Ajker Patrika

পুলিশের গুলিতে কিশোর নিহত, বিক্ষোভে উত্তাল ফ্রান্স

ডয়চে ভেলে
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৩, ১৫: ৩৭
Thumbnail image

প্যারিসের রাস্তায় হলুদ মার্সিডিজ চালাচ্ছিলেন নাহেল এম নামের এক কিশোর। ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পুলিশ তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ওই কিশোর। এরপর গতকাল বুধবার থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। বর্তমানে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে পড়েছে গোটা ফ্রান্স।

প্যারিসের শহরতলিতে রাস্তায় নেমে মানুষ নোংরা ফেলার বিনগুলোতে আগুন ধরিয়ে দেয়। একটি জায়গায় বাসেও আগুন লাগানো হয়। একটি শহরে বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ গেলে তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়।

এরপর বিক্ষোভ ছড়াতে থাকে। শুধু প্যারিস নয়, ফ্রান্সের অনেক শহরে রাস্তায় নেমে পড়ে বিক্ষোভকারীরা। ২৪ জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্যারিসে দুই হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

কী হয়েছিল সেদিন?
পুলিশ প্রথমে জানিয়েছিল, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর পুলিশের এক অফিসারকে লক্ষ্য করে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল। তাকে থামানোর জন্য গুলি চালানো হয়। এতে মারা যায় ওই কিশোর। 

পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ঘটনার বেশ কয়েকটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায়, গাড়ি থেমে আছে। দুই পুলিশ ওই গাড়ির পাশে। একজন রিভলবার তাক করে আছেন। একটা গলার আওয়াজ ভেসে আসে, ‘মাথায় গুলি করব।’ গাড়ি নিয়ে ডেলিভারি ড্রাইভার কিশোর নাহেল পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশ গুলি চালালে সে মারা যায়।

রাতভর বিক্ষোভ চলেছে প্যারিস ও অন্য বেশ কয়েকটি শহরে।নিন্দার ঝড়
ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাখোঁ বলেছেন, ‘এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা ক্ষমার অযোগ্য। কিশোরের এই মৃত্যুকে কোনো যুক্তি দিয়েই ব্যাখ্যা করা যাবে না।’

ফুটবল সুপারস্টার কিলায়ান এমবাপ্পে এই ঘটনায় দুঃখ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, পুলিশ যেন মাথা ঠান্ডা রাখে। ফরাসি প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে বলেছেন, পুলিশ আইন মানেনি।

কাঠগড়ায় পুলিশ
এ ঘটনার পর ফ্রান্সের পুলিশকে আবার কাঠগড়ায় তুলছে মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছে, শহরতলির নিম্ন আয়ের মানুষ এবং সংখ্যালঘুদের ওপর পুলিশের আচরণ একেবারেই সমর্থনযোগ্য নয়।

গত বছর ট্র্যাফিক চেকে না থামার অপরাধে ১৩ জনকে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ। ২০১৭ সালে পুলিশকে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। পুলিশকে এই অনুমতি দেওয়া ঠিক হয়েছে কি না, তা নিয়ে ফ্রান্সে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত