অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পরপরই ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলো তাদের দেশে থাকা রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জব্দ করে। এবার সেই অর্থ-সম্পদের মধ্য থেকে প্রায় ২১০ বিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছে ইউরোপ। তাদের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) এ বিষয়ে অবগত কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এত দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জব্দ থাকা এই সম্পদ সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করার বিরোধিতা করলেও এবার দেশ দুটি যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে যে কীভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র তিনটি জানিয়েছে, ফরাসি কর্মকর্তারা ইউরোপীয় দেশগুলোকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে—যদি মস্কো ভবিষ্যতে ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। ইউরোপীয় নেতারা মনে করছেন, ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিতের রক্ষাকবচ হতে পারে এটি।
যুদ্ধবিরতি-সংযুক্ত বাজেয়াপ্তকরণের পক্ষে থাকা ব্যক্তিরা এটিকে রাশিয়াকে কোনো চুক্তি মানতে বাধ্য করার এবং কিয়েভের জন্য একটি নিশ্চয়তা দেওয়ার উপায় হিসেবে দেখছেন।
এই আলোচনা এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ইউরোপে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য ইউক্রেনের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্তের ফলে নতুন গতি পেয়েছে এই প্রচেষ্টা।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭ ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৩১৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করে। এই জব্দ করা সম্পদের মধ্যে বেশির ভাগ অর্থ—প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বেলজিয়ামের কেন্দ্রীয় সিকিউরিটি ডিপোজিটরি ইউরোক্লিয়ারে রাখা আছে। বাকি অংশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত আছে।
বর্তমানে এই সম্পদ থেকে আসা আয়—মূলত নগদ ও সরকারি বন্ডের সুদ—জি-৭ দেশগুলোর ইউক্রেনকে দেওয়া ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে মূল সম্পদ এখনো অক্ষত।
ইউক্রেন, পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই মূল সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বার্লিন, প্যারিস, ব্রাসেলসসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী আগে এর বিরোধিতা করেছিল। কারণ, তারা মনে করত রাষ্ট্রীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে তা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে বিদেশি রিজার্ভের জন্য ইউরোর নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ হিমায়িত সম্পদ ইউরোতে মূল্যায়িত।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, এই সম্পদ অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান জানানো হবে না। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, যুদ্ধের শেষে এই অর্থ আলোচনার অংশ হতে পারে।
জার্মানির সম্ভাব্য পরবর্তী চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস এ ধরনের বাজেয়াপ্তকরণ প্রস্তাব সমর্থন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে অবগত এক ব্যক্তি বলেছেন, মের্ৎস আগামীকাল বুধবার অন্তর্বর্তী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে বৃহস্পতিবারের ইইউ নেতাদের সম্মেলনের আগে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সোমবার বলেছেন, লন্ডন জব্দ করা রুশ সম্পদের ব্যবহারের উপায় খুঁজছে। তিনি সংসদ সদস্যদের বলেন, ‘অবশ্যই, এই সম্পদ থেকে আসা মুনাফা ও সুদ ব্যবহার করা হচ্ছে।’
স্টারমার আরও বলেন, ‘মূল সম্পদের বিষয়ে বলতে গেলে, এটি অত্যন্ত জটিল ইস্যু। এটি সহজ নয়। তবে আমি মনে করি, আমাদের আরও কিছু করা দরকার এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে সম্ভাব্য পথগুলো খতিয়ে দেখছি।’
ফরাসি প্রস্তাবে আগ্রহী অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হলেও এখনো এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থেকে দূরে। বাজেয়াপ্তকরণের পক্ষে থাকা দেশগুলোর অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে অবগত একজন ব্যক্তি বলেছেন, ‘আরও বেশি দেশ এখন এই জব্দ সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের বিষয়টি কূটনৈতিক চাপ হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী।’
রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ শুরুর পরপরই ইউরোপের প্রধান শক্তিগুলো তাদের দেশে থাকা রাশিয়ার বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদ জব্দ করে। এবার সেই অর্থ-সম্পদের মধ্য থেকে প্রায় ২১০ বিলিয়ন ডলার বাজেয়াপ্ত করার প্রচেষ্টা নিতে যাচ্ছে ইউরোপ। তাদের দাবি, ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি তৈরির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই অর্থ বাজেয়াপ্ত করা হবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে (এফটি) এ বিষয়ে অবগত কিন্তু নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন ব্যক্তি জানিয়েছেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এত দিন ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) জব্দ থাকা এই সম্পদ সম্পূর্ণ বাজেয়াপ্ত করার বিরোধিতা করলেও এবার দেশ দুটি যুক্তরাজ্য ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করছে যে কীভাবে এই সম্পদ ব্যবহার করা যেতে পারে।
সূত্র তিনটি জানিয়েছে, ফরাসি কর্মকর্তারা ইউরোপীয় দেশগুলোকে একটি প্রস্তাব দিয়েছেন, যাতে বলা হয়েছে—যদি মস্কো ভবিষ্যতে ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে, তাহলে এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা যেতে পারে। ইউরোপীয় নেতারা মনে করছেন, ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ-পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিতের রক্ষাকবচ হতে পারে এটি।
যুদ্ধবিরতি-সংযুক্ত বাজেয়াপ্তকরণের পক্ষে থাকা ব্যক্তিরা এটিকে রাশিয়াকে কোনো চুক্তি মানতে বাধ্য করার এবং কিয়েভের জন্য একটি নিশ্চয়তা দেওয়ার উপায় হিসেবে দেখছেন।
এই আলোচনা এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন ইউরোপে কূটনৈতিক তৎপরতা বেড়েছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের নেতৃত্বে এই প্রচেষ্টার লক্ষ্য ইউক্রেনের জন্য একটি শান্তি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মস্কোর সরাসরি আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্তের ফলে নতুন গতি পেয়েছে এই প্রচেষ্টা।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-৭ ২০২২ সালে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রায় ৩১৫ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করে। এই জব্দ করা সম্পদের মধ্যে বেশির ভাগ অর্থ—প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বেলজিয়ামের কেন্দ্রীয় সিকিউরিটি ডিপোজিটরি ইউরোক্লিয়ারে রাখা আছে। বাকি অংশ ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জাপান, সুইজারল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে সংরক্ষিত আছে।
বর্তমানে এই সম্পদ থেকে আসা আয়—মূলত নগদ ও সরকারি বন্ডের সুদ—জি-৭ দেশগুলোর ইউক্রেনকে দেওয়া ৫০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পরিশোধে ব্যবহৃত হচ্ছে, তবে মূল সম্পদ এখনো অক্ষত।
ইউক্রেন, পোল্যান্ড ও বাল্টিক রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে এই মূল সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি জানিয়ে আসছে। কিন্তু বার্লিন, প্যারিস, ব্রাসেলসসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজধানী আগে এর বিরোধিতা করেছিল। কারণ, তারা মনে করত রাষ্ট্রীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে তা আন্তর্জাতিক আইনের দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে।
ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল যে, এই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে বিদেশি রিজার্ভের জন্য ইউরোর নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ হিমায়িত সম্পদ ইউরোতে মূল্যায়িত।
গত সপ্তাহে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বলেন, এই সম্পদ অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করা আন্তর্জাতিক আইনকে সম্মান জানানো হবে না। তবে তিনি ইঙ্গিত দেন, যুদ্ধের শেষে এই অর্থ আলোচনার অংশ হতে পারে।
জার্মানির সম্ভাব্য পরবর্তী চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎস এ ধরনের বাজেয়াপ্তকরণ প্রস্তাব সমর্থন করতে পারেন বলে জানা গেছে। এই বিষয়ে অবগত এক ব্যক্তি বলেছেন, মের্ৎস আগামীকাল বুধবার অন্তর্বর্তী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলোচনা করবেন, যাতে বৃহস্পতিবারের ইইউ নেতাদের সম্মেলনের আগে তাদের অবস্থান সমন্বয় করা যায়।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার সোমবার বলেছেন, লন্ডন জব্দ করা রুশ সম্পদের ব্যবহারের উপায় খুঁজছে। তিনি সংসদ সদস্যদের বলেন, ‘অবশ্যই, এই সম্পদ থেকে আসা মুনাফা ও সুদ ব্যবহার করা হচ্ছে।’
স্টারমার আরও বলেন, ‘মূল সম্পদের বিষয়ে বলতে গেলে, এটি অত্যন্ত জটিল ইস্যু। এটি সহজ নয়। তবে আমি মনে করি, আমাদের আরও কিছু করা দরকার এবং আমরা অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলে সম্ভাব্য পথগুলো খতিয়ে দেখছি।’
ফরাসি প্রস্তাবে আগ্রহী অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক হলেও এখনো এটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত থেকে দূরে। বাজেয়াপ্তকরণের পক্ষে থাকা দেশগুলোর অবস্থান আরও দৃঢ় হয়েছে, কারণ ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা বন্ধের হুমকি দিয়েছে। এই বিষয়ে অবগত একজন ব্যক্তি বলেছেন, ‘আরও বেশি দেশ এখন এই জব্দ সম্পদ বাজেয়াপ্তকরণের বিষয়টি কূটনৈতিক চাপ হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী।’
বাংলাদেশের ১১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় পৌঁছেছেন। সেখানে তাঁরা বাংলাদেশ-ভারত গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে বৈঠকে বসবেন। গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে...
৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ওয়ার্ল্ড রেসলিং এন্টারটেইনমেন্টের (ডব্লিউডব্লিউই) সাবেক প্রধান নির্বাহী লিন্ডা ম্যাকমাহন। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট তাঁর নিয়োগ নিশ্চিত করেছে। তাঁকে এমন এক দপ্তরের নেতৃত্বে বসানো হলো, যেটি ভেঙে দেওয়ার ব্যাপারে...
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজাকে মধ্যপ্রাচ্যের রিভেরায় পরিণত করার পরিকল্পনার মোকাবিলায় মিসর একটি বিকল্প প্রস্তাব তৈরি করেছে। এই প্রস্তাব অনুসারে, গাজার শাসনভার আর হামাসের থাকবে না। বরং, আরব, মুসলিম ও পশ্চিমা দেশগুলো নিয়ন্ত্রিত...
২ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ। বিশ্বের ৬২ শতাংশ মুসলিম এশিয়া–প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বসবাস করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুসলিমের বাস ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইরান এবং তুরস্কে।
৩ ঘণ্টা আগে