Ajker Patrika

রাশিয়ার দখল নিয়ে টুইটারে ভোটের ডাক ইলন মাস্কের, পাল্টা ভোট জেলেনস্কির

আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ০৮
রাশিয়ার দখল নিয়ে টুইটারে ভোটের ডাক ইলন মাস্কের, পাল্টা ভোট জেলেনস্কির

টুইটারে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সম্পর্কিত অযাচিত পরামর্শ দেওয়ার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিসহ ইউক্রেনের অন্যান্য নাগরিকদের নিন্দার শিকার হয়েছেন টেসলা ও স্পেসএক্সের মালিক ইলন মাস্ক।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে রাশিয়ার অধিভুক্ত অঞ্চলগুলোতে পুনরায় গণভোট হতে হবে, ২০১৪ সালে মস্কোর দখল করা ক্রিমিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, ক্রিমিয়ার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং সেই সঙ্গে এই ব্যাপারে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ থাকতে হবে— জানিয়ে একটি টুইট করেছেন ইলন মাস্ক।

টুইটারে মাস্ক তাঁর ১০ কোটি ৭৭ লাখ ফলোয়ারের উদ্দেশে ইউক্রেনে রাশিয়ার অধিকৃত অঞ্চল নিয়ে ভোটাভুটির আহ্বান জানিয়েছেন।

এর জবাবে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি পাল্টা পোস্ট দিয়ে আরেক ভোটের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিটি ইউক্রেনকে সমর্থন জানালে তাঁকে মানুষ আরও ভালোবাসবে কি না— এর ওপর ভোট হওয়া উচিত।

টুইটারে ভোটের ডাক দিয়ে গতকাল সোমবার ইলন তাঁর টুইটে ফলোয়ারদের উদ্দেশে আরও লিখেছেন, ‘হ্যাঁ বা না ভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া ও দনবাসে থাকা জনগণই সিদ্ধান্ত নিক তারা কোন দেশের অংশ হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেবে।’ 

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধ করতে এটিই তাঁর ‘শান্তি পরিকল্পনা’। 

ইউক্রেনে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মাস্ক বলেন, রাশিয়া এখন আংশিক সেনা মোতায়েন করছে। এর মধ্যে ক্রিমিয়া যদি কোনোভাবে ঝুঁকির মুখে পড়ে তাহলে তারা সামগ্রিক যুদ্ধের দিকে ঝুঁকবে। এতে উভয় পক্ষে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটবে।

‘রাশিয়ার জনসংখ্যা ইউক্রেনের তিন গুণের বেশি। তার মানে রাশিয়া সামগ্রিক যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনের বিজয় অনিশ্চিত। আপনি যদি ইউক্রেনের জনগণের কথা ভাবনে তাহলে শান্তি স্থাপনের কথা ভাবুন।’ যোগ করেন ইলন মাস্ক। একই সঙ্গে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কাও করেছেন তিনি।

এই টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইলন মাস্ককে উদ্দেশ করে টুইটার পোস্ট করে বলেছেন, ‘আপনিই বলুন আপনার কাছে কোনটি পছন্দের, যারা রাশিয়াকে সমর্থন করছে নাকি যারা ইউক্রেনকে সমর্থন করছে?’ 

উল্লেখ্য, পোস্টটিতে ভোটের অপশন রাখা হয়েছিল। 

এদিকে লিথুনিয়ার প্রেসিডেন্ট গীতানাস নওসেদা ইলনের এই টুইটার পোস্টের জবাবে লিখেছেন, ‘যখন কেউ আপনার (ইলন মাস্কের) টেসলা গাড়ির চাকা খুলে নিয়ে যায় তখন কিন্তু সেই ব্যক্তি কোনোভাবেই আপনার গাড়ি বা চাকার বৈধ মালিক হিসেবে গণ্য হবে না। যদিও তারা দাবি করে যে তারা উভয়ই এর পক্ষে ভোট দিয়েছে।’ 

এ বিষয়ে ইলন টুইটারে জানান, ‘জনগণ ইচ্ছা করলে রাশিয়াকে ইউক্রেন থেকে হটানো সম্ভব হবে। রাশিয়ার জনসংখ্যা ইউক্রেনের মোট জনসংখ্যার তিন গুণেরও বেশি। সে ক্ষেত্রে এই যুদ্ধে ইউক্রেনের জয়লাভের সম্ভাবনা খুবই কম। আপনারা যদি ইউক্রেনের জনগণকে রক্ষা করতে চান, তাহলে শান্তিপূর্ণ পন্থা অবলম্বনই শ্রেয়।’ 

এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের ফলে ইন্টারনেট ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়ে পড়লে ইলন মাস্ক বলেছিলেন, স্পেসএক্সের স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিভিন্ন টার্মিনালের মাধ্যমে ইউক্রেনে পৌঁছে দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিহারে এক কোটি চাকরি, লাখপতি দিদি তৈরি করবে মোদির জোট

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত
বিহারে এনডিএ জোটের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতারা। ছবি: সংগৃহীত

বিহার বিধানসভা নির্বাচন সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপির এনডিএ জোট তাদের ইশতেহার প্রকাশ করেছে। ভোটের প্রথম ধাপের এক সপ্তাহও বাকি নেই। ঠিক এই সময়ে এসে এই ইশতেহারে এক কোটি সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। ভারতের যে রাজ্য থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ কাজের খোঁজে অন্যান্য রাজ্যে যায়, সেখানে এই ঘোষণা বিশাল আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

ইশতেহারে নারীর ক্ষমতায়নকেও দেওয়া হয়েছে বিশেষ গুরুত্ব। এক কোটি নারীকে ‘লক্ষ্মী দিদি’ বা বছরে এক লাখ টাকা আয়ের উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। পাশাপাশি চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।

এনডিএ জোট আরও জানিয়েছে, ৫০ লাখ নতুন পাকা ঘর তৈরি, বিনা মূল্যে রেশন, ১২৫ ইউনিট ফ্রি বিদ্যুৎ, ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিনা মূল্যে চিকিৎসা এবং প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন দেওয়া হবে।

বিহারের রাজধানী পাটনায় আজ শুক্রবার সকালে বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা ও মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার যৌথভাবে এনডিএ–এর ‘সংকল্প পত্র’ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বিজেপি, জেডিইউ, চিরাগ পাসওয়ানের এলজেপি ও অন্যান্য দলীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।

ইশতেহারে প্রধান প্রতিশ্রুতি—চাকরি। এনডিএ বলেছে, আবার ক্ষমতায় এলে রাজ্যের প্রতিটি যুবককে দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিতে ‘স্কিল সেনসাস’ চালু করা হবে। প্রতিটি জেলায় স্থাপিত হবে ‘মেগা স্কিল সেন্টার।’ এ ছাড়া, রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে তৈরি হবে ‘স্পোর্টস সিটি’ ও ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’।

‘মুখ্যমন্ত্রীর নারী কর্মসংস্থান প্রকল্পে’ নারীদের দেওয়া হবে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা। এক কোটি নারীকে বছরে এক লাখ আয়ের উপযুক্ত করতে ‘লক্ষ্মী দিদি’ প্রকল্প চালু হবে। পাশাপাশি ‘মিশন কোটিপতি’ উদ্যোগের মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের কোটি টাকার ব্যবসায় উন্নীত করার লক্ষ্য নিয়েছে এনডিএ।

রাজ্যে সাতটি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ ও ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার রেলপথ আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা রয়েছে। পাটনা, দারভাঙ্গা, পূর্ণিয়া ও ভাগলপুরে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং চারটি শহরে মেট্রো নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে জোট। এ ছাড়া, প্রতিটি জেলায় ১০টি করে নতুন শিল্পপার্ক ও অন্তত ১০০টি এমএসএমই পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ৫০ হাজার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে।

প্রতিরক্ষা করিডর, সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং পার্ক, বিশ্বমানের মেডিসিটি ও প্রতিটি জেলায় মেডিকেল কলেজ গড়ার অঙ্গীকারও করেছে এনডিএ। পাশাপাশি বিহারকে দক্ষিণ এশিয়ার টেক্সটাইল ও সিল্ক হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।

সব ফসলের জন্য এমএসপি নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতির পাশাপাশি নতুন ‘কারপুরি ঠাকুর কৃষক সম্মান নিধি’ প্রকল্প চালু হবে। এর আওতায় কৃষকেরা পাবেন অতিরিক্ত ৩ হাজার টাকা, অর্থাৎ বছরে মোট ৯ হাজার টাকা। জেলেদের সহায়তাও বাড়ানো হবে ৯ হাজার টাকায়। কৃষি পরিকাঠামো উন্নয়নে ১ লাখ কোটি টাকার বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।

রাজ্যে তৈরি হবে ‘এডুকেশন সিটি’। বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস খোলার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে এনডিএ। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য ‘কেজি থেকে পিজি’ পর্যন্ত বিনা মূল্যে ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। স্কুলে মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি দেওয়া হবে পুষ্টিকর সকালের নাশতা।

তফসিলি জাতির (এসসি) শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি উপবিভাগে আবাসিক স্কুল খোলা হবে। উচ্চশিক্ষায় অধ্যয়নরত এসসি শিক্ষার্থীদের মাসে ২ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে। অনগ্রসর শ্রেণির (ইবিসি) শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত সহায়তা দেওয়া হবে।

সীতার জন্মস্থানকে ‘সীতাপুরম’ নামে বিশ্বমানের আধ্যাত্মিক শহরে রূপান্তর করা হবে। এ ছাড়া বিষ্ণুপদ ও মহাবোধি করিডর নির্মাণ, রামায়ণ, জৈন, বৌদ্ধ ও গঙ্গা সার্কিট উন্নয়নও এনডিএ–এর ইশতেহারের অন্তর্ভুক্ত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভালুক দমনে শিকারি খুঁজছে জাপান, কেন এই সিদ্ধান্ত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ০৯
জাপানের হোক্কাইদো প্রিফেকচারের একটি শহরের রাস্তায় দুই ভালুক। ছবি: এএফপি
জাপানের হোক্কাইদো প্রিফেকচারের একটি শহরের রাস্তায় দুই ভালুক। ছবি: এএফপি

জাপানে হঠাৎ বেড়েছে ভালুকের হামলা। দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতি সামলাতে সরকার এবার শিকারি নিয়োগের পরিকল্পনা করছে, যাতে তারা বিপজ্জনক ভালুকগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, লাইসেন্সধারী শিকারি ও সংশ্লিষ্ট কর্মীদের নিয়োগে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ করা হবে। তারা আবাসিক এলাকায় ঢুকে পড়া বা মানুষের ওপর হামলা চালানো ভালুক দমন করবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, একই দিন জাপান সরকার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে ভালুক হামলার ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবিলায় বেশ কিছু পদক্ষেপের প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ভালুকের হামলায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০০০ সালের পর থেকে এটি সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন হোক্কাইদো দ্বীপে সংবাদপত্র বিলি করতে যাওয়া এক ব্যক্তি এবং ইওয়াতে অঞ্চলের ৬৭ বছর বয়সী বৃদ্ধ, যিনি নিজের বাগানেই মারা যান।

সরকার বলছে, ভালুক এখন জননিরাপত্তার জন্য ‘গুরুতর হুমকি’। তাই পুলিশের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে ভালুক মারার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ভালুক সুপারমার্কেট, স্কুল এমনকি বাড়িঘরে ঢুকে পড়েছে বলেও জানা গেছে। অনেক মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজের সময় হামলার শিকার হয়েছেন।

জাপানে দুই প্রজাতির ভালুক আছে—জাপানি কালো ভালুক এবং হোক্কাইদো দ্বীপের বড় আকৃতির বাদামি ভালুক, যা বেশি হিংস্র বলে পরিচিত। এ বছর ১০০ জনের বেশি মানুষ ভালুকের আক্রমণে আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে জনপ্রিয় পর্যটন এলাকায় বাসস্টপেজের কাছে এক বিদেশিও আছেন।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা গেছে উত্তরের আকিতা প্রিফেকচারে। সেখানে পাহাড়ি এলাকায় সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই সপ্তাহে সরকার ঘোষণা করেছে, আকিতা অঞ্চলে ভালুক ধরতে ও তাড়াতে আত্মরক্ষা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেন, ‘মানুষের জীবন ও জীবিকা এখন হুমকির মুখে।’

তবে বর্তমান আইনে সৈন্যরা ভালুক গুলি করতে পারবে না। তারা শিকারিদের সঙ্গে ফাঁদ পেতে বা মৃত ভালুক সরানোর কাজে সাহায্য করবে। আকিতা গভর্নর কেন্টা সুজুকি বলেন, মাঠপর্যায়ে যারা কাজ করছেন, তাঁরা এখন ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

দেশজুড়ে শিকারির সংখ্যা দ্রুত কমছে। অনেকেই বয়সে বৃদ্ধ, আর ভালুক শিকার এখন আর জনপ্রিয় নয়। ফলে ভালুকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে, আর তারা খাবারের সন্ধানে মানুষের এলাকায় ঢুকে পড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পাহাড়ে বিচগাছের ফল কমে গেছে। এতে ক্ষুধার্ত ভালুকগুলো গ্রামে ও শহরে ঢুকে খাবার খুঁজছে। অন্যদিকে গ্রামীণ জনসংখ্যা কমে যাওয়াও এর একটি কারণ। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সরকার বন্দুক ব্যবহারের নিয়ম শিথিল করেছে, যাতে মানুষ সহজে আবাসিক এলাকায় ভালুককে গুলি করতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বছরে সর্বোচ্চ ৭৫০০ শরণার্থী নেবে যুক্তরাষ্ট্র, ইতিহাসে সর্বনিম্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০৯: ৫৯
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম শরণার্থী প্রবেশসীমা ঘোষণা করেছেন। তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ২০২৬ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ জন শরণার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। তবে এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে তিনি দেশটির আইন ভাঙেননি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর এই নথিতে স্বাক্ষর করলেও গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রেসিডেনশিয়াল নথি থেকে দেখা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে—বিশ্বজুড়ে বিপদগ্রস্ত লাখো মানুষের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী ব্যবস্থা মূলত বন্ধই থাকবে। তবে নির্ধারিত ৭ হাজার ৫০০ জনের বেশির ভাগ স্থান বরাদ্দ করা হবে দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের জন্য।

নথিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের ‘নির্বাহী আদেশ ১৪২০৪ অনুযায়ী, প্রবেশসংখ্যা প্রধানত দক্ষিণ আফ্রিকান শ্বেতাঙ্গদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। নিজ নিজ দেশে বেআইনি বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার অন্য গোষ্ঠীর সদস্যরাও এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন। যাঁরা আফ্রিকানার জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত।

ট্রাম্প বহুবার দাবি করেছেন, কৃষ্ণাঙ্গ সংখ্যাগরিষ্ঠ দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গরা নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার ও শীর্ষ আফ্রিকান নেতারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ওই নথিতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনাকারী সংস্থার ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হবে।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি বহু সংস্থা যেসব অনুদান ও চুক্তির মাধ্যমে শরণার্থী সেবা দেয়, সেগুলো এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসেবা দপ্তরের অধীন শরণার্থী পুনর্বাসন কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হবে। এক পৃথক ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই স্থানান্তর কার্যক্রমের তদারকি ও দায়বদ্ধতা আরও সুসংগঠিত করবে। কারণ, এসব কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরেই পরিচালিত হয়।’

ট্রাম্পের নির্ধারিত সীমা ১৯৮০ সালের ‘রিফিউজি অ্যাক্ট’ পাস হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে কম। সেই আইনেই যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী গ্রহণ ও পুনর্বাসনের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া চালু হয়। এর পর থেকে অন্তত ২০ লাখ শরণার্থী যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় পেয়েছে। ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প সেই কর্মসূচি স্থগিত করার চেষ্টা করেছিলেন, যা আদালতে আটকে যায়।

২০২৬ অর্থবছরের এই নতুন সীমা বাইডেন প্রশাসনের শেষ বছরের তুলনায় অতি সামান্য। বাইডেনের সময়ে ১ লাখ ২৫ হাজার শরণার্থী প্রবেশের অনুমতি ছিল। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪ কোটি ২৭ লাখ শরণার্থী রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রতিবছর শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারেন, তবে সর্বনিম্ন সীমা নির্দিষ্ট নয়। এ কারণে ট্রাম্প আবারও কর্মসূচি প্রায় বন্ধ করে দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকে।

আমেরিকান ইমিগ্রেশন কাউন্সিলের সিনিয়র ফেলো অ্যারন রাইকলিন-মেলনিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ট্রাম্পের ঘোষণায় ‘শরণার্থী’ শব্দের সংজ্ঞাই বদলে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘শরণার্থী বলতে বোঝায় এমন কাউকে, যিনি জাতি, ধর্ম, জাতীয়তা, নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠী বা রাজনৈতিক মতের কারণে নিপীড়নের শিকার—কেবল বৈষম্যের নয়।’

অ্যারন রাইকলিন আরও লিখেছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী কর্মসূচি জাতিগত নিধন ও ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় থেকে পালিয়ে আসা মানুষদের আশ্রয় দিয়েছে। এখন তা শ্বেতাঙ্গ অভিবাসনের পথ হয়ে দাঁড়াবে। আমেরিকার মানবিকতার মুকুট রত্নের কী পতন!’

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা প্রকল্প (আইআরএপি) জানিয়েছে, এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগে ট্রাম্প প্রশাসন কংগ্রেসের সঙ্গে বাধ্যতামূলক পরামর্শ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। সংগঠনটি একে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে। সংস্থার প্রেসিডেন্ট শরিফ আলী বলেন, ‘আজকের এই ঘোষণা দেখিয়ে দিল, এই প্রশাসন বিশ্বজুড়ে বাস্তুচ্যুত মানুষের প্রতি দায়িত্ব কত দূর বিসর্জন দিয়েছে। আমেরিকার শরণার্থী কর্মসূচি আমাদের মূল্যবোধের প্রতিফলন ছিল। যাদের আমরা ফিরিয়ে দিয়েছি, তারা হয়তো হাজারো সম্প্রদায় ও অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারত।’

ট্রাম্পের ঘোষণায় এই বিশাল কাটছাঁটের কারণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কেবল বলা হয়েছে, এটি ‘মানবিক উদ্বেগ বা জাতীয় স্বার্থ’ বিবেচনায় ন্যায্য। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প অভিবাসনবিরোধী কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কেউ কেউ আশা করেছিলেন, শরণার্থী কর্মসূচি অন্তত এই কঠোরতার বাইরে থাকবে।

বিষয়:

অভিবাসী
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আরও এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতিতে রাজি পাকিস্তান–আফগানিস্তান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি
আফগানিস্তান–পাকিস্তান সীমান্তের একটি চেক পয়েন্টের কাছে টহলরত তালেবান এক সেনা। ছবি: এএফপি

পাকিস্তান ও আফগানিস্তান অন্তত আরও এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির সময়সীমা বাড়াতে সম্মত হয়েছে। তুরস্কে অনুষ্ঠিত আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগামী ৬ নভেম্বর ইস্তাম্বুলে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আবার বসবে দুই দেশ। সেখানে যুদ্ধবিরতির বাস্তবায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত করা হবে। যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, শান্তি বজায় রাখতে এবং যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের ঘটনায় দায়ী পক্ষকে শাস্তি দিতে একটি নজরদারি ও যাচাই ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুর দিকে আফগানিস্তানে বিস্ফোরণের পর দুই দেশের সীমান্তে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। আফগান সরকার ওই বিস্ফোরণের জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে। এরপর দুই দেশের সেনারা পাল্টাপাল্টি হামলায় নামে। পাকিস্তানের দাবি, তাদের অভিযানে ২০০ জনের বেশি আফগান যোদ্ধা নিহত হয়। আফগানিস্তান বলে, তারা ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে।

২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ। পরে কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ১৯ অক্টোবর দোহায় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা যুদ্ধবিরতিতে সই করেন।

দুই দেশের মধ্যে ২ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। গত শনিবার ইস্তাম্বুলে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়। বুধবার আলোচনা ভেঙে যায়। কারণ, পাকিস্তান কাবুলকে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিতে থাকে। পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, টিটিপি তাদের দেশে হামলা চালায়। আফগান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার আলোচনা আবার শুরু হয়। এরপরই ৬ নভেম্বর পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বজায় রাখার বিষয়ে দুই দেশ রাজি হয়। আফগান সরকারের মুখপাত্র জবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, আলোচনা শেষ হয়েছে এবং দুই পক্ষ ভবিষ্যতেও আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে। পাকিস্তান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

যুদ্ধবিরতি বজায় থাকলেও দুই দেশের সীমান্ত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বন্ধ। এতে সীমান্ত এলাকার ব্যবসায়ীরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আফগানিস্তানের কান্দাহারে কাপড় ব্যবসায়ী নাজির আহমেদ এএফপিকে বলেন, ‘দুই দেশই ক্ষতির মুখে। আমাদের জাতি ক্লান্ত, ওদের জাতিও ক্লান্ত।’ অন্যদিকে পাকিস্তানের চামান সীমান্ত শহরের গাড়ির যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ী আবদুল জব্বার বলেন, ‘বাণিজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দুই দেশই ক্ষতিগ্রস্ত—দুই দেশই মুসলিম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিএনপি আমলের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল ইমিগ্রেশন পুলিশ

পর্যটন শুরু কাল: সেন্ট মার্টিনে জাহাজ চালাবেন না মালিকেরা

ময়মনসিংহের নান্দাইল: শত বছরের হাইত উৎসবে মাছশিকারিদের ঢল

সোয়া লাখের বদলে ৭৫০০ শরণার্থীকে আশ্রয় দেবে যুক্তরাষ্ট্র, বেশির ভাগই শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকান

অনিশ্চয়তায় ঢাকা বিআরটি কোম্পানি

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত