Ajker Patrika

কুরস্ক মুক্ত, ইউক্রেনের শেষ সেনাটিকেও বের করে দেওয়ার দাবি রাশিয়ার

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৭: ৪৭
কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সেনারা। ছবি: সংগৃহীত
কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সেনারা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে বছরখানেক আগে অভিযান শুরু করেছিল ইউক্রেন। অঞ্চলটির কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ারও দাবি করেছিল কিয়েভ। দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের পর অবশেষে অঞ্চলটি কিয়েভের সেনাদের দখলমুক্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির খবরে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, রুশ সামরিক বাহিনী ইউক্রেনীয় সেনাদের কাছ থেকে সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চল সম্পূর্ণভাবে মুক্ত করেছে। আজ শনিবার ক্রেমলিন থেকে প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় পুতিন রুশ সেনাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সেনারা গত গ্রীষ্মে অঞ্চলটিতে আক্রমণকারী ‘নব্য-নাৎসি গোষ্ঠীগুলোকে’ পরাজিত করতে অংশ নিয়েছিল।

পুতিন বলেন, কিয়েভ রেজিমের দুঃসাহসিক অভিযান সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, শত্রুদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে তাদের সবচেয়ে যুদ্ধ-প্রস্তুত, প্রশিক্ষিত ও পশ্চিমা মডেলের সরঞ্জামে সজ্জিত সেনারাও রয়েছে। এর প্রভাব পুরো রণক্ষেত্রে দেখা যাবে।

পুতিনের মতে, রুশ বাহিনীর এই সাফল্য যুদ্ধের অন্যান্য অংশে আরও অগ্রগতির পথ তৈরি করবে। এটি সংঘাতের চূড়ান্ত বিজয়কে আরও কাছে নিয়ে আসবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। কুরস্ক থেকে ইউক্রেনীয় সেনাদের পশ্চাদপসরণ দেশটিকে আলোচনার টেবিলে আরও দুর্বল করে ফেলবে। কারণ, ইউক্রেনের কৌশল ছিল—রাশিয়ার কিছু অঞ্চল দখল করে যুদ্ধ বন্ধের আলোচনার সময় সেটিকে লিভারেজ হিসেবে ব্যবহার করে রাশিয়ার কাছ থেকে সুবিধা আদায় করে নেওয়া। কিন্তু সেটি এখন আর সম্ভব হবে না।

রাশিয়া ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন চালায় এবং বর্তমানে মস্কো ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে। এর আগে দেশটি ২০১৪ সালে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্ত করে এক গণভোটের মাধ্যমে। সম্প্রতি ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ক্রিমিয়া ও রাশিয়া বিগত তিন বছরের যুদ্ধে যেসব অঞ্চল দখল করেছে, সেই অবস্থান বরাবরই যুদ্ধবিরতি হবে।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন ‘একটি চুক্তির খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।’ ট্রাম্প বলেন, দিনটি ‘আলোচনার জন্য ভালো একটি দিন’ ছিল। ক্রেমলিন এই বৈঠককে ‘গঠনমূলক’ আখ্যা দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এই আলোচনায় ইউক্রেন উপস্থিত ছিল না।

এর আগে নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ স্যোশালে ট্রাম্প বলেন, বেশির ভাগ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হওয়া গেছে। পোস্টে ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনকে ‘উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসে’ এই চুক্তিকে ‘চূড়ান্ত করার’ আহ্বান জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত