Ajker Patrika

তুরস্কের আইনসভায় তুমুল মারামারি, ভিডিও ভাইরাল 

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১২: ৫৬
Thumbnail image

তুরস্কে কারাবন্দি এক বিরোধী নেতাকে নিয়ে বিতর্কের সময় আইনসভায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী এক নেতার ওপর হামলার পর এ ঘটনা ঘটে। যাকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়, সরকারবিরোধী বিক্ষোভোর কারণে তিনি কারাগারে আছেন। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিরোধী দল ওয়ার্কার পার্টির (টিআইপি) ডেপুটি আহমেদ সিক ডায়াসে দাঁড়িয়ে কারবন্দি নেতার পক্ষে কথা বলছিলেন। এ সময় ক্ষমতাসীন দল একেপির সদস্যরা তাঁকে মারার জন্য ছুটে যান। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি হয়। 

জানা গেছে, আতালে নামের বিরোধী নেতাকে ২০২২ সালে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য ১৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে আরও কয়েকজনকে সাজা দেওয়া হয়। 

তবে কারগারে থাকলেও গত নির্বাচনে তিনি তুরস্কের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে জয়লাভ করেন। এরপর পার্লামেন্ট তার সদস্যপদ বাতিল করলেও আদালত সদস্যপদ বহাল রাখেন। 

সিক একেপি আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার আতালেকে সন্ত্রাসী বললে আমরা আশ্চর্য হই না। কারণ আপনাদের পাশে না থাকলে প্রত্যেককেই এ কথা বলেন।’  

তিনি বলেন, ‘কিন্তু সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হলেন তাঁরা, যাঁরা এখানে বসে আছেন।’ এরপর মূলত দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। 

সংঘর্ষের পর সংসদের ডেপুটি স্পিকার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন। তিন ঘণ্টারও বেশি সময় বিরতির পর অধিবেশন পুনরায় আহ্বান করা হয়। তখন ডেপুটির বদলে সংসদের স্পিকার সভাপতিত্ব করেন।

একটি ভোটে সংসদ একেপির বিরুদ্ধে বক্তব্যের জন্য টিআইপির সিককে তিরস্কার করে এবং সিকের ওপর শারীরিক আক্রমণের জন্য একেপির আলপে ওজালানকেও তিরস্কার করে।

প্রধান বিরোধী দল সিএইচপির নেতা বলেন, এটা লজ্জাজনক। সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল সাংবাদিকদের বলেন, আইনপ্রণেতারা অন্য আইনপ্রণেতাদের, এমনকি নারীদেরও ঘুষি মেরেছেন। এটা অগ্রহণযোগ্য।

কুর্দিপন্থী দল ডিইএম পার্টির চেয়ারম্যান গুলিস্তান কোসিগিটও ঘুষি খেয়েছেন। তিনি বলেন, শাসক দল সহিংসতা করে বিরোধীদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত