Ajker Patrika

থাইল্যান্ডের আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতা প্রত্যাখ্যান

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৫ জুলাই ২০২৫, ১৮: ৩৩
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

কম্বোডিয়ার সঙ্গে চলমান সীমান্ত সংঘাত নিরসনে তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে থাইল্যান্ড। আজ শুক্রবার থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগে নমপেনকে হামলা বন্ধ করতে হবে এবং কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই পরিস্থিতির সমাধান করতে হবে।

কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা সীমান্ত উত্তেজনা দ্বিতীয় দিনের মতো সম্মুখ সমরে তীব্র আকার ধারণ করেছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী এ দুই দেশের সংঘর্ষ। সম্প্রতি ভয়াবহ আকার ধারণ করা এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই থাই বেসামরিক নাগরিক।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও মালয়েশিয়া ইতিমধ্যে এই সংঘাত নিরসনে সংলাপে সহায়তা করার প্রস্তাব দিয়েছে। তবে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকর্নদেজ বালানকুরা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ব্যাংকক এই সংঘাতের দ্বিপক্ষীয় সমাধান চাইছে।

এক সাক্ষাৎকারে নিকর্নদেজ বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আমাদের এখনো তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা আমাদের অবস্থানে অটল যে দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়াটিই সর্বোত্তম সমাধান।’ তিনি আরও বলেন, ‘কম্বোডিয়ার দিক থেকে প্রথমে সীমান্তে সহিংসতা বন্ধ করতে হবে। আমাদের দরজা এখনো খোলা রয়েছে।’

কম্বোডিয়া সরকার তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত গতকাল বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে একটি জরুরি বৈঠক ডাকার অনুরোধ করেছেন। তিনি থাইল্যান্ডের ‘উসকানিমূলক ও পূর্বপরিকল্পিত সামরিক আগ্রাসনের’ নিন্দা জানিয়েছেন। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আজ এ বিষয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক করবে বলে জানিয়েছে।

গতকাল ভোররাতে সীমান্তের একটি বিতর্কিত স্থানে এই সংঘাত শুরু হয়। উভয় দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘাত শুরু করার অভিযোগ করেছে। প্রথমে সাধারণ গোলাগুলি দিয়ে শুরু হলেও দ্রুত তা ভারী অস্ত্রের সংঘাতে পরিণত হয়। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার এই সীমান্ত বিরোধে চলে আসছে।

গত বুধবার সীমান্তে টহল চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন থাই সেনা আহত হন। থাই সরকারের দাবি, এগুলো সাম্প্রতিক সময়ে পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর পরপরই থাইল্যান্ড উত্তর-পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করে দেয় এবং কম্বোডিয়ার রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। কম্বোডিয়া এর প্রতিবাদে কূটনৈতিক সম্পর্ক সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনে এবং ব্যাংকক থেকে নিজ দেশের সব কর্মকর্তা ফিরিয়ে নেয়। এর এক দিন পরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। থাই কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সীমান্তে বিস্ফোরিত মাইনগুলো সম্প্রতি কম্বোডিয়া পুঁতে রেখেছিল। তবে নমপেন এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

আসিয়ান জোটের চেয়ারম্যান ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাঁদের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। তবে থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নিকর্নদেজ বলেছেন, ‘যদি আসিয়ান পরিবার গঠনমূলক দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় সহায়তা করতে চায়, তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব। কিন্তু তৃতীয় কোনো দেশের মধ্যস্থতায় আমরা আলোচনায় বসতে চাই না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপির পদযাত্রা উপলক্ষে ‘স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত’, প্রধান শিক্ষকের দুই রকম বক্তব্য

মোহাম্মদপুর থানায় ভুক্তভোগীকে হেনস্তা: চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার, ৩ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

হিন্দু মন্দির নিয়ে কেন সংঘাতে জড়াল বৌদ্ধ-অধ্যুষিত থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া

লজ্জায় ধর্ষণের শিকার মায়ের আত্মহত্যা: ৮ বছরের মেয়েটি যাবে কোথায়

বলিদান ও শয়তান পূজার বুদ্ধি দিল চ্যাটজিপিটি

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত