আমলাতান্ত্রিক সংস্কারের এক সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটির আইনপ্রণেতারা এমন এক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন যার ফলে, দেশটির সরকারের আকার ছোট হয়ে আসবে। একই সঙ্গে কমবে আমলাদের প্রাধান্যও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের আইনসভা কোক্ হোই বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি আজ মঙ্গলবার একটি সাহসী আমলাতান্ত্রিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর ফলে, দেশটির সরকারি সংস্থাগুলোর সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটি ব্যয় সংকোচন এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
আইনটি পাশের পর কোক্ হোইয়ের সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভিয়েতনামে বর্তমানে বিদ্যমান ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমিয়ে ১৪ টিতে আনা হবে। আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আইনসভার ৯৭ শতাংশের বেশি আইনপ্রণেতাই এই সংস্কারের পক্ষে ভোট দেন।
মঙ্গলবার কোক্ হোই-এ একটি সংশোধিত আইনও অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধিত আইন সরকারের সংগঠন সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে সরকারি কাঠামোর ১৫ থেকে ২০ পর্যন্ত সংস্থা কমানোর পথ প্রশস্ত হয়েছে। এই কাটছাঁটের মধ্যে চারটি সংস্থা ও পাঁচটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ভিয়েতনামের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব তো লাম গত সপ্তাহে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বলেন, এই পদক্ষেপ ‘শুধু রাষ্ট্রীয় বাজেট সাশ্রয় করবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, প্রশাসনিক ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।’
বিনিয়োগকারী, কূটনীতিক এবং কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনাকে সামগ্রিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে স্বল্পমেয়াদে প্রশাসনিক কাজকর্মে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভিয়েতনাম ব্যাপকভাবে বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল। সরকার আশ্বস্ত করেছে, এই সংস্কার প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে না।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এ ছাড়া, পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নির্মাণ মন্ত্রণালয়কে একীভূত করা হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কেও একীভূত করা হবে।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দুজন নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিধানও অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে একজন হলেন বর্তমান বিনিয়োগমন্ত্রী। এর ফলে উপ-প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে সাতজনে দাঁড়াবে।
এই পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য কোভিড-পরবর্তী সরকারি ব্যয় সংকোচন উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর আগে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আকার ছোট করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গত মাসে জানিয়েছিল, এই পুনর্গঠনের ফলে ১ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি প্রভাবিত হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। উপ-প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন হোয়া বিনহ বলেছেন, ‘অযোগ্য কর্মচারীদের অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো অযোগ্য কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না।’
আমলাতান্ত্রিক সংস্কারের এক সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে ভিয়েতনাম। দেশটির আইনপ্রণেতারা এমন এক পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন যার ফলে, দেশটির সরকারের আকার ছোট হয়ে আসবে। একই সঙ্গে কমবে আমলাদের প্রাধান্যও। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভিয়েতনামের আইনসভা কোক্ হোই বা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি আজ মঙ্গলবার একটি সাহসী আমলাতান্ত্রিক সংস্কার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এর ফলে, দেশটির সরকারি সংস্থাগুলোর সংখ্যা এক-পঞ্চমাংশ পর্যন্ত কমানো হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশটি ব্যয় সংকোচন এবং প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছে।
আইনটি পাশের পর কোক্ হোইয়ের সচিবালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ভিয়েতনামে বর্তমানে বিদ্যমান ১৮টি মন্ত্রণালয়ের সংখ্যা কমিয়ে ১৪ টিতে আনা হবে। আগামী ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে। আইনসভার ৯৭ শতাংশের বেশি আইনপ্রণেতাই এই সংস্কারের পক্ষে ভোট দেন।
মঙ্গলবার কোক্ হোই-এ একটি সংশোধিত আইনও অনুমোদিত হয়েছে। এই সংশোধিত আইন সরকারের সংগঠন সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনে পরিবর্তন এনেছে। এর ফলে সরকারি কাঠামোর ১৫ থেকে ২০ পর্যন্ত সংস্থা কমানোর পথ প্রশস্ত হয়েছে। এই কাটছাঁটের মধ্যে চারটি সংস্থা ও পাঁচটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
ভিয়েতনামের শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব তো লাম গত সপ্তাহে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বলেন, এই পদক্ষেপ ‘শুধু রাষ্ট্রীয় বাজেট সাশ্রয় করবে না, বরং আরও গুরুত্বপূর্ণভাবে, প্রশাসনিক ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি করবে।’
বিনিয়োগকারী, কূটনীতিক এবং কর্মকর্তারা এই পরিকল্পনাকে সামগ্রিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে স্বল্পমেয়াদে প্রশাসনিক কাজকর্মে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ শিল্পকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ভিয়েতনাম ব্যাপকভাবে বিদেশি বিনিয়োগের ওপর নির্ভরশীল। সরকার আশ্বস্ত করেছে, এই সংস্কার প্রকল্প অনুমোদনের প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করবে না।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিদেশি বিনিয়োগ প্রকল্প অনুমোদনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ মন্ত্রণালয়কে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করা হবে। এ ছাড়া, পরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নির্মাণ মন্ত্রণালয়কে একীভূত করা হবে। প্রাকৃতিক সম্পদ ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয়কেও একীভূত করা হবে।
মঙ্গলবার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দুজন নতুন উপ-প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের বিধানও অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে একজন হলেন বর্তমান বিনিয়োগমন্ত্রী। এর ফলে উপ-প্রধানমন্ত্রীর সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে সাতজনে দাঁড়াবে।
এই পরিকল্পনা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য কোভিড-পরবর্তী সরকারি ব্যয় সংকোচন উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর আগে, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলেই এবং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের আকার ছোট করার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গত মাসে জানিয়েছিল, এই পুনর্গঠনের ফলে ১ লাখের মতো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর চাকরি প্রভাবিত হবে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি। উপ-প্রধানমন্ত্রী নগুয়েন হোয়া বিনহ বলেছেন, ‘অযোগ্য কর্মচারীদের অবশ্যই প্রশাসনিক ব্যবস্থা থেকে সরিয়ে দিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি সংস্থাগুলো অযোগ্য কর্মকর্তাদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়স্থল হতে পারে না।’
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ ভারতের জন্য টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে। অস্ত্র রপ্তানি বাড়ানোর দায়িত্বে কর্মরত এক ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের অস্ত্রভান্ডার ইউক্রেনে পাঠিয়েছে। রাশিয়ার কারখানাগুলো শুধু তাদের যুদ্ধের জন্যই অস্ত্র তৈরি করছে। ফলে যেসব দেশ ওয়াশিংটন...
১ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি এক ভিডিওতে ভারতের দীর্ঘ পথের ট্রেনযাত্রাকে ‘মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার’ মতো অভিজ্ঞতা বলে বর্ণনা করেছেন ফরাসি ইউটিউবার ভিক্টর ব্লাহো। তিনি বিদেশি পর্যটকদের পরামর্শ দিয়েছেন, পর্যাপ্ত প্রস্তুতি বা ভালো বাজেট না থাকলে ভারতের দীর্ঘ দূরত্বের ট্রেনভ্রমণ এড়িয়ে চলা উচিত।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপিত শুল্ক নীতির কারণে চলতি বছরই বিশ্বজুড়ে পণ্যবাণিজ্য হ্রাস পাবে। এ ছাড়াও পারস্পরিক শুল্ক আরোপ ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তাসহ বিভিন্ন গভীর নেতিবাচক ঝুঁকি রয়েছে, যা বিশ্ব বাণিজ্যে আরও বড় ধরনের পতন ডেকে আনতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ছোট ওষুধ (পিল বা ক্যাপসুল) বাজারে আসার ৯ বছর পর মেডিকেয়ার মূল্য আলোচনার জন্য যোগ্য হয়। ট্রাম্প প্রশাসন এটিকে ১৩ বছর করতে চায়, যা বায়োটেক ওষুধের সমতুল্য। তবে ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দাবি করেছিল, বর্তমান নিয়ম নতুন ওষুধ উদ্ভাবনকে বাধাগ্রস্ত করে। আগে এই বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করতে
৪ ঘণ্টা আগে