স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় ৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ইউক্রেনকে হারানো ভূখণ্ডের মালিকানা উদ্ধারের সুযোগ না দিয়েই রণক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থাতেই একটি যুদ্ধবিরতি আসতে পারে। আর যুদ্ধবিরতি হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম এল মুন্ডোর প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য একটি ‘সোনালি নির্বাসন’ প্রস্তুত করছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে কিয়েভের কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে যে, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি হলে কী ঘটতে পারে। পশ্চিমা বিশ্ব ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য লন্ডনে একটি “সোনালি নির্বাসনের” রূপরেখা প্রস্তুত করছে। ২০২৩ সালে স্থগিত হওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই এটি করা হবে।’
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেছিলেন, ‘কিয়েভ ন্যায়সংগত শান্তি প্রতিষ্ঠার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনের একটি শর্ত হলো এটি গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে।’
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করছে রাশিয়ার সেনারা। ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ আক্রমণ শুরুর পর বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। গত এক মাসে লন্ডনের আয়তনের অর্ধেক পরিমাণ এলাকা দখল করেছে।
২০২২ সালের শুরুর দিকে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করে। অবশ্য পরে, ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা আক্রমণে তারা পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে পিছু হটে। তারপর প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্রন্ট লাইন গত দুই বছর ধরে প্রায় স্থবির ছিল। তবে গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া সাম্প্রতিক ছোট আকারের অগ্রগতিগুলো স্থিতাবস্থায় পরিবর্তন এনেছে।
যুদ্ধ এমন একপর্যায়ে প্রবেশ করছে, যেটিকে রাশিয়া ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্ব হিসেবে উল্লেখ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ইউক্রেনে ব্যবহার করছে, আর কিয়েভ পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে।
মস্কো এবং উত্তর কোরিয়া—কোনো পক্ষই সেনা উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে একটি মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের ওপর এযাবৎ সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সমর বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবার্ড গ্রুপের সামরিক বিশ্লেষক পাসি প্যারোনিয়েন বলেছেন, এ মাসে রুশ বাহিনী আনুমানিক ৬৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই সংখ্যার মধ্যে অক্টোবরের কিছু দখলকৃত অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। যার মধ্যে পুরো ক্রিমিয়া, ডনবাসের ৮০ শতাংশের বেশি, দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের ৭০ শতাংশের বেশি এবং পূর্বের খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৩ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত।
অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে, তারা কোনোভাবেই রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। তিনি বলেন, কূটনীতির মাধ্যমে হয়তো কিছু ভূখণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হবে। জেলেনস্কি বলেছেন—রাশিয়া অধিকৃত কিছু এলাকা কূটনৈতিক উপায়ে মুক্ত করা সম্ভব হতে পারে, যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হয়।
রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সেই শক্তি নেই, এটাই সত্য।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। এর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আরেকটি বড় অঞ্চল ক্রিমিয়াও দখল করে নেয়।
রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে প্রায় ৩ বছর ধরে চলা যুদ্ধ শেষে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল। বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, ইউক্রেনকে হারানো ভূখণ্ডের মালিকানা উদ্ধারের সুযোগ না দিয়েই রণক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থাতেই একটি যুদ্ধবিরতি আসতে পারে। আর যুদ্ধবিরতি হলে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে লন্ডনে নির্বাসনে পাঠানো হবে।
স্পেনের সংবাদমাধ্যম এল মুন্ডোর প্রতিবেদনে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউক্রেনের কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য একটি ‘সোনালি নির্বাসন’ প্রস্তুত করছে পশ্চিমা বিশ্ব। কিয়েভ এবং মস্কোর মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার পর তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত দুই সপ্তাহ ধরে কিয়েভের কূটনৈতিক মহলে গুঞ্জন চলছে যে, সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি হলে কী ঘটতে পারে। পশ্চিমা বিশ্ব ভলোদিমির জেলেনস্কির জন্য লন্ডনে একটি “সোনালি নির্বাসনের” রূপরেখা প্রস্তুত করছে। ২০২৩ সালে স্থগিত হওয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরপরই এটি করা হবে।’
এর আগে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান আন্দ্রেই ইয়ারমাক বলেছিলেন, ‘কিয়েভ ন্যায়সংগত শান্তি প্রতিষ্ঠার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই নির্বাচনের একটি শর্ত হলো এটি গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলো দ্বারা স্বীকৃত হতে হবে।’
এদিকে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করছে রাশিয়ার সেনারা। ইউক্রেনে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রুশ আক্রমণ শুরুর পর বর্তমানে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। গত এক মাসে লন্ডনের আয়তনের অর্ধেক পরিমাণ এলাকা দখল করেছে।
২০২২ সালের শুরুর দিকে রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের বিশাল এলাকা দখল করে। অবশ্য পরে, ইউক্রেনীয় বাহিনী পাল্টা আক্রমণে তারা পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে পিছু হটে। তারপর প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই ফ্রন্ট লাইন গত দুই বছর ধরে প্রায় স্থবির ছিল। তবে গত জুলাইয়ে শুরু হওয়া সাম্প্রতিক ছোট আকারের অগ্রগতিগুলো স্থিতাবস্থায় পরিবর্তন এনেছে।
যুদ্ধ এমন একপর্যায়ে প্রবেশ করছে, যেটিকে রাশিয়া ও পশ্চিমা কর্মকর্তারা সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্ব হিসেবে উল্লেখ করছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়া উত্তর কোরিয়ার সেনাদের ইউক্রেনে ব্যবহার করছে, আর কিয়েভ পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলাবারুদ ব্যবহার করে রাশিয়ার ভেতরে পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে।
মস্কো এবং উত্তর কোরিয়া—কোনো পক্ষই সেনা উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত বা অস্বীকার করেনি। গত সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে একটি মাঝারি পাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। মঙ্গলবার ইউক্রেন জানিয়েছে, রাশিয়া তাদের ওপর এযাবৎ সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে।
ফিনল্যান্ডের সমর বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকবার্ড গ্রুপের সামরিক বিশ্লেষক পাসি প্যারোনিয়েন বলেছেন, এ মাসে রুশ বাহিনী আনুমানিক ৬৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এই সংখ্যার মধ্যে অক্টোবরের কিছু দখলকৃত অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের ১৮ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। যার মধ্যে পুরো ক্রিমিয়া, ডনবাসের ৮০ শতাংশের বেশি, দক্ষিণের জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলের ৭০ শতাংশের বেশি এবং পূর্বের খারকিভ অঞ্চলের প্রায় ৩ শতাংশ অন্তর্ভুক্ত।
অপরদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, কিয়েভের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে, তারা কোনোভাবেই রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারবে না। তিনি বলেন, কূটনীতির মাধ্যমে হয়তো কিছু ভূখণ্ড উদ্ধার করা সম্ভব হবে। জেলেনস্কি বলেছেন—রাশিয়া অধিকৃত কিছু এলাকা কূটনৈতিক উপায়ে মুক্ত করা সম্ভব হতে পারে, যদি ইউক্রেনের ন্যাটো সদস্যপদ নিশ্চিত হয়।
রাশিয়া অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার প্রসঙ্গে বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর সেই শক্তি নেই, এটাই সত্য।’ রাশিয়া ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে হামলা শুরু করার পর ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডের বড় একটি অংশ দখল করে নেয়। এর আগে, ২০১৪ সালে রাশিয়া ইউক্রেনের আরেকটি বড় অঞ্চল ক্রিমিয়াও দখল করে নেয়।
ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের বিরুদ্ধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ‘কেবল প্রচারের উদ্দেশ্যে’ এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণার করেছেন।
৮ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবে পবিত্র নগরী মক্কায় প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম জারি করেছে দেশটির সরকার। আগামী ২৩ এপ্রিল (২৫ শাওয়াল, ১৪৪৬ হিজরি) থেকে কার্যকর হতে যাওয়া নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মক্কায় প্রবেশ করতে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে অবশ্যই সরকারিভাবে ইস্যু করা প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে হবে...
১২ ঘণ্টা আগেগতকাল শনিবার, চিফ অব জেনারেল স্টাফ ভ্যালারি গেরাসিমভের সঙ্গে বৈঠকের পর বিশেষ এই ‘ইস্টার ট্রুস’ ঘোষণা করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঘোষণা অনুযায়ী, স্থানীয় সময় শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত যুদ্ধ বন্ধ রাখবে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
১৫ ঘণ্টা আগেঅস্ত্রসমর্পণ করছে না ইরান সমর্থিত লেবানিজ সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ। গত শুক্রবার হিজবুল্লাহ নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির প্রধান নাঈম কাশেম। ইসরায়েলের আগ্রাসী আচরণ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কোনো আলোচনায় বসবে না বলেও জানান তিনি।
১৬ ঘণ্টা আগে