Ajker Patrika

অবৈধদের ফেরত পাঠাবে ইইউ, বিপদে বাংলাদেশও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯: ৩১
অবৈধদের ফেরত পাঠাবে ইইউ, বিপদে বাংলাদেশও

দরিদ্র ও উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে প্রতিবছর বৈধ-অবৈধ পথে ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমায় বিপুলসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশী। এমনকি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা জানিয়েও রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন অনেকে। তবে এবার ভিসা নিয়ে আরও কঠোর হচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপে আশ্রয়ের বৈধ কাগজপত্র নেই এমন লোকদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর উপায় এবং এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করা দেশগুলোর বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে চাইছে আঞ্চলিক জোটটি। এ বিষয়ে আলোচনা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন ইইউর অভিবাসনবিষয়ক মন্ত্রীরা। খবর রয়টার্সের।

ইইউ সীমান্ত সংস্থা ফ্রনটেক্সের তথ্য বলছে, গত বছর অবৈধভাবে অন্তত ৩ লাখ ৩০ হাজার মানুষ ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশ করে, ২০১৬ সালের পর যা সর্বোচ্চ। এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশির ভাগই গেছেন পশ্চিম বলকান রুট হয়ে।

যেসব দেশ নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজে সহযোগিতা করতে ব্যর্থ হয়, প্রায় তিন বছর আগে সেই সব দেশের জন্য ভিসা সীমিত করার পদক্ষেপে ঐক্যমতে পৌঁছেছিল ২৭ জাতিরাষ্ট্রের এই জোট। কিন্তু ওই সিদ্ধান্তের পর কেবল আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে শাস্তি দেওয়া হয়।

ইইউর নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন ইরাক, সেনেগাল ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার মতো একই ধরনের শাস্তির প্রস্তাব করেছে। তবে প্রত্যাবাসন নিয়ে ঢাকার সঙ্গে ইইউর পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উন্নতি ঘটেছে বলে ইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০২১ সালে ইইউ থেকে অবৈধ আশ্রয়প্রার্থী ফেরতের হার মাত্র ২১ শতাংশ।

ইইউর এক কর্মকর্তা বলেছেন, অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী ও আশ্রয়প্রার্থীদের ফেরত পাঠানোর হার খুব কম, যা অগ্রহণযোগ্য।

রয়টার্স বলছে, অভিবাসন নিয়ে রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ইইউ জোটের দেশগুলো। একই সঙ্গে অবৈধদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোও তাদের প্রাধান্যের তালিকায় রয়েছে। গতকালের বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকি অবৈধদের ফেরত পাঠানো এবং অভিবাসীদের নিয়ে একটি নতুন পদ্ধতি দাঁড় করানোর বিষয়ে জোটের সদস্যরা একে অন্যের কথা শুনেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত