
রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডায়ানা পানচেঙ্কো প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লুকাশেঙ্কোর সাক্ষাৎকার নেন। পুরো সাক্ষাৎকারটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বলতে গেলে বিশেষ সামরিক অভিযানের (রাশিয়া পরিচালিত) লক্ষ্যগুলো এরই মধ্যে অর্জিত হয়ে গেছে।’
লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধের আগে ইউক্রেন রাশিয়ার প্রতি যতটা আগ্রাসী ছিল, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আর কখনোই সেই আগ্রাসন দেখাতে পারবে না। যুদ্ধ-পরবর্তী ইউক্রেন আগের ইউক্রেনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হবে। যারাই দেশটির ক্ষমতায় আসবে, তারাই অনেক বেশ সাবধানী, স্মার্ট এবং আরও বেশি চালাক হবে।’
লুকাশেঙ্কোকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়া কী লক্ষ্য অর্জনে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে—এ বিষয়ে পুতিন তাঁর সঙ্গে কখনো আলোচনা করেছেন কি না? জবাবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কখনোই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি, এই বিষয়ে আমি কী ভাবছি।’
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে ডায়ানা পানচেঙ্কো লুকাশেঙ্কোকে জিজ্ঞেস করেন, চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যদি তার রাষ্ট্রীয় সত্তা বজায় রাখতে চায়, তাহলে কী করা উচিত? জবাবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন যদি এই অবস্থায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে দেশটি তার পুরো ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলবে।
ডায়ানার প্রশ্নের জবাবে লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘প্রথম ধাপ হলো (রাষ্ট্রীয় সত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে), এই যুদ্ধ শেষ করা।’ এ সময় তিনি মানচিত্রে দনবাস, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনারা এসব অঞ্চল ফিরে পেতে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। আমি এসব অঞ্চল পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দিতে বলছি না। তবে সে ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায় বের করতে হবে। যদি আপনি এসব অঞ্চল রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যান, তবে আপনারা এর সবটাই হারিয়ে ফেলবেন।’ এ সময় তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দিকে ইঙ্গিত করেন।

রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডায়ানা পানচেঙ্কো প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে লুকাশেঙ্কোর সাক্ষাৎকার নেন। পুরো সাক্ষাৎকারটি ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারে লুকাশেঙ্কো বলেন, ‘আজ পর্যন্ত বলতে গেলে বিশেষ সামরিক অভিযানের (রাশিয়া পরিচালিত) লক্ষ্যগুলো এরই মধ্যে অর্জিত হয়ে গেছে।’
লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধের আগে ইউক্রেন রাশিয়ার প্রতি যতটা আগ্রাসী ছিল, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর আর কখনোই সেই আগ্রাসন দেখাতে পারবে না। যুদ্ধ-পরবর্তী ইউক্রেন আগের ইউক্রেনের চেয়ে অনেকটাই আলাদা হবে। যারাই দেশটির ক্ষমতায় আসবে, তারাই অনেক বেশ সাবধানী, স্মার্ট এবং আরও বেশি চালাক হবে।’
লুকাশেঙ্কোকে প্রশ্ন করা হয়, রাশিয়া কী লক্ষ্য অর্জনে ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে—এ বিষয়ে পুতিন তাঁর সঙ্গে কখনো আলোচনা করেছেন কি না? জবাবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমরা কখনোই এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। কিন্তু আমি আপনাকে বলতে পারি, এই বিষয়ে আমি কী ভাবছি।’
সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে ডায়ানা পানচেঙ্কো লুকাশেঙ্কোকে জিজ্ঞেস করেন, চলমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেন যদি তার রাষ্ট্রীয় সত্তা বজায় রাখতে চায়, তাহলে কী করা উচিত? জবাবে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট বলেন, ইউক্রেন যদি এই অবস্থায় যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, তবে দেশটি তার পুরো ভূখণ্ডই হারিয়ে ফেলবে।
ডায়ানার প্রশ্নের জবাবে লুকাশেঙ্কো আরও বলেন, ‘প্রথম ধাপ হলো (রাষ্ট্রীয় সত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে), এই যুদ্ধ শেষ করা।’ এ সময় তিনি মানচিত্রে দনবাস, খেরসন ও জাপোরিঝিয়ার দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আপনারা এসব অঞ্চল ফিরে পেতে লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। আমি এসব অঞ্চল পুনরুদ্ধারের আশা ছেড়ে দিতে বলছি না। তবে সে ক্ষেত্রে অন্য কোনো উপায় বের করতে হবে। যদি আপনি এসব অঞ্চল রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যান, তবে আপনারা এর সবটাই হারিয়ে ফেলবেন।’ এ সময় তিনি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দিকে ইঙ্গিত করেন।

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৫ মিনিট আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২৫ মিনিট আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
বিবৃতিতে ইউএনআইএফআইএল জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি ছিল তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ।
ইসরায়েলের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে ড্রোনটিতে গুলি চালায়, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
শোশানি জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ওই এলাকায় একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে যেখানে ড্রোনটি পড়ে ছিল। তবে এ সময় শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এরপর আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছুক্ষণের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে এতে কেউ আহত হয়নি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। তাঁরা দাবি করে, এসব হামলার লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে গঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে—সে সময় ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিবিসি জানিয়েছে, বর্তমান উত্তেজনা সীমান্তজুড়ে আবারও সংঘর্ষের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা ও দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।

রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
১৮ আগস্ট ২০২৩
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২৫ মিনিট আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২০২২ সালে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের চাটাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বুকার পুরস্কারজয়ী এই লেখকের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে তিনি এক চোখে অন্ধ হয়ে যান এবং তাঁর এক হাত আংশিকভাবে অকার্যকর হয়ে পড়ে।
ঘটনার তিন বছর পর, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হাদি মাতারকে হত্যাচেষ্টা ও হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। চলতি বছরের মে মাসে তাঁকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে বলেন, ‘ওকে (আক্রমণকারী) আমি খুবই তুচ্ছ একজন মানুষ মনে করেছি—এই ছোট্ট বোকা লোকটা। এতে আমার মনে ঘৃণা জাগে। পরে ভাবলাম, এমন তুচ্ছ লোকও মানুষকে হত্যা করতে পারে—আমাকেও প্রায় মেরে ফেলেছিল। সে একবারও আমার চোখের দিকে তাকায়নি।’
রুশদি আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘যখন বিচার শুরু হয়, তখন আক্রমণের পর প্রায় তিন বছর কেটে গেছে। এত দিনে বিষয়টা হজম করতে, ভাবতে ও কিছুটা সেরে উঠতে সময় লেগেছে। তাই আমি শুধু আমাকে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি এবং বাড়ি ফিরে এসেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একটি চোখ হারানো আর একটি হাত সঠিকভাবে কাজ না করা—এই বিষয়গুলো প্রতিদিনই অনুভব করি। সকালে ঘুম থেকে উঠে ভাবি, ধুর! আমি তো ডান চোখে কিছুই দেখতে পাই না। আমি কখনোই এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারব না। এটা শুধু মেনে নিয়ে বাঁচতে হয়। কিন্তু আমি ভাবি না যে, ঠিক আছে, আরেকটা চোখ তো আছেই।’
তবে এসব সত্ত্বেও রুশদি জানালেন, তিনি লেখালেখি চালিয়ে যাবেন। তাঁর ভাষায়, ‘আমি এখনো নতুন নতুন বিষয় নিয়ে ভাবি। তাই যত দিন বাঁচি, লিখে যেতে চাই।’
সোমবার (২৭ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইভনিং টাইমস জানিয়েছে, সালমান রুশদির এই পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হবে ট্যাটলার ম্যাগাজিনের ডিসেম্বর সংখ্যায়। তবে ৩০ অক্টোবর থেকে এটি ম্যাগাজিনের ডিজিটাল সংস্করণেও পাওয়া যাবে।

রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
১৮ আগস্ট ২০২৩
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৫ মিনিট আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে লাখ লাখ সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে তারা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি—বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, ‘আগে মনে করা হতো টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।’
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দীরও পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এই জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষ পর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। যুদ্ধ, অনাহার, তীব্র শীত ও টাইফাস মহামারির কারণে লাখ লাখ সৈন্য মারা যায়। অবশেষে মাত্র কয়েক হাজার সৈন্য ফ্রান্সে বেঁচে ফিরতে সক্ষম হয়।
তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা নেপোলিয়নের সৈন্যদের দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করে নতুন তথ্য পেয়েছেন। ২০০১ সালে লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে উদ্ধার হওয়া একটি গণকবর থেকে পাওয়া দাঁতের নমুনা পরীক্ষা করে তারা আবিষ্কার করেছেন, সৈন্যদের মৃত্যু শুধু টাইফাস মহামারিতে হয়নি—বরং আরও অন্তত দুই ধরনের ব্যাকটেরিয়া তখন মারাত্মক ভূমিকা রেখেছিল।
গত শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ‘কারেন্ট বায়োলজি’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় ব্যাকটেরিয়া দুটিকে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ ও ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সালমোনেলা এন্টেরিকা’ প্যারাটাইফয়েড জ্বর ঘটায় এবং ‘বোরেলিয়া রিকারেন্টিস’ রিল্যাপসিং বা পুনরাবৃত্ত জ্বর ঘটায়।
গবেষণার প্রধান লেখক ও বর্তমানে এস্তোনিয়ার টার্টু বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রেমি বারবিয়েরি বলেন, ‘আগে মনে করা হতো টাইফাসই ছিল সৈন্যদের মৃত্যুর একমাত্র কারণ। কিন্তু নতুন ডিএনএ বিশ্লেষণ প্রমাণ করছে, সেখানে একাধিক সংক্রমণ একযোগে কাজ করেছিল।’
২০০৬ সালে প্রথমবার টাইফাস ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছিল নেপোলিয়নের সৈন্যদের দাঁতে। তবে তখনকার প্রযুক্তি সীমিত ছিল। এবার গবেষকেরা ব্যবহার করেছেন ‘হাই-থ্রুপুট সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি, যা একসঙ্গে লাখ লাখ ডিএনএ খণ্ড বিশ্লেষণ করতে সক্ষম। ফলে দুই শতাব্দীরও পুরোনো জিনগত উপাদান থেকেও নতুন তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
গবেষণায় ১৩টি দাঁতের নমুনা বিশ্লেষণ করা হলেও তাতে টাইফাসের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। গবেষক নিকোলাস রাসকোভান জানান, এটি আগের গবেষণাকে অস্বীকার করছে না, বরং নতুন প্রমাণ দিচ্ছে যে নেপোলিয়নের সৈন্যদের মধ্যে একাধিক সংক্রামক রোগ ছড়িয়েছিল। হয়তো আরও অনেক অজানা রোগ তখন ছিল, যা এখনো শনাক্ত হয়নি।
বিশেষজ্ঞ সিসিল লুইস বলেন, এই গবেষণা ইতিহাস বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। কারণ প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন অতীতের রোগবালাই ও তার বিবর্তন সম্পর্কে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিচ্ছে।
প্যারাটাইফয়েড ও রিল্যাপসিং জ্বর পৃথিবীতে এখনো বিরাজমান। তবে এই জ্বরগুলো অতীতের মতো আর প্রাণঘাতী নয়। নেপোলিয়ন নিজে বেঁচে গেলেও তাঁর পরাজিত ও রুগ্ণ সেনাবাহিনীই শেষ পর্যন্ত তাঁর পতনের পথ তৈরি করে দিয়েছিল।
গবেষকদের মতে, মাত্র এক দশকের মধ্যেই ডিএনএ প্রযুক্তির এই অগ্রগতি ভবিষ্যতে ইতিহাস ও জীববিজ্ঞানের আরও বহু অজানা রহস্য উন্মোচনের সুযোগ এনে দিয়েছে।

রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
১৮ আগস্ট ২০২৩
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৫ মিনিট আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২৫ মিনিট আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট থাকবেন’। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি আদালতে গিয়ে সংবিধানিক বাধাকে চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রহী কি না।
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এ নিয়ে ভাবিনি। আমাদের কিছু চমৎকার মানুষ আছে। তবে আমার জনপ্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।’
প্রেসিডেন্ট যখন তাঁর ‘চমৎকার মানুষদের’ কথা বলছিলেন, তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম উল্লেখ করেন।
তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত নই অন্য কেউ আবার প্রার্থী হতে চাইবে কি না। যদি সুযোগ থাকে, আমি মনে করি সেটা অপ্রতিরোধ্য হবে। আমি অবশ্যই করতে চাই। এখন আমার রেটিং সবচেয়ে ভালো।’
মার্কিন সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী অনুযায়ী, কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এতে বলা আছে—‘কোনো ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।’
একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারেন? ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাইলে পারতাম, কিন্তু সেটা করব না। এটা খুব চতুর শোনায়, যা মানুষ পছন্দ করবে না। ঠিকও হবে না।’
এই পর্যায়ে ট্রাম্প নিজের অর্জন গুনে জানান, তিনি ‘আটটি যুদ্ধের সমাধান’ করেছেন—যার মধ্যে সম্প্রতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড শান্তিচুক্তিও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, স্টিভ ব্যানন সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্ট-এর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট হবেন। এর জন্য একটা পরিকল্পনা আছে, সময়মতো সেটি জানানো হবে।’
এর আগে ট্রাম্পও একাধিকবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি আর প্রার্থী হব না, যদি না আপনারা বলেন—ও এত ভালো, আমাদের কিছু করতে হবে।’
তবে গত বছর টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি সংবিধান চ্যালেঞ্জ করে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে চান না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চার বছর পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে চাই এবং সেটাই যথেষ্ট।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানবিরোধী হলেও তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। সোমবার (২৭ অক্টোবর) মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহন এয়ার ফোর্স ওয়ানে চড়ে মালয়েশিয়া থেকে জাপানের টোকিও যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ওই ইঙ্গিত দেন তিনি।
সম্প্রতি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী স্টিভ ব্যানন বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট থাকবেন’। এই বিষয়টি উল্লেখ করে এক সাংবাদিক ট্রাম্পকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি আদালতে গিয়ে সংবিধানিক বাধাকে চ্যালেঞ্জ করতে আগ্রহী কি না।
উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি এ নিয়ে ভাবিনি। আমাদের কিছু চমৎকার মানুষ আছে। তবে আমার জনপ্রিয়তা এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে।’
প্রেসিডেন্ট যখন তাঁর ‘চমৎকার মানুষদের’ কথা বলছিলেন, তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর নাম উল্লেখ করেন।
তৃতীয়বার প্রেসিডেন্ট হওয়ার বিষয়ে তিনি যোগ করেন, ‘আমি নিশ্চিত নই অন্য কেউ আবার প্রার্থী হতে চাইবে কি না। যদি সুযোগ থাকে, আমি মনে করি সেটা অপ্রতিরোধ্য হবে। আমি অবশ্যই করতে চাই। এখন আমার রেটিং সবচেয়ে ভালো।’
মার্কিন সংবিধানের ২২ তম সংশোধনী অনুযায়ী, কেউ দুই মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারেন না। এতে বলা আছে—‘কোনো ব্যক্তি দুই বারের বেশি প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হতে পারবেন না।’
একজন সাংবাদিক জানতে চান, তিনি কি ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারেন? ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাইলে পারতাম, কিন্তু সেটা করব না। এটা খুব চতুর শোনায়, যা মানুষ পছন্দ করবে না। ঠিকও হবে না।’
এই পর্যায়ে ট্রাম্প নিজের অর্জন গুনে জানান, তিনি ‘আটটি যুদ্ধের সমাধান’ করেছেন—যার মধ্যে সম্প্রতি কম্বোডিয়া-থাইল্যান্ড শান্তিচুক্তিও অন্তর্ভুক্ত। তিনি বলেন, ‘আমি কোটি মানুষের জীবন বাঁচিয়েছি। এটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
উল্লেখ্য, স্টিভ ব্যানন সম্প্রতি দ্য ইকোনমিস্ট-এর এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ট্রাম্প ২০২৮ সালেও প্রেসিডেন্ট হবেন। এর জন্য একটা পরিকল্পনা আছে, সময়মতো সেটি জানানো হবে।’
এর আগে ট্রাম্পও একাধিকবার এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়লাভের পর রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের তিনি বলেন, ‘হয়তো আমি আর প্রার্থী হব না, যদি না আপনারা বলেন—ও এত ভালো, আমাদের কিছু করতে হবে।’
তবে গত বছর টাইম ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি সংবিধান চ্যালেঞ্জ করে তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হতে চান না। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি চার বছর পূর্ণ মেয়াদে কাজ করতে চাই এবং সেটাই যথেষ্ট।’

রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেনে যে লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছিল, তা অর্জন করে ফেলেছে। এখন যদি ইউক্রেন যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তাহলে তারা পুরো ভূখণ্ডই হারাবে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো গত বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ডায়ানা পানচেঙ্কোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে
১৮ আগস্ট ২০২৩
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, রোববার (২৬ অক্টোবর) দক্ষিণ লেবাননে টহলরত বাহিনীর ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন তারা গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে ঘটেছে।
৫ মিনিট আগে
নিউইয়র্কে ছুরিকাঘাতে এক চোখ হারানো লেখক স্যার সালমান রুশদি বলেছেন, তিনি কখনোই ওই আক্রমণের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবেন না। ট্যাটলার ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে জীবন বদলে দেওয়া ওই হামলার কথা স্মরণ করেন সামলান।
২৫ মিনিট আগে
১৮১২ সালে ফরাসি সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট রাশিয়া আক্রমণের উদ্দেশ্যে অর্ধ লক্ষাধিক সেনা নিয়ে যাত্রা করেন। কিন্তু ছয় মাস পর সেই অভিযানের এমন পরিণতি হয় যে, এটিকে ইউরোপের ইতিহাসের এক ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে