Ajker Patrika

ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে স্থায়ী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করতে চায় যুক্তরাজ্য

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৮ এপ্রিল ২০২৩, ১২: ৩৮
Thumbnail image

চীনকে মোকাবিলা করতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে একটি স্থায়ী যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ব্যাপারে আলোচনা করছে যুক্তরাজ্য। দেশটির সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা স্পুতনিক নিউজ।

যুক্তরাজ্য সরকার ওই অঞ্চলে স্থায়ীভাবে নৌবাহিনীর একটি ‘টাইপ-৩১ ফ্রিগেট’ মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে। পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে সেটি হবে সুয়েজ খালের পূর্বাঞ্চলে যুক্তরাজ্যের সামরিক শক্তির বহিঃপ্রকাশের একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কারণ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় আগে সুয়েজ খাল থেকে সামরিক ঘাঁটি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়েছিল যুক্তরাজ্য।

যুক্তরাজ্যের সরকারি সূত্রটি স্পুতনিক নিউজকে বলেছে, ‘তাইওয়ানে চীনের আক্রমণ ঠেকাতে প্রশান্ত মহাসাগরে আমাদের অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে। ভবিষ্যৎ এশিয়ার নিরাপত্তার জন্যই এটি প্রয়োজন।’

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে দেখা গেছে। জাপান ন্যাটোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে, যদিও জাপানের প্রধানমন্ত্রী গত বছর ন্যাটোর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেননি। তবে গত ৫ এপ্রিল ন্যাটোর মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন এবং ন্যাটোতে তাঁরা স্থায়ী কূটনৈতিক মিশন স্থাপন করেছেন।

উল্লেখ্য, প্রশান্ত মহাসাগর ও ভারত সাগর ঘিরে অন্তত ৪০টি দেশকে নিয়ে গঠিত অঞ্চলকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বলা হয়। দেশগুলো হচ্ছে—অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, কোরিয়া (ডিপিআরকে), ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, লাওস, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, নিউজিল্যান্ড, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশগুলো (১৪টি দেশ), পাকিস্তান, চীন, ফিলিপাইন, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র (আরওকে), সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, তিমুর ও ভিয়েতনাম।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত