বেতাঙ্গ জনসংখ্যাকে প্রতিস্থাপন করার জন্য একটি ষড়যন্ত্র চলছে।

পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড এবং সুইডেনসহ দেশগুলি অভিবাসনের কারণে ‘ধ্বংস’ হচ্ছে।

তিনি লন্ডনের প্রথম মুসলিম মেয়র ‘ভয়ঙ্কর, বিদ্বেষপূর্ণ, জঘন্য’ সাদিক খানের উপরও নতুন করে আক্রমণ করেন। খান পলিটিকোকে বলেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে নিয়ে ‘মোহাবিষ্ট’ এবং বলেছিলেন যে মার্কিন নাগরিকরা লন্ডনে থাকার জন্য ‘ভিড় করছে।’

ইউক্রেন এবং জেলেনস্কিকেও ট্রাম্প কঠোর শব্দবাণে বিদ্ধ করেন ট্রাম্প। জানুয়ারিতে তিনি জেলেনস্কিকে ‘নির্বাচনবিহীন একনায়ক’ বলেছিলেন এবং ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তাঁকে তিরস্কার করেছিলেন, যার পর জেলেনস্কির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সর্বশেষ এই উত্থান-পতন দেখা গেল।

ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি নির্বাচন করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তারা নির্বাচন না করার জন্য যুদ্ধকে ব্যবহার করছে।’ ট্রাম্প বলেন, "এটা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছায় যেখানে এটা আর গণতন্ত্র থাকে না।"

ইউক্রেনে নির্বাচন মার্চ ২০২৪-এ হওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারির কারণে তা স্থগিত করা হয়েছে। দেশটির প্রায় ২০ শতাংশ এলাকা দখলের অধীনে রয়েছে।

যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন পরিকল্পনার খসড়ায় নতুন নির্বাচন অন্তর্ভুক্ত ছিল। তিনি জেলেনস্কির বিরুদ্ধে মার্কিন পরিকল্পনা না পড়ার দাবিও পুনর্ব্যক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘এটা ভালো হবে যদি তিনি এটা পড়েন। আপনারা জানেন, অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে।’

শীর্ষ মার্কিন আলোচকরা গত সপ্তাহে মস্কোতে পুতিনের সাথে দেখা করেছেন, তারপর ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সাথে কয়েকদিন ধরে আলোচনা করেছেন, কিন্তু কোনো স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি। ট্রাম্পের মন্তব্যের জবাবে জেলেনস্কি মঙ্গলবার বলেছেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তিনি ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইউরোপের নেতাদের দুর্বল আখ্যা ট্রাম্পের—ইউক্রেনকে সমর্থন কমানোর ইঙ্গিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে ‘জীর্ণ’ এবং তাদের নেতাদের ‘দুর্বল’ আখ্যায়িত করেছেন। পলিটিকো-কে দেওয়া এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রয়োজন হলে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন কমিয়ে দিতে পারে।

ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় নেতারা অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারেননি। তাঁর ভাষায়, ইউরোপ শুধু কথা বলে কিন্তু বাস্তব ফল আনতে পারে না।

ট্রাম্প দাবি করেন, ইউরোপীয়রা ইউক্রেনকে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে দিচ্ছে যতক্ষণ না তারা ভেঙে পড়ে।

এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ট্রাম্পের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। লন্ডন জানিয়েছে—নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় ইউরোপ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির ওপর চাপ বাড়ান এবং তাঁকে চুক্তিতে আসতে বলেন। এই চুক্তিতে রাশিয়ার কাছে কিছু ভূখণ্ড ছাড়ার ইঙ্গিত রয়েছে। তবে জেলেনস্কি আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন কোনো ভূমি ছাড়বে না। শিগগিরই ইউরোপের নেতাদের সহযোগিতায় তিনি একটি সংশোধিত শান্তি পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে উপস্থাপন করবেন।

জেলেনস্কি সামাজিক মাধ্যমে জানান, ইউক্রেন ও ইউরোপ মিলে যুদ্ধ শেষ করতে প্রয়োজনীয় সব দিক নিয়ে কাজ করছে এবং এই পরিকল্পনা তারা যুক্তরাষ্ট্রকে দেখানোর জন্য প্রস্তুত।

সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও দাবি করেন, মতাদর্শগত বিভাজন এখন যুক্তরাষ্ট্রের জোটকে দুর্বল করছে। তাঁর মতে, অনেক ইউরোপীয় নেতা পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হবে তা জানেন না এবং অতিরিক্ত ‘রাজনৈতিক শুদ্ধতার’ মধ্যে আটকে আছেন।

ট্রাম্পের এই সমালোচনা ঠিক এমন এক সময়ে এসেছে, যখন লন্ডনে ইউরোপীয় নেতারা ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ থামাতে একসঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

এদিকে ট্রাম্প প্রশাসন সদ্য প্রকাশ করেছে ৩৩ পৃষ্ঠার নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল। রাশিয়া এই কৌশলকে স্বাগত জানিয়েছে এবং বলেছে এটি মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে বেশ সামঞ্জস্যপূর্ণ।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস মন্তব্য করেছেন, কৌশলটির কিছু অংশ গ্রহণযোগ্য হলেও অন্য অংশগুলো ইউরোপ প্রত্যাখ্যান করছে। তাঁর মতে, ইউরোপের গণতন্ত্র রক্ষার দায়িত্ব ইউরোপেরই।

ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য ইউক্রেন যুদ্ধের কূটনৈতিক পথকে আরও জটিল করে তুলেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

১০ কোটি ডলারের সরকারি বাড়িতে উঠছেন মামদানি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত
গ্রেসি ম্যানশন ১৭৯৯ সালে নির্মিত, ১৯৪০-এর দশক থেকে এটি নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি অবশেষে তাঁর নতুন ঠিকানা নিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন। গতকাল সোমবার তিনি নিশ্চিত করেছেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী রামা দুয়াজি আগামী জানুয়ারিতে গ্রেসি ম্যানশনে চলে যাচ্ছেন। গত সপ্তাহ পর্যন্তও মামদানি সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, তিনি তাঁর ভবিষ্যতের বাসস্থান সম্পর্কে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি।

তবে গতকাল এক বিবৃতিতে মামদানি জানান, তিনি তাঁর ঠিকানা বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ নেওয়ার অন্যতম কারণ হলো তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা। এর পাশাপাশি গ্রেসি ম্যানশনে থাকার ফলে তিনি নিউইয়র্কবাসীর জন্য তাঁর ‘অ্যাফোর্ডেবিলিটি অ্যাজেন্ডা’ (সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন ও জীবনযাত্রা) বাস্তবায়নে আরও ভালোভাবে মনোযোগ দিতে পারবেন।

মামদানি বলেন, ‘সিদ্ধান্তটি এসেছে আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও নিউইয়র্কবাসী যে অ্যাজেন্ডার জন্য আমাকে ভোট দিয়েছেন, তার কথা ভেবে। এখন নিউইয়র্কবাসীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের দিকেই আমার মনোযোগ থাকবে।’

ম্যানহাটনে স্থানান্তরের প্রস্তুতি হিসেবে মামদানি তাঁর কুইন্সের ভাড়া বাড়ি অ্যাস্টোরিয়াকে বিদায় জানান। তিনি বলেন, অ্যাস্টোরিয়ার সব স্মৃতি তাঁর কাজের মধ্যে সব সময় জীবিত থাকবে। মাসে ২ হাজার ৩০০ ডলার ভাড়া দিয়ে এই বাড়িতে থাকতেন জোহরান মামদানি।

অন্যদিকে, গ্রেসি ম্যানশন নির্মিত হয় ১৭৯৯ সালে। এর মূল্য প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডলার। ঐতিহাসিক বাড়িটি ১৯৪০-এর দশক থেকে নিউইয়র্ক সিটির মেয়রদের সরকারি বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ২২৬ বছরের পুরোনো গ্রেসি ম্যানশন ১১ হাজার বর্গফুটের একটি প্রাসাদ। এটি ম্যানহাটনের ইয়র্কভিল নেবারহুডে ইস্ট অ্যান্ড এভিনিউয়ের ৮৮-স্ট্রিটে অবস্থিত।

প্রসঙ্গত, জোহরান মামদানি আগামী ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)
রাওয়ালপিন্ডিতে জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির ঊর্ধ্বতন সামরিক নেতৃত্বের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ছবি: আইএসপিআর (পাকিস্তান)

পাকিস্তান শান্তিপ্রিয় জাতি—এ কথা উল্লেখ করে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধান ও সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির বলেছেন, পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব বা ভৌগোলিক অখণ্ডতা পরীক্ষার কোনো সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যেকোনো আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের পাল্টা আঘাত হবে আগের চেয়ে ‘আরও দ্রুত ও মারাত্মক’। তিনি ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, তারা যেন হুঁশে থাকে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে (জিএইচকিউ) গার্ড অব অনারের পর সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। তিনি বলেন, পাকিস্তান শান্তির পক্ষে, তবে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনো হুমকি বা চ্যালেঞ্জ বরদাশত করা হবে না।

চলতি বছরের ৭ মে ভারত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে অপারেশন সিঁদুর নামে একটি অভিযান চালায়। ভারতের দাবি, তারা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘জঙ্গি অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে এই অভিযান চালিয়েছে।

এই অভিযানের পর দুই দেশের মধ্যে চার দিনের তীব্র সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ১০ মে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার বিষয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়। পাকিস্তান এ সংঘাত বন্ধে ট্রাম্পকে কৃতিত্ব দেয়। তবে ভারত বলে, এখানে ট্রাম্পের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ফিল্ড মার্শাল মুনির তাঁর ভাষণে পুনরায় বলেন, পাকিস্তান শান্তিকামী হলেও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা বা সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।

আফগানিস্তানকে ঘিরে উত্তেজনার প্রসঙ্গে আসিম মুনির বলেন, কাবুলের তালেবান সরকারকে স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তালেবানদের এখন বেছে নিতে হবে—ফিতনা আল-খাওয়ারিজ (টিটিপি) নাকি পাকিস্তান।

গত বছর পাকিস্তান সরকার নিষিদ্ধ তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানকে (টিটিপি) ‘ফিতনা আল-খাওয়ারিজ’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এ ছাড়া বেলুচিস্তানভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে তারা ‘ফিতনা আল হিন্দুস্তান’ বলে উল্লেখ করে থাকে। পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, মূলত ভারতের মদদপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে বোঝাতেই এই শব্দ ব্যবহার করা হয়।

ফিল্ড মার্শাল মুনির বলেন, সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিফেন্স ফোর্সেস হেডকোয়ার্টার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষাকাঠামোর একটি মৌলিক পরিবর্তনের প্রতীক। তিনি বলেন, বর্ধিত ও পরিবর্তনশীল হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তিন বাহিনীর সমন্বিত নেতৃত্বে বহুমাত্রিক সামরিক সক্ষমতা আরও উন্নত করা জরুরি। প্রতিটি বাহিনী তাদের নিজস্ব স্বাতন্ত্র্য ও প্রস্তুতি বজায় রাখবে আর সিডিএফ সদর দপ্তর তিন বাহিনীর যৌথ অভিযান সমন্বয় করবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তান বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল জহির আহমেদ বাবর সিদ্দু, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নাভেদ আশরাফ ও তিন বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

গত সপ্তাহে পাঁচ বছরের মেয়াদে দেশের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে আসিম মুনিরের নিয়োগসংক্রান্ত সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে পাকিস্তান সরকার। তিনি সেনাপ্রধানের দায়িত্বও একযোগে পালন করবেন।

সিডিএফ পদটি গঠিত হয়েছে গত মাসে পাস হওয়া ২৭তম সাংবিধানিক সংশোধনী এবং পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনী সংশোধনী বিল, ২০২৫-এর ভিত্তিতে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে খুন: অভিযুক্ত গৃহকর্মীর আসল নাম-পরিচয় শনাক্ত

পূর্বাঞ্চলে ট্রেনের ভাড়া বাড়ল সর্বোচ্চ ২১৪ টাকা

ইতালির লিওনার্দো এসপিএ থেকে জঙ্গি বিমান কিনছে বাংলাদেশ

ভারত যেন হুঁশে থাকে, এবার পাল্টা আঘাত হবে দ্রুত ও মারাত্মক—পাকিস্তানের সিডিএফ হয়েই আসিম মুনিরের গর্জন

হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে শপথ নিলেন এনায়েত হোসেন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত