অনলাইন ডেস্ক
ডেনমার্কের নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা ৭০ বছরে উন্নীত করছে দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এখনো এটি কার্যকর হয়নি। এটি কার্যকর হলে, এই বয়স হবে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অবসরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে নাগরিকদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করবে। দেশটির পার্লামেন্টে বিতর্কিত এক ভোটের পর এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ অবসরের বয়স হতে চলেছে। দেশের আইনসভায় এই অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি ৮১-২১ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে।
ডেনমার্কে ২০০৬ সাল থেকে অবসরের বয়স প্রত্যাশিত আয়ুর সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে দেশটির নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ু ৮১ দশমিক ৭ বছর। সরকার প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই সীমা বাড়িয়ে আসছে। ডেনিশ নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের বয়স ২০৩০ সালে ৬৭ থেকে বেড়ে ৬৮ হবে। এরপর ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং অবশেষে ২০৪০ সালে ৭০-এ পৌঁছাবে। এই ৭০ বছর অবসরের বয়স শুধু ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী ডেনিশ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন স্বীকার করেছেন যে, অবসরের এই চলমান নিয়ম টেকসই নয়। তাই, ভবিষ্যতে একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আর বিশ্বাস করি না যে, অবসরের বয়স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো উচিত। আপনি শুধু শুধু মানুষকে বলতে পারেন না যে, তাদের আরও এক বছর বেশি কাজ করতে হবে।’
ডেনিশ শ্রমিকেরা নতুন এই নিয়মের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সতর্ক করেছেন যে, শারীরিকভাবে কষ্টকর কাজগুলোতে নিযুক্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্য এটি বিশেষভাবে কঠিন হবে। ৪৭ বছর বয়সী ছাদ মিস্ত্রি টমাস জেনসেন দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর-কে বলেন, ‘এটি অবাস্তব ও অযৌক্তিক। আমরা কাজ করি, কাজ করি আর কাজ করি, কিন্তু আমরা এভাবে চালিয়ে যেতে পারি না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি সারা জীবন কর দিয়েছি। ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময়ও তো থাকা উচিত।’
ডেনমার্কের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জেসপার এট্রুপ রাসমুসেন অবসরের এই নিয়মকে ‘সম্পূর্ণ অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছেন। বিবিসির খবরে তাঁর মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ডেনমার্কের অর্থনীতি স্বাস্থ্যকর। তবু এখানে ইউরোপের সর্বোচ্চ অবসরের বয়স। অবসরের বয়স বৃদ্ধি মানে (মানুষ) একটি সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার হারাবে।’
ইউরোপে অবসরের বয়স একটি সংবেদনশীল বিষয়। উচ্চ প্রত্যাশিত আয়ু এবং বাজেট ঘাটতির কারণে প্রতিটি প্রজন্মকে তার পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ডেনমার্কের এই সর্বোচ্চ অবসরের বয়স নির্ধারণ কিছুটা তার সমৃদ্ধ ও আরামদায়ক নর্ডিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের তৈরি করে।
প্রতিবেশী সুইডেনে, নাগরিকেরা ৬৩ বছর বয়সেই পেনশন সুবিধা দাবি করতে পারেন। ফ্রান্সে ইমানুয়েল মাখোঁ সরকার অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার আইন জারি করলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও দাঙ্গা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা সাধারণত ৬৬ বছর বয়সে পেনশন পেতে শুরু করেন। তবে, যারা ১৯৬০ সালের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের জন্য এই সীমা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।
ডেনমার্কের নাগরিকদের অবসরের বয়সসীমা ৭০ বছরে উন্নীত করছে দেশটির সরকার। এ লক্ষ্যে দেশটির পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে। এখনো এটি কার্যকর হয়নি। এটি কার্যকর হলে, এই বয়স হবে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে অবসরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের খবরে বলা হয়েছে, ডেনমার্ক ২০৪০ সালের মধ্যে নাগরিকদের অবসরে যাওয়ার বয়স ৭০ বছরে উন্নীত করবে। দেশটির পার্লামেন্টে বিতর্কিত এক ভোটের পর এটি ইউরোপের সর্বোচ্চ অবসরের বয়স হতে চলেছে। দেশের আইনসভায় এই অবসরের বয়স বৃদ্ধির প্রস্তাবটি ৮১-২১ ভোটে অনুমোদিত হয়েছে।
ডেনমার্কে ২০০৬ সাল থেকে অবসরের বয়স প্রত্যাশিত আয়ুর সঙ্গে যুক্ত। বর্তমানে দেশটির নাগরিকদের প্রত্যাশিত আয়ু ৮১ দশমিক ৭ বছর। সরকার প্রতি পাঁচ বছর অন্তর এই সীমা বাড়িয়ে আসছে। ডেনিশ নিয়ম অনুযায়ী, অবসরের বয়স ২০৩০ সালে ৬৭ থেকে বেড়ে ৬৮ হবে। এরপর ২০৩৫ সালে ৬৯ এবং অবশেষে ২০৪০ সালে ৭০-এ পৌঁছাবে। এই ৭০ বছর অবসরের বয়স শুধু ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালের পরে জন্মগ্রহণকারী ডেনিশ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।
ডেনিশ প্রধানমন্ত্রী মেটে ফ্রেডেরিকসেন স্বীকার করেছেন যে, অবসরের এই চলমান নিয়ম টেকসই নয়। তাই, ভবিষ্যতে একটি নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা আর বিশ্বাস করি না যে, অবসরের বয়স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো উচিত। আপনি শুধু শুধু মানুষকে বলতে পারেন না যে, তাদের আরও এক বছর বেশি কাজ করতে হবে।’
ডেনিশ শ্রমিকেরা নতুন এই নিয়মের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছেন। তাঁরা সতর্ক করেছেন যে, শারীরিকভাবে কষ্টকর কাজগুলোতে নিযুক্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্য এটি বিশেষভাবে কঠিন হবে। ৪৭ বছর বয়সী ছাদ মিস্ত্রি টমাস জেনসেন দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর-কে বলেন, ‘এটি অবাস্তব ও অযৌক্তিক। আমরা কাজ করি, কাজ করি আর কাজ করি, কিন্তু আমরা এভাবে চালিয়ে যেতে পারি না।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি সারা জীবন কর দিয়েছি। ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময়ও তো থাকা উচিত।’
ডেনমার্কের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জেসপার এট্রুপ রাসমুসেন অবসরের এই নিয়মকে ‘সম্পূর্ণ অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছেন। বিবিসির খবরে তাঁর মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘ডেনমার্কের অর্থনীতি স্বাস্থ্যকর। তবু এখানে ইউরোপের সর্বোচ্চ অবসরের বয়স। অবসরের বয়স বৃদ্ধি মানে (মানুষ) একটি সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার হারাবে।’
ইউরোপে অবসরের বয়স একটি সংবেদনশীল বিষয়। উচ্চ প্রত্যাশিত আয়ু এবং বাজেট ঘাটতির কারণে প্রতিটি প্রজন্মকে তার পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ডেনমার্কের এই সর্বোচ্চ অবসরের বয়স নির্ধারণ কিছুটা তার সমৃদ্ধ ও আরামদায়ক নর্ডিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের তৈরি করে।
প্রতিবেশী সুইডেনে, নাগরিকেরা ৬৩ বছর বয়সেই পেনশন সুবিধা দাবি করতে পারেন। ফ্রান্সে ইমানুয়েল মাখোঁ সরকার অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার আইন জারি করলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও দাঙ্গা হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারীরা সাধারণত ৬৬ বছর বয়সে পেনশন পেতে শুরু করেন। তবে, যারা ১৯৬০ সালের পরে জন্মগ্রহণ করেছেন, তাদের জন্য এই সীমা ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।
পাকিস্তান সরকার আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য তাদের প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং ভারতের পক্ষ থেকে সিন্ধু পানি চুক্তিসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্থগিত করার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল আজ শনিবার
৫ ঘণ্টা আগেসৌদি আরবের আগেই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পারে সিরিয়া ও লেবানন। এমনটাই মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত ইখিয়েল লইতার। রক্ষণশীল মার্কিন সংবাদমাধ্যম প্রেগার-ইউকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।
১০ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই নীতির কারণে অন্য অনেক শিক্ষার্থীর মতো বিপাকে পড়েছে বেলজিয়ামের রাজ পরিবার। দেশটির ভবিষ্যৎ রানি রাজকন্যা এলিজাবেথের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে...
১৩ ঘণ্টা আগেজার্মানির হামবুর্গ শহরে গতকাল শুক্রবার ছুরিকাঘাতে ১৮ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছে। হামবুর্গে জার্মানির সবচেয়ে বড় রেল স্টেশন সেন্ট্রাল স্টেশনে এই হামলা ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক জার্মান নারীকে আটক করেছে।
১৪ ঘণ্টা আগে