Ajker Patrika

মালদ্বীপের পার্লামেন্ট নির্বাচনে চীন-ভারত বৈরিতার ছাপ স্পষ্ট

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image

দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ দেশ মালদ্বীপে পার্লামেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল রোববার। ভোটের মাঠে দুই প্রতিবেশী দেশ চীন ও ভারতে মধ্যকার বৈরিতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মালদ্বীপের ক্ষমতাসীন জোট চীনপন্থী হলেও বিরোধী দল ভারতপন্থী। 

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, সাদা সৈকত ও নির্জন রিসোর্টের পাশাপাশি একটি ভূরাজনৈতিক হটস্পট হয়ে উঠেছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বিলাসবহুল পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত মালদ্বীপ। 

রোববারের নির্বাচনকে দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুর চীনের প্রতি বিশ্বস্ততার একটি বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর সরকার ভারতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে চীনের দিকে আরও ঝুঁকে পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সমর্থন পার্লামেন্টে নিশ্চিত করতে সমর্থ হবে কি না, এ নির্বাচনের মাধ্যমে তা স্পষ্ট হবে। 

অন্যদিকে বিদায়ী পার্লামেন্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহের ভারতপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির (এমডিপি) আধিপত্য ছিল। এতে কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধার মুখে পড়তে হয় মোহাম্মদ মুইজ্জুকে। 

গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে চীনপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের প্রক্সি হিসেবে ৪৫ বছর বয়সী মোহাম্মদ মুইজ্জু প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। আদালত দুর্নীতির দায়ে ১১ বছরের কারাদণ্ড বাতিল করার পর চলতি সপ্তাহে মুক্তি পান আবদুল্লাহ ইয়ামিন। 

তবে এবারের নির্বাচন নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা অত্যন্ত কঠিন বলে মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্থের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাজনীতি বিষয়ের শিক্ষক ও রিসার্চ ফেলো আজিম জহির। ২০১৯ সালের শেষ সংসদীয় নির্বাচনে এমডিপির ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার এ ধরনের পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন কাজ। 

দেশটির পার্লামেন্ট পিপলস মজলিশের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে থাকবে, তা নির্ধারণে গতকাল সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম ভোটার হিসেবে সকালে রাজধানী মালের তাজউদ্দিন স্কুলে ভোট দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। 

পার্লামেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরোদমে প্রচারণার মধ্যেই চলতি মাসে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে হাইপ্রোফাইল অবকাঠামো চুক্তি করে মুইজ্জু সরকার। তাঁর প্রশাসন ৮৯ ভারতীয় সেনাকে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এ সেনারা দ্বীপপুঞ্জের বিশাল সামুদ্রিক সীমান্তে টহল দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লির উপহার দেওয়া বিমান পরিচালনা করে। 

মালদ্বীপের বর্তমান পার্লামেন্টে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহের ভারতপন্থী এমডিপির আধিপত্য রয়েছে। এতে কূটনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছেন মোহাম্মদ মুইজ্জু। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তাঁর একজন জ্যেষ্ঠ সহযোগী এএফপিকে বলেন, নির্বাচনে দলগুলোর ভোটের জন্য প্রচারণার পটভূমিতে ভূরাজনীতির প্রভাব রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত