
দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে মাস্কের এই সমর্থন গত ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এএফডির দ্বিতীয় স্থান অর্জনে খুব সামান্য ভূমিকা রেখেছে। মাস্কের পোস্ট, জনমত জরিপের তথ্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করে রয়টার্স।
তবে টেসলার সিইও মাস্ককে এতে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি ইউরোপজুড়ে এখনো ডানপন্থী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রভাব সম্ভবত টেসলার ক্ষতি। তবে এর পেছনে মাস্কের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থাকতে পারে। যেমন এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করা, যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে মাস্কের প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনের পথে বাধা হবে না।
এই প্রতিবেদন তৈরির সময় ইলন মাস্ক এবং টেসলার কাছে মন্তব্যের অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত জানুয়ারিতে মাস্ক ইউরোপের ‘নিয়মকানুন ও আমলাতন্ত্রের স্তূপ’ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা তাঁকে নিষেধাজ্ঞা দিলে মাস্ক এক্সে একটি মিম পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যেখানে ‘ট্রপিক থান্ডার’ সিনেমার একটি উদ্ধৃতি ছিল, ‘টেক আ বিগ স্টেপ ব্যাক অ্যান্ড লিটারেলি, ফাক ইউর ওউন ফেস!’
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে এএফডিকে একটি সন্দেহভাজন উগ্রবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তা সত্ত্বেও দলটি গত মাসের নির্বাচনে জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। জার্মানির নাৎসি অতীতের কারণে উগ্র ডানপন্থার ওপর ঐতিহাসিকভাবে যে কলঙ্ক লেগে আছে, তা সত্ত্বেও এই উত্থান তাৎপর্যপূর্ণ। দলটির একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ গত বছর একটি মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নাৎসিদের প্রধান আধা সামরিক বাহিনী এসএস ‘পুরোপুরি অপরাধী ছিল না’।
এদিকে গত ৯ জানুয়ারি ইলন মাস্ক এক্সে এএফডি নেত্রী অ্যালিস ভাইডেলের সাক্ষাৎকার প্রচার করেন।
এএফডির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনার দৃষ্টান্ত। যা থেকে বোঝা যায়, জনতুষ্টিবাদী উগ্র ডানপন্থী দলগুলো ইউরোপে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য পাচ্ছে। একসময় রাজনৈতিক প্রান্তিক অবস্থানে থাকা এই দলগুলো এখন ইতালি, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, ফিনল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ায় সরকার চালাচ্ছে অথবা সরকার গঠনে অংশীদার হচ্ছে। সুইডেন, অস্ট্রিয়া ও জার্মানির পার্লামেন্টেও তারা বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং ফ্রান্সেও জনমত সমীক্ষায় তাদের সমর্থন বাড়ছে। এ ছাড়া রোমানিয়া, বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালেও উগ্র ডানপন্থার সমর্থন বাড়ছে।
উচ্চ অভিবাসন, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং বাক্স্বাধীনতার ওপর অনুভূত সীমাবদ্ধতা—তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে। আর মাস্ক তাঁর ‘এক্সে’ এই বিষয়গুলোকেই বেশি করে তুলে ধরছেন।
রয়টার্স ২০ হাজারের বেশি পোস্ট ও রিপোস্ট পর্যালোচনায় দেখেছে, ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গত নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করার পর থেকে ইউরোপীয় রাজনীতিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
মাস্ক ব্রিটেন, ইতালি ও রোমানিয়ার ডানপন্থী ব্যক্তিত্বদের ‘এক্সে’ প্রচার করেছেন এবং রাজনৈতিক নেতা ও ইইউর সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মাস্ক যখন জার্মানিতে এএফডিকে প্রথম স্পষ্টভাবে সমর্থন করেন, তখন রয়টার্সের জনমত সমীক্ষা অনুসারে দলটির সমর্থন ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। তারা নির্বাচনে ভোট পেয়েছে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ।
রয়টার্সের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, এই সংখ্যাগুলো থেকে বোঝা যায়, মাস্কের সমর্থনে নির্বাচনের ওপর খুব কম প্রভাব পড়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তান থেকে আসা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দ্বারা জার্মানিতে তিনটি সহিংস হামলার ঘটনাও এএফডিকে সাহায্য করতে পারে, যারা অভিবাসীদের গণবহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু বিশ্লেষকদের মধ্যে দুজন মনে করেন, মাস্ক কিছু ভোটারের মধ্যে—বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে দলটির আকর্ষণ বাড়িয়েছেন, যা আগামী নির্বাচনে তাদের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসতে পারে।
জার্মানির ডব্লিউএইচইউ—অটো বেইশিম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের কৌশল ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ার মার্টিন ফাসনাখট বলেন, ‘তিনি (মাস্ক) এএফডিকে কিছুটা হলেও আকর্ষণীয় ও উদ্ভাবনী দেখাতে সাহায্য করেছেন।’
তবে মাস্কের উগ্র ডানপন্থী দলের প্রতি উৎসাহ সম্ভবত টেসলার জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। ইউরোপীয় অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিইএ) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ইউরোপে টেসলার বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কমে গেছে। অথচ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিক্রি ৩৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইউরোপে বিক্রির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, টেসলার এই পতন অব্যাহত রয়েছে। চারটি করপোরেট-কার ফ্লিট ম্যানেজার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের শোরুমে টেসলার বিক্রি আগের মতোই আছে। কোথাও কমেছে। তবে এই অবস্থা কঠিন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরু থেকে এক্সে মাস্কের পোস্ট ও রিপোস্টগুলো পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। এতে দেখা গেছে, নভেম্বরে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে ২৫০ বিলিয়নের বেশি ডলার অনুদান দেওয়ার পর তিনি ইউরোপের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। কারাবন্দী এক উগ্র ডানপন্থী কর্মীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং ‘রিফর্ম’ নামক একটি ডানপন্থী দলের সমর্থন করেছেন। যাঁরা ট্রাম্পের মতোই অভিবাসন কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন ব্যয় ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছে।
মাস্ক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাঁরা উভয়েই অভিবাসন এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে কম জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি মেলোনি ইলন মাস্ককে ‘মূল্যবান জিনিয়াস’ বলে অভিহিত করেছেন।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসির বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়ান টাম্বিনি বলেন, ইউরোপের জনমতকে প্রভাবিত করার ‘অসীম ক্ষমতা’ রয়েছে এক্সের মতো মার্কিন টেক প্ল্যাটফর্মগুলোর।
টাম্বিনি বলেন, ‘এটা অসম্ভব নয় যে তিনি (মাস্ক) যেকোনো দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন করে দিতে পারেন। এর ফলে ইইউর অভ্যন্তরে ক্ষমতার ভারসাম্যেরও সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটতে পারে।’
ফরাসি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসমা মহাল্লা বলেন, ইউরোপীয় সরকারগুলো মাস্কের ক্রমবর্ধমান খ্যাতি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি বলেন, ‘মাস্কের লক্ষ্য ইউরোপীয় নীতিকে দুর্বল করা এবং আমেরিকার আধিপত্য বিস্তার করা।’
তবে আমেরিকার ইউরোপ নীতিতে মাস্কের ভূমিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস।
ইউরোপের সমালোচনায় মাস্ক প্রায়শই এক্সে যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করেন। যার মধ্যে বেনামি অ্যাকাউন্টগুলোও থাকে। যেগুলো তাঁকে ট্যাগ করে এবং তিনি ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য পরিচিত কিছু অ্যাকাউন্ট থেকেও বিভিন্ন তথ্য প্রচার করেন।
রয়টার্সের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মাস্কের বেশির ভাগ পোস্ট গণ-অভিবাসন এবং তথাকথিত বাক্স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। তিনি ইউরোপের কম জন্মহার এবং ট্রান্সজেন্ডার নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন। মাস্ক ঐতিহ্যবাহী মিডিয়া, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের পাশ কাটিয়ে বরং কট্টর ডানপন্থী কিছু অ্যাকাউন্টের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।
এ ধরনের একটি অ্যাকাউন্ট হলো পিটার সুইডেন-৭। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার পিটার ইমানুয়েলসেন এই অ্যাকাউন্ট চালান। এই ইমানুয়েলসেন ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় আল-কায়েদার হামলাকে ‘ইনসাইড জব’ এবং চাঁদে অবতরণকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
মাস্ক অন্তত অর্ধডজন বিভ্রান্তিকর পোস্টে ইমানুয়েলসেনকে প্রচার করেছেন। গত জানুয়ারিতে তিনি ইমানুয়েলসেনের একটি পোস্ট রিপোস্ট করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ফেসবুক পোস্টের জন্য এক ব্যক্তিকে ২০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবে ওই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া একটি হোটেলে হামলার জন্য লোকজনকে উসকানি দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু মাস্ক বিষয়টি যাচাই করেননি, এমনকি তাঁর পোস্টে উল্লেখও করেননি।
ইউরোপের বিষয়ে মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেটি হলো টমি রবিনসন নামের একজন ডানপন্থী আন্দোলনকারীর। যিনি প্রতারণা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁর আসল নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন। লন্ডনের একটি আদালতের আদেশ অমান্য করায় বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী।
মাস্ক এই রবিনসনের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং একটি মিথ্যা পোস্ট রিপোস্ট করেছেন। যেখানে রবিনসনকে ‘রাজনৈতিক বন্দী’ বলা হয়েছে। অন্যদিকে রবিনসনের অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২০ জানুয়ারির একটি পোস্টে বলা হয়েছিল, বিলিয়নিয়ার মাস্ক তাঁর আইনি খরচের কিছু অংশ পরিশোধ করছেন।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে রয়টার্স রবিনসনের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মের্ট ক্যান বায়ার মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, মাস্কের কাছে এই অ্যাকাউন্টগুলোর মালিকেরা ডানপন্থীদের যুদ্ধের পদাতিক সৈনিক। যেখানে একদিকে আছে সীমাবদ্ধতা আরোপকারী বামপন্থী রাজনীতিবিদ এবং অন্যদিকে বাক্স্বাধীনতার পক্ষে থাকা ডানপন্থীরা।
ইউরোপীয় রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব এখনো অস্পষ্ট। তবে তাঁর সক্রিয়তা টেসলার ক্ষতি করছে বলেই মনে হচ্ছে। ২০২৪ সালে টেসলার বিক্রি কমেছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে সামগ্রিকভাবে গাড়ির বাজার মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
জানুয়ারির শেষের দিকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি পর্যালোচনা ওয়েবসাইটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ৫৯ শতাংশ মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে ইচ্ছুক। তবে তারা মাস্কের কারণে টেসলা কিনবেন না। তারা ‘টেসলাটেকডাউন’ ও ‘স্বস্তিকার’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেও এক্সে টেসলাবিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন।
ব্রিটেনের একটি কমিউনিকেশনস ও মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম চালান বেন কিলবি। তিনি তিন বছর ধরে টেসলার ওয়াই মডেল চালাচ্ছেন। তবে মাস্কের কারণে এখন সেটি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন। কিলবি বলেন, ‘আমি আমার টেসলাকে ভালোবাসি, এর প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি মাস্কের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না।’

দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
রয়টার্সের এক বিশ্লেষণে উঠে এসেছে মাস্কের এই সমর্থন গত ২৩ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে এএফডির দ্বিতীয় স্থান অর্জনে খুব সামান্য ভূমিকা রেখেছে। মাস্কের পোস্ট, জনমত জরিপের তথ্য এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে এই বিশ্লেষণ করে রয়টার্স।
তবে টেসলার সিইও মাস্ককে এতে দমিয়ে রাখা যায়নি। তিনি ইউরোপজুড়ে এখনো ডানপন্থী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এর সবচেয়ে দৃশ্যমান প্রভাব সম্ভবত টেসলার ক্ষতি। তবে এর পেছনে মাস্কের ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য থাকতে পারে। যেমন এমন রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করা, যারা ভবিষ্যতে ক্ষমতায় এলে মাস্কের প্রযুক্তি বা উদ্ভাবনের পথে বাধা হবে না।
এই প্রতিবেদন তৈরির সময় ইলন মাস্ক এবং টেসলার কাছে মন্তব্যের অনুরোধ করা হয়েছিল। তবে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
গত জানুয়ারিতে মাস্ক ইউরোপের ‘নিয়মকানুন ও আমলাতন্ত্রের স্তূপ’ নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। এর আগে গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা তাঁকে নিষেধাজ্ঞা দিলে মাস্ক এক্সে একটি মিম পোস্ট করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যেখানে ‘ট্রপিক থান্ডার’ সিনেমার একটি উদ্ধৃতি ছিল, ‘টেক আ বিগ স্টেপ ব্যাক অ্যান্ড লিটারেলি, ফাক ইউর ওউন ফেস!’
জার্মানির অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা এরই মধ্যে এএফডিকে একটি সন্দেহভাজন উগ্রবাদী গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। তা সত্ত্বেও দলটি গত মাসের নির্বাচনে জার্মানির বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে উঠে এসেছে। জার্মানির নাৎসি অতীতের কারণে উগ্র ডানপন্থার ওপর ঐতিহাসিকভাবে যে কলঙ্ক লেগে আছে, তা সত্ত্বেও এই উত্থান তাৎপর্যপূর্ণ। দলটির একজন জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ গত বছর একটি মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নাৎসিদের প্রধান আধা সামরিক বাহিনী এসএস ‘পুরোপুরি অপরাধী ছিল না’।
এদিকে গত ৯ জানুয়ারি ইলন মাস্ক এক্সে এএফডি নেত্রী অ্যালিস ভাইডেলের সাক্ষাৎকার প্রচার করেন।
এএফডির ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়া একটি ঘটনার দৃষ্টান্ত। যা থেকে বোঝা যায়, জনতুষ্টিবাদী উগ্র ডানপন্থী দলগুলো ইউরোপে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য পাচ্ছে। একসময় রাজনৈতিক প্রান্তিক অবস্থানে থাকা এই দলগুলো এখন ইতালি, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া, ফিনল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়ায় সরকার চালাচ্ছে অথবা সরকার গঠনে অংশীদার হচ্ছে। সুইডেন, অস্ট্রিয়া ও জার্মানির পার্লামেন্টেও তারা বৃহত্তম বা দ্বিতীয় বৃহত্তম দল এবং ফ্রান্সেও জনমত সমীক্ষায় তাদের সমর্থন বাড়ছে। এ ছাড়া রোমানিয়া, বেলজিয়াম, স্পেন ও পর্তুগালেও উগ্র ডানপন্থার সমর্থন বাড়ছে।
উচ্চ অভিবাসন, অর্থনৈতিক স্থবিরতা এবং বাক্স্বাধীনতার ওপর অনুভূত সীমাবদ্ধতা—তাদের জনপ্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করেছে। আর মাস্ক তাঁর ‘এক্সে’ এই বিষয়গুলোকেই বেশি করে তুলে ধরছেন।
রয়টার্স ২০ হাজারের বেশি পোস্ট ও রিপোস্ট পর্যালোচনায় দেখেছে, ইলন মাস্ক ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গত নভেম্বরে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করার পর থেকে ইউরোপীয় রাজনীতিতে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
মাস্ক ব্রিটেন, ইতালি ও রোমানিয়ার ডানপন্থী ব্যক্তিত্বদের ‘এক্সে’ প্রচার করেছেন এবং রাজনৈতিক নেতা ও ইইউর সিনিয়র কর্মকর্তাদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর মাস্ক যখন জার্মানিতে এএফডিকে প্রথম স্পষ্টভাবে সমর্থন করেন, তখন রয়টার্সের জনমত সমীক্ষা অনুসারে দলটির সমর্থন ছিল মাত্র ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ। তারা নির্বাচনে ভোট পেয়েছে ২০ দশমিক ৮ শতাংশ।
রয়টার্সের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে তিনজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন, এই সংখ্যাগুলো থেকে বোঝা যায়, মাস্কের সমর্থনে নির্বাচনের ওপর খুব কম প্রভাব পড়েছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য ও আফগানিস্তান থেকে আসা সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের দ্বারা জার্মানিতে তিনটি সহিংস হামলার ঘটনাও এএফডিকে সাহায্য করতে পারে, যারা অভিবাসীদের গণবহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
কিন্তু বিশ্লেষকদের মধ্যে দুজন মনে করেন, মাস্ক কিছু ভোটারের মধ্যে—বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের কাছে দলটির আকর্ষণ বাড়িয়েছেন, যা আগামী নির্বাচনে তাদের জন্য ভালো ফল নিয়ে আসতে পারে।
জার্মানির ডব্লিউএইচইউ—অটো বেইশিম স্কুল অব ম্যানেজমেন্টের কৌশল ও মার্কেটিং বিভাগের চেয়ার মার্টিন ফাসনাখট বলেন, ‘তিনি (মাস্ক) এএফডিকে কিছুটা হলেও আকর্ষণীয় ও উদ্ভাবনী দেখাতে সাহায্য করেছেন।’
তবে মাস্কের উগ্র ডানপন্থী দলের প্রতি উৎসাহ সম্ভবত টেসলার জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। ইউরোপীয় অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এসিইএ) তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারিতে ইউরোপে টেসলার বিক্রি আগের বছরের তুলনায় ৪৫ শতাংশ কমে গেছে। অথচ তাদের প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিক্রি ৩৭ শতাংশের বেশি বেড়েছে।
ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে ইউরোপে বিক্রির পরিসংখ্যান থেকে দেখা যায়, টেসলার এই পতন অব্যাহত রয়েছে। চারটি করপোরেট-কার ফ্লিট ম্যানেজার রয়টার্সকে জানিয়েছেন, তাদের শোরুমে টেসলার বিক্রি আগের মতোই আছে। কোথাও কমেছে। তবে এই অবস্থা কঠিন সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরু থেকে এক্সে মাস্কের পোস্ট ও রিপোস্টগুলো পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স। এতে দেখা গেছে, নভেম্বরে ট্রাম্পকে হোয়াইট হাউসে ফিরিয়ে আনতে ২৫০ বিলিয়নের বেশি ডলার অনুদান দেওয়ার পর তিনি ইউরোপের দিকে মনোযোগ দিয়েছেন।
তিনি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সমালোচনা করেছেন। কারাবন্দী এক উগ্র ডানপন্থী কর্মীর মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং ‘রিফর্ম’ নামক একটি ডানপন্থী দলের সমর্থন করেছেন। যাঁরা ট্রাম্পের মতোই অভিবাসন কমানো এবং জলবায়ু পরিবর্তন ব্যয় ত্যাগ করার অঙ্গীকার করেছে।
মাস্ক ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। তাঁরা উভয়েই অভিবাসন এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে কম জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সম্প্রতি মেলোনি ইলন মাস্ককে ‘মূল্যবান জিনিয়াস’ বলে অভিহিত করেছেন।
লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকসের মিডিয়া ও কমিউনিকেশনস রেগুলেশন অ্যান্ড পলিসির বিশেষজ্ঞ ড্যামিয়ান টাম্বিনি বলেন, ইউরোপের জনমতকে প্রভাবিত করার ‘অসীম ক্ষমতা’ রয়েছে এক্সের মতো মার্কিন টেক প্ল্যাটফর্মগুলোর।
টাম্বিনি বলেন, ‘এটা অসম্ভব নয় যে তিনি (মাস্ক) যেকোনো দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তন করে দিতে পারেন। এর ফলে ইইউর অভ্যন্তরে ক্ষমতার ভারসাম্যেরও সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটতে পারে।’
ফরাসি রাজনৈতিক বিশ্লেষক আসমা মহাল্লা বলেন, ইউরোপীয় সরকারগুলো মাস্কের ক্রমবর্ধমান খ্যাতি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’। তিনি বলেন, ‘মাস্কের লক্ষ্য ইউরোপীয় নীতিকে দুর্বল করা এবং আমেরিকার আধিপত্য বিস্তার করা।’
তবে আমেরিকার ইউরোপ নীতিতে মাস্কের ভূমিকা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি হোয়াইট হাউস।
ইউরোপের সমালোচনায় মাস্ক প্রায়শই এক্সে যাচাই না করা তথ্য শেয়ার করেন। যার মধ্যে বেনামি অ্যাকাউন্টগুলোও থাকে। যেগুলো তাঁকে ট্যাগ করে এবং তিনি ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য পরিচিত কিছু অ্যাকাউন্ট থেকেও বিভিন্ন তথ্য প্রচার করেন।
রয়টার্সের পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মাস্কের বেশির ভাগ পোস্ট গণ-অভিবাসন এবং তথাকথিত বাক্স্বাধীনতার বিরুদ্ধে। তিনি ইউরোপের কম জন্মহার এবং ট্রান্সজেন্ডার নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন। মাস্ক ঐতিহ্যবাহী মিডিয়া, রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদদের পাশ কাটিয়ে বরং কট্টর ডানপন্থী কিছু অ্যাকাউন্টের প্রতি বেশি মনোযোগ দিয়েছেন।
এ ধরনের একটি অ্যাকাউন্ট হলো পিটার সুইডেন-৭। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার পিটার ইমানুয়েলসেন এই অ্যাকাউন্ট চালান। এই ইমানুয়েলসেন ২০০১ সালের সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় আল-কায়েদার হামলাকে ‘ইনসাইড জব’ এবং চাঁদে অবতরণকে ‘ভুয়া’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
মাস্ক অন্তত অর্ধডজন বিভ্রান্তিকর পোস্টে ইমানুয়েলসেনকে প্রচার করেছেন। গত জানুয়ারিতে তিনি ইমানুয়েলসেনের একটি পোস্ট রিপোস্ট করেন। যেখানে বলা হয়েছিল, ফেসবুক পোস্টের জন্য এক ব্যক্তিকে ২০ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অথচ বাস্তবে ওই ব্যক্তি তাঁর পোস্টে উদ্বাস্তুদের আশ্রয় দেওয়া একটি হোটেলে হামলার জন্য লোকজনকে উসকানি দিয়েছিলেন। তাই তাঁকে সাজা দেওয়া হয়। কিন্তু মাস্ক বিষয়টি যাচাই করেননি, এমনকি তাঁর পোস্টে উল্লেখও করেননি।
ইউরোপের বিষয়ে মাস্ক যে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, সেটি হলো টমি রবিনসন নামের একজন ডানপন্থী আন্দোলনকারীর। যিনি প্রতারণা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাঁর আসল নাম স্টিফেন ইয়াক্সলি-লেনন। লন্ডনের একটি আদালতের আদেশ অমান্য করায় বর্তমানে তিনি কারাগারে বন্দী।
মাস্ক এই রবিনসনের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং একটি মিথ্যা পোস্ট রিপোস্ট করেছেন। যেখানে রবিনসনকে ‘রাজনৈতিক বন্দী’ বলা হয়েছে। অন্যদিকে রবিনসনের অ্যাকাউন্ট থেকে গত ২০ জানুয়ারির একটি পোস্টে বলা হয়েছিল, বিলিয়নিয়ার মাস্ক তাঁর আইনি খরচের কিছু অংশ পরিশোধ করছেন।
বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে রয়টার্স রবিনসনের আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তবে তিনি কোনো সাড়া দেননি।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মের্ট ক্যান বায়ার মাস্কের সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেন, মাস্কের কাছে এই অ্যাকাউন্টগুলোর মালিকেরা ডানপন্থীদের যুদ্ধের পদাতিক সৈনিক। যেখানে একদিকে আছে সীমাবদ্ধতা আরোপকারী বামপন্থী রাজনীতিবিদ এবং অন্যদিকে বাক্স্বাধীনতার পক্ষে থাকা ডানপন্থীরা।
ইউরোপীয় রাজনীতিতে মাস্কের প্রভাব এখনো অস্পষ্ট। তবে তাঁর সক্রিয়তা টেসলার ক্ষতি করছে বলেই মনে হচ্ছে। ২০২৪ সালে টেসলার বিক্রি কমেছে ১০ দশমিক ৮ শতাংশ। যেখানে সামগ্রিকভাবে গাড়ির বাজার মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
জানুয়ারির শেষের দিকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি পর্যালোচনা ওয়েবসাইটের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের ৫৯ শতাংশ মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে ইচ্ছুক। তবে তারা মাস্কের কারণে টেসলা কিনবেন না। তারা ‘টেসলাটেকডাউন’ ও ‘স্বস্তিকার’ হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেও এক্সে টেসলাবিরোধী প্রচার চালাচ্ছেন।
ব্রিটেনের একটি কমিউনিকেশনস ও মার্কেট ইন্টেলিজেন্স ফার্ম চালান বেন কিলবি। তিনি তিন বছর ধরে টেসলার ওয়াই মডেল চালাচ্ছেন। তবে মাস্কের কারণে এখন সেটি বিক্রি করে দিতে চাচ্ছেন। কিলবি বলেন, ‘আমি আমার টেসলাকে ভালোবাসি, এর প্রযুক্তিকে ভালোবাসি। কিন্তু আমি মাস্কের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না।’

তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

ভারতের মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় একটি হাসপাতালে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এক নারী চিকিৎসক ‘আত্মহত্যা’ করেছেন। গত পাঁচ মাসে পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) তাঁকে চারবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করে গেছেন তিনি।
ওই চিকিৎসক এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ বাঁ হাতের তালুতে লিখে গেছেন।
ওই চিকিৎসক লিখেছেন, বাদনের লাগাতার হয়রানিই তাঁকে নিজের জীবন দিতে বাধ্য করেছে। এ ছাড়া আরও এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রশান্ত বাংকারের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ হাতে লিখে যান ওই নারী।
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, সাতারা জেলায় ফাল্টান মহকুমা হাসপাতালে মেডিকেল কর্মকর্তা ছিলেন ওই চিকিৎসক। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে গত ১৯ জুন ফাল্টান সাবডিভিশনাল অফিসের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশকে (ডিএসপি) লেখা এক চিঠিতে একই ধরনের অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক ফাল্টান গ্রামীণ পুলিশ বিভাগের দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ আনেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানান।
চিঠিতে তিনি গোপাল বাদনে, সাবডিভিশনাল পুলিশ ইন্সপেক্টর পাটিল ও অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর লাদপুত্রের নাম উল্লেখ করেন।
চিঠিতে ওই চিকিৎসক বলেছিলেন, ‘চরম মানসিক চাপের মধ্যে আছি। অনুরোধ করছি, গুরুতর বিষয়টি তদন্ত করা হোক এবং দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
একাধিক সূত্র বলছে, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশের নির্দেশে গোপাল বাদনেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে গতকাল রাতের এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ মহারাষ্ট্রজুড়ে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস নেতা বিজয় নামদেভরাও ওয়াদেত্তিবার এ ঘটনায় ক্ষমতাসীন সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে বিজয় নামদেভরাও বলেন, ‘যখন রক্ষকই ভক্ষক হয়! পুলিশের কাজ হলো সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু তারাই যদি একজন নারী চিকিৎসককে নির্যাতন করে, ন্যায়বিচার তাহলে কীভাবে হবে? মেয়েটি যখন অভিযোগ করেছিল, তখন কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলো না? রাজ্য সরকার বারবার পুলিশকে আড়াল করছে। ফলে পুলিশের নৃশংসতা বাড়ছে।’

দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
০৫ মার্চ ২০২৫
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
সভা শেষে প্রকাশিত ইশতেহারে চীনের পরবর্তী পঞ্চবার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মূল দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে। এই ইশতেহার থেকে চীনের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি, সামরিক শুদ্ধি অভিযান এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির ক্ষেত্রে তিনটি প্রধান বার্তা পাওয়া যায়।
ধারণার চেয়েও বড় হতে পারে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান
প্লেনাম বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটির ২০৫ জন সদস্যের মধ্যে মাত্র ১৬৮ জনের উপস্থিতি চীন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে জল্পনা বাড়িয়েছে। প্লেনামের মতো গুরুত্বপূর্ণ সভায় গুরুতর কারণ ছাড়া এতো নেতার অনুপস্থিতি স্বাভাবিক নয়। জানা গেছে, একজন সদস্যের মৃত্যু এবং ১০ জন বহিষ্কারের পরও ২৬ জন ক্যাডার অনুপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, অনুপস্থিত ছিলেন কয়েক ডজন ‘বিকল্প’ প্রতিনিধি। এই বৃহৎ অনুপস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে, পার্টির অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা পরিদর্শন দলগুলোর সর্বশেষ ‘দুর্নীতি বিরোধী’ অভিযানে সরকারিভাবে ঘোষিত সংখ্যার চেয়েও অনেক বেশি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অপসারিত হয়েছেন।
সেনাবাহিনীতেও চিত্রটি অত্যন্ত স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদমর্যাদার ৩৩ জন জেনারেলের মধ্যে ২২ জন প্লেনামে যোগ দেননি। যদিও ৮ জনের অপসারণ আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে, বাকি ১৪ জনের অনুপস্থিতি রহস্যজনক।
এই ঘটনাকে সি চিনপিংয়ের শক্তি না দুর্বলতা হিসেবে দেখা হবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে বিতর্ক চলছে। এটি কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ক্ষমতার কেন্দ্রগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন একজন নেতার পদক্ষেপ, নাকি পদমর্যাদা নির্বিশেষে অন্যায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত একজন দৃঢ় নেতার ইঙ্গিত? তবে একটি বিষয় স্পষ্ট—পার্টির পক্ষ থেকে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে এই অভিযান থামবে না। কেন্দ্রীয় নীতি গবেষণা কার্যালয়ের পরিচালক জিয়াং জিনকুয়ান জানিয়েছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবিচল দৃঢ়তা বজায় রাখা হবে, এর কোনো শেষ সীমা নেই।
প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে চীনের ঝোঁক
ইশতেহারে চীনের অর্থনৈতিক উন্নয়নে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তা হলো ‘বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত স্বয়ংসম্পূর্ণতার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি’ অর্জন করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্য বিরোধের কারণে চীন বিশেষত কম্পিউটার চিপ এবং উন্নত সফটওয়্যার-এর মতো অত্যাধুনিক প্রযুক্তির জন্য অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছে। সিপিসি-র এই পদক্ষেপের মূল কথা হলো: কোনো বিষয়ে সন্দেহ থাকলে, তা নিজেদেরই তৈরি করতে হবে।
সিপিসি নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াও এটিকে স্পষ্ট করে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণতা’ শব্দ উল্লেখ করে বলেছে, ‘দেশকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বৃহত্তর স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও শক্তি অর্জন করতে হবে এবং নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তির বিকাশ ঘটাতে হবে।’ সি চিনপিংয়ের এই ‘নতুন গুণগত উৎপাদনশীল শক্তি’ সামরিক প্রয়োগসহ উচ্চ-স্তরের প্রযুক্তিগত অগ্রগতিকে বোঝায়, যা বেসরকারি খাত, রাষ্ট্রায়ত্ত উদ্যোগ এবং পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) মধ্যে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গড়ে উঠবে। এর মূল লক্ষ্য হলো—আমেরিকান নির্ভরতা ছাড়াই উন্নত প্রযুক্তি তৈরি করা।

স্থানীয় জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আরেকটি বড় প্রভাব হলো রপ্তানি বাজার হারানো। চীন ঐতিহ্যগতভাবে রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এটি অর্থনীতির জন্য একটি কঠিন ধাক্কা। অর্থনীতিবিদেরা দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শ দিচ্ছিলেন যে চীনকে অভ্যন্তরীণ ভোগ বা ব্যয়ের ওপর বেশি জোর দিয়ে অর্থনীতিকে পুনর্গঠন করতে হবে।
আমেরিকান শুল্কের কারণে চীনে তৈরি পণ্যের রপ্তানি কিছুটা কমেছে। এই ভূ-রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে, চীন এখন তার বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজারের দিকে মনোযোগ দিতে চাচ্ছে। ইশতেহার অনুযায়ী, দেশে একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরি করতে হবে এবং উন্নয়নের একটি নতুন প্যাটার্ন তৈরি করতে দ্রুত কাজ করতে হবে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, আবাসন সংকট এবং উচ্চ বেকারত্বের কারণে যখন জনগণ সঞ্চয় করতে বেশি আগ্রহী, তখন তাদের কীভাবে বেশি ব্যয় করতে উৎসাহিত করা হবে—সে বিষয়ে এই বৈঠকে কোনো সুনির্দিষ্ট নতুন ধারণা উঠে আসেনি। একটি শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ বাজার তৈরির কথা বলা হলেও, বাস্তবে তা কার্যকর করতে কী পদক্ষেপের প্রয়োজন সেটি স্পষ্ট নয়।
সূত্র: বিবিসি

দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
০৫ মার্চ ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গোপনে ঠিকাদার হিসেবে অন্য প্রতিষ্ঠানে কাজ করার অভিযোগে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩৯ বছর বয়সী মেহুল গোস্বামী নামের ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে করদাতাদের অর্থ অপচয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
তদন্ত সূত্রে জানা যায়, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ইনফরমেশন টেকনোলজি সার্ভিসেসের জন্য দূর থেকে কাজ করতেন মেহুল। এটিই ছিল তাঁর মূল চাকরি। কিন্তু পাশাপাশি ২০২২ সালের মার্চ থেকে সেমিকন্ডাক্টর কোম্পানি গ্লোবালফাউন্ড্রিজে ঠিকাদার হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
একটি বেনামি ই-মেইল থেকে বিষয়টি ফাঁস হলে মেহুলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক লুসি ল্যাং বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সততার সঙ্গে জনগণের সেবা করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। মেহুল গোস্বামীর এহেন আচরণ সেই আস্থার গুরুতর লঙ্ঘন। সরকারি চাকরিতে থাকার সময় দ্বিতীয় পূর্ণকালীন চাকরি করা সরকারি সম্পদ ও করদাতার অর্থের অপব্যবহার।
১৫ অক্টোবর সারাটোগা কাউন্টি শেরিফ কার্যালয় মেহুলকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণ হলে সর্বোচ্চ ১৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
০৫ মার্চ ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ অক্টোবর দক্ষিণ কোরিয়ায় এক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে নিশ্চিত করেছে হোয়াইট হাউস।
বিশ্বের বৃহৎ দুই অর্থনীতির দেশের এই দুই নেতার বৈঠকের প্রস্তুতি কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছিল। তবে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকায় বৈঠক আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল।
বৈঠকটি হলে তা হবে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় ফেরার পর দুই নেতার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট গতকাল বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বলা হচ্ছে, দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠক হবে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) সম্মেলনের ফাঁকে, যা ৩১ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় শহর গিয়ংজুতে অনুষ্ঠিত হবে।
ট্রাম্প এরই মধ্যে বলেছেন, ‘আমাদের বেশ দীর্ঘ বৈঠকের সময়সূচি রয়েছে। আমরা আমাদের অনেক প্রশ্ন ও সন্দেহ মিটিয়ে নিতে পারব এবং একসঙ্গে আমাদের বিশাল সম্ভাবনাগুলো নিয়ে কাজ করতে পারব। আমার মনে হয়, কোনো না কোনো সমাধান পাওয়া যাবে। আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন আলোচনাকে ঘিরে আজ শুক্রবার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও।
ওয়াং ওয়েনতাও বলেন, আগের আলোচনাগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, দুই পক্ষের উদ্বেগের সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্পূর্ণ সম্ভব এবং এতে চীন-যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের সুস্থ, স্থিতিশীল ও টেকসই উন্নয়ন সম্ভব হবে।

দুই মাস ধরে টেক মোগল ইলন মাস্ক জার্মানির উগ্র ডানপন্থী দল ‘অলটারনেটিভ ফর জার্মানি’কে (এএফডি) সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে প্রকাশ্যে সমর্থন দিয়েছেন। তিনি দলটির পক্ষে প্রচারণার জন্য ৭০টির বেশি পোস্ট দিয়েছেন। তাঁর ২১৯ মিলিয়ন ফলোয়ারকে বলেছেন, এই দলই জার্মানির ‘একমাত্র ভরসা’।
০৫ মার্চ ২০২৫
তাঁর হাতে লেখা ছিল, ‘পুলিশ ইন্সপেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর কারণ। সে আমাকে চারবার ধর্ষণ করেছে। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে সে আমাকে ধর্ষণ করেছে। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছে।’
১৪ মিনিট আগে
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) চার দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় কমিটির প্লেনাম (পূর্ণাঙ্গ সভা) শেষ হলো গতকাল বৃহস্পতিবার। এই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন দলের সাধারণ সম্পাদক প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং।
২০ মিনিট আগে
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের পুলিশের মহাপরিদর্শকের কার্যালয় এবং সারাটোগা কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ের যৌথ তদন্তে জানা গেছে, মেহুলের এই অবৈধ কার্যকলাপের ফলে করদাতাদের ৫০ হাজার ডলার (প্রায় ৪০ লাখ রুপি) অপব্যবহার হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে