অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত করছে। এই তদন্ত মূলত তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের আমলের ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তের অংশ। গত আগস্টে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন।
ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকার এই এমপি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রেজারির অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ তাঁর বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করছে।
টিউলিপ বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছিলেন, কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে—আমি এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রকার গুরুত্ব দিতে বা কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।’
প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি দেশ অন্য দেশকে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে বিচারের জন্য হস্তান্তর করার অনুরোধ জানাতে পারে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ২বি প্রত্যর্পণ দেশের তালিকায় রেখেছে। এর অর্থ হলো—বিচারকেরা টিউলিপকে প্রত্যর্পণ করতে চাইলে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগত কোনো মামলায় মন্তব্য করবেন না।
রোববার টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে এই এমপির বিরুদ্ধে ‘বিভিন্ন অভিযোগ’ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মিসেস সিদ্দিকের আইনজীবীরা লিখিতভাবে এর জবাব দিয়েছেন।’
দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই তদন্ত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের করা একগুচ্ছ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিসির দেখা আদালতের নথি অনুযায়ী, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন—টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে একটি চুক্তি করতে সাহায্য করেছিলেন। এই চুক্তিতে বাংলাদেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়েছিল।
দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, এই অভিযোগগুলো ‘কোনোভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন নয়’ এবং তাদের তদন্ত ‘দুর্নীতির নথিবদ্ধ প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে’ পরিচালিত। তিনি আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের আদালতের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মামলায় আইনি সহায়তা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব।’
এ বছরের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করেন। এর পরপরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। স্যার লরি তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, তিনি ‘কোনো প্রকার অসংগতির প্রমাণ পাননি।’
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালানোর অভিযোগ তুলেছেন ব্রিটেনে ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির এমপি ও সাবেক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর এই মন্তব্য করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ তদন্ত করছে। এই তদন্ত মূলত তাঁর খালা শেখ হাসিনার সরকারের আমলের ব্যাপক দুর্নীতির তদন্তের অংশ। গত আগস্টে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারিত হন।
ব্রিটেনের হ্যাম্পস্টেড ও হাইগেট এলাকার এই এমপি চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রেজারির অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ তাঁর বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টিউলিপ সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করছে।
টিউলিপ বলেন, ‘আমার আইনজীবীরা সক্রিয়ভাবে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে লিখেছিলেন, কিন্তু তারা কোনো উত্তর দেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, আপনারা বুঝবেন যে—আমি এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারকে কোনো প্রকার গুরুত্ব দিতে বা কোনো মন্তব্য করতে পারি না।’
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার, আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের প্রমাণ নেই।’
প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একটি দেশ অন্য দেশকে কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হলে বিচারের জন্য হস্তান্তর করার অনুরোধ জানাতে পারে। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ২বি প্রত্যর্পণ দেশের তালিকায় রেখেছে। এর অর্থ হলো—বিচারকেরা টিউলিপকে প্রত্যর্পণ করতে চাইলে সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাংলাদেশকে সুস্পষ্ট প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগত কোনো মামলায় মন্তব্য করবেন না।
রোববার টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবীরা বলেন, দুদক গত কয়েক মাসে গণমাধ্যমে এই এমপির বিরুদ্ধে ‘বিভিন্ন অভিযোগ’ করেছে। টিউলিপ সিদ্দিকের আইনজীবী স্টিফেনসন হারউড বিবিসিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং মিসেস সিদ্দিকের আইনজীবীরা লিখিতভাবে এর জবাব দিয়েছেন।’
দুদক শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অবকাঠামো খাত থেকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছে। এই তদন্ত শেখ হাসিনার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ববি হাজ্জাজের করা একগুচ্ছ অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে।
বিবিসির দেখা আদালতের নথি অনুযায়ী, ববি হাজ্জাজ অভিযোগ করেছেন—টিউলিপ সিদ্দিক ২০১৩ সালে রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশকে একটি চুক্তি করতে সাহায্য করেছিলেন। এই চুক্তিতে বাংলাদেশে নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যয় অনেক বেশি ধরা হয়েছিল।
দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন এর আগে বিবিসিকে বলেছিলেন, এই অভিযোগগুলো ‘কোনোভাবেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ভিত্তিহীন নয়’ এবং তাদের তদন্ত ‘দুর্নীতির নথিবদ্ধ প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে’ পরিচালিত। তিনি আরও বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিকের বাংলাদেশের আদালতের কার্যক্রম থেকে দূরে থাকা উচিত নয়।’ তিনি বলেন, ‘টিউলিপ সিদ্দিক তাঁর মামলায় আইনি সহায়তা নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আমরা সেটাকে স্বাগত জানাব।’
এ বছরের শুরুতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈতিক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস টিউলিপের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করেন। এর পরপরই টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। স্যার লরি তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, তিনি ‘কোনো প্রকার অসংগতির প্রমাণ পাননি।’
আরও খবর পড়ুন:
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ সংগঠনটির সদস্যপদ বা সমর্থন এখন একটি ফৌজদারি অপরাধ। সন্ত্রাসবাদ আইন, ২০০০-এর অধীনে এ জন্য ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
১ ঘণ্টা আগেভারত ও বাংলাদেশের আপত্তি উপেক্ষা করে আঞ্চলিক অভিন্ন নদ ব্রহ্মপুত্রের উজানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করেছে চীন। আজ শনিবার তিব্বতের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত এই নদে বিশাল জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং। বার্তা সংস্থা এএফপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ব্যস্ত একটি নাইট ক্লাবের বাইরে অপেক্ষারত মানুষের ভিড়ের ওপর গাড়ি উঠে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। শহরের ফায়ার ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে, শনিবার (১৯ জুলাই) স্থানীয় সময় রাত দুইটার দিকে সান্তা মনিকা শহরের প্রশস্ত সড়কের পাশে
২ ঘণ্টা আগেপুলিশের তথ্য অনুযায়ী, আব্দুল কালাম ওরফে নেহা ১০ বছর বয়সে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন। প্রায় দুই দশক মুম্বাইয়ে কাটানোর পর তিনি ভোপালে থিতু হন। পুলিশের অভিযোগ, তিনি তৃতীয় লিঙ্গের পরিচয় ধারণ করে স্থানীয় হিজড়া সম্প্রদায়ের সক্রিয় সদস্য হয়েছিলেন। পরবর্তীতে স্থানীয় দালালদের সহায়তায় ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার...
৪ ঘণ্টা আগে