জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে টেক মোগল ইলন মাস্ক সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে দেশটির ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) জেতাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে কাজে লাগাচ্ছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এক্সে এরই মধ্যে অভিবাসন বিরোধী দল এএফডির পক্ষে ৭০টিরও বেশি পোস্ট দিয়েছেন বা শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষকের মতে, ভোটের আগে এটি তাঁর ২১৮ মিলিয়ন অনুসারীকে প্রভাবিত করতে পারে।
মাস্কের এই সমর্থন জার্মান রাজনীতিবিদদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এক্সের অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে শেয়ার করা একটি ডেটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এএফডির পক্ষে মাস্কের প্রচার রোববারের নির্বাচনে খুবই সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের ডিজিটাল ফরেনসিক রিসার্চ ল্যাব এবং জার্মান টেক ওয়াচডগ অ্যালগরিদমওয়াচের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, অলটারনেটিভ ফর জার্মানি এএফডিকে নিয়ে মাস্কের হঠাৎ আগ্রহ এই দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেলকে এক্সে অন্যান্য প্রধান জার্মান রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে বেশি ভিউ পেতে সাহায্য করেছে। তবে ভাইডেলের নতুন অনুসারীদের একটি বড় অংশ জার্মান নন বলে মনে হচ্ছে।
ডিজিটাল ফরেনসিক রিসার্চ ল্যাবের সিনিয়র রেসিডেন্ট ফেলো মার্ক স্কট বলেছেন, ‘মাস্কের প্রভাব সত্যিই রয়েছে। তিনি এক্সে এএফডি নেতাকে অনেক বড় করে প্রচার করেছেন। তবে ডেটা দেখায়, এই প্রসার মূলত তাঁর ইংরেজি ভাষাভাষী অনুসারী বা ভোটারদেরই প্রভাবিত করতে পারে।’
এএফডি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অভিবাসনবিরোধী ও সরকারবিরোধী নীতির কারণে দলটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি মাত্র ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০২১ সালে কিছু আসন হারালেও এবারের নির্বাচনে দলটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে।
হঠাৎ করে মাস্কের এএফডি সমর্থন জার্মান রাজনীতিতে একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই এএফডিকে একটি সন্দেহভাজন চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মাস্কের এমন কর্মকাণ্ড জার্মান নির্বাচনে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপের ইচ্ছাকেই প্রতিফলিত করে।
গত সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মিউনিখে অ্যালিস ভাইডেলের সঙ্গে দেখা করেন। যিনি জার্মান ইতিহাসে কোনো এএফডি নেতার সঙ্গে দেখা করা সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মার্কিন কর্মকর্তা। এসময় তিনি ইউরোপের ‘ফায়ারওয়াল’ নীতিরও সমালোচনা করেন। এই নীতি ইউরোপের রাজনীতিতে ডানপন্থী গোষ্ঠী গুলিকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে কাজ করে।
জার্মান কর্মকর্তারা মাস্কের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। সেন্টার-রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেতা ফ্রিডরিশ মেরৎজ বলেছেন, ‘এর জন্য মাস্কের রাজনৈতিক বা আইনিভাবে বিচার হওয়া উচিত।’
তবে মাস্কের এএফডি সমর্থন জার্মান নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, মাস্ক জার্মানিতে তেমন জনপ্রিয় নন। এর আগে জানুয়ারিতে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৯ শতাংশ জার্মান তাঁর সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বার্লিনভিত্তিক গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক থর্স্টেন বেনার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, একজন আমেরিকান বিলিয়নিয়ারের কথার কারণে খুব কমসংখ্যক জার্মান এএফডিকে ভোট দেবে।’
তবে জার্মানিতে রাজনৈতিক অনুদান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এর মাধ্যমে মাস্ক ভবিষ্যতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অন্যান্য উপায় খুঁজে পেতে পারেন। যেমন—গত বছর ট্রাম্পকে নির্বাচিত করতে সাহায্য করতে তিনি ২৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন।
এক্স জার্মানিতে তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয়। গত বছর, এক্সের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটিতে তাদের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখেরও কম। অন্যদিকে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৫ লাখেরও বেশি।
জার্মানির জাতীয় নির্বাচনে টেক মোগল ইলন মাস্ক সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী রোববার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচনে দেশটির ডানপন্থী অলটারনেটিভ ফর জার্মানিকে (এএফডি) জেতাতে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সকে কাজে লাগাচ্ছেন।
টেসলা ও স্পেসএক্সের প্রতিষ্ঠাতা এক্সে এরই মধ্যে অভিবাসন বিরোধী দল এএফডির পক্ষে ৭০টিরও বেশি পোস্ট দিয়েছেন বা শেয়ার করেছেন। বিভিন্ন ডেটা বিশ্লেষকের মতে, ভোটের আগে এটি তাঁর ২১৮ মিলিয়ন অনুসারীকে প্রভাবিত করতে পারে।
মাস্কের এই সমর্থন জার্মান রাজনীতিবিদদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এক্সের অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে। তবে ওয়াশিংটন পোস্টের সঙ্গে শেয়ার করা একটি ডেটা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এএফডির পক্ষে মাস্কের প্রচার রোববারের নির্বাচনে খুবই সীমিত প্রভাব ফেলতে পারে।
আটলান্টিক কাউন্সিলের ডিজিটাল ফরেনসিক রিসার্চ ল্যাব এবং জার্মান টেক ওয়াচডগ অ্যালগরিদমওয়াচের যৌথ গবেষণায় দেখা গেছে, অলটারনেটিভ ফর জার্মানি এএফডিকে নিয়ে মাস্কের হঠাৎ আগ্রহ এই দলের নেতা অ্যালিস ভাইডেলকে এক্সে অন্যান্য প্রধান জার্মান রাজনৈতিক দলগুলোর চেয়ে বেশি ভিউ পেতে সাহায্য করেছে। তবে ভাইডেলের নতুন অনুসারীদের একটি বড় অংশ জার্মান নন বলে মনে হচ্ছে।
ডিজিটাল ফরেনসিক রিসার্চ ল্যাবের সিনিয়র রেসিডেন্ট ফেলো মার্ক স্কট বলেছেন, ‘মাস্কের প্রভাব সত্যিই রয়েছে। তিনি এক্সে এএফডি নেতাকে অনেক বড় করে প্রচার করেছেন। তবে ডেটা দেখায়, এই প্রসার মূলত তাঁর ইংরেজি ভাষাভাষী অনুসারী বা ভোটারদেরই প্রভাবিত করতে পারে।’
এএফডি ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং অভিবাসনবিরোধী ও সরকারবিরোধী নীতির কারণে দলটি ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৭ সালের জাতীয় নির্বাচনে দলটি মাত্র ১২ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। ২০২১ সালে কিছু আসন হারালেও এবারের নির্বাচনে দলটি দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বলে বিভিন্ন জনমত জরিপে দেখা গেছে।
হঠাৎ করে মাস্কের এএফডি সমর্থন জার্মান রাজনীতিতে একটি বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জার্মান গোয়েন্দা সংস্থা ইতিমধ্যেই এএফডিকে একটি সন্দেহভাজন চরমপন্থী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে মাস্কের এমন কর্মকাণ্ড জার্মান নির্বাচনে তাঁর সরাসরি হস্তক্ষেপের ইচ্ছাকেই প্রতিফলিত করে।
গত সপ্তাহে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স মিউনিখে অ্যালিস ভাইডেলের সঙ্গে দেখা করেন। যিনি জার্মান ইতিহাসে কোনো এএফডি নেতার সঙ্গে দেখা করা সর্বোচ্চ পদমর্যাদার মার্কিন কর্মকর্তা। এসময় তিনি ইউরোপের ‘ফায়ারওয়াল’ নীতিরও সমালোচনা করেন। এই নীতি ইউরোপের রাজনীতিতে ডানপন্থী গোষ্ঠী গুলিকে বিচ্ছিন্ন করার পক্ষে কাজ করে।
জার্মান কর্মকর্তারা মাস্কের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। সেন্টার-রাইট ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নের নেতা ফ্রিডরিশ মেরৎজ বলেছেন, ‘এর জন্য মাস্কের রাজনৈতিক বা আইনিভাবে বিচার হওয়া উচিত।’
তবে মাস্কের এএফডি সমর্থন জার্মান নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। জরিপে দেখা গেছে, মাস্ক জার্মানিতে তেমন জনপ্রিয় নন। এর আগে জানুয়ারিতে পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে, মাত্র ১৯ শতাংশ জার্মান তাঁর সম্পর্কে ইতিবাচক মতামত দিয়েছেন।
বার্লিনভিত্তিক গ্লোবাল পাবলিক পলিসি ইনস্টিটিউটের পরিচালক থর্স্টেন বেনার বলেছেন, ‘আমি মনে করি, একজন আমেরিকান বিলিয়নিয়ারের কথার কারণে খুব কমসংখ্যক জার্মান এএফডিকে ভোট দেবে।’
তবে জার্মানিতে রাজনৈতিক অনুদান কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত হলেও কিছু বিশেষজ্ঞ বলেছেন, এর মাধ্যমে মাস্ক ভবিষ্যতের নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অন্যান্য উপায় খুঁজে পেতে পারেন। যেমন—গত বছর ট্রাম্পকে নির্বাচিত করতে সাহায্য করতে তিনি ২৮৮ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিলেন।
এক্স জার্মানিতে তুলনামূলকভাবে কম জনপ্রিয়। গত বছর, এক্সের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, দেশটিতে তাদের মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ কোটি ৭ লাখেরও কম। অন্যদিকে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪ কোটি ৫ লাখেরও বেশি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
৭ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৯ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
১০ ঘণ্টা আগে