অনলাইন ডেস্ক
২০ বছর আগে জুলাইয়ের ৭ তারিখে লন্ডনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটনা। গোয়েন্দা ব্যর্থতায় সেই হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। হামলাকারী মোহাম্মদ সিদ্দিক খানকে ২০০১ সালে আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা গেলেও, ২০০৪ সালে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বৈঠকের পরও তদন্তে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে ৫২ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৫ সালের ৭ / ৭ হামলা যুক্তরাজ্যের সেকেলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা ছিল। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির (আইআরএ) বিরুদ্ধে সামরিক ধাঁচের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৫ এবং পুলিশ বুঝতে পারে যে আল-কায়েদার সেলগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে এবং গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত ও ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে হবে।
তৎকালীন সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের প্রধান পিটার ক্লার্ক, এই হামলাকে ‘অবশ্যই একটি ব্যর্থতা’ বলে স্বীকার করেন। এমআই৫-এর প্রাক্তন প্রধান লর্ড জোনাথন ইভান্স জানান, সেই সময় গোয়েন্দা টিমগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ ছিল এবং সব হুমকি তদন্ত করা সম্ভব ছিল না, তাই অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল হয়েছিল। হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় সিদ্দিক খানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
২০০৫ সালের হামলার পর, কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে তদন্তের অগ্রাধিকার নির্ধারণে পরিবর্তন আনা জরুরি। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করা হয় এবং এমআই ৫ ও পুলিশ একটি উন্নত ‘ট্রায়াজ’ সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে পুলিশ দ্রুত প্রমাণ জব্দ করে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।
৭ / ৭ এর এক বছর পর সংঘটিত ‘অপারেশন ওভার্ট’-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই অভিযানে আল-কায়েদার ‘তরল বোমা’ তৈরির পরিকল্পনা ব্যর্থ করা হয়, যে বোমা আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া উড়োজাহাজ উড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হতে পারত। এমআই ৫ রিয়েল-টাইমে তথ্য শেয়ার করে এবং পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে। এই সাফল্য প্রমাণ করে, এ ধরনের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা দ্রুত ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব।
লর্ড ইভান্স আরও উল্লেখ করেন, হুমকি কেবল লন্ডন-ভিত্তিক নয়, বরং জাতীয় হওয়ায় আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হয়। ২০০৬ সালে, পার্লামেন্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নতুন আইন তৈরি করে, যা পুলিশকে হামলাকারীর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়।
২০১৪ সাল থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়। যারা সিরিয়া ও ইরাকে যেতে পারেনি, তাদের নিজ দেশে কমান্ডারের নির্দেশনা ছাড়াই হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় আইএস। এর ফলে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ জুড়ে ‘ডিআইওয়াই’ (Do-It-Yourself) বা স্ব-উদ্যোগে হামলার ঢেউ শুরু হয়। সরকার সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাতিল বা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়।
২০১৭ সালে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ ও পার্লামেন্টে হামলা এবং ম্যানচেস্টার এরেনা হামলা (যেখানে ২২ জন নিহত হয়) এই নতুন ধরনের হুমকির উদাহরণ। ম্যানচেস্টার হামলায় এমআই৫-এর ব্যর্থতায় পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি জনসমাবেশে শিথিল নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। ফিগেন মুরে, যার ছেলে এই হামলায় নিহত হন, তাঁর প্রচেষ্টায় ‘মার্টিন’স ল’ তৈরি হয়, যা জনসমাগমস্থলে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করে।
উগ্র-ডানপন্থী চরমপন্থীরাও এই ‘ডিআইওয়াই’ সহিংসতা থেকে শিখেছে। ২০১৫ সালে শিখ-বংশোদ্ভূত এক দন্ত্য চিকিৎসকের ওপর হামলা এবং লেবার এমপি জো কক্স হত্যায় এর প্রমাণ মেলে। এই হামলাগুলো ছিল ইন্টারনেট থেকে চরমপন্থী কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত। ব্রিটেনের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো এখন ‘অনলাইন রোল-প্লেয়ার’ দল তৈরি করেছে, যারা অনলাইন চ্যাট গ্রুপে চরমপন্থী নিয়োগকারীর ছদ্মবেশে সম্ভাব্য হামলাকারীদের চিহ্নিত করে।
‘প্রিভেন্ট’ (Prevent) সিস্টেম, সম্ভাব্য চরমপন্থীদের চিহ্নিত করা, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এটি জনসমর্থন আদায়ে বেগ পেলেও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫ হাজার তরুণকে চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের বর্তমান প্রধান ভিকি ইভান্স বলেন, বর্তমানে সন্দেহভাজনরা সাধারণত বেশ কম বয়সী হয় এবং ইন্টারনেটে থাকা সহিংস কনটেন্ট এতে ভূমিকা রাখছে। কিছু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হয়েও চরম সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সম্প্রতি সাউথপোর্টে স্কুলে হামলার ঘটনা ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত সহিংসতা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাউথপোর্টে একটি নাচের ক্লাসে ১৮ বছর বয়সী অ্যালেক্স রুডাকুবানা ছুরি নিয়ে হামলা করে তিন বালিকাকে হত্যা করে। আদালত তার ৫২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সর্ব সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্কের হুমকি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কৌশল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্ক এখন অনেক বেশি ক্ষমতাশালী এবং সুসংগঠিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু হুমকি আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুলিশ বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ১৫টি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৩টি পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ করা হয়েছে।
২০ বছর আগে জুলাইয়ের ৭ তারিখে লন্ডনে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনা ঘটনা। গোয়েন্দা ব্যর্থতায় সেই হামলা ঠেকানো সম্ভব হয়নি। হামলাকারী মোহাম্মদ সিদ্দিক খানকে ২০০১ সালে আল-কায়েদা প্রশিক্ষণ শিবিরে দেখা গেলেও, ২০০৪ সালে অন্যান্য সন্দেহভাজনদের সঙ্গে বৈঠকের পরও তদন্তে তাঁকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। এই ব্যর্থতার কারণে ৫২ জন সাধারণ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার সেই ব্যর্থতার দায় স্বীকারও করেন।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, সন্ত্রাসবাদ দমনে বর্তমানে ব্রিটেনের উন্নত সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও, ২০০৫ সালের চেয়ে বর্তমান হুমকিগুলো অনেক বেশি জটিল। কারণে এখন ইন্টারনেটে বিচিত্র সহিংস কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত হয়েও হামলার ঘটনা ঘটছে। অনেক হামলার পেছনে কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা আদর্শ থাকে না। ফলে এসব হুমকি আগেভাগে চিহ্নিত করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৫ সালের ৭ / ৭ হামলা যুক্তরাজ্যের সেকেলে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের জন্য একটি বড় সতর্কবার্তা ছিল। উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী আইরিশ রিপাবলিকান আর্মির (আইআরএ) বিরুদ্ধে সামরিক ধাঁচের লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আল-কায়েদার মতো গোষ্ঠীর ক্ষেত্রে পুরোপুরি কার্যকর ছিল না। গোয়েন্দা সংস্থা এমআই ৫ এবং পুলিশ বুঝতে পারে যে আল-কায়েদার সেলগুলোতে অনুপ্রবেশ করতে তাদের আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে এবং গোয়েন্দা তথ্য দ্রুত ও ব্যাপকভাবে শেয়ার করতে হবে।
তৎকালীন সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের প্রধান পিটার ক্লার্ক, এই হামলাকে ‘অবশ্যই একটি ব্যর্থতা’ বলে স্বীকার করেন। এমআই৫-এর প্রাক্তন প্রধান লর্ড জোনাথন ইভান্স জানান, সেই সময় গোয়েন্দা টিমগুলোর ওপর ব্যাপক চাপ ছিল এবং সব হুমকি তদন্ত করা সম্ভব ছিল না, তাই অগ্রাধিকার নির্ধারণে ভুল হয়েছিল। হামলার পরিকল্পনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য না থাকায় সিদ্দিক খানকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
২০০৫ সালের হামলার পর, কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে যে তদন্তের অগ্রাধিকার নির্ধারণে পরিবর্তন আনা জরুরি। সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে বিশাল অর্থ বিনিয়োগ করা হয় এবং এমআই ৫ ও পুলিশ একটি উন্নত ‘ট্রায়াজ’ সিস্টেম তৈরি করে। এর ফলে পুলিশ দ্রুত প্রমাণ জব্দ করে অপরাধীদের ধরতে সক্ষম হয়।
৭ / ৭ এর এক বছর পর সংঘটিত ‘অপারেশন ওভার্ট’-এর সবচেয়ে বড় সাফল্য। এই অভিযানে আল-কায়েদার ‘তরল বোমা’ তৈরির পরিকল্পনা ব্যর্থ করা হয়, যে বোমা আটলান্টিক পাড়ি দেওয়া উড়োজাহাজ উড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হতে পারত। এমআই ৫ রিয়েল-টাইমে তথ্য শেয়ার করে এবং পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে। এই সাফল্য প্রমাণ করে, এ ধরনের সন্ত্রাসী পরিকল্পনা দ্রুত ব্যর্থ করে দেওয়া সম্ভব।
লর্ড ইভান্স আরও উল্লেখ করেন, হুমকি কেবল লন্ডন-ভিত্তিক নয়, বরং জাতীয় হওয়ায় আঞ্চলিক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী করা হয়। ২০০৬ সালে, পার্লামেন্ট সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে নতুন আইন তৈরি করে, যা পুলিশকে হামলাকারীর পরিকল্পনা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা দেয়।
২০১৪ সাল থেকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উত্থান নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়। যারা সিরিয়া ও ইরাকে যেতে পারেনি, তাদের নিজ দেশে কমান্ডারের নির্দেশনা ছাড়াই হামলা চালানোর নির্দেশ দেয় আইএস। এর ফলে যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপ জুড়ে ‘ডিআইওয়াই’ (Do-It-Yourself) বা স্ব-উদ্যোগে হামলার ঢেউ শুরু হয়। সরকার সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট বাতিল বা নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার মতো পদক্ষেপ নেয়।
২০১৭ সালে ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ ও পার্লামেন্টে হামলা এবং ম্যানচেস্টার এরেনা হামলা (যেখানে ২২ জন নিহত হয়) এই নতুন ধরনের হুমকির উদাহরণ। ম্যানচেস্টার হামলায় এমআই৫-এর ব্যর্থতায় পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার পাশাপাশি জনসমাবেশে শিথিল নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। ফিগেন মুরে, যার ছেলে এই হামলায় নিহত হন, তাঁর প্রচেষ্টায় ‘মার্টিন’স ল’ তৈরি হয়, যা জনসমাগমস্থলে নিরাপত্তা পরিকল্পনা বাধ্যতামূলক করে।
উগ্র-ডানপন্থী চরমপন্থীরাও এই ‘ডিআইওয়াই’ সহিংসতা থেকে শিখেছে। ২০১৫ সালে শিখ-বংশোদ্ভূত এক দন্ত্য চিকিৎসকের ওপর হামলা এবং লেবার এমপি জো কক্স হত্যায় এর প্রমাণ মেলে। এই হামলাগুলো ছিল ইন্টারনেট থেকে চরমপন্থী কনটেন্ট থেকে অনুপ্রাণিত। ব্রিটেনের নিরাপত্তা পরিষেবাগুলো এখন ‘অনলাইন রোল-প্লেয়ার’ দল তৈরি করেছে, যারা অনলাইন চ্যাট গ্রুপে চরমপন্থী নিয়োগকারীর ছদ্মবেশে সম্ভাব্য হামলাকারীদের চিহ্নিত করে।
‘প্রিভেন্ট’ (Prevent) সিস্টেম, সম্ভাব্য চরমপন্থীদের চিহ্নিত করা, সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করা থেকে বিরত রাখার জন্য তৈরি করা হয়। এটি জনসমর্থন আদায়ে বেগ পেলেও সন্ত্রাসবাদ ঠেকাতে যুক্তরাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। ২০১৫ সাল থেকে প্রায় ৫ হাজার তরুণকে চরমপন্থার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করে কর্তৃপক্ষ।
সন্ত্রাসবিরোধী পুলিশের বর্তমান প্রধান ভিকি ইভান্স বলেন, বর্তমানে সন্দেহভাজনরা সাধারণত বেশ কম বয়সী হয় এবং ইন্টারনেটে থাকা সহিংস কনটেন্ট এতে ভূমিকা রাখছে। কিছু ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আদর্শে অনুপ্রাণিত না হয়েও চরম সহিংসতায় লিপ্ত ব্যক্তিদের নিয়ে কী করা যেতে পারে তা নিয়ে কাজ করছে পুলিশ।
সম্প্রতি সাউথপোর্টে স্কুলে হামলার ঘটনা ইন্টারনেট থেকে অনুপ্রাণিত সহিংসতা নিয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। সাউথপোর্টে একটি নাচের ক্লাসে ১৮ বছর বয়সী অ্যালেক্স রুডাকুবানা ছুরি নিয়ে হামলা করে তিন বালিকাকে হত্যা করে। আদালত তার ৫২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
সর্ব সম্প্রতি ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন ‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’কে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার সরকার। এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্কের হুমকি মোকাবিলায় রাষ্ট্রীয় কৌশল নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেছে।
যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাসবিরোধী নেটওয়ার্ক এখন অনেক বেশি ক্ষমতাশালী এবং সুসংগঠিত বলে মনে করা হয়। কিন্তু হুমকি আগের চেয়ে অনেক বেশি বৈচিত্র্যময়। পুলিশ বলছে, ২০১৭ সাল থেকে ১৫টি অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেছে এবং ৪৩টি পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে ব্যর্থ করা হয়েছে।
চলতি বছরের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে চীন ইসলামাবাদকে সামরিক সহায়তা দিয়েছে, ভারতের এমন দাবি সম্পূর্ণ ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘দায় এড়ানোর অপচেষ্টা’ বলে জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির।
৭ মিনিট আগেসদস্য এবং অংশীদার দেশগুলোকে নিয়ে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘ব্রিকস’ জোটের সম্মেলন। এই সম্মেলনকেই চোখ রাঙিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশগুলোর ওপর অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন এবং প্রকারান্তরে তিনি উন্নয়নশীল এসব দেশকে আমেরিকা বিরোধী হিসেবেও চিহ্নিত করেছেন।
১০ মিনিট আগেসম্প্রতি এক নতুন প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ভারতে। তরুণ প্রজন্ম, বিশেষ করে জেন-জিরা ধর্ম ও জ্যোতিষশাস্ত্রের প্রতি আবারও আগ্রহী হয়ে উঠছে। একসময় যা কুসংস্কার বলে বিবেচিত হতো, তা এখন তাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি ভারতে ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক অর্থনীতিকে বিশাল আকার দিচ্ছে। এই বাজার বর্তমানে...
১ ঘণ্টা আগেরুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দ্বারা বরখাস্ত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নিজের বাড়ির কাছে গাড়িতে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাশিয়ার পরিবহনমন্ত্রী রোমান স্তারোভোইতের মরদেহ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে এটি ‘আত্মহত্যা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে