যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াবে ইউরোপ। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্য কোনো দেশের ওপর আর নির্ভরশীল থাকতে চায় না তারা। গতকাল রোববার লন্ডনে এক সম্মেলনে এ বিষয়ে একমত হন ইউরোপীয় নেতারা।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এর ঠিক দু’দিন পরই ইউক্রেন ইস্যুতে ফের বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় নেতারা। সেখানে কিয়েভের প্রতি সমর্থন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন, ইউরোপ নিজেই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম, মার্কিন সহায়তা তাদের প্রয়োজন নেই। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় আরও বাড়ানোর ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তাঁরা। আর তা সহজ করতে ঋণ সংক্রান্ত কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন—এমন ইঙ্গিতই মিলেছে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দের লিয়েনের বক্তব্যে। ঋণে জর্জরিত সদস্য দেশগুলোর ওপর এই অতিরিক্ত ব্যয় যেন বাড়তি চাপ তৈরি না করে সে সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন উরসুলা।
এরই মধ্যে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ বা আগ্রহীদের জোট নামে একটি বিশেষ জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। যে জোটে রয়েছে ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। আরও কয়েকটি দেশ জোট সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কিয়ার স্টার্মার। ইউক্রেনের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি শান্তি পরিকল্পনা পাঠাবে জোটটি। তবে, ট্রাম্পের মন রাখতে বেশ কৌশলী অবস্থানই নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ‘এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা। কেবল আলোচনা নয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসে গেছে। এখন প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব ও ঐক্য। তবে, ইউরোপে শান্তি বজায় রাখতে মার্কিন সমর্থন অপরিহার্য।’
সফল শান্তিচুক্তির জন্য তিনটি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করেছেন স্টার্মার। সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে ইউরোপের সামরিক শক্তি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরোপকে সামরিক শক্তি বাড়াতে হবে। তবে, প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভরতা যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস করার ইঙ্গিত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে অনন্য আখ্যা দেন স্টার্মার। দাবি করেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে লন্ডনের যে সু-সম্পর্ক তা আর অন্য কোনো রাষ্ট্রের মধ্যে নেই।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, ইউরোপকে জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় অস্ত্রসজ্জিত হতে হবে। অনেক দিন ধরে প্রতিরক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ হয়নি। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসার।
লন্ডনে সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর ইউরোপীয় ঐক্যের এমন উচ্চকিত বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল। মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে সত্যিকারের শান্তি ও নিরাপত্তার ভিত্তি খুঁজে বের করার জন্য আমরা ইউরোপের সঙ্গে কাজ করছি।’
এদিকে, হোয়াইট হাউসে একপ্রকার অপমানিত হয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে সু-সম্পর্ক নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের পর একাধিক সাক্ষাৎকার ও বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপকে ‘গঠনমূলক সংলাপ’ বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরল খনিজ চুক্তিতে যেকোনো সময় স্বাক্ষর করতে রাজি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়াবে ইউরোপ। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্য কোনো দেশের ওপর আর নির্ভরশীল থাকতে চায় না তারা। গতকাল রোববার লন্ডনে এক সম্মেলনে এ বিষয়ে একমত হন ইউরোপীয় নেতারা।
গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যাপক বাগ্বিতণ্ডা হয় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির। এর ঠিক দু’দিন পরই ইউক্রেন ইস্যুতে ফের বৈঠকে বসেন ইউরোপীয় নেতারা। সেখানে কিয়েভের প্রতি সমর্থন আরও জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।
কাতার ভিত্তিক সম্প্রচার মাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন, ইউরোপ নিজেই নিজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সক্ষম, মার্কিন সহায়তা তাদের প্রয়োজন নেই। নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় আরও বাড়ানোর ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন তাঁরা। আর তা সহজ করতে ঋণ সংক্রান্ত কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন—এমন ইঙ্গিতই মিলেছে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দের লিয়েনের বক্তব্যে। ঋণে জর্জরিত সদস্য দেশগুলোর ওপর এই অতিরিক্ত ব্যয় যেন বাড়তি চাপ তৈরি না করে সে সতর্ক বার্তাও দিয়েছেন উরসুলা।
এরই মধ্যে ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ বা আগ্রহীদের জোট নামে একটি বিশেষ জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার। যে জোটে রয়েছে ইউক্রেন, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্স। আরও কয়েকটি দেশ জোট সদস্য হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন কিয়ার স্টার্মার। ইউক্রেনের হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি শান্তি পরিকল্পনা পাঠাবে জোটটি। তবে, ট্রাম্পের মন রাখতে বেশ কৌশলী অবস্থানই নিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, ‘এক ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা। কেবল আলোচনা নয়, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সময় এসে গেছে। এখন প্রয়োজন যোগ্য নেতৃত্ব ও ঐক্য। তবে, ইউরোপে শান্তি বজায় রাখতে মার্কিন সমর্থন অপরিহার্য।’
সফল শান্তিচুক্তির জন্য তিনটি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করেছেন স্টার্মার। সবচেয়ে গুরুত্ব পেয়েছে ইউরোপের সামরিক শক্তি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরোপকে সামরিক শক্তি বাড়াতে হবে। তবে, প্রতিরক্ষায় স্বনির্ভরতা যুক্তরাষ্ট্রকে অবিশ্বাস করার ইঙ্গিত নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র–যুক্তরাজ্য সম্পর্ককে অনন্য আখ্যা দেন স্টার্মার। দাবি করেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে লন্ডনের যে সু-সম্পর্ক তা আর অন্য কোনো রাষ্ট্রের মধ্যে নেই।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধির ব্যাপারে ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন দের লিয়েন বলেন, ইউরোপকে জরুরি ভিত্তিতে পুনরায় অস্ত্রসজ্জিত হতে হবে। অনেক দিন ধরে প্রতিরক্ষা খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ হয়নি। এখন সময় এসেছে এ বিষয়ে নড়েচড়ে বসার।
লন্ডনে সম্মেলনের ফলাফল নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর ইউরোপীয় ঐক্যের এমন উচ্চকিত বহিঃপ্রকাশ দেখা গেল। মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামে তিনি লেখেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে সত্যিকারের শান্তি ও নিরাপত্তার ভিত্তি খুঁজে বের করার জন্য আমরা ইউরোপের সঙ্গে কাজ করছি।’
এদিকে, হোয়াইট হাউসে একপ্রকার অপমানিত হয়েও ট্রাম্পের সঙ্গে সু-সম্পর্ক নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। বৈঠকের পর একাধিক সাক্ষাৎকার ও বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপকে ‘গঠনমূলক সংলাপ’ বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে বিরল খনিজ চুক্তিতে যেকোনো সময় স্বাক্ষর করতে রাজি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
নৌবাহিনীতে স্টিলথ প্রযুক্তির দৌড়ে এত দিন শীর্ষস্থানে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রযুক্তির এফ-৩৫সি যুদ্ধবিমান দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন বিমানবাহী জাহাজগুলোতে মোতায়েন রয়েছে। তবে এবার চীন প্রথমবারের মতো নিজেদের নৌবাহিনীর জন্য স্টিলথ ফাইটার জে-৩৫ মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি প্রতিযোগিতার মুখে ফেলে দিয়েছে।
২৩ মিনিট আগেআমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর পূর্বসূরি বারাক ওবামাকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘রাশিয়াগেট’ এবং ‘ভোট জালিয়াতি’ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে তিনি ওবামা এবং তাঁর প্রশাসনের শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চান।
১ ঘণ্টা আগেতৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে ‘রাজনৈতিক ভণ্ডামি’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের দাবি, ‘এ রাজ্যে যাদের বাংলা ভাষাভাষী বলে নিপীড়ন করা হচ্ছে, সেই একই দল অন্য রাজ্যে তাদের জমি দিচ্ছে! এটা দুমুখো রাজনীতি।’
২ ঘণ্টা আগেইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, তাঁর দেশ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যেকোনো যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। এমনকি, দুই দেশের মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চলছে তা নিয়েও তিনি খুব একটা আশাবাদী নন। তবুও ইরান পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করবে না। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগে