খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে সুইডেনের হাজার হাজার ভোক্তা প্রধান প্রধান সুপারশপগুলো বয়কট করছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশটিতে একটি পরিবারের খাদ্যপণ্যের পেছনে খরচ প্রায় ৩০ হাজার ক্রোনার পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রচারণার ফলে অভূতপূর্ব এই পদক্ষেপ ব্যাপক গতি পেয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১২ সপ্তাহের বয়কট’—নামে পরিচিত এই প্রতিবাদের প্রাথমিক ঢেউয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণ ক্রেতারা লিডল, হেমকপ, আইকা, কো-অপ এবং উইলসের মতো প্রধান খুচরা বিক্রেতা সুপারশপগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে এই প্রচারণা ব্যাপক গতি পেয়েছে।
মের্কেল ডেমির নামে ২১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী স্টকহোম সেন্ট্রাল স্টেশনের বাইরে একটি কো-অপ স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘অবশ্যই দাম বেড়েছে। আমি সাধারণত চিপস ও চকলেট কিনি এবং সেগুলোর দাম অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি চকলেটের দাম বেড়েছে। আর গত বছর ধরে চিপসের দাম বাড়ছে।’
সুইডেনের পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসাব অনুসারে, কফির দাম শিগগিরই ১০০ ক্রোনার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা গত বছরের শুরুর দিকের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি। মূল্য পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ম্যাটপ্রিসকোলেনের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে চকলেটের দাম সবচেয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, এর পরেই আছে রান্নার তেল (৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং পনির (৬ দশমিক ৪ শতাংশ)।
বিক্ষোভকারীরা ক্রমবর্ধমান এই ব্যয়ের জন্য সুপারমার্কেট এবং বৃহৎ উৎপাদকদের ‘অলিগোপলিকে’ (মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর কর্তৃত্ব) দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, এসব ব্যবসায়ী মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিপরীতে, সুপারমার্কেটগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রমবর্ধমান পণ্যের দাম বৃদ্ধি, ফসলের ফলন এবং জলবায়ু জরুরি অবস্থার মতো একাধিক বৈশ্বিক কারণকে এর জন্য দায়ী করছে।
সুইডেনের এই বয়কট ইউরোপের অন্যান্য দেশেও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হওয়া অনুরূপ আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। গত মাসে বুলগেরিয়ার ক্রেতারা প্রধান খুচরা বিক্রেতাদের বয়কট করেছিলেন, যার ফলে তাদের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। এই বছরের শুরুতে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টেনেগ্রো এবং সার্বিয়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এক সপ্তাহের বয়কটের কার্যকারিতা নিয়ে কিছু সন্দেহ থাকলেও, আয়োজকেরা তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করছেন। এই আন্দোলনের এক মুখপাত্র ফিলিপ্পা লিন্ড সুইডেনের বৃহত্তম মুদি দোকান আইকা এবং দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থা আরলার বিরুদ্ধে তিন সপ্তাহের বয়কটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ভবিষ্যতে আরও কোম্পানিকে এই বয়কট তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লিন্ড জোর দিয়ে বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং মুদি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাবে সৃষ্ট উচ্চ মূল্য নির্ধারণকারী এই অলিগোপলি ভেঙে দেওয়া উচিত।’
এই বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রবেশ করেছে। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের অর্থনৈতিক মুখপাত্র মাইকেল ড্যামবার্গ মধ্য-ডানপন্থী সরকারের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে পার্লামেন্টে বলেন, ‘আজ সুইডেনে সাধারণ পরিবারগুলো তাদের সঞ্চয় শেষ করে ফেলেছে এবং দৈনন্দিন জীবন চালানোর জন্য ঋণ নিচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী এলিসাবেথ সোয়ানটেসন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এলেও খাদ্যের উচ্চমূল্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন তাদের সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যপণ্যের দামের বিষয়ে আমরা কী করতে পারি, তা দেখাটাও এখন জরুরি।’
গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কুলগ্রেন মূল্যবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক কারণগুলোকে দায়ী করেছেন, তবে বাণিজ্যের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তিনি খাদ্য শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে আরও পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
খাদ্যপণ্যের আকাশছোঁয়া দামের প্রতিবাদে সুইডেনের হাজার হাজার ভোক্তা প্রধান প্রধান সুপারশপগুলো বয়কট করছেন। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে বর্তমান পর্যন্ত দেশটিতে একটি পরিবারের খাদ্যপণ্যের পেছনে খরচ প্রায় ৩০ হাজার ক্রোনার পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রচারণার ফলে অভূতপূর্ব এই পদক্ষেপ ব্যাপক গতি পেয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘১২ সপ্তাহের বয়কট’—নামে পরিচিত এই প্রতিবাদের প্রাথমিক ঢেউয়ে বিপুলসংখ্যক মানুষ অংশ নিয়েছেন। সাধারণ ক্রেতারা লিডল, হেমকপ, আইকা, কো-অপ এবং উইলসের মতো প্রধান খুচরা বিক্রেতা সুপারশপগুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মে এই প্রচারণা ব্যাপক গতি পেয়েছে।
মের্কেল ডেমির নামে ২১ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী স্টকহোম সেন্ট্রাল স্টেশনের বাইরে একটি কো-অপ স্টোরের সামনে দাঁড়িয়ে হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘অবশ্যই দাম বেড়েছে। আমি সাধারণত চিপস ও চকলেট কিনি এবং সেগুলোর দাম অনেক বেড়েছে। সম্প্রতি চকলেটের দাম বেড়েছে। আর গত বছর ধরে চিপসের দাম বাড়ছে।’
সুইডেনের পরিসংখ্যান দপ্তরের হিসাব অনুসারে, কফির দাম শিগগিরই ১০০ ক্রোনার ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, যা গত বছরের শুরুর দিকের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি বৃদ্ধি। মূল্য পর্যবেক্ষণকারী ওয়েবসাইট ম্যাটপ্রিসকোলেনের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে চকলেটের দাম সবচেয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, এর পরেই আছে রান্নার তেল (৭ দশমিক ২ শতাংশ) এবং পনির (৬ দশমিক ৪ শতাংশ)।
বিক্ষোভকারীরা ক্রমবর্ধমান এই ব্যয়ের জন্য সুপারমার্কেট এবং বৃহৎ উৎপাদকদের ‘অলিগোপলিকে’ (মুষ্টিমেয় ব্যবসায়ীর কর্তৃত্ব) দায়ী করছেন। তাদের অভিযোগ, এসব ব্যবসায়ী মুনাফাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। বিপরীতে, সুপারমার্কেটগুলো ইউক্রেন যুদ্ধ, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, ক্রমবর্ধমান পণ্যের দাম বৃদ্ধি, ফসলের ফলন এবং জলবায়ু জরুরি অবস্থার মতো একাধিক বৈশ্বিক কারণকে এর জন্য দায়ী করছে।
সুইডেনের এই বয়কট ইউরোপের অন্যান্য দেশেও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির বিরুদ্ধে হওয়া অনুরূপ আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। গত মাসে বুলগেরিয়ার ক্রেতারা প্রধান খুচরা বিক্রেতাদের বয়কট করেছিলেন, যার ফলে তাদের বিক্রি প্রায় ৩০ শতাংশ কমে গিয়েছিল বলে জানা গেছে। এই বছরের শুরুতে ক্রোয়েশিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, মন্টেনেগ্রো এবং সার্বিয়াতেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
এক সপ্তাহের বয়কটের কার্যকারিতা নিয়ে কিছু সন্দেহ থাকলেও, আয়োজকেরা তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করছেন। এই আন্দোলনের এক মুখপাত্র ফিলিপ্পা লিন্ড সুইডেনের বৃহত্তম মুদি দোকান আইকা এবং দুগ্ধ উৎপাদনকারী সংস্থা আরলার বিরুদ্ধে তিন সপ্তাহের বয়কটের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ভবিষ্যতে আরও কোম্পানিকে এই বয়কট তালিকায় যুক্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
লিন্ড জোর দিয়ে বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের হস্তক্ষেপ করা উচিত এবং মুদি কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার অভাবে সৃষ্ট উচ্চ মূল্য নির্ধারণকারী এই অলিগোপলি ভেঙে দেওয়া উচিত।’
এই বিষয়টি রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রবেশ করেছে। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট দলের অর্থনৈতিক মুখপাত্র মাইকেল ড্যামবার্গ মধ্য-ডানপন্থী সরকারের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ করে পার্লামেন্টে বলেন, ‘আজ সুইডেনে সাধারণ পরিবারগুলো তাদের সঞ্চয় শেষ করে ফেলেছে এবং দৈনন্দিন জীবন চালানোর জন্য ঋণ নিচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী এলিসাবেথ সোয়ানটেসন ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতি ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এলেও খাদ্যের উচ্চমূল্যের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘যারা সবচেয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে আছেন তাদের সমর্থন করা গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্যপণ্যের দামের বিষয়ে আমরা কী করতে পারি, তা দেখাটাও এখন জরুরি।’
গ্রামীণ বিষয়ক মন্ত্রী পিটার কুলগ্রেন মূল্যবৃদ্ধির জন্য আন্তর্জাতিক কারণগুলোকে দায়ী করেছেন, তবে বাণিজ্যের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করেছেন। তিনি খাদ্য শিল্প সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে সাম্প্রতিক আলোচনাকে ‘গঠনমূলক’ বলে অভিহিত করেছেন এবং এই সমস্যা সমাধানে আরও পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা আপাতত স্থগিত রাখার অনুমতি দিয়েছেন। এর ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় সাময়িকভাবে আটকে গেল।
৩ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ৬৫ বছর বয়সী পৌডেল দৌড়ে পালাচ্ছেন, আর পেছনে শত শত মানুষ তাঁকে ধাওয়া করছে। একপর্যায়ে এক তরুণ বিক্ষোভকারী সামনে থেকে এসে লাফিয়ে তাঁকে লাথি মারেন। এতে তিনি একটি লাল দেয়ালে ধাক্কা খান। কিছুক্ষণ পর তিনি আবার উঠে দৌড়াতে শুরু করেন।
৪ ঘণ্টা আগেনেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর কোটেশ্বরে ভয়াবহ সহিংসতায় তিন পুলিশ কর্মকর্তা প্রাণ হারিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, আত্মসমর্পণের পরও আন্দোলনকারীরা তাঁদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেদোহায় ইসরায়েলি হামলায় কোনো ক্ষতি হয়নি হামাস নেতাদের। হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য সুহাইল আল-হিন্দি আল জাজিরাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগে