অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এই আক্রমণের তিন বছর হতে চলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অন্তত ১৩টি অঞ্চলে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খারকিভ, পোলতাভা, সুমি, কিয়েভ, চেরনিহিভ, মাইকোলাইভ ও ওডেসা।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার একসঙ্গে রেকর্ড ২৬৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে প্রায় ১৩৮টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ১১৯টি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ রয়েছে। তবে রাশিয়া তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার ফলে পাঁচটি অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর টেলিগ্রাম পোস্টে জানানো হয়েছে, কিয়েভসহ কয়েকটি অঞ্চল হামলার শিকার হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার ড্রোন প্রতিহতের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা গেছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
গতকাল রাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিহতে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কয়েক মাস ধরে রাশিয়া প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। ইউক্রেনও রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও শিল্প স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে, যাতে রাশিয়ার লজিস্টিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত করা যায়।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া গত রাতে দুই শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। তিনি রাশিয়ার এই ‘বিমান সন্ত্রাস’ নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনের মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমাদের জনগণ প্রতিদিন রুশ বিমান হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
জেলেনস্কি আরও লেখেন, ‘যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে রাশিয়া ২৬৭টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ইরানি ড্রোন ব্যবহারের পর ইউক্রেনে এটি সবচেয়ে বড় আক্রমণ।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় ১ হাজার ১৫০টি আক্রমণাত্মক ড্রোন, ১ হাজার ৪০০টির বেশি গাইডেড বোমা এবং ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভব কেবল আমাদের মিত্রদের ঐক্যের মাধ্যমে। আমাদের প্রয়োজন ইউরোপের শক্তি, আমেরিকার শক্তি এবং শান্তির জন্য লড়াই করা সব মানুষের সমর্থন।’
এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। যা পশ্চিমা নীতির বিপরীতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে মস্কো এই ফোনালাপকে তিন বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সমালোচনা ও অভিযোগ করে বলেছেন—কিয়েভই যুদ্ধ শুরু করেছিল।
মস্কো জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপে রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক বেশ কিছু দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা কখনোই পূর্ব ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চল ছাড়বে না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, দুজন অসাধারণ প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপ ইউক্রেন ও ইউরোপের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আবার এই আলোচনা মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কতটা ভূমিকা রাখবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে। এই আক্রমণের তিন বছর হতে চলেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের তিন বছর পূর্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, অন্তত ১৩টি অঞ্চলে হামলা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে খারকিভ, পোলতাভা, সুমি, কিয়েভ, চেরনিহিভ, মাইকোলাইভ ও ওডেসা।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর মুখপাত্র ইউরি ইগনাত জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার একসঙ্গে রেকর্ড ২৬৭টি ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে প্রায় ১৩৮টি ভূপাতিত করা হয়েছে এবং ১১৯টি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে নিখোঁজ রয়েছে। তবে রাশিয়া তিনটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে, যার ফলে পাঁচটি অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর টেলিগ্রাম পোস্টে জানানো হয়েছে, কিয়েভসহ কয়েকটি অঞ্চল হামলার শিকার হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাশিয়ার ড্রোন প্রতিহতের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে দেখা গেছে, ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী সফলভাবে বেশ কয়েকটি ড্রোন ধ্বংস করেছে।
গতকাল রাতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় শহর ক্রিভি রিহতে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
কয়েক মাস ধরে রাশিয়া প্রায় প্রতিদিনই ইউক্রেনের ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে। ইউক্রেনও রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি ও শিল্প স্থাপনাগুলোতে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে, যাতে রাশিয়ার লজিস্টিক কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত করা যায়।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাশিয়া গত রাতে দুই শতাধিক ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় আক্রমণ। তিনি রাশিয়ার এই ‘বিমান সন্ত্রাস’ নীতির তীব্র নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনের মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘আমাদের জনগণ প্রতিদিন রুশ বিমান হামলার বিরুদ্ধে লড়াই করছে।’
জেলেনস্কি আরও লেখেন, ‘যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে রাশিয়া ২৬৭টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে। ইরানি ড্রোন ব্যবহারের পর ইউক্রেনে এটি সবচেয়ে বড় আক্রমণ।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, এক সপ্তাহে রাশিয়া ইউক্রেনে প্রায় ১ হাজার ১৫০টি আক্রমণাত্মক ড্রোন, ১ হাজার ৪০০টির বেশি গাইডেড বোমা এবং ৩৫টি বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে।
জেলেনস্কি ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এই যুদ্ধের সমাপ্তি সম্ভব কেবল আমাদের মিত্রদের ঐক্যের মাধ্যমে। আমাদের প্রয়োজন ইউরোপের শক্তি, আমেরিকার শক্তি এবং শান্তির জন্য লড়াই করা সব মানুষের সমর্থন।’
এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। যা পশ্চিমা নীতির বিপরীতে এক ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে মস্কো এই ফোনালাপকে তিন বছরের কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতার অবসান হিসেবে উল্লেখ করেছে।
অন্যদিকে ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সমালোচনা ও অভিযোগ করে বলেছেন—কিয়েভই যুদ্ধ শুরু করেছিল।
মস্কো জানিয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিনের ফোনালাপে রাশিয়ার জন্য ইতিবাচক বেশ কিছু দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা কখনোই পূর্ব ইউক্রেনের দখল করা অঞ্চল ছাড়বে না।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানিয়েছেন, দুজন অসাধারণ প্রেসিডেন্টের মধ্যে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপ ইউক্রেন ও ইউরোপের মিত্রদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। আবার এই আলোচনা মস্কো ও কিয়েভের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় কতটা ভূমিকা রাখবে, তা এখনো অনিশ্চিত।
বোয়িং ৭৮৩ ড্রিমলাইনার গতকাল (২২ ফেব্রুয়ারি) নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে। কাস্পিয়ান সাগর পার হওয়ার পর বোমা হামলার হুমকি আসে। এরপর ফ্লাইটটি ইউরোপের দিকে ফিরে যায়।
২ ঘণ্টা আগেদেশের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়তে প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের শান্তির জন্য যদি আমাকে প্রেসিডেন্টের পদ
২ ঘণ্টা আগেপ্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসনবিরোধী নীতির অংশ হিসেবে চতুর্থ দফায় আরও ১২ জন অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আজ রোববার দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিবাসীদের নিয়ে অবতরণ করেছে একটি মার্কিন সামরিক বিমান।
৫ ঘণ্টা আগেমহাকুম্ভের পুণ্যস্নানে এসে ভয়ংকর পরিণতির শিকার হয়েছেন দিল্লির এক নারী। পুণ্যস্নানের কথা বলে ওই নারীকে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। কিন্তু এক দিন পর হোটেলের বাথরুমে পাওয়া গেছে ওই নারীর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজের ঝুঁসি এলাকায়। তবে স্ত্রীকে হত্যা করে পালানোর ৪৮ ঘ
৬ ঘণ্টা আগে