Ajker Patrika

জাপানে ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে। ছবি: জাপান টাইমস
ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে। ছবি: জাপান টাইমস

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।

‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।

তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।

নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।

জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।

সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাকিস্তান আর গণতন্ত্র একসঙ্গে যায় না—ইমরান খানকে নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় মুখপাত্র

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
রণধীর জয়সওয়াল। ফাইল ছবি
রণধীর জয়সওয়াল। ফাইল ছবি

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।

ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।

জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।

জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’

ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।

এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ট্রাম্পের প্রস্তাবে ‘অসন্তুষ্ট’ জেলেনস্কি গেলেন লন্ডনে ইউরোপের নেতাদের কাছে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গত মে মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি: দ্য গার্ডিয়ান
গত মে মাসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। ফাইল ছবি: দ্য গার্ডিয়ান

হোয়াইট হাউস থেকে গত বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল প্রকাশ করা হয়েছে। ৩৩ পৃষ্ঠার এই নথিতে তাঁর ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং ইউরোপকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতির নতুন অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। কৌশলটিকে ইউরোপবিরোধী এবং আক্রমণাত্মক ভাষায় তৈরি করা হয়েছে বলে সমালোচনা উঠেছে।

সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, ওই নথিতে ইউরোপীয় নেতাদের সমালোচনা করা হয়েছে এবং অভিযোগ করা হয়েছে, তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধ পরিস্থিতি শেষ করার প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করছেন। পূর্ববর্তী প্রশাসনগুলোর মতো রাশিয়াকে হুমকি হিসেবে নয় বরং ইউরোপীয় দেশগুলো রাশিয়াকে ‘অস্তিত্বগত ঝুঁকি’ মনে করে—এই বক্তব্য রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ইউরোপের স্থিতিশীলতা এবং রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত ভারসাম্য পুনর্গঠনের প্রধান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এই কৌশলকে স্বাগত জানান এবং ট্রাম্পকে ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

দলিল প্রকাশের পর ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কিকে সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার অগ্রগতি ধীর এবং জেলেনস্কি এখনো মার্কিন পক্ষের তৈরি করা শান্তি প্রস্তাব পুরোটা পড়েননি। ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া এই প্রস্তাবে ইতিবাচক হলেও জেলেনস্কি এতে সন্তুষ্ট নন।

এদিকে যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার অংশ হিসেবে সোমবার লন্ডনে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন জেলেনস্কি। সম্প্রতি মিয়ামিতে যুক্তরাষ্ট্র–ইউক্রেন আলোচনায় নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, সীমান্ত ও ভূখণ্ড সংক্রান্ত ইস্যুতে সমাধান না আসায় এই বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধরা হচ্ছে।

ইউক্রেনের অবস্থান স্পষ্ট—তারা রাশিয়ার কাছে কোনো ভূখণ্ড ছাড়বে না এবং যুদ্ধ শেষে দেশটি স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা চায়। অন্যদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চল দখলে নিতে তিনি যে কোনো পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুত।

লন্ডনে জেলেনস্কির বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস। মাখোঁ জানিয়েছেন, তাঁরা মার্কিন মধ্যস্থতায় চলমান আলোচনার বর্তমান পরিস্থিতি ও অগ্রগতির মূল্যায়ন করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বঙ্কিমের ‘বন্দে মাতরম’ নিয়ে লোকসভায় কংগ্রেসকে মোদির তীব্র আক্রমণ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
লোকসভায় বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই
লোকসভায় বক্তব্য রাখছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: পিটিআই

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জাতীয় গান ‘বন্দে মাতরম’-কে বিভক্ত ও অবমূল্যায়ন করার অভিযোগ তুলেছেন। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) লোকসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সামাজিক সম্প্রীতির নামে কংগ্রেস তুষ্টিকরণের রাজনীতি করেছে এবং আজও সেই রাজনীতি বহন করছে।

মোদি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু মুসলিম সমাজের আপত্তির ভয়ে ‘বন্দে মাতরম’ গানটি পুরোপুরি গ্রহণে দ্বিধাবোধ করেছিলেন। নেহরুর একটি চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে মোদি দাবি করেন—নেহরু সুভাষচন্দ্র বসুকে গানটির পটভূমি মুসলমানদের ক্ষুব্ধ করতে পারে বলে লিখেছিলেন। মোদির ভাষ্য অনুযায়ী, এই চিঠি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর লক্ষ্ণৌতে প্রতিবাদের পর লেখা হয়েছিল।

মোদি আরও অভিযোগ করেন, কংগ্রেস ১৯৩৭ সালে বাংলায় এক অধিবেশনে গানটির ব্যবহার সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। মোদি বলেন, ‘২৬ অক্টোবর তারা বন্দে মাতরমকে দুই ভাগে ভেঙে দিল—সামাজিক সম্প্রীতির মুখোশ পরে। কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—এটি ছিল তুষ্টিকরণের রাজনীতি। যেমন তারা গান বিভক্ত করেছে, তেমনই পরে দেশও বিভক্ত করেছে।’

মোদি দাবি করেন—মুসলিম লিগের চাপে কংগ্রেস নত হয়েছিল এবং এর ধারাবাহিকতায় দেশভাগ ঘটেছিল। তিনি বলেন, ‘বন্দে মাতরমের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছিল। মহাত্মা গান্ধী ১৯০৫ সালে লিখেছিলেন—এই গান ইতিমধ্যে জাতীয় সংগীতের মর্যাদা পেয়েছে। তবে এরপরও কেন গানটির প্রতি অবিচার করা হলো?’

তিনি বলেন, বন্দে মাতরম শুধু গান নয়—এটি ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের শক্তির উৎস। গানটি ব্রিটিশ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ভারতীয়দের ঐক্যবদ্ধ করেছিল এবং ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।

বক্তব্যের শেষ দিকে মোদি বলেন, ‘এখন আমাদের সুযোগ এসেছে বন্দে মাতরমের মর্যাদা ফিরিয়ে দেওয়ার। এই ঐতিহাসিক মুহূর্ত আমরা হাতছাড়া করতে পারি না।’

এদিকে বন্দে মাতরম নিয়ে বক্তৃতায় গানটির স্রষ্টা বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কথা বলতে গিয়ে একাধিকবার ‘বঙ্কিমদা’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। তবে প্রায় এক ঘণ্টার ওই বক্তৃতার মাঝপথেই এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানান পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মোদিকে থামিয়ে তিনি ‘বঙ্কিমদা’ সম্বোধনে আপত্তি জানিয়ে বলেন, অন্তত ‘বাবু’ বলুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন /আইএলটিএসে ‘ফেল’ করেও যুক্তরাজ্যে হাজারো মানুষের অভিবাসন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ২০
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, বিগত দুই বছরে অন্তত ৮০ হাজার আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীর ফল ভুল এসেছিল। ছবি: সংগৃহীত
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, বিগত দুই বছরে অন্তত ৮০ হাজার আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীর ফল ভুল এসেছিল। ছবি: সংগৃহীত

বাধ্যতামূলক ইংরেজি ভাষার পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেও হাজার হাজার অভিবাসীকে ব্রিটিশ ভিসা দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, এসব অভিবাসীর ভাষাসংক্রান্ত আইইএলটিএস পরীক্ষায় নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে ঘটেছিল এক চরম ভুল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ সূত্রে এ খবর জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ব্রিটিশ কাউন্সিলের নেওয়া ভাষা পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী প্রায় ৮০ হাজার পরীক্ষার্থীর ফল ভুল এসেছিল। এর অর্থ হলো—তাঁদের মধ্যে অনেকে ফেল করেও পাস নম্বর পেয়েছিলেন। চীন, বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামে এই ভাষা পরীক্ষার ক্ষেত্রে প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে। সেখানে অপরাধীরা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে।

ফলস্বরূপ, বিভিন্ন ব্রিটিশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দেশটির জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে অনেকেই ইংরেজি ভাষায় দুর্বল হয়েও ভিসা পেয়েছেন। অথচ তা তাঁদের প্রাপ্য ছিল না। বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি এ ঘটনায় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, পরীক্ষায় পাস না করেই যাঁরা ব্রিটেন গিয়েছেন, তাঁদের যেন ‘দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়’।

প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে প্রায় ৩৬ লাখ মানুষ ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টেস্টিং সিস্টেমের (আইইএলটিএস) পরীক্ষা দেন। ব্রিটিশ কাউন্সিল, কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস অ্যান্ড অ্যাসেসমেন্ট ও শিক্ষা সংস্থা আইডিপি যৌথভাবে এই পুরো ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে।

২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কয়েক হাজার মানুষ পরীক্ষায় ভুল নম্বর পেয়েছেন। আইইএলটিএস এই ভুলের জন্য ‘একটি প্রযুক্তিগত সমস্যাকে’ দায়ী করেছে, যা কিছু একাডেমিক ও জেনারেল ট্রেনিং পরীক্ষার লিসেনিং ও রিডিংয়ের অংশবিশেষে প্রভাব ফেলেছিল। সংস্থাটি জানায়, মাত্র ১ শতাংশ পরীক্ষা এই ত্রুটির কারণে প্রভাবিত হয়েছিল। এই ত্রুটির কারণেই প্রায় ৭৮ হাজার পরীক্ষার্থীর ফল ভুল হয়েছিল।

সমস্যাটি ধরা পড়ে মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে। গত মাসে আইইএলটিএস ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাঁদের সঠিক ফল জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে তারা ‘আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ ও উপযুক্ত সহায়তা দেওয়ার’ কথা বলেছে।

জানা গেছে, কিছু পরীক্ষার্থীর নম্বর যা হওয়া উচিত ছিল, তারচেয়ে বেশি এসেছিল; আবার কারও কারও নম্বর এসেছিল কম। দীর্ঘ সময় ধরে সমস্যাটি ধরা না পড়ায় ভুলবশত যাঁরা উত্তীর্ণ বলে গণ্য হয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই ভিসা জোগাড় করে ‘বৈধভাবে’ ব্রিটেনে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গেছেন।

বিগত বছরগুলোতে ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড কলেজ ইউনিয়ন জানিয়েছিল, বিদেশি শিক্ষার্থীরা যেহেতু বেশি টিউশন ফি দেন, তাই কিছু বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের ইংরেজি ভাষায় দুর্বল দক্ষতা উপেক্ষা করছে। এমনকি কিছু প্রভাষক অভিযোগ করেছেন যে, প্রায় ৭০ শতাংশ বিদেশি ছাত্রের ইংরেজি ভাষার দখল যথেষ্ট নয়।

এদিকে, এ ঘটনা ফাঁসের পর ব্রিটিশ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের করোনার বা তদন্তকারীরাও সতর্ক করেছেন, এনএইচএস ও সমাজসেবামূলক কাজে নিয়োজিত অনেকের ইংরেজি ভাষাজ্ঞান অপর্যাপ্ত, যা রোগীদের ঝুঁকিতে ফেলছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা ‘মারাত্মক’ বলে প্রমাণিত হয়েছে। এক ঘটনায় একজন কেয়ার কর্মীর ইংরেজি পরীক্ষার কোনো রেকর্ড ছিল না। সেই কেয়ার কর্মী ৯৯৯ কল হ্যান্ডলারের সঙ্গে কথা বলার সময় ‘শ্বাস-প্রশ্বাস—breathing’ এবং ‘রক্তপাত—bleeding’ কিংবা ‘সতর্ক—alert’ ও ‘জীবিত—alive’-এর মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেননি বলে একজন করোনার জানিয়েছিলেন।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস ফিলিপ বলেছেন, ‘ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আছেন, যাঁরা ভালোভাবে বা একেবারেই ইংরেজি বলতে পারেন না। আমাদের মধ্যে ইতিমধ্যে সংহতির সংকট রয়েছে আর এখন আমরা জানতে পারলাম যে, ভিসা পাওয়ার আগে প্রায় ৭৮ হাজার মানুষ ভুল ফল পেয়ে থাকতে পারেন। যাঁরা অন্যায্যভাবে ভিসা পেয়ে এসেছেন, তাঁদের সরিয়ে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, যদি মানুষ এখানে এসে কখনোই ইংরেজি না শেখেন, তবে তাঁরা সমাজের সঙ্গে মিশতে পারবেন না এবং রাষ্ট্রের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন জীবন গড়তে পারবেন না। এটা এক ভয়ংকর ব্যর্থতা।

এ ছাড়া আইইএলটিএস পরীক্ষায় প্রতারণার ঘটনাও ঘটছে। অপরাধীরা ঘুষ দিয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তা বিক্রি করছে। বাংলাদেশ পুলিশ দুজনকে আটক করেছে, যাঁরা ১ হাজার পাউন্ড থেকে ২ হাজার ৫০০ পাউন্ডের বিনিময়ে আইইএলটিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বিক্রি করছিলেন।

ভিয়েতনামে ব্রিটিশ কাউন্সিল গত ফেব্রুয়ারিতে একেবারে শেষ মুহূর্তে একটি নির্ধারিত পরীক্ষা বাতিল করে ‘ব্যাকআপ’ সংস্করণে পরীক্ষা নিয়েছিল, যা প্রশ্নপত্র ফাঁসের জল্পনাকে উসকে দেয়। সে সময় কাউন্সিল স্বীকার করেছিল যে, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র বিক্রির চেষ্টা বেড়ে গিয়েছিল। চীনেও প্রতারণার প্রমাণ মিলেছে। ভিসাব্যবস্থার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগের কারণে কিছু ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয় এখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি স্থগিত করেছে।

ব্রিটিশ কাউন্সিল মূলত ইংরেজি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে চলে। তবে পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে তারা কিছু অনুদানও পায়। কোভিডকালে সরকারি ঋণের কারণে তাদের ১৯ কোটি ৭০ লাখ পাউন্ডের ঋণ রয়েছে, যা পরিশোধ করতে তারা হিমশিম খাচ্ছে। পরীক্ষার নম্বর-বিভ্রাট থেকে কোনো ক্ষতিপূরণের দাবি উঠলে তাদের আর্থিক অবস্থা আরও খারাপ হবে।

স্বরাষ্ট্র দপ্তর বর্তমানে ইংরেজি পরীক্ষা সরবরাহের জন্য ৮১ কোটি ৬০ লাখ পাউন্ডের একটি নতুন পাঁচ বছরের চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। এই চুক্তির জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলকে অন্যান্য দরদাতা সংস্থার সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আইইএলটিএসের এক মুখপাত্র বলেছেন, আইইএলটিএস সম্প্রতি এমন একটি সমস্যা শনাক্ত করেছে, যার ফলে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অল্পসংখ্যক পরীক্ষার্থী ভুল ফল পেয়েছিলেন। এই সময়ে নেওয়া আইইএলটিএস পরীক্ষার ৯৯ শতাংশের বেশি অপ্রভাবিত ছিল এবং বর্তমান আইইএলটিএস পরীক্ষাগুলোতে আর কোনো সমস্যা নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের সঠিক ফল জানিয়েছি, আমাদের আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছি এবং উপযুক্ত সহায়তা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। আমরা সমস্ত সংশ্লিষ্ট অংশীদার ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। প্রতিবছর আমরা লাখ লাখ আইইএলটিএস পরীক্ষা পরিচালনা করি এবং এর সততা বজায় রাখতে আমাদের কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া চালু আছে। এই সমস্যা যাতে আর না হয়, সে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে মা-মেয়েকে কুপিয়ে হত্যা, গৃহকর্মী পলাতক

আনিসুলের জাপা ও মঞ্জুর জেপির নেতৃত্বে ২০ দলীয় জোট ঘোষণা

খালেদা জিয়ার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কাল আসছে না

ওমর সানী ‘নারীশাসিত’ পুরুষ ও ‘ক্লিব লিঙ্গের মতো’ মানুষ, কিন্তু ভাইকে আমি ভালোবাসি: আসিফ

আজকের রাশিফল: অনলাইনে বিতর্কে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না, অতি উত্তেজনা পেটে গ্যাস বাড়াবে

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত