২০০৮ সালের কথা। সে বছর চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের ওয়েনচুয়ান অঞ্চলে এক প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ধসে পড়েছিল অসংখ্য ঘর-বাড়ি। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিপুল প্রাণহানি আর ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও সে সময় একটি ঘটনা সমগ্র চীনবাসীকে নাড়া দিয়েছিল।
ঘটনাটি এমন—ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকারী সেনারা রুদ্ধশ্বাস এক অভিযানে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করে আনেন তিন বছরের এক শিশুকে। তার নাম ল্যাঙ ঝেং। উদ্ধারের পর একটি স্ট্রেচারে করে ল্যাঙকে যখন নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই তিনি এক অবাক কাণ্ড করে বসেন।
অবাকই বলতে হবে—কারণ, একে তো মাত্র তিন বছর বয়স, তার ওপর ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৪ ঘণ্টারও বেশি আটকে থাকা আহত ল্যাঙ স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা অবস্থায়ই ডান হাতটিকে কপাল বরাবর নিয়ে সামরিক কায়দায় সেনাদের একটি স্যালুট দিয়ে বসেন। সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ঘটনাটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী হন কোটি কোটি চীনা। রাতারাতি ‘স্যালুট বয়’ খেতাব পেয়ে যান ল্যাঙ ঝেং। তার এমন কীর্তি উদ্ধারকারী সেনাদের মনোবল কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল।
১৫ বছর পর সেই ‘স্যালুট বয়’ আবারও চীনা গণমাধ্যমের শিরোনাম হলেন। বহু বছরের পরিশ্রম আর মেধার প্রমাণ দিয়েই নতুন আরেক কীর্তি গড়েছেন ল্যাঙ ঝেং।
সোমবার চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাতে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন ‘স্যালুট বয়’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এবারের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত শনিবার।
ফলাফলে দেখা গেছে, ‘স্যালুট বয়’-এর খ্যাতি নিয়ে হারিয়ে যাননি ল্যাঙ। বরং পড়াশোনায় তিনি এত মনোযোগী ছিলেন যে, এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থীর একজন হয়েছেন।
এমন ফলাফল নিয়ে চাইলেই চীনের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন ল্যাঙ। তবে ল্যাঙ চাওয়ার আগেই তাঁকে পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে চীনের প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিশ্বখ্যাত পিকিং ইউনিভার্সিটি এবং র্যানমিন ইউনিভার্সিটি নিজদের ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করার জন্য ল্যাঙকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া লটারি জেতার মতো একটি বিষয়।
বিরল এই কীর্তির জন্য ল্যাঙকে নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে মাতামাতি।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ল্যাঙ বলেন, ‘আমি নিজেই খুব অবাক হয়েছি। এত ভালো ফলাফল আমি নিজেই আশা করিনি।’
ল্যাঙ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পিকিং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ইতিহাস এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা তাঁর।
২০০৮ সালের কথা। সে বছর চীনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় সিচুয়ান প্রদেশের ওয়েনচুয়ান অঞ্চলে এক প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। ধসে পড়েছিল অসংখ্য ঘর-বাড়ি। এ ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। বিপুল প্রাণহানি আর ক্ষয়ক্ষতির মধ্যেও সে সময় একটি ঘটনা সমগ্র চীনবাসীকে নাড়া দিয়েছিল।
ঘটনাটি এমন—ভূমিকম্পের দ্বিতীয় দিনে উদ্ধারকারী সেনারা রুদ্ধশ্বাস এক অভিযানে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে বের করে আনেন তিন বছরের এক শিশুকে। তার নাম ল্যাঙ ঝেং। উদ্ধারের পর একটি স্ট্রেচারে করে ল্যাঙকে যখন নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখনই তিনি এক অবাক কাণ্ড করে বসেন।
অবাকই বলতে হবে—কারণ, একে তো মাত্র তিন বছর বয়স, তার ওপর ধ্বংসস্তূপের নিচে ২৪ ঘণ্টারও বেশি আটকে থাকা আহত ল্যাঙ স্ট্রেচারে শুয়ে থাকা অবস্থায়ই ডান হাতটিকে কপাল বরাবর নিয়ে সামরিক কায়দায় সেনাদের একটি স্যালুট দিয়ে বসেন। সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে ঘটনাটির প্রত্যক্ষ সাক্ষী হন কোটি কোটি চীনা। রাতারাতি ‘স্যালুট বয়’ খেতাব পেয়ে যান ল্যাঙ ঝেং। তার এমন কীর্তি উদ্ধারকারী সেনাদের মনোবল কয়েক গুন বাড়িয়ে দিয়েছিল।
১৫ বছর পর সেই ‘স্যালুট বয়’ আবারও চীনা গণমাধ্যমের শিরোনাম হলেন। বহু বছরের পরিশ্রম আর মেধার প্রমাণ দিয়েই নতুন আরেক কীর্তি গড়েছেন ল্যাঙ ঝেং।
সোমবার চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে যে পরীক্ষা নেওয়া হয় তাতে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছেন ‘স্যালুট বয়’। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যোগ্যতা প্রমাণের জন্য প্রতি বছর লাখ লাখ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এবারের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে গত শনিবার।
ফলাফলে দেখা গেছে, ‘স্যালুট বয়’-এর খ্যাতি নিয়ে হারিয়ে যাননি ল্যাঙ। বরং পড়াশোনায় তিনি এত মনোযোগী ছিলেন যে, এবারের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় সেরা ৩০ জন শিক্ষার্থীর একজন হয়েছেন।
এমন ফলাফল নিয়ে চাইলেই চীনের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন ল্যাঙ। তবে ল্যাঙ চাওয়ার আগেই তাঁকে পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে চীনের প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে। ইতিমধ্যেই বিশ্বখ্যাত পিকিং ইউনিভার্সিটি এবং র্যানমিন ইউনিভার্সিটি নিজদের ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করার জন্য ল্যাঙকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশ চীনে এ দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাওয়া লটারি জেতার মতো একটি বিষয়।
বিরল এই কীর্তির জন্য ল্যাঙকে নিয়ে চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে মাতামাতি।
নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে ল্যাঙ বলেন, ‘আমি নিজেই খুব অবাক হয়েছি। এত ভালো ফলাফল আমি নিজেই আশা করিনি।’
ল্যাঙ জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে পিকিং ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ইতিহাস এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছা তাঁর।
চীনের তৈরি অত্যাধুনিক মাল্টিরোল অ্যাটাক হেলিকপ্টার জেট-১০ এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশন কর্পস এই হেলিকপ্টারগুলো মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন...
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটে চীনের তৈরি আধুনিক জেট-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে। আজ শনিবার মুলতান গ্যারিসনে সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল সাইয়েদ আসিম মুনির এই হেলিকপ্টারগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
৮ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। এই বিষয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এগুলো দীর্ঘমেয়াদি তেল চুক্তি। রাশিয়া থেকে রাতারাতি তেল কেনা বন্ধ করা এত সহজ নয়।’
১০ ঘণ্টা আগে১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ডাক দিয়েছিল ভারতীয়রা। এই ঘটনার প্রায় ১২০ বছর পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন আবার এক স্বদেশি আন্দোলনের ডাক দিলেন! তবে এবার বিদেশি পণ্য বর্জন নয়, স্বদেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
১১ ঘণ্টা আগে