Ajker Patrika

৬৫ যুদ্ধবন্দীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে ইউক্রেন, অভিযোগ রাশিয়ার

আপডেট : ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০: ১৬
৬৫ যুদ্ধবন্দীবাহী বিমানে ক্ষেপণাস্ত্র মেরেছে ইউক্রেন, অভিযোগ রাশিয়ার

ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দীদের বহনকারী রুশ বিমান ক্ষেপণাস্ত্র মেরে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে রাশিয়া। আজ বুধবার রাশিয়ার বেলগোরোদ অঞ্চলে রুশ ইউশিন আইএল-৭৬ সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৬৫ ইউক্রেনীয় সেনাসহ ৭৪ জনের মৃত্যু হয়। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই উড়োজাহাজে ছয়জন রুশ ক্রু ও তিন রুশ সেনা ছিলেন। 

মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইউক্রেন ভালোভাবেই জানত, প্রতিষ্ঠিত চর্চা অনুসারে, ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সামরিক পরিবহন বিমানের মাধ্যমে আজ বেলগোরোদ এয়ারফিল্ডে বিনিময় করা হবে। আগের চুক্তি অনুযায়ী, বিকেলে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের কলোতিলোভকা চেকপয়েন্টে এই বিনিময় হওয়ার কথা ছিল।’ 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ইউক্রেন নেতৃত্ব তাদের আসল চেহারা দেখিয়েছে। তারা নিজের নাগরিকদের জীবনকে উপেক্ষা করেছে।’ 

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনাকে ‘বর্বরোচিত কাজ’ বলে অভিহিত করেছে। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পদোলিয়াকের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘মন্তব্য একটু পরে জানানো হবে। সব তথ্য স্পষ্ট করার জন্য সময়ের প্রয়োজন।’ 

টেলিগ্রামে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত চ্যানেল বাজায় প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বেলগোরোদ অঞ্চলের ইয়াবলোনোভো গ্রামের কাছে একটি বড় উড়োজাহাজ মাটিতে আছড়ে পড়ে। এরপর একটি বিশাল আগুনের কুণ্ডলী তৈরি হয়। 

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা বাহিনীর মুখপাত্র আন্দ্রি ইউসভ রেডিও সভোবোদাকে বলেন, বুধবার বন্দিবিনিময়ের পরিকল্পনা ছিল। তবে এ মুহূর্তে তা আর হচ্ছে না। 

ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। 

ইউক্রেনের সংবাদমাধ্যম ইউক্রেইনস্কা প্রাভদা সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেছে, কিয়েভ ওই উড়োজাহাজকে ভূপাতিত করেছে; কারণ, সেখানে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছিল। কিন্তু পরে প্রতিবেদনটি সংশোধন করে বলা হয়, এ তথ্য অন্য কোনো সূত্র নিশ্চিত করেনি। 

রাশিয়ার সংসদের আইনপ্রণেতা এবং অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আন্দ্রেই কারতাপলোভ এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, ইউক্রেনের ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার অপারেটরদের পক্ষে পরিবহন বিমানগুলোকে সামরিক বিমান বা হেলিকপ্টার ভেবে ভুল করা অসম্ভব ব্যাপার। 

কারতাপলোভ বলেন, ‘বন্দিবিনিময় বানচাল করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই এটি করা হয়েছে।’ প্রায় ৮০ জন ইউক্রেনীয় সেনা নিয়ে রাশিয়ার দ্বিতীয় আইএল-৭৬ পরিবহন বিমানটি কোনোমতে ফিরে আসতে পেরেছে বলে জানান তিনি। 

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, বিমানটি ভূপাতিত করার সময় তাঁদের র‍্যাডার অপারেটররা ইউক্রেন থেকে ছুটে আসা দুটি ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত