আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামীকাল শুক্রবার আলাস্কায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন। এ বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—অতীতের মতো পুতিনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবাপন্ন ট্রাম্প নাকি সম্প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে ট্রাম্প নিজের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের চেয়ে পুতিনের কথায় বেশি আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প পুতিনের প্রতি অনেক বেশি কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছেন। ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে তিনি ক্ষুব্ধ।
ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা আশঙ্কা করছেন, এ বৈঠকের ফল যদি রাশিয়ার অনুকূলে যায়, তবে তা ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র যেমন—পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার জন্য আগ্রাসনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ইউক্রেনের জন্যও এ বৈঠকের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, সাড়ে তিন বছরের তীব্র যুদ্ধের পর তারা এখন রুশ বাহিনীর কাছে ভূমি হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আচরণে একটি নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যখন ট্রাম্প আবারও ক্ষমতা নেন, তখন তিনি পুতিনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি তাঁর প্রশাসন রাশিয়াকে চাপ দেওয়া কমিয়ে দেয় এবং তাঁর কিছু সহযোগী রাশিয়ার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে।
তবে পুতিন ট্রাম্পের এমন নরম মনোভাবের সুযোগ নিয়ে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখেন। এতে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে জুলাই মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহে রাজি হন (যার খরচ বহন করবে ইউরোপ) এবং মস্কোর ওপর নতুন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প, যা রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের একটি পরোক্ষ কৌশল।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান ফ্রাইডের মতে, এটি একটি যৌক্তিক উদ্বেগ যে পুতিন আবারও ট্রাম্পকে প্রতারিত করতে পারেন এবং ইউক্রেনের জন্য একটি ভয়ংকর চুক্তি করতে পারেন। তবে তিনি এও মনে করেন, এবার ভিন্ন কিছু ঘটাও সম্ভব, যদি ট্রাম্প প্রশাসন বুঝতে পারে যে পুতিন এখনো তাদের নিয়ে খেলছেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ বৈঠককে ‘শোনার অনুশীলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি প্রথমে যুদ্ধবিরতি চান। এরপর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান। তবে তিনি ও ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের ‘ল্যান্ড সোয়াপ’ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন, কারণ, ইউক্রেন কোনো রুশ ভূখণ্ড দখল করেনি।
সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এখন ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক। বোল্টন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, পুতিন সম্ভবত ট্রাম্পের ওপর তাঁর ‘জাদু’ প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগামীকাল শুক্রবার আলাস্কায় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন। এ বৈঠক ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে—অতীতের মতো পুতিনের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাবাপন্ন ট্রাম্প নাকি সম্প্রতি কঠোর অবস্থান নেওয়া ট্রাম্প বৈঠকে উপস্থিত হবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ২০১৮ সালে হেলসিঙ্কিতে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠকটি বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে ট্রাম্প নিজের দেশের গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের চেয়ে পুতিনের কথায় বেশি আস্থা রেখেছিলেন। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। গত কয়েক মাস ধরে ট্রাম্প পুতিনের প্রতি অনেক বেশি কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছেন। ইউক্রেনের শহরগুলোতে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে তিনি ক্ষুব্ধ।
ইউক্রেন ও ইউরোপের নেতারা আশঙ্কা করছেন, এ বৈঠকের ফল যদি রাশিয়ার অনুকূলে যায়, তবে তা ন্যাটোর সদস্যরাষ্ট্র যেমন—পোল্যান্ড, এস্তোনিয়া, লিথুয়ানিয়া ও লাটভিয়ার জন্য আগ্রাসনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। ইউক্রেনের জন্যও এ বৈঠকের ফলাফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ, সাড়ে তিন বছরের তীব্র যুদ্ধের পর তারা এখন রুশ বাহিনীর কাছে ভূমি হারাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞেরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আচরণে একটি নাটকীয় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে যখন ট্রাম্প আবারও ক্ষমতা নেন, তখন তিনি পুতিনের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করেন এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি তাঁর প্রশাসন রাশিয়াকে চাপ দেওয়া কমিয়ে দেয় এবং তাঁর কিছু সহযোগী রাশিয়ার পক্ষে কথা বলতে শুরু করে।
তবে পুতিন ট্রাম্পের এমন নরম মনোভাবের সুযোগ নিয়ে ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখেন। এতে ট্রাম্প ক্ষুব্ধ হয়ে জুলাই মাসে পুতিনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তিনি ইউক্রেনকে নতুন অস্ত্র সরবরাহে রাজি হন (যার খরচ বহন করবে ইউরোপ) এবং মস্কোর ওপর নতুন আর্থিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন। সম্প্রতি রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য ভারতের ওপর অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার ঘোষণা দেন ট্রাম্প, যা রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগের একটি পরোক্ষ কৌশল।
কূটনৈতিক বিশ্লেষক ড্যান ফ্রাইডের মতে, এটি একটি যৌক্তিক উদ্বেগ যে পুতিন আবারও ট্রাম্পকে প্রতারিত করতে পারেন এবং ইউক্রেনের জন্য একটি ভয়ংকর চুক্তি করতে পারেন। তবে তিনি এও মনে করেন, এবার ভিন্ন কিছু ঘটাও সম্ভব, যদি ট্রাম্প প্রশাসন বুঝতে পারে যে পুতিন এখনো তাদের নিয়ে খেলছেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এ বৈঠককে ‘শোনার অনুশীলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি প্রথমে যুদ্ধবিরতি চান। এরপর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চান। তবে তিনি ও ইউরোপের নেতারা ট্রাম্পের ‘ল্যান্ড সোয়াপ’ প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন, কারণ, ইউক্রেন কোনো রুশ ভূখণ্ড দখল করেনি।
সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এখন ট্রাম্পের একজন কড়া সমালোচক। বোল্টন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, পুতিন সম্ভবত ট্রাম্পের ওপর তাঁর ‘জাদু’ প্রয়োগ করতে শুরু করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির ৭৬ বছর বয়সী থংবুয়ে ওংবানডু (ডাকনাম ‘বু’) একদিন হঠাৎ একদিন পরিবারকে জানালেন, তিনি নিউইয়র্কে এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন। বৃদ্ধের মুখে এই কথা শুনে তাঁর স্ত্রী লিন্ডা কিছুটা অবাকই হলেন—কারণ, বহু বছর আগে নিউইয়র্ক ছেড়ে আসা বু সেখানে কাউকেই চিনতেন না।
২ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরের কিসতওয়ার জেলার প্রত্যন্ত গ্রাম চশোতি আজ পরিণত হয়েছে এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে। দুপুরের পর হঠাৎ করেই ঘটে যায় প্রবল ক্লাউডবার্স্ট। মুহূর্তের মধ্যেই পাহাড়ি ঝরনাগুলো দানবীয় রূপে নেমে আসে গ্রাম ও তার আশপাশে। জল, কাদা, পাথর মিশে তৈরি হয় এক অপ্রতিরোধ্য ধ্বংস স্রোত।
২ ঘণ্টা আগেভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আবারও উত্তেজনার কেন্দ্রে এসে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের একটি মন্তব্যকে ঘিরে এই উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। আসিম মুনির প্রকাশ্যে ভারতের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনার কথা তুলেছেন, যার কড়া জবাব দিয়েছে ভারত।
৩ ঘণ্টা আগেপূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিস্তৃত অঞ্চল নিয়ে গঠিত দনবাস। অঞ্চলটি নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সংঘাত তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা সতর্ক করেছেন, দনবাস হারালে তা ইউক্রেনের জন্য ‘বিধ্বংসী পরিণতি’ বয়ে আনতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগে