অনলাইন ডেস্ক
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ভয়াবহ হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছিলেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ড. বরিস তোদুরভ। তাঁর সঙ্গে ছিল এক অনন্য ও অমূল্য পাথেয়—একটি হৃৎপিণ্ড। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি শিশুর জীবন বাঁচানো।
সিএনএন জানিয়েছে, ড. তোদুরভের রোগী ছিল এক মরণাপন্ন শিশু, বহুদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিল সে। কয়েক দিন আগে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে চিকিৎসক বুঝতে পারেন—হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায়। ঠিক এমন সময় শহরের অপর প্রান্তে এক চার বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। পরে মেয়েটির পরিবার তার হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও লিভার দান করে দেয়।
কিয়েভের ওখমাতদিত শিশু হাসপাতালে দান করা ওই হৃৎপিণ্ড অপসারণ করে এটি নিয়ে তোদুরভ পাড়ি জমান শহরের অন্য প্রান্তে অবস্থিত হার্ট ইনস্টিটিউটের উদ্দেশে। সেখানেই অপেক্ষা করছিল তাঁর রোগী। কিন্তু যাত্রাপথে পুরো ১০ মাইল পথজুড়ে কিয়েভের আকাশে উড়ছিল রুশ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছিল শহরটি।
তবু থামেননি তোদুরভ। ডিনিপ্রো নদীর ওপর সেতু পেরোনো ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। কারণ, ওই অঞ্চলেই ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে থাকে, যাতে ধ্বংসাবশেষ নদীতে পড়ে।
রাস্তায় আগুন জ্বলছিল, মাথার ওপর দিয়ে উড়ছে ড্রোন—তার মাঝেই ভিডিওতে দেখা যায়, তোদুরভ বলছেন, ‘আমরা একটি হৃদয় বহন করছি।’
অবশেষে তিনি সফলভাবে হাসপাতালে পৌঁছে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন এবং শুরু হয় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত একটি দেহ থেকে নেওয়া হৃৎপিণ্ডটি তখন নতুন শিশুটির বুকে স্পন্দন তুলছিল। তোদুরভ বলেন, ‘হৃৎপিণ্ডটি কাজ করছে, রক্তচাপ স্থিতিশীল। আমরা আশাবাদী—শিশুটি সুস্থ হয়ে দীর্ঘ ও পরিপূর্ণ জীবন পাবে।’
ইউক্রেনীয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টার জানায়, চার বছর বয়সী যে মেয়ে হৃদয় দান করেছিল, তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় এক ১৪ বছর বয়সী ছেলের শরীরে এবং লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর শরীরে। ওই দুটি অস্ত্রোপচার ওখমাতদিত হাসপাতালেই সম্পন্ন হয়।
নতুন জীবন পাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনই ছিল সংকটাপন্ন অবস্থায়। সময়মতো অঙ্গ প্রতিস্থাপন না হলে তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ছোট্ট দানকারীর আত্মা শান্তিতে থাকুক। তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা এবং তাদের এই কঠিন ও মহান সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।’
রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের ভয়াবহ হামলার মধ্যেই ইউক্রেনের কিয়েভ শহরের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুতগতিতে ছুটে যাচ্ছিলেন হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ ড. বরিস তোদুরভ। তাঁর সঙ্গে ছিল এক অনন্য ও অমূল্য পাথেয়—একটি হৃৎপিণ্ড। তাঁর লক্ষ্য ছিল, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে একটি শিশুর জীবন বাঁচানো।
সিএনএন জানিয়েছে, ড. তোদুরভের রোগী ছিল এক মরণাপন্ন শিশু, বহুদিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিল সে। কয়েক দিন আগে তার অবস্থার দ্রুত অবনতি হলে চিকিৎসক বুঝতে পারেন—হৃদ্যন্ত্র প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায়। ঠিক এমন সময় শহরের অপর প্রান্তে এক চার বছর বয়সী মেয়ের মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। পরে মেয়েটির পরিবার তার হৃৎপিণ্ড, কিডনি ও লিভার দান করে দেয়।
কিয়েভের ওখমাতদিত শিশু হাসপাতালে দান করা ওই হৃৎপিণ্ড অপসারণ করে এটি নিয়ে তোদুরভ পাড়ি জমান শহরের অন্য প্রান্তে অবস্থিত হার্ট ইনস্টিটিউটের উদ্দেশে। সেখানেই অপেক্ষা করছিল তাঁর রোগী। কিন্তু যাত্রাপথে পুরো ১০ মাইল পথজুড়ে কিয়েভের আকাশে উড়ছিল রুশ ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্ফোরণে কেঁপে উঠছিল শহরটি।
তবু থামেননি তোদুরভ। ডিনিপ্রো নদীর ওপর সেতু পেরোনো ছিল সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অংশ। কারণ, ওই অঞ্চলেই ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে থাকে, যাতে ধ্বংসাবশেষ নদীতে পড়ে।
রাস্তায় আগুন জ্বলছিল, মাথার ওপর দিয়ে উড়ছে ড্রোন—তার মাঝেই ভিডিওতে দেখা যায়, তোদুরভ বলছেন, ‘আমরা একটি হৃদয় বহন করছি।’
অবশেষে তিনি সফলভাবে হাসপাতালে পৌঁছে অপারেশন থিয়েটারে প্রবেশ করেন এবং শুরু হয় প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া। মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মৃত একটি দেহ থেকে নেওয়া হৃৎপিণ্ডটি তখন নতুন শিশুটির বুকে স্পন্দন তুলছিল। তোদুরভ বলেন, ‘হৃৎপিণ্ডটি কাজ করছে, রক্তচাপ স্থিতিশীল। আমরা আশাবাদী—শিশুটি সুস্থ হয়ে দীর্ঘ ও পরিপূর্ণ জীবন পাবে।’
ইউক্রেনীয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট কো-অর্ডিনেশন সেন্টার জানায়, চার বছর বয়সী যে মেয়ে হৃদয় দান করেছিল, তার কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় এক ১৪ বছর বয়সী ছেলের শরীরে এবং লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় ১৬ বছরের এক কিশোরীর শরীরে। ওই দুটি অস্ত্রোপচার ওখমাতদিত হাসপাতালেই সম্পন্ন হয়।
নতুন জীবন পাওয়া তিনজনের মধ্যে দুজনই ছিল সংকটাপন্ন অবস্থায়। সময়মতো অঙ্গ প্রতিস্থাপন না হলে তাঁদের বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে।
সংস্থাটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ছোট্ট দানকারীর আত্মা শান্তিতে থাকুক। তার পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা এবং তাদের এই কঠিন ও মহান সিদ্ধান্তের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা।’
মার্কিন বি-৫২ এইচ কৌশলগত বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমানের যৌথ মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ মহড়া দেয় তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি শক্তিশালী করায় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার
১ ঘণ্টা আগেএশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে একধরনের ‘শীতল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক প্রতিশ্রুতি; প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই পরাশক্তির লড়াই এখন আর গোপন কিছু নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে এই লড়াই ক্রমেই আরও স্পষ্ট হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের রাষ্ট্রবিরোধী লড়াইয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়োজিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধারা আজ শুক্রবার উত্তর ইরাকে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানে অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। এই পদক্ষেপকে পিকেকের দীর্ঘ সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পথে যাত্রার প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ হিসেবে
৩ ঘণ্টা আগেভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাষা ও পরিচয় ঘিরে উত্তেজনা চলছে, যা সম্প্রতি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো বাধ্যতামূলক করলে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে