অনলাইন ডেস্ক
২০১৬ সালের অক্টোবরে প্যারিসে এক ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কিম কারদাশিয়ান। সেই ঘটনার বিচারে চলমান মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতে কিম জানান, ঘটনার সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হবে।
দ্য পিপল জানিয়েছে, ঘটনার সময় কিম প্যারিসের বিলাসবহুল ‘নো অ্যাড্রেস’ হোটেলে অবস্থান করছিলেন ফ্যাশন উইকের জন্য। গভীর রাতে পাঁচ মুখোশধারী অস্ত্রধারী তাঁর কক্ষে ঢোকার পর তাঁকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে এবং জিপটাই দিয়ে হাত-পা বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখে।
ডাকাতেরা তাঁর প্রায় ৯০ লাখ ডলার (১০৯ কোটি টাকার বেশি) মূল্যের অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এসবের মধ্যে ছিল তাঁর সাবেক স্বামী কানিয়ে ওয়েস্ট উপহার দেওয়া ৪০ লাখ ডলারের (৪৮ কোটি টাকার বেশি) একটি হিরার আংটি, দুটি ডায়মন্ড কার্টিয়ার ব্রেসলেট, একটি সোনার রোলেক্স, ডায়মন্ড কানের দুলসহ আরও মূল্যবান গয়না।
আদালতে কিম বলেন, ‘আমি শুধু একটি গাউন পরে ছিলাম, যা ডাকাতেরা আমাকে টানার সময় খুলে যায়। আমার মনে হচ্ছিল, তারা এখনই আমাকে ধর্ষণ করবে।’
তবে শেষ পর্যন্ত ডাকাতেরা কিমের পা বেঁধে দেয়। কিম বলেন, “আমি বারবার বলছিলাম, ‘আমার বাচ্চারা আছে, আমাকে ওদের কাছে ফিরতেই হবে।’ কিন্তু তারা চুপ করিয়ে দেয়। আমি নিশ্চিত ছিলাম, তারা আমাকে গুলি করবে। ”
কিম জানান, ডাকাতেরা যখন স্পষ্টভাবে অলংকার লুটেই সন্তুষ্ট ছিল, তখনো তাঁর মনে হচ্ছিল যে প্রাণে বাঁচা সম্ভব নয়। তিনি প্রার্থনা করেছিলেন নিজের মা, বোন কোর্টনি এবং বন্ধুদের জন্য। তিনি ভাবছিলেন, কোর্টনি যখন হোটেলে ফিরবেন, তখন তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আজীবন সেই দৃশ্য মনে রাখবেন।
ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর কিম কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। তিনি নিশ্চিত হতে চাইছিলেন, তারা চলে গেছে কি না। পরে জিপটাই কেটে নিজেই মুক্ত হন এবং লাফিয়ে নিচের তলায় তাঁর স্টাইলিস্টের রুমে গিয়ে সাহায্য চান।
ঘটনার পর থেকে কিম তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, আগে তিনি বিদেশ সফরে বা বাড়িতে কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করতেন না। এখন তাঁর সঙ্গে সব সময় চার থেকে ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন।
এই মামলায় ১০ জন অভিযুক্তের বিচার চলছে। এদের অনেকেই প্রবীণ, যাদের ‘গ্র্যান্ডপা গ্যাং’ নামে অভিহিত করেছে ফরাসি গণমাধ্যম। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭১ বছরের ইউনিস আব্বাস নিজেকে অপরাধে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন এবং ২০২১ সালে ‘আই কিডন্যাপড কিম কারদাশিয়ান’ নামে একটি বইও লিখেছেন। তবে আদালতে তিনি জানান, বইয়ের শিরোনাম তাঁর নিজের দেওয়া নয় এবং এটিতে তাঁর ভূমিকা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রথমে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে বিচারাধীনদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেয়নি। তবে তাদের সহকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ডাকাতেরা সামাজিক মাধ্যমে কিমের পোস্ট দেখে কিমের অবস্থান শনাক্ত করেছিল।
এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কিম কারদাশিয়ানের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো সেই ট্রমা ভুলতে পারিনি। জীবন চিরতরে বদলে গেছে।’
২০১৬ সালের অক্টোবরে প্যারিসে এক ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কিম কারদাশিয়ান। সেই ঘটনার বিচারে চলমান মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতে কিম জানান, ঘটনার সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হবে।
দ্য পিপল জানিয়েছে, ঘটনার সময় কিম প্যারিসের বিলাসবহুল ‘নো অ্যাড্রেস’ হোটেলে অবস্থান করছিলেন ফ্যাশন উইকের জন্য। গভীর রাতে পাঁচ মুখোশধারী অস্ত্রধারী তাঁর কক্ষে ঢোকার পর তাঁকে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে এবং জিপটাই দিয়ে হাত-পা বেঁধে বাথরুমে আটকে রাখে।
ডাকাতেরা তাঁর প্রায় ৯০ লাখ ডলার (১০৯ কোটি টাকার বেশি) মূল্যের অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এসবের মধ্যে ছিল তাঁর সাবেক স্বামী কানিয়ে ওয়েস্ট উপহার দেওয়া ৪০ লাখ ডলারের (৪৮ কোটি টাকার বেশি) একটি হিরার আংটি, দুটি ডায়মন্ড কার্টিয়ার ব্রেসলেট, একটি সোনার রোলেক্স, ডায়মন্ড কানের দুলসহ আরও মূল্যবান গয়না।
আদালতে কিম বলেন, ‘আমি শুধু একটি গাউন পরে ছিলাম, যা ডাকাতেরা আমাকে টানার সময় খুলে যায়। আমার মনে হচ্ছিল, তারা এখনই আমাকে ধর্ষণ করবে।’
তবে শেষ পর্যন্ত ডাকাতেরা কিমের পা বেঁধে দেয়। কিম বলেন, “আমি বারবার বলছিলাম, ‘আমার বাচ্চারা আছে, আমাকে ওদের কাছে ফিরতেই হবে।’ কিন্তু তারা চুপ করিয়ে দেয়। আমি নিশ্চিত ছিলাম, তারা আমাকে গুলি করবে। ”
কিম জানান, ডাকাতেরা যখন স্পষ্টভাবে অলংকার লুটেই সন্তুষ্ট ছিল, তখনো তাঁর মনে হচ্ছিল যে প্রাণে বাঁচা সম্ভব নয়। তিনি প্রার্থনা করেছিলেন নিজের মা, বোন কোর্টনি এবং বন্ধুদের জন্য। তিনি ভাবছিলেন, কোর্টনি যখন হোটেলে ফিরবেন, তখন তাঁকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে আজীবন সেই দৃশ্য মনে রাখবেন।
ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর কিম কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন। তিনি নিশ্চিত হতে চাইছিলেন, তারা চলে গেছে কি না। পরে জিপটাই কেটে নিজেই মুক্ত হন এবং লাফিয়ে নিচের তলায় তাঁর স্টাইলিস্টের রুমে গিয়ে সাহায্য চান।
ঘটনার পর থেকে কিম তাঁর নিরাপত্তা বাড়িয়েছেন। তিনি জানান, আগে তিনি বিদেশ সফরে বা বাড়িতে কোনো নিরাপত্তার প্রয়োজন মনে করতেন না। এখন তাঁর সঙ্গে সব সময় চার থেকে ছয়জন নিরাপত্তাকর্মী থাকেন।
এই মামলায় ১০ জন অভিযুক্তের বিচার চলছে। এদের অনেকেই প্রবীণ, যাদের ‘গ্র্যান্ডপা গ্যাং’ নামে অভিহিত করেছে ফরাসি গণমাধ্যম। অভিযুক্তদের মধ্যে ৭১ বছরের ইউনিস আব্বাস নিজেকে অপরাধে জড়িত বলে স্বীকার করেছেন এবং ২০২১ সালে ‘আই কিডন্যাপড কিম কারদাশিয়ান’ নামে একটি বইও লিখেছেন। তবে আদালতে তিনি জানান, বইয়ের শিরোনাম তাঁর নিজের দেওয়া নয় এবং এটিতে তাঁর ভূমিকা বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
ফরাসি পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রথমে ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে বিচারাধীনদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন সরাসরি ডাকাতিতে অংশ নেয়নি। তবে তাদের সহকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, ডাকাতেরা সামাজিক মাধ্যমে কিমের পোস্ট দেখে কিমের অবস্থান শনাক্ত করেছিল।
এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কিম কারদাশিয়ানের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। আদালতে তিনি বলেন, ‘আমি এখনো সেই ট্রমা ভুলতে পারিনি। জীবন চিরতরে বদলে গেছে।’
রাশিয়ার উৎপাদিত পণ্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর বাজারে প্রবেশ করাতে চায় মস্কো। আর এ লক্ষ্য মিয়ানমার হয়ে ভারতের ভেতর দিয়ে একটি বাণিজ্য করিডর গঠনের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবের আলোকে মিয়ানমার ও রাশিয়া ভারতকে এই নতুন প্রকল্পে যুক্ত হতে চাপ দিচ্ছে। একই সঙ্গে, এই করিডরের অন্যতম লক্ষ্য...
২ ঘণ্টা আগেভারত আগামী সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ৩টি অ্যাপাচি অ্যাটাক হেলিকপ্টার পেতে যাচ্ছে। আগামী ২১ জুলাই ভারত হেলিকপ্টারগুলো হাতে পাবে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করা হতে পারে এসব হেলিকপ্টার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দুর্নীতি মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতি আটকে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন গভির। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। এ নিয়ে পুলিশের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেগাজার একটি অংশে তথাকথিত ‘মানবিক শহর’ প্রতিষ্ঠা করে সেখানে লাখ লাখ গাজাবাসীকে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নিয়ে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। অথচ, এই বিষয়ে এখনো কোনো বাস্তবিক পরিকল্পনাই তৈরি হয়নি। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে